উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় মানব পাচারকারী চক্রের ফাঁদে পড়ে দুবাই গিয়ে সর্বস্ব হারিয়ে দেশে ফিরে অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী শাহিন আলম। গত ২৭ আগস্ট তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ভুক্তভোগী শাহিন আলম উপজেলার সলপ ইউনিয়নের সলপ গ্রামের মো. শহিদুল ইসলামের ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দুর্গানগর ইউনিয়নের দাদপুর গ্রামের বাজের আলী ওরফে নুর ইসলামের ছেলে মোস্তাকিন ও একই গ্রামের মোকছেদ ফকিরের ছেলে আরফান দুবাইপ্রবাসী। মোস্তাকিন ছয় মাস আগে ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে আসেন। এ সময় শাহিন আলমকে দুবাই ফাইভ স্টার হোটেলে চাকরি দেবে ও তাঁর ছেলে নাঈমকে পোল্যান্ডে ভালো চাকরি দেবে বলে ১১ লাখ টাকার চুক্তি করেন। পরে তাঁরা পারিবারিকভাবে বসে ৬ লাখ টাকা মোস্তাকিন ও আরফানকে দেন এবং বাকি টাকা দুবাই গিয়ে চাকরি হওয়ার পরে দেবেন বলে কথা হয়।
কথা অনুযায়ী ৩০ জুন শাহিন আলম ও তাঁর ছেলে নাঈমকে দুবাই নিয়ে যাওয়া হয়। দুবাই বিমানবন্দর থেকে আরফান ও মোস্তাকিন তাঁদের ডেরা নামক একটি শহরে নিয়ে গিয়ে হোটেলে আটকে রেখে বাকি টাকার জন্য চাপ দেন। শাহিন আলম শর্ত মোতাবেক তাঁর ছেলেকে পোল্যান্ডে পাঠানো এবং তাঁকে ভালো বেতনে চাকরি দেওয়ার পরে টাকা দেবেন বলে জানান। এ কথা শুনে মোস্তাকিন, আরফানসহ অজ্ঞাত বেশ কয়েকজন মিলে তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন। এমনকি টাকা না দিলে তাঁকে ও তাঁর ছেলেকে মেরে মরদেহ গুম করারও হুমকি দেওয়া হয়।
একপর্যায়ে অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে শাহিন আলম তাঁর বাড়িতে ফোন করে টাকা দিতে বললে আরফানের বাবা মোকছেদ ফকির, ভাই মনছুর ও স্ত্রী লাকী খাতুনের কাছে ৫ লাখ টাকা দেন। টাকা পাওয়ার পর শাহিন আলম ও তাঁর ছেলে নাঈমকে খেজুর পার্ক নামক একটি জঙ্গলে ফেলে পালিয়ে যান তাঁরা। পরে একজন ভারতীয় ও একজন বাংলাদেশি প্রবাসীর সহায়তায় তাঁরা দেশে ফিরে আসেন। দেশে এসে মোস্তাকিন ও আরফানের বাড়িতে গিয়ে টাকা ফেরত চাইলে আরফানের স্ত্রী ও মোস্তাকিনের বাবা বাজের আলীসহ তাঁর পরিবারের লোকজন শাহিন আলমের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন এবং মারধরের হুমকি দেন। আবার টাকা চাইতে এলে থানা-পুলিশকে দিয়ে মাদকের মামলা দিয়ে ধরিয়ে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে উল্লাপাড়া মডেল থানার উপপরিদর্শক আব্দুস ছালাম বলেন, ‘আরফান ও মোস্তাকিনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন শাহিন আলম । তদন্তপূর্বক তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
উল্লেখ্য, এর আগে গত ৪ জুন সিরাজগঞ্জের দাদপুর গ্রামের রায়হান আলীর ছেলে মো. আছাদুল ইসলাম বাদী হয়ে মোস্তাকিনের বিরুদ্ধে উল্লাপাড়া মোকামী আদালতে প্রতারণার মামলা দায়ের করেন।
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় মানব পাচারকারী চক্রের ফাঁদে পড়ে দুবাই গিয়ে সর্বস্ব হারিয়ে দেশে ফিরে অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী শাহিন আলম। গত ২৭ আগস্ট তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ভুক্তভোগী শাহিন আলম উপজেলার সলপ ইউনিয়নের সলপ গ্রামের মো. শহিদুল ইসলামের ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দুর্গানগর ইউনিয়নের দাদপুর গ্রামের বাজের আলী ওরফে নুর ইসলামের ছেলে মোস্তাকিন ও একই গ্রামের মোকছেদ ফকিরের ছেলে আরফান দুবাইপ্রবাসী। মোস্তাকিন ছয় মাস আগে ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে আসেন। এ সময় শাহিন আলমকে দুবাই ফাইভ স্টার হোটেলে চাকরি দেবে ও তাঁর ছেলে নাঈমকে পোল্যান্ডে ভালো চাকরি দেবে বলে ১১ লাখ টাকার চুক্তি করেন। পরে তাঁরা পারিবারিকভাবে বসে ৬ লাখ টাকা মোস্তাকিন ও আরফানকে দেন এবং বাকি টাকা দুবাই গিয়ে চাকরি হওয়ার পরে দেবেন বলে কথা হয়।
কথা অনুযায়ী ৩০ জুন শাহিন আলম ও তাঁর ছেলে নাঈমকে দুবাই নিয়ে যাওয়া হয়। দুবাই বিমানবন্দর থেকে আরফান ও মোস্তাকিন তাঁদের ডেরা নামক একটি শহরে নিয়ে গিয়ে হোটেলে আটকে রেখে বাকি টাকার জন্য চাপ দেন। শাহিন আলম শর্ত মোতাবেক তাঁর ছেলেকে পোল্যান্ডে পাঠানো এবং তাঁকে ভালো বেতনে চাকরি দেওয়ার পরে টাকা দেবেন বলে জানান। এ কথা শুনে মোস্তাকিন, আরফানসহ অজ্ঞাত বেশ কয়েকজন মিলে তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন। এমনকি টাকা না দিলে তাঁকে ও তাঁর ছেলেকে মেরে মরদেহ গুম করারও হুমকি দেওয়া হয়।
একপর্যায়ে অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে শাহিন আলম তাঁর বাড়িতে ফোন করে টাকা দিতে বললে আরফানের বাবা মোকছেদ ফকির, ভাই মনছুর ও স্ত্রী লাকী খাতুনের কাছে ৫ লাখ টাকা দেন। টাকা পাওয়ার পর শাহিন আলম ও তাঁর ছেলে নাঈমকে খেজুর পার্ক নামক একটি জঙ্গলে ফেলে পালিয়ে যান তাঁরা। পরে একজন ভারতীয় ও একজন বাংলাদেশি প্রবাসীর সহায়তায় তাঁরা দেশে ফিরে আসেন। দেশে এসে মোস্তাকিন ও আরফানের বাড়িতে গিয়ে টাকা ফেরত চাইলে আরফানের স্ত্রী ও মোস্তাকিনের বাবা বাজের আলীসহ তাঁর পরিবারের লোকজন শাহিন আলমের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন এবং মারধরের হুমকি দেন। আবার টাকা চাইতে এলে থানা-পুলিশকে দিয়ে মাদকের মামলা দিয়ে ধরিয়ে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে উল্লাপাড়া মডেল থানার উপপরিদর্শক আব্দুস ছালাম বলেন, ‘আরফান ও মোস্তাকিনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন শাহিন আলম । তদন্তপূর্বক তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
উল্লেখ্য, এর আগে গত ৪ জুন সিরাজগঞ্জের দাদপুর গ্রামের রায়হান আলীর ছেলে মো. আছাদুল ইসলাম বাদী হয়ে মোস্তাকিনের বিরুদ্ধে উল্লাপাড়া মোকামী আদালতে প্রতারণার মামলা দায়ের করেন।
আওয়ামী সরকারের পতনের পর রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডি এম জিয়াউর রহমান দলটির ২০০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করতে একটি এজাহার প্রস্তুত করেছিলেন। তবে তা থানায় দেওয়ার আগেই পাঠান আওয়ামী লীগের লোকজনের কাছে এবং মামলার ভয় দেখিয়ে হাতিয়ে নেন মোটা অঙ্কের টাকা।
৬ ঘণ্টা আগেশাহিন আলম। বয়স ৩২ বছর। ফেনী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ড্রাফটম্যান। ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে চাকরিতে যোগ দেন ২১,৪৭০ টাকা বেতন স্কেলে। এই চাকরি যেন শাহিনের জন্য আলাদিনের চেরাগ হিসেবে এসেছে। এরপর ৬ বছরে তিনি শতকোটি টাকার মালিক হয়েছেন।
৬ ঘণ্টা আগেকাজের সময়সীমা ১৮ মাস। কিন্তু সে কাজ দুই মাস করার পর ফেলে রাখা হয়েছে। এদিকে কাজের মেয়াদ শেষ হয়েছে। কিন্তু খোঁজ নেই ঠিকাদারের। জানা গেছে, গত বছরের আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরই গা ঢাকা দেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন। এতে সড়ক সংস্কারকাজ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে জনসাধারণকে।
৬ ঘণ্টা আগেমুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার মানুষের যাতায়াতের অন্যতম ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে ৩৭টি বাঁশের সাঁকো। বর্ষাকালে উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের প্রায় ১ লাখ মানুষের এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে যোগাযোগের ক্ষেত্রে এসব সাঁকোই ভরসা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাঁদের।
৬ ঘণ্টা আগে