Ajker Patrika

রাবি ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি ঠেকাতে প্রশাসন তৎপর রয়েছে: উপাচার্য

রাবি প্রতিনিধি
আপডেট : ০১ মার্চ ২০২৪, ২১: ৪৪
রাবি ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি ঠেকাতে প্রশাসন তৎপর রয়েছে: উপাচার্য

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে ৫ মার্চ। ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ইতিমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ ছাড়া ভর্তি পরীক্ষায় সব ধরনের জালিয়াতি ঠেকাতে তৎপর রয়েছেন তারা। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও সজাগ রয়েছে। 

আজ শুক্রবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার। 

লিখিত বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, এবার ৫ মার্চ ‘সি’ ইউনিট, ৬ মার্চ ‘এ’ ইউনিট ও ৭ মার্চ ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর বিশেষ কোটাসহ মোট ৪ হাজার ৪৩৮টি আসনের বিপরীতে মোট ১ লাখ ৮৫ হাজার ৬৮০টি চূড়ান্ত আবেদন জমা পড়েছে। 

ভর্তি পরীক্ষায় কোনো ধরনের জালিয়াতি বা কারসাজির সুযোগ নেই। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদা সজাগ রয়েছে। কোনো প্রকার জালিয়াতি, কারসাজি বা অশুভ তৎপরতা-সংক্রান্ত নির্ভরযোগ্য তথ্য পেলে প্রক্টর দপ্তরকে জানিয়ে সবার সহযোগিতাও প্রত্যাশা করেন তিনি। 

উপাচার্য আরও জানান, ভর্তি-ইচ্ছুকদের কাছ থেকে যেন মেসের মালিকেরা অতিরিক্ত অর্থ আদায় করতে না পারেন, সে লক্ষ্যে প্রক্টর অফিস মেসমালিক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা সম্পন্ন করেছে। ক্যাম্পাস ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরের বিশেষ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু থাকবে। 

তিনি আরও বলেন, অসাধু চক্রের সদস্যদের তাৎক্ষণিক শাস্তি বিধানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে। পরীক্ষা চলাকালে রাবি চিকিৎসাকেন্দ্র পরিচালিত একটি মেডিকেল টিম কাজ করবে। সার্বক্ষণিকভাবে চারটি অ্যাম্বুলেন্স থাকবে। এ ছাড়া কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন কর্তৃক পরিচালিত দুই সদস্যের একটি মেডিকেল টিম এবং দুটি অ্যাম্বুলেন্স চিকিৎসা সহায়তা দেবে। এ ছাড়া রাজশাহী সিটি করপোরেশনের একটি অ্যাম্বুলেন্স ও দুই সদস্যের মেডিকেল টিম কাজ করবে। 

অভিভাবকদের সুবিধার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরীক্ষা চলাকালে শুধু অভিভাবকদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে ১১টি টেন্ট স্থাপন করা হচ্ছে। প্রতিটি টেন্টে অভিভাবকদের বসার জন্য ২০০টি করে চেয়ার থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সাধারণভাবে ব্যবহারের জন্য ১১টি স্থানে ওয়াশরুমের ব্যবস্থা থাকছে। 

পরীক্ষার্থীদের বিভিন্ন আবাসিক হলে ও বিশ্ববিদ্যালয় জিমনেসিয়ামে সীমিত আকারে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া নারী অভিভাবকদের অবস্থানের জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী জিমনেসিয়াম ও পশ্চিম ৯০ নম্বর বাসায় সীমিত ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্রের ফটোকপি ও নিজেদের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি জমাদান সাপেক্ষে পরীক্ষার্থীর অভিভাবক সীমিত আকারে ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে পারবেন। 

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যদ্বয় অধ্যাপক সুলতান উল ইসলাম ও অধ্যাপক হুমায়ুন কবির, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক তারিকুল হাসান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সাউদ, প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে, বিভিন্ন অনুষদ অধিকর্তা প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত