Ajker Patrika

দোররা মেরে চাচি-ভাতিজার বিয়ে, ইউপি সদস্যসহ গ্রেপ্তার ৬ 

বগুড়া প্রতিনিধি
আপডেট : ১১ জুলাই ২০২৩, ১৫: ০৮
দোররা মেরে চাচি-ভাতিজার বিয়ে, ইউপি সদস্যসহ গ্রেপ্তার ৬ 

বগুড়ার শিবগঞ্জে গ্রাম্য সালিসে দোররা মেরে চাচি-ভাতিজার বিয়ে পড়ানোর ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্যসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার রাতে ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে আটজনের নামে থানায় মামলার পর তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন শিবগঞ্জ উপজেলার আটমূল ইউপি সদস্য জিল্লুর রহমান, পশ্চিম জাহাঙ্গীরাবাদ জামে মসজিদের ইমাম শাহিনুর রহমান, ইলিয়াস আলী ফকির, মোজাফফর মণ্ডল, তোজাম মণ্ডল ও মোজাম্মেল হক। শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ এ তথ্য জানিয়েছেন। 

শিবগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা ভুক্তভোগী নারী বলেন, তাঁর স্বামী প্রবাসে থাকেন। গত শনিবার রাত ১১টার দিকে ভাতিজা আব্দুল মমিনকে সাংসারিক কাজের প্রয়োজনে বাড়িতে ডাকেন। এ সময় গ্রামের লোকজন অনৈতিক কাজের অভিযোগ তুলে সারা রাত তাঁদের ওই ঘরে আটকে রাখে। পরদিন সকালে দুজনকে ঘর থেকে বের করে মারধরের পর গ্রামে সালিস বসায়। 

তিনি আরও বলেন, সালিসে প্রবাসী স্বামীকে তালাক দিতে বাধ্য করার পর মসজিদের ইমাম দুজনকে ১০১টি করে দোররা মারার নির্দেশ দেন। পরে আজাদুল ইসলাম বাঁশের কঞ্চি দিয়ে দোররা মারেন। এরপর ২ লাখ টাকা দেনমোহর নির্ধারণ করে ভাতিজা আব্দুল মোমিনের সঙ্গে জোর করে বিয়ে পড়ানো হয়। 

এ বিষয়ে আটমুল ইউপি চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন বলেন, ‘গ্রামে কোনো ঘটনা ঘটলে জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমাদের সেখানে যেতে হয়। থানা-পুলিশের পক্ষ থেকেও ইউপি সদস্যকে ঘটনাটি মীমাংসার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। দোররা মারার সঙ্গে ইউপি সদস্য জিল্লুর রহমান জড়িত নন। তাঁর নামে মামলা দেওয়া ঠিক হয়নি। সেখানে উপস্থিত গণ্যমান্য ব্যক্তি ও ইমাম সাহেব কোন পরিস্থিতিতে দোররা মারার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সে বিষয়ে আমার জানা নেই।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিবগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রউফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ভুক্তভোগী নারী থানায় মামলা করার পর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পলাতক দুজনকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত