Ajker Patrika

সব ষড়যন্ত্র রুখে দিতে নির্বাচিত সরকারের বিকল্প নেই: আবদুস সালাম

­­­নওগাঁ প্রতিনিধি
নওগাঁর বদলগাছি উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম। ছবি: আজকের পত্রিকা
নওগাঁর বদলগাছি উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম বলেছেন, ‘বিচারের নামে, সংস্কারের নামে বছরের পর বছর পার করে দেওয়া যাবে না। ওই যে হাসিনা মাঝেমধ্যে বলে টুপ করে আইসা পড়বে, সে নাকি এখনো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী! এই কারণেই বলি ড. ইউনূস, আপনাকে এই ষড়যন্ত্রকে থামাতে হবে। নির্বাচিত সরকার ছাড়া এই সংকটের কোনো বিকল্প নেই। আমরা নির্বাচন চাই।’

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নওগাঁর বদলগাছি উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে রাজশাহী বিভাগের জেলা, মহানগর ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আবদুস সালাম বলেন, ‘দেশপ্রেম আনতে হবে, দেশপ্রেম ছাড়া রাজনীতি হয় না। ব্যক্তি প্রেম দিয়ে হয় না। যে নেতা হবে সবাইকে ভালোবাসবে। নিজেকে ভালোবাসলে নেতা হওয়া যায় না। সভাপতি-সম্পাদক হয়ে বছরের পর বছর থাকলে সংগঠনের কোনো লাভ হয় না। এখন আর সেই সময় নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘হাসিনা জবাবদিহির ঊর্ধ্বে ছিল বলেই স্বৈরাচার হয়েছে। বর্তমান সরকারও সেই পথে দেশকে ঠেলে দিতে চেয়েছিল। আমরা বলেছি, ওই সব আকাম-কুকামের দিকে যাইয়েন না। আপনারা নির্বাচনটা করান। বিচারও তো আমরা চাই। আমাদের নেতা–কর্মীরাই সবচেয়ে বেশি গুম-হত্যার শিকার হয়েছে। বছরের পর বছর জেলে কাটিয়েছে। আমাদেরই তো বিচার, সংস্কার, নির্বাচন দরকার।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘দেশ চালাতে হলে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের মতো নেতাই দরকার। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আধিপত্যবাদ রুখতে পারবে, অর্থনীতির সংস্কার করতে পারবে। বিএনপি দল করে, রাজনীতি করে—স্বাভাবিকভাবেই ক্ষমতায় যেতে চায়। না গেলে পরিবর্তন কীভাবে হবে?’ তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘৭ নভেম্বর জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রক্ষমতায় না এলে বাংলাদেশ তখনই ধ্বংস হয়ে যেত। খালেদা জিয়া যদি ’৯০-পরবর্তী সময়ে ক্ষমতায় না আসতেন, তাহলে নারীরা এত সুযোগ-সুবিধা পেত না। মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়সহ অনেক কিছুই তিনি করেছেন।’

সরকারের সমালোচনা করে সালাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দেশের সার্বভৌমত্ব বিক্রি করে দিয়েছে। দেশটাকে সেই অবস্থার হাত থেকে বাঁচাতে বিএনপিকে ক্ষমতায় যেতে হবে, নিজেদের ভোগ-বিলাসের জন্য নয়।’ তিনি দাবি করেন, ‘মানুষ মনে করে বিএনপি সৎ, বিএনপি কখনো অন্যায় করে না। আমাদের দুই–একটা ছিটেফোঁটা দুর্নীতি থাকতেই পারে, কিন্তু সে জন্য আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। এখনো কেউ থেকে থাকলে তাদের বলব সাইডলাইনে চলে যেতে, যেন নেতৃত্বের ধারে-কাছে না আসে।’

নিজেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচয় দিয়ে তিনি বলেন, ‘শহীদ জিয়ার সন্তান হিসেবে, বেগম খালেদা জিয়ার সন্তান হিসেবে তারেক রহমান রাষ্ট্রকে উন্নয়নে নিতে এক বছরও সময় নেবেন না।’

সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীম। এতে বক্তব্য দেন যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি ফখরুল ইসলাম রবিন, বিএনপির রাজশাহী বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক এ এইচ এম ওবায়দুর রহমান চন্দন, কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফজলে হুদা বাবুল, নওগাঁ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নু, সদস্যসচিব বায়েজিদ হোসেন পলাশসহ রাজশাহী বিভাগের বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের সিনিয়র নেতারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত