Ajker Patrika

চারঘাটে ঠিকাদারের দখলে বিদ্যালয়ের মাঠ

প্রতিনিধি
চারঘাটে ঠিকাদারের দখলে বিদ্যালয়ের মাঠ

চারঘাট (রাজশাহী): শিক্ষার্থীদের করোনা সংক্রমণ এড়াতে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। দফায় দফায় ছুটির মেয়াদ বাড়িয়ে করা হয়েছে ৩০ জুন পর্যন্ত। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত আসতে পারে, না হয় আবারও সময় বাড়তে পারে। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। 

কিন্তু তাতে গুরুত্ব দিচ্ছেন না চারঘাটের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। চারঘাটের তালবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠজুড়ে রাখা হয়েছে ইট, পাথর, বালি ও বিটুমিন মিশ্রণের মেশিন। দূর থেকে মনে হবে না এখানে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। শিক্ষার্থীদের চারণভূমি ওই মাঠজুড়ে পাথরের স্তূপ। যেন গড়ে তোলা হয়েছে পাথরের খনি। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের তালবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ দখল করে রাস্তা সংস্কারের পাথর, বালি ও খোয়াসহ বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী রাখা হয়েছে। এতে বিদ্যালয়ের পুরো মাঠটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষক-কর্মচারী কাউকে পাওয়া যায়নি।  

এলাকাবাসী জানান, শুনেছেন মাঠ ঠিকাদারকে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিনই পাথর, বালি বোঝাই গাড়ি বিদ্যালয়ে আসছে। সেখানে বসানো মেশিনে বিটুমিন মিশ্রণ হয়ে রাস্তার কাজে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বিদ্যালয় খুললে পাথর সরিয়ে নিলেও মাঠে দেবে যাওয়া ও বিচ্ছিন্নভাবে পড়ে থাকা পাথর দিয়ে শিক্ষার্থীরা আহত হতে পারে। তাঁরা দ্রুত পাথর সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানান। 

তালবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিরিনা খাতুন বলেন, 'ঠিকাদার আমাকে না জানিয়ে বিদ্যালয় মাঠে নির্মাণ সামগ্রী রাখেন। আমি জানতে পেরে নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে যেতে বলেছি। তবুও তারা কথা শোনেনি। সরকারি রাস্তার কাজ চলছে, কাজ শেষ হলে মাঠ ঠিক করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ঠিকাদার।' 

এ ব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী হাফিজুর রহমান লালন বলেন, 'বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় ও জায়গা না পাওয়ার কারণে রাস্তা সংস্কার কাজের নির্মাণ সামগ্রী ওই বিদ্যালয় মাঠে রাখা হয়েছে। কার্পেটিংয়ের কাজ শেষ পর্যায়ে, সবকিছু সরিয়ে নেওয়া হবে।' 

চারঘাট  উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রশিদা ইয়াসমিন বলেন, ‘কোনো ক্রমেই ঠিকাদারের নির্মাণ সামগ্রী বিদ্যালয় মাঠে রাখার নিয়ম নেই। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।' 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত