নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ শুরু হলে শেখ ফাহমিন জাফর তাঁর বাবাকে ফোন করে বলেছিলেন, কলেজে ক্লাস-পরীক্ষা হবে না। তিনি বাড়ি ফিরছেন। বাবা আবু জাফরের সঙ্গে ১৮ জুলাই এটিই ছিল টঙ্গী সরকারি কলেজের ছাত্র ফাহমিন জাফরের শেষ কথা।
তাঁর বাবা আবু জাফর বলেন, ‘এটাই শেষবারের মতো আমার ছেলের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল। কিন্তু তখন আমি কখনোই ভাবিনি, এটাই শেষ কথা। ফাহমিনের বাড়ি ফিরে আসাটা যে এমন হবে, তা-ও ভাবতে পারিনি।’
রাজশাহী নগরীর রামচন্দ্রপুর মহল্লায় ভাড়া বাড়িতে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে ফাহমিনের বাবা এসব কথা বলেন। রাজশাহীতে একটি বিমা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আবু জাফরের গ্রামের বাড়ি নওগাঁর আত্রাই উপজেলার তারাটিয়ায়।
গত বছর রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন ফাহমিদ। ছোটবেলা থেকে প্রকৌশলী হওয়ার স্বপ্ন দেখা ফাহমিদ ভর্তি হন টঙ্গী সরকারি কলেজে। গত ১৮ জুলাই উত্তরায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় নিহত হন ফাহমিন।
তাঁর বাবা আবু জাফর দুঃখ করে বলেন, ‘আমার তিন ছেলের মধ্যে সবচেয়ে ছোট ফাহমিন শৈশব থেকেই প্রকৌশলী হওয়ার স্বপ্ন দেখত। কিন্তু পুলিশের গুলিতে আমার ছেলের মৃত্যুতে আমাদের আশা ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে।’ তিনি বলতে থাকেন, ‘ফাহমিন ছোটবেলা থেকেই সৎ ও সাহসী ছিল। সে পরিবারের মধ্যেও কোনো ধরনের অন্যায়ের সঙ্গে কখনো আপস করেনি।’
আবু জাফর বলেন, ‘আমার কিছু বলার নেই। একটা দাবি আছে যে আমার ছেলে হত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে। আমি চাই আর কোনো বাবা-মায়ের সন্তান যেন এভাবে প্রাণ না হারায়।’
ফাহমিনের ভাই শেখ ফারদিন জাফর রাজশাহী শহরে বাবার সঙ্গে থাকেন। উচ্চমাধ্যমিক উত্তীর্ণের পর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি জানান, ফাহমিনের মোবাইল ফোন থেকে ১৮ জুলাই একজন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর ভাইয়ের দুর্ঘটনা ঘটেছে এবং তাঁকে উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে।
ফারদিন বলেন, ‘যিনি ফোন করেছিলেন, তিনি তখন কিছু বলেননি যে আমার ভাই আগেই মারা গেছে। আমি ফাহমিনের সঙ্গে ঢাকায় বসবাসকারী আমার চাচা ও মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করি কিছু কাপড়চোপড় নিয়ে উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে যাওয়ার জন্য। তাঁরা গেলে বিকেল ৪টার দিকে জানতে পারি, আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে।’
ফারদিন জানান, তাঁর ভাইয়ের সারা শরীরে আড়াই শতাধিক ছররা গুলির চিহ্ন এবং মাথায় বেশ কয়েকটি রাবার বুলেটের চিহ্ন ছিল।
ফারদিন বলেন, ‘ফাহমিন আমার কাছে ভাইয়ের চেয়েও বেশি ছিল। সে আমার ভালো বন্ধুও ছিল। একসঙ্গে গোসল করতাম, খেতাম, ঘুমাতাম। তাকে হত্যার পর আমি রাতে ঘুমাতে পারি না। প্রচণ্ড মানসিক চাপের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। এ জন্য ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ খাচ্ছি।’
ফারদিন আরও বলেন, ‘ফাহমিনের অনেক প্রতিভা ছিল। সে এই বয়সে অনেক কবিতা লিখেছে। ছোটবেলায় বাড়িতে বসে রিমোট কন্ট্রোল গাড়ি খুলে আবার জোড়া লাগাত। তার ইচ্ছা ছিল, বুয়েটে পড়ে প্রকৌশলী হবে। আমাদের সবার স্বপ্ন পুলিশের হাতেই শেষ হয়ে গেল।’
পরিবারের সদস্যরা ১৯ জুলাই ফাহমিনকে তাঁদের নিজ গ্রাম নওগাঁর আত্রাই উপজেলার তারাটিয়ায় গ্রামের বাড়িতে দাফন করেন। ফাহমিনের বড় ভাই একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে পরিবারকে সহযোগিতার জন্য একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ শুরু হলে শেখ ফাহমিন জাফর তাঁর বাবাকে ফোন করে বলেছিলেন, কলেজে ক্লাস-পরীক্ষা হবে না। তিনি বাড়ি ফিরছেন। বাবা আবু জাফরের সঙ্গে ১৮ জুলাই এটিই ছিল টঙ্গী সরকারি কলেজের ছাত্র ফাহমিন জাফরের শেষ কথা।
তাঁর বাবা আবু জাফর বলেন, ‘এটাই শেষবারের মতো আমার ছেলের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল। কিন্তু তখন আমি কখনোই ভাবিনি, এটাই শেষ কথা। ফাহমিনের বাড়ি ফিরে আসাটা যে এমন হবে, তা-ও ভাবতে পারিনি।’
রাজশাহী নগরীর রামচন্দ্রপুর মহল্লায় ভাড়া বাড়িতে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে ফাহমিনের বাবা এসব কথা বলেন। রাজশাহীতে একটি বিমা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আবু জাফরের গ্রামের বাড়ি নওগাঁর আত্রাই উপজেলার তারাটিয়ায়।
গত বছর রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন ফাহমিদ। ছোটবেলা থেকে প্রকৌশলী হওয়ার স্বপ্ন দেখা ফাহমিদ ভর্তি হন টঙ্গী সরকারি কলেজে। গত ১৮ জুলাই উত্তরায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় নিহত হন ফাহমিন।
তাঁর বাবা আবু জাফর দুঃখ করে বলেন, ‘আমার তিন ছেলের মধ্যে সবচেয়ে ছোট ফাহমিন শৈশব থেকেই প্রকৌশলী হওয়ার স্বপ্ন দেখত। কিন্তু পুলিশের গুলিতে আমার ছেলের মৃত্যুতে আমাদের আশা ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে।’ তিনি বলতে থাকেন, ‘ফাহমিন ছোটবেলা থেকেই সৎ ও সাহসী ছিল। সে পরিবারের মধ্যেও কোনো ধরনের অন্যায়ের সঙ্গে কখনো আপস করেনি।’
আবু জাফর বলেন, ‘আমার কিছু বলার নেই। একটা দাবি আছে যে আমার ছেলে হত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে। আমি চাই আর কোনো বাবা-মায়ের সন্তান যেন এভাবে প্রাণ না হারায়।’
ফাহমিনের ভাই শেখ ফারদিন জাফর রাজশাহী শহরে বাবার সঙ্গে থাকেন। উচ্চমাধ্যমিক উত্তীর্ণের পর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি জানান, ফাহমিনের মোবাইল ফোন থেকে ১৮ জুলাই একজন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর ভাইয়ের দুর্ঘটনা ঘটেছে এবং তাঁকে উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে।
ফারদিন বলেন, ‘যিনি ফোন করেছিলেন, তিনি তখন কিছু বলেননি যে আমার ভাই আগেই মারা গেছে। আমি ফাহমিনের সঙ্গে ঢাকায় বসবাসকারী আমার চাচা ও মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করি কিছু কাপড়চোপড় নিয়ে উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে যাওয়ার জন্য। তাঁরা গেলে বিকেল ৪টার দিকে জানতে পারি, আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে।’
ফারদিন জানান, তাঁর ভাইয়ের সারা শরীরে আড়াই শতাধিক ছররা গুলির চিহ্ন এবং মাথায় বেশ কয়েকটি রাবার বুলেটের চিহ্ন ছিল।
ফারদিন বলেন, ‘ফাহমিন আমার কাছে ভাইয়ের চেয়েও বেশি ছিল। সে আমার ভালো বন্ধুও ছিল। একসঙ্গে গোসল করতাম, খেতাম, ঘুমাতাম। তাকে হত্যার পর আমি রাতে ঘুমাতে পারি না। প্রচণ্ড মানসিক চাপের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। এ জন্য ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ খাচ্ছি।’
ফারদিন আরও বলেন, ‘ফাহমিনের অনেক প্রতিভা ছিল। সে এই বয়সে অনেক কবিতা লিখেছে। ছোটবেলায় বাড়িতে বসে রিমোট কন্ট্রোল গাড়ি খুলে আবার জোড়া লাগাত। তার ইচ্ছা ছিল, বুয়েটে পড়ে প্রকৌশলী হবে। আমাদের সবার স্বপ্ন পুলিশের হাতেই শেষ হয়ে গেল।’
পরিবারের সদস্যরা ১৯ জুলাই ফাহমিনকে তাঁদের নিজ গ্রাম নওগাঁর আত্রাই উপজেলার তারাটিয়ায় গ্রামের বাড়িতে দাফন করেন। ফাহমিনের বড় ভাই একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে পরিবারকে সহযোগিতার জন্য একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ শুরু হলে শেখ ফাহমিন জাফর তাঁর বাবাকে ফোন করে বলেছিলেন, কলেজে ক্লাস-পরীক্ষা হবে না। তিনি বাড়ি ফিরছেন। বাবা আবু জাফরের সঙ্গে ১৮ জুলাই এটিই ছিল টঙ্গী সরকারি কলেজের ছাত্র ফাহমিন জাফরের শেষ কথা।
তাঁর বাবা আবু জাফর বলেন, ‘এটাই শেষবারের মতো আমার ছেলের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল। কিন্তু তখন আমি কখনোই ভাবিনি, এটাই শেষ কথা। ফাহমিনের বাড়ি ফিরে আসাটা যে এমন হবে, তা-ও ভাবতে পারিনি।’
রাজশাহী নগরীর রামচন্দ্রপুর মহল্লায় ভাড়া বাড়িতে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে ফাহমিনের বাবা এসব কথা বলেন। রাজশাহীতে একটি বিমা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আবু জাফরের গ্রামের বাড়ি নওগাঁর আত্রাই উপজেলার তারাটিয়ায়।
গত বছর রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন ফাহমিদ। ছোটবেলা থেকে প্রকৌশলী হওয়ার স্বপ্ন দেখা ফাহমিদ ভর্তি হন টঙ্গী সরকারি কলেজে। গত ১৮ জুলাই উত্তরায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় নিহত হন ফাহমিন।
তাঁর বাবা আবু জাফর দুঃখ করে বলেন, ‘আমার তিন ছেলের মধ্যে সবচেয়ে ছোট ফাহমিন শৈশব থেকেই প্রকৌশলী হওয়ার স্বপ্ন দেখত। কিন্তু পুলিশের গুলিতে আমার ছেলের মৃত্যুতে আমাদের আশা ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে।’ তিনি বলতে থাকেন, ‘ফাহমিন ছোটবেলা থেকেই সৎ ও সাহসী ছিল। সে পরিবারের মধ্যেও কোনো ধরনের অন্যায়ের সঙ্গে কখনো আপস করেনি।’
আবু জাফর বলেন, ‘আমার কিছু বলার নেই। একটা দাবি আছে যে আমার ছেলে হত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে। আমি চাই আর কোনো বাবা-মায়ের সন্তান যেন এভাবে প্রাণ না হারায়।’
ফাহমিনের ভাই শেখ ফারদিন জাফর রাজশাহী শহরে বাবার সঙ্গে থাকেন। উচ্চমাধ্যমিক উত্তীর্ণের পর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি জানান, ফাহমিনের মোবাইল ফোন থেকে ১৮ জুলাই একজন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর ভাইয়ের দুর্ঘটনা ঘটেছে এবং তাঁকে উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে।
ফারদিন বলেন, ‘যিনি ফোন করেছিলেন, তিনি তখন কিছু বলেননি যে আমার ভাই আগেই মারা গেছে। আমি ফাহমিনের সঙ্গে ঢাকায় বসবাসকারী আমার চাচা ও মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করি কিছু কাপড়চোপড় নিয়ে উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে যাওয়ার জন্য। তাঁরা গেলে বিকেল ৪টার দিকে জানতে পারি, আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে।’
ফারদিন জানান, তাঁর ভাইয়ের সারা শরীরে আড়াই শতাধিক ছররা গুলির চিহ্ন এবং মাথায় বেশ কয়েকটি রাবার বুলেটের চিহ্ন ছিল।
ফারদিন বলেন, ‘ফাহমিন আমার কাছে ভাইয়ের চেয়েও বেশি ছিল। সে আমার ভালো বন্ধুও ছিল। একসঙ্গে গোসল করতাম, খেতাম, ঘুমাতাম। তাকে হত্যার পর আমি রাতে ঘুমাতে পারি না। প্রচণ্ড মানসিক চাপের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। এ জন্য ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ খাচ্ছি।’
ফারদিন আরও বলেন, ‘ফাহমিনের অনেক প্রতিভা ছিল। সে এই বয়সে অনেক কবিতা লিখেছে। ছোটবেলায় বাড়িতে বসে রিমোট কন্ট্রোল গাড়ি খুলে আবার জোড়া লাগাত। তার ইচ্ছা ছিল, বুয়েটে পড়ে প্রকৌশলী হবে। আমাদের সবার স্বপ্ন পুলিশের হাতেই শেষ হয়ে গেল।’
পরিবারের সদস্যরা ১৯ জুলাই ফাহমিনকে তাঁদের নিজ গ্রাম নওগাঁর আত্রাই উপজেলার তারাটিয়ায় গ্রামের বাড়িতে দাফন করেন। ফাহমিনের বড় ভাই একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে পরিবারকে সহযোগিতার জন্য একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ শুরু হলে শেখ ফাহমিন জাফর তাঁর বাবাকে ফোন করে বলেছিলেন, কলেজে ক্লাস-পরীক্ষা হবে না। তিনি বাড়ি ফিরছেন। বাবা আবু জাফরের সঙ্গে ১৮ জুলাই এটিই ছিল টঙ্গী সরকারি কলেজের ছাত্র ফাহমিন জাফরের শেষ কথা।
তাঁর বাবা আবু জাফর বলেন, ‘এটাই শেষবারের মতো আমার ছেলের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল। কিন্তু তখন আমি কখনোই ভাবিনি, এটাই শেষ কথা। ফাহমিনের বাড়ি ফিরে আসাটা যে এমন হবে, তা-ও ভাবতে পারিনি।’
রাজশাহী নগরীর রামচন্দ্রপুর মহল্লায় ভাড়া বাড়িতে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে ফাহমিনের বাবা এসব কথা বলেন। রাজশাহীতে একটি বিমা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আবু জাফরের গ্রামের বাড়ি নওগাঁর আত্রাই উপজেলার তারাটিয়ায়।
গত বছর রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন ফাহমিদ। ছোটবেলা থেকে প্রকৌশলী হওয়ার স্বপ্ন দেখা ফাহমিদ ভর্তি হন টঙ্গী সরকারি কলেজে। গত ১৮ জুলাই উত্তরায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় নিহত হন ফাহমিন।
তাঁর বাবা আবু জাফর দুঃখ করে বলেন, ‘আমার তিন ছেলের মধ্যে সবচেয়ে ছোট ফাহমিন শৈশব থেকেই প্রকৌশলী হওয়ার স্বপ্ন দেখত। কিন্তু পুলিশের গুলিতে আমার ছেলের মৃত্যুতে আমাদের আশা ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে।’ তিনি বলতে থাকেন, ‘ফাহমিন ছোটবেলা থেকেই সৎ ও সাহসী ছিল। সে পরিবারের মধ্যেও কোনো ধরনের অন্যায়ের সঙ্গে কখনো আপস করেনি।’
আবু জাফর বলেন, ‘আমার কিছু বলার নেই। একটা দাবি আছে যে আমার ছেলে হত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে। আমি চাই আর কোনো বাবা-মায়ের সন্তান যেন এভাবে প্রাণ না হারায়।’
ফাহমিনের ভাই শেখ ফারদিন জাফর রাজশাহী শহরে বাবার সঙ্গে থাকেন। উচ্চমাধ্যমিক উত্তীর্ণের পর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি জানান, ফাহমিনের মোবাইল ফোন থেকে ১৮ জুলাই একজন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর ভাইয়ের দুর্ঘটনা ঘটেছে এবং তাঁকে উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে।
ফারদিন বলেন, ‘যিনি ফোন করেছিলেন, তিনি তখন কিছু বলেননি যে আমার ভাই আগেই মারা গেছে। আমি ফাহমিনের সঙ্গে ঢাকায় বসবাসকারী আমার চাচা ও মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করি কিছু কাপড়চোপড় নিয়ে উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে যাওয়ার জন্য। তাঁরা গেলে বিকেল ৪টার দিকে জানতে পারি, আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে।’
ফারদিন জানান, তাঁর ভাইয়ের সারা শরীরে আড়াই শতাধিক ছররা গুলির চিহ্ন এবং মাথায় বেশ কয়েকটি রাবার বুলেটের চিহ্ন ছিল।
ফারদিন বলেন, ‘ফাহমিন আমার কাছে ভাইয়ের চেয়েও বেশি ছিল। সে আমার ভালো বন্ধুও ছিল। একসঙ্গে গোসল করতাম, খেতাম, ঘুমাতাম। তাকে হত্যার পর আমি রাতে ঘুমাতে পারি না। প্রচণ্ড মানসিক চাপের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। এ জন্য ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ খাচ্ছি।’
ফারদিন আরও বলেন, ‘ফাহমিনের অনেক প্রতিভা ছিল। সে এই বয়সে অনেক কবিতা লিখেছে। ছোটবেলায় বাড়িতে বসে রিমোট কন্ট্রোল গাড়ি খুলে আবার জোড়া লাগাত। তার ইচ্ছা ছিল, বুয়েটে পড়ে প্রকৌশলী হবে। আমাদের সবার স্বপ্ন পুলিশের হাতেই শেষ হয়ে গেল।’
পরিবারের সদস্যরা ১৯ জুলাই ফাহমিনকে তাঁদের নিজ গ্রাম নওগাঁর আত্রাই উপজেলার তারাটিয়ায় গ্রামের বাড়িতে দাফন করেন। ফাহমিনের বড় ভাই একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে পরিবারকে সহযোগিতার জন্য একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন।

বাজারে দুধ বিক্রি করে সন্ধ্যার পর বাসায় ফেরেন বাবা নিজাম প্রামাণিক (৬০)। পরে খাওয়া-দাওয়া শেষে এশার নামাজ পড়তে জায়নামাজে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। এ সময় সুযোগ বুঝে হাঁসুয়া দিয়ে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করেন ছেলে মোস্তফা প্রামাণিক। এমনই এক লোমহর্ষ ঘটনা ঘটেছে পাবনা সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নের পুরোনো...
২ মিনিট আগে
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় জানালার গ্রিল কেটে ঢুকে পরিবারের সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ অর্থ, মোবাইল ফোন ও স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে ডাকাত দল। গতকাল রোববার দিবাগত রাতে উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের বালুয়াকান্দি দক্ষিণপাড়ায় (ব্যাপারী বাড়িতে) অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য মো. ফজলুল হকের...
১৮ মিনিট আগে
ময়মনসিংহে অসময়ে বৃষ্টিতে আমন ধান, রবি ফসল ও শাকসবজির খেত তলিয়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক। গত শুক্রবার থেকে টানা বৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তাঁরা। বৃষ্টির কারণে জমিতে কাজ বন্ধ হয়ে গেছে।
২১ মিনিট আগে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক সাজু সরকারকে খাতা ছুড়ে মারার অভিযোগ উঠেছে একই বিভাগের এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। আজ সোমবার ওই শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর একটি লিখিত অভিযোগপত্র জমা দেন।
২৫ মিনিট আগেপাবনা প্রতিনিধি

বাজারে দুধ বিক্রি করে সন্ধ্যার পর বাসায় ফেরেন বাবা নিজাম প্রামাণিক (৬০)। পরে খাওয়া-দাওয়া শেষে এশার নামাজ পড়তে জায়নামাজে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। এ সময় সুযোগ বুঝে হাঁসুয়া দিয়ে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করেন ছেলে মোস্তফা প্রামাণিক। এমনই এক লোমহর্ষ ঘটনা ঘটেছে পাবনা সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নের পুরোনো ভাদুরডাঙ্গি গ্রামে।
গতকাল রোববার রাতে এ ঘটনা ঘটে। পরে মোস্তফাকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ সোমবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এদিকে তাঁকে আটক করতে গিয়ে আহত হয়েছেন সদর থানার তিন উপপরিদর্শক (এসআই)। নিহত নিজাম প্রামাণিক পুরোনো ভাদুরডাঙ্গি গ্রামের মৃত ইন্তাজ প্রামাণিকের ছেলে। তিনি কৃষিকাজ করতেন। অভিযুক্ত ছেলে মোস্তফা ছিলেন মাদকাসক্ত।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রাতের খাবার শেষে ঘরে এশার নামাজ পড়ার জন্য জায়নামাজে দাঁড়িয়েছিলেন বাবা নিজাম। এ সময় দরজা আটকে হাঁসুয়া দিয়ে বাবাকে কুপিয়ে হত্যার পর ঘর থেকে বের হন ছেলে মোস্তফা। এরপর নিজেই পাশের কক্ষ দরজা বন্ধ করে বসে থাকেন তিনি। বাড়ির লোকজন টের পেয়ে ঘরে গিয়ে নিজামের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর মোস্তফাকে ঘরের ভেতরে তালাবদ্ধ অবস্থায় রেখে পুলিশে খবর দেন স্বজন ও এলাকাবাসী। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। এরপর মোস্তফাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
আটকের সময় অভিযুক্তের ছুরিকাঘাতে সদর থানার এসআই আবু বকর সিদ্দিক, এসআই জিয়াউর রহমান ও এসআই আবু রায়হান আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। তাঁদের মধ্যে এসআই জিয়াউর রহমানকে সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
নিহতের আরেক ছেলে মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা খাওয়া-দাওয়া শেষে রুমে শুয়েছিলাম। এ সময় রুম আটকে নামাজরত অবস্থায় বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করে মোস্তফা। এর আগে সে আমাকেও মেহগনি ডাল দিয়ে মারাত্মক আহত করেছিল। আজকেও গামছার মধ্যে হাঁসুয়া নিয়ে আমাকে মারার জন্য মাঠের মধ্যে গিয়ে খোঁজাখুঁজি করেছে। সে মাদকের জন্য প্রায়ই বাবা ও আমাদের কাছে টাকা চাইত। না দিলেই বাড়িতে ভাঙচুর চালাত। তাঁর শাস্তি হওয়া উচিত।’
এ বিষয়ে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম বলেন, লাশ উদ্ধারের পর সোমবার পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে মিজানুর রহমান বাদী হয়ে অভিযুক্ত মোস্তফাকে একমাত্র আসামি করে মামলা করেছেন। পরে সেই মামলায় আটক মোস্তফাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে সোমবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

বাজারে দুধ বিক্রি করে সন্ধ্যার পর বাসায় ফেরেন বাবা নিজাম প্রামাণিক (৬০)। পরে খাওয়া-দাওয়া শেষে এশার নামাজ পড়তে জায়নামাজে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। এ সময় সুযোগ বুঝে হাঁসুয়া দিয়ে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করেন ছেলে মোস্তফা প্রামাণিক। এমনই এক লোমহর্ষ ঘটনা ঘটেছে পাবনা সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নের পুরোনো ভাদুরডাঙ্গি গ্রামে।
গতকাল রোববার রাতে এ ঘটনা ঘটে। পরে মোস্তফাকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ সোমবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এদিকে তাঁকে আটক করতে গিয়ে আহত হয়েছেন সদর থানার তিন উপপরিদর্শক (এসআই)। নিহত নিজাম প্রামাণিক পুরোনো ভাদুরডাঙ্গি গ্রামের মৃত ইন্তাজ প্রামাণিকের ছেলে। তিনি কৃষিকাজ করতেন। অভিযুক্ত ছেলে মোস্তফা ছিলেন মাদকাসক্ত।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রাতের খাবার শেষে ঘরে এশার নামাজ পড়ার জন্য জায়নামাজে দাঁড়িয়েছিলেন বাবা নিজাম। এ সময় দরজা আটকে হাঁসুয়া দিয়ে বাবাকে কুপিয়ে হত্যার পর ঘর থেকে বের হন ছেলে মোস্তফা। এরপর নিজেই পাশের কক্ষ দরজা বন্ধ করে বসে থাকেন তিনি। বাড়ির লোকজন টের পেয়ে ঘরে গিয়ে নিজামের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর মোস্তফাকে ঘরের ভেতরে তালাবদ্ধ অবস্থায় রেখে পুলিশে খবর দেন স্বজন ও এলাকাবাসী। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। এরপর মোস্তফাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
আটকের সময় অভিযুক্তের ছুরিকাঘাতে সদর থানার এসআই আবু বকর সিদ্দিক, এসআই জিয়াউর রহমান ও এসআই আবু রায়হান আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। তাঁদের মধ্যে এসআই জিয়াউর রহমানকে সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
নিহতের আরেক ছেলে মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা খাওয়া-দাওয়া শেষে রুমে শুয়েছিলাম। এ সময় রুম আটকে নামাজরত অবস্থায় বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করে মোস্তফা। এর আগে সে আমাকেও মেহগনি ডাল দিয়ে মারাত্মক আহত করেছিল। আজকেও গামছার মধ্যে হাঁসুয়া নিয়ে আমাকে মারার জন্য মাঠের মধ্যে গিয়ে খোঁজাখুঁজি করেছে। সে মাদকের জন্য প্রায়ই বাবা ও আমাদের কাছে টাকা চাইত। না দিলেই বাড়িতে ভাঙচুর চালাত। তাঁর শাস্তি হওয়া উচিত।’
এ বিষয়ে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম বলেন, লাশ উদ্ধারের পর সোমবার পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে মিজানুর রহমান বাদী হয়ে অভিযুক্ত মোস্তফাকে একমাত্র আসামি করে মামলা করেছেন। পরে সেই মামলায় আটক মোস্তফাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে সোমবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

ফারদিন বলেন, ‘ফাহমিন আমার কাছে ভাইয়ের চেয়েও বেশি ছিল। তাকে হত্যার পর রাতে ঘুমাতে পারি না। প্রচণ্ড মানসিক চাপের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। এ জন্য ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ খাচ্ছি।’
০২ আগস্ট ২০২৪
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় জানালার গ্রিল কেটে ঢুকে পরিবারের সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ অর্থ, মোবাইল ফোন ও স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে ডাকাত দল। গতকাল রোববার দিবাগত রাতে উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের বালুয়াকান্দি দক্ষিণপাড়ায় (ব্যাপারী বাড়িতে) অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য মো. ফজলুল হকের...
১৮ মিনিট আগে
ময়মনসিংহে অসময়ে বৃষ্টিতে আমন ধান, রবি ফসল ও শাকসবজির খেত তলিয়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক। গত শুক্রবার থেকে টানা বৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তাঁরা। বৃষ্টির কারণে জমিতে কাজ বন্ধ হয়ে গেছে।
২১ মিনিট আগে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক সাজু সরকারকে খাতা ছুড়ে মারার অভিযোগ উঠেছে একই বিভাগের এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। আজ সোমবার ওই শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর একটি লিখিত অভিযোগপত্র জমা দেন।
২৫ মিনিট আগেগজারিয়া (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় জানালার গ্রিল কেটে ঢুকে পরিবারের সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ অর্থ, মোবাইল ফোন ও স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে ডাকাত দল। গতকাল রোববার দিবাগত রাতে উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের বালুয়াকান্দি দক্ষিণপাড়ায় (ব্যাপারী বাড়িতে) অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য মো. ফজলুল হকের বাড়িতে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগীরা জানান, জানালার গ্রিল কেটে একে একে ১৫ থেকে ২০ জন ডাকাত বিল্ডিংয়ে ঢোকে করে। ডাকাতদের হাতে রামদা, চায়নিজ কুড়াল, ছেনিসহ দেশীয় অস্ত্র ছিল। তাঁরা প্রতিটি ঘরে ঢুকে পরিবারের নারী, পুরুষ, শিশুদের অস্ত্রে মুখে জিম্মি করে ঘরে রাখা টাকা, স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান সবকিছু নিয়ে যায়।
বাড়ির মালিক ফজলুল হক বলেন, ‘ডাকাত দল ঘরে ঢুকে আমার নাতির গলায় রামদা ধরে। একে একে সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। আমার স্ত্রী ও তিন ছেলের বউয়ের ৩৫ ভরি স্বর্ণালংকার, ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ৯টি বিদেশি মোবাইল ফোন, কসমেটিকসসহ ঘরের মূল্যবান সবকিছু নিয়ে যায়। এসবের বর্তমান বাজারমূল্য ৭৫ থেকে ৮০ লাখ টাকা।’
ফজলুল হকের বড় ছেলের বউ ফরিদা বলেন, বাচ্চাদের গলায় অস্ত্র ধরে রাখায় আলমারিতে রাখা স্বর্ণালংকার, টাকার পাশাপাশি, গায়ে থাকা গলার চেইন, কানের দুল, এমন কি নাকে থাকা ফুলও খুলে নিয়ে যায় ডাকাতের দল।
ডাকাতির ঘটনায় গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। জিয়া নামের এক যুবক বলেন, গ্রামে ছিঁচকে চুরির ঘটনা ঘটলেও এমন ডাকাতি এ প্রথম।
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, ‘৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে রাতেই আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়াও আশপাশে সিসি ক্যামেরা রয়েছে। আমরা বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছি।’

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় জানালার গ্রিল কেটে ঢুকে পরিবারের সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ অর্থ, মোবাইল ফোন ও স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে ডাকাত দল। গতকাল রোববার দিবাগত রাতে উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের বালুয়াকান্দি দক্ষিণপাড়ায় (ব্যাপারী বাড়িতে) অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য মো. ফজলুল হকের বাড়িতে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগীরা জানান, জানালার গ্রিল কেটে একে একে ১৫ থেকে ২০ জন ডাকাত বিল্ডিংয়ে ঢোকে করে। ডাকাতদের হাতে রামদা, চায়নিজ কুড়াল, ছেনিসহ দেশীয় অস্ত্র ছিল। তাঁরা প্রতিটি ঘরে ঢুকে পরিবারের নারী, পুরুষ, শিশুদের অস্ত্রে মুখে জিম্মি করে ঘরে রাখা টাকা, স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান সবকিছু নিয়ে যায়।
বাড়ির মালিক ফজলুল হক বলেন, ‘ডাকাত দল ঘরে ঢুকে আমার নাতির গলায় রামদা ধরে। একে একে সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। আমার স্ত্রী ও তিন ছেলের বউয়ের ৩৫ ভরি স্বর্ণালংকার, ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ৯টি বিদেশি মোবাইল ফোন, কসমেটিকসসহ ঘরের মূল্যবান সবকিছু নিয়ে যায়। এসবের বর্তমান বাজারমূল্য ৭৫ থেকে ৮০ লাখ টাকা।’
ফজলুল হকের বড় ছেলের বউ ফরিদা বলেন, বাচ্চাদের গলায় অস্ত্র ধরে রাখায় আলমারিতে রাখা স্বর্ণালংকার, টাকার পাশাপাশি, গায়ে থাকা গলার চেইন, কানের দুল, এমন কি নাকে থাকা ফুলও খুলে নিয়ে যায় ডাকাতের দল।
ডাকাতির ঘটনায় গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। জিয়া নামের এক যুবক বলেন, গ্রামে ছিঁচকে চুরির ঘটনা ঘটলেও এমন ডাকাতি এ প্রথম।
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, ‘৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে রাতেই আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়াও আশপাশে সিসি ক্যামেরা রয়েছে। আমরা বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছি।’

ফারদিন বলেন, ‘ফাহমিন আমার কাছে ভাইয়ের চেয়েও বেশি ছিল। তাকে হত্যার পর রাতে ঘুমাতে পারি না। প্রচণ্ড মানসিক চাপের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। এ জন্য ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ খাচ্ছি।’
০২ আগস্ট ২০২৪
বাজারে দুধ বিক্রি করে সন্ধ্যার পর বাসায় ফেরেন বাবা নিজাম প্রামাণিক (৬০)। পরে খাওয়া-দাওয়া শেষে এশার নামাজ পড়তে জায়নামাজে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। এ সময় সুযোগ বুঝে হাঁসুয়া দিয়ে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করেন ছেলে মোস্তফা প্রামাণিক। এমনই এক লোমহর্ষ ঘটনা ঘটেছে পাবনা সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নের পুরোনো...
২ মিনিট আগে
ময়মনসিংহে অসময়ে বৃষ্টিতে আমন ধান, রবি ফসল ও শাকসবজির খেত তলিয়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক। গত শুক্রবার থেকে টানা বৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তাঁরা। বৃষ্টির কারণে জমিতে কাজ বন্ধ হয়ে গেছে।
২১ মিনিট আগে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক সাজু সরকারকে খাতা ছুড়ে মারার অভিযোগ উঠেছে একই বিভাগের এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। আজ সোমবার ওই শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর একটি লিখিত অভিযোগপত্র জমা দেন।
২৫ মিনিট আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহে অসময়ে বৃষ্টিতে আমন ধান, রবি ফসল ও শাকসবজির খেত নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক। গত শুক্রবার থেকে টানা বৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
বৃষ্টির কারণে অনেক কৃষকের জমির কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। অনেকে ধান কাটতে পারছেন না। বৃষ্টিতে সবজি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
ময়মনসিংহের বয়রা গ্রামের কৃষক শাম্মত আলী বলেন, ‘নভেম্বরের এ সময়ে এত বৃষ্টিপাত দেখিনি কখনো। বাড়ির সামনের ১৫ শতক জমিতে সবজির আবাদ করেছি। কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ফসল ক্ষতির মুখে পড়েছে। গাছগুলো মরে যাচ্ছে।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ময়মনসিংহের উপপরিচালক মো. এনামুল হক বলেন, জেলার ১৩টি উপজেলায় চলতি আমন মৌসুমে ২ লাখ ৬৮ হাজার ১১০ হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ করা হয়েছে। এ বছর ৪১ হাজার ৬৫০ হেক্টরে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে; কিন্তু বৃষ্টির কারণে সরিষা আবাদ করা যাচ্ছে না। ২১ হাজার ৬০০ হেক্টরে শাকসবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হেলেও ইতিমধ্যে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে সবজি আবাদ হয়েছে। বৃষ্টিতে ধান ও সবজির কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছেম তা নিরূপণ করে সহযোগিতা করা হবে।

ময়মনসিংহে অসময়ে বৃষ্টিতে আমন ধান, রবি ফসল ও শাকসবজির খেত নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক। গত শুক্রবার থেকে টানা বৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
বৃষ্টির কারণে অনেক কৃষকের জমির কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। অনেকে ধান কাটতে পারছেন না। বৃষ্টিতে সবজি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
ময়মনসিংহের বয়রা গ্রামের কৃষক শাম্মত আলী বলেন, ‘নভেম্বরের এ সময়ে এত বৃষ্টিপাত দেখিনি কখনো। বাড়ির সামনের ১৫ শতক জমিতে সবজির আবাদ করেছি। কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ফসল ক্ষতির মুখে পড়েছে। গাছগুলো মরে যাচ্ছে।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ময়মনসিংহের উপপরিচালক মো. এনামুল হক বলেন, জেলার ১৩টি উপজেলায় চলতি আমন মৌসুমে ২ লাখ ৬৮ হাজার ১১০ হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ করা হয়েছে। এ বছর ৪১ হাজার ৬৫০ হেক্টরে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে; কিন্তু বৃষ্টির কারণে সরিষা আবাদ করা যাচ্ছে না। ২১ হাজার ৬০০ হেক্টরে শাকসবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হেলেও ইতিমধ্যে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে সবজি আবাদ হয়েছে। বৃষ্টিতে ধান ও সবজির কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছেম তা নিরূপণ করে সহযোগিতা করা হবে।

ফারদিন বলেন, ‘ফাহমিন আমার কাছে ভাইয়ের চেয়েও বেশি ছিল। তাকে হত্যার পর রাতে ঘুমাতে পারি না। প্রচণ্ড মানসিক চাপের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। এ জন্য ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ খাচ্ছি।’
০২ আগস্ট ২০২৪
বাজারে দুধ বিক্রি করে সন্ধ্যার পর বাসায় ফেরেন বাবা নিজাম প্রামাণিক (৬০)। পরে খাওয়া-দাওয়া শেষে এশার নামাজ পড়তে জায়নামাজে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। এ সময় সুযোগ বুঝে হাঁসুয়া দিয়ে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করেন ছেলে মোস্তফা প্রামাণিক। এমনই এক লোমহর্ষ ঘটনা ঘটেছে পাবনা সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নের পুরোনো...
২ মিনিট আগে
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় জানালার গ্রিল কেটে ঢুকে পরিবারের সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ অর্থ, মোবাইল ফোন ও স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে ডাকাত দল। গতকাল রোববার দিবাগত রাতে উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের বালুয়াকান্দি দক্ষিণপাড়ায় (ব্যাপারী বাড়িতে) অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য মো. ফজলুল হকের...
১৮ মিনিট আগে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক সাজু সরকারকে খাতা ছুড়ে মারার অভিযোগ উঠেছে একই বিভাগের এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। আজ সোমবার ওই শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর একটি লিখিত অভিযোগপত্র জমা দেন।
২৫ মিনিট আগেরাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক সাজু সরকারকে খাতা ছুড়ে মারার অভিযোগ উঠেছে একই বিভাগের এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। আজ সোমবার ওই শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর একটি লিখিত অভিযোগপত্র জমা দেন। তবে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী দাবি করেছেন, ঘটনার সময় তাঁর মানসিক সমস্যা ছিল।
অভিযোগপত্রে অধ্যাপক সাজু সরকার উল্লেখ করেন, গত ১৫ মে বিভাগের ৫১৮ নম্বর কক্ষে ২০২১–২২ ও ২০২২–২৩ সেশনের (বিবিএ তৃতীয় ও দ্বিতীয় বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টার ২০২৪) শিক্ষার্থীদের পাঠদান শুরুর আগে রোল কল নেওয়ার সময় ঘটনাটি ঘটে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, রোল কলের একপর্যায়ে ২২১২৫৩৮১৩১ নম্বর রোলধারী শিক্ষার্থী তাসনিম জাহান মীমকে ডাকলে তিনি প্রথমে চুপ করে বসে থাকেন। পুনরায় ডাকলে তিনি হঠাৎ করে ব্যাগ ছুড়ে মারেন।
অধ্যাপক সাজু সরকার অভিযোগপত্রে বলেন, ‘ঘটনাস্থলে উপস্থিত মীমের বন্ধু আবিদ বিন আনাম বিষয়টিকে ‘‘জিনের আসরের সমস্যা’’ বলে দাবি করেন এবং ইউটিউব থেকে উচ্চশব্দে কিছু বাজাতে শুরু করেন। তবে ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিতভাবে আমাকে অপমানিত করার উদ্দেশ্যে সংঘটিত হয়েছে।’
অভিযুক্ত শিক্ষার্থী তাসনিম জাহান মীম বলেন, ‘ঘটনার সময় আমার মানসিক সমস্যা ছিল। এটি দুই-তিন মাস আগের ঘটনা। মানসিক সমস্যার কারণে এমন আচরণ করেছিলাম, যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল না। এখন এত দিন পর তিনি অভিযোগ করায় মনে হচ্ছে, তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে আমার মানহানি করতে চাইছেন।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমরা একটি অভিযোগপত্র পেয়েছি, যেখানে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থী তার বিভাগের শিক্ষকের সঙ্গে অসদাচরণ করেছে। তবে এক পক্ষের কথা শুনে সিদ্ধান্তে আসা যাবে না। আমরা শিক্ষার্থীর সঙ্গেও কথা বলব, এরপর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক সাজু সরকারকে খাতা ছুড়ে মারার অভিযোগ উঠেছে একই বিভাগের এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। আজ সোমবার ওই শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর একটি লিখিত অভিযোগপত্র জমা দেন। তবে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী দাবি করেছেন, ঘটনার সময় তাঁর মানসিক সমস্যা ছিল।
অভিযোগপত্রে অধ্যাপক সাজু সরকার উল্লেখ করেন, গত ১৫ মে বিভাগের ৫১৮ নম্বর কক্ষে ২০২১–২২ ও ২০২২–২৩ সেশনের (বিবিএ তৃতীয় ও দ্বিতীয় বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টার ২০২৪) শিক্ষার্থীদের পাঠদান শুরুর আগে রোল কল নেওয়ার সময় ঘটনাটি ঘটে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, রোল কলের একপর্যায়ে ২২১২৫৩৮১৩১ নম্বর রোলধারী শিক্ষার্থী তাসনিম জাহান মীমকে ডাকলে তিনি প্রথমে চুপ করে বসে থাকেন। পুনরায় ডাকলে তিনি হঠাৎ করে ব্যাগ ছুড়ে মারেন।
অধ্যাপক সাজু সরকার অভিযোগপত্রে বলেন, ‘ঘটনাস্থলে উপস্থিত মীমের বন্ধু আবিদ বিন আনাম বিষয়টিকে ‘‘জিনের আসরের সমস্যা’’ বলে দাবি করেন এবং ইউটিউব থেকে উচ্চশব্দে কিছু বাজাতে শুরু করেন। তবে ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিতভাবে আমাকে অপমানিত করার উদ্দেশ্যে সংঘটিত হয়েছে।’
অভিযুক্ত শিক্ষার্থী তাসনিম জাহান মীম বলেন, ‘ঘটনার সময় আমার মানসিক সমস্যা ছিল। এটি দুই-তিন মাস আগের ঘটনা। মানসিক সমস্যার কারণে এমন আচরণ করেছিলাম, যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল না। এখন এত দিন পর তিনি অভিযোগ করায় মনে হচ্ছে, তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে আমার মানহানি করতে চাইছেন।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমরা একটি অভিযোগপত্র পেয়েছি, যেখানে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থী তার বিভাগের শিক্ষকের সঙ্গে অসদাচরণ করেছে। তবে এক পক্ষের কথা শুনে সিদ্ধান্তে আসা যাবে না। আমরা শিক্ষার্থীর সঙ্গেও কথা বলব, এরপর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

ফারদিন বলেন, ‘ফাহমিন আমার কাছে ভাইয়ের চেয়েও বেশি ছিল। তাকে হত্যার পর রাতে ঘুমাতে পারি না। প্রচণ্ড মানসিক চাপের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। এ জন্য ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ খাচ্ছি।’
০২ আগস্ট ২০২৪
বাজারে দুধ বিক্রি করে সন্ধ্যার পর বাসায় ফেরেন বাবা নিজাম প্রামাণিক (৬০)। পরে খাওয়া-দাওয়া শেষে এশার নামাজ পড়তে জায়নামাজে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। এ সময় সুযোগ বুঝে হাঁসুয়া দিয়ে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করেন ছেলে মোস্তফা প্রামাণিক। এমনই এক লোমহর্ষ ঘটনা ঘটেছে পাবনা সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নের পুরোনো...
২ মিনিট আগে
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় জানালার গ্রিল কেটে ঢুকে পরিবারের সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ অর্থ, মোবাইল ফোন ও স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে ডাকাত দল। গতকাল রোববার দিবাগত রাতে উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের বালুয়াকান্দি দক্ষিণপাড়ায় (ব্যাপারী বাড়িতে) অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য মো. ফজলুল হকের...
১৮ মিনিট আগে
ময়মনসিংহে অসময়ে বৃষ্টিতে আমন ধান, রবি ফসল ও শাকসবজির খেত তলিয়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক। গত শুক্রবার থেকে টানা বৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তাঁরা। বৃষ্টির কারণে জমিতে কাজ বন্ধ হয়ে গেছে।
২১ মিনিট আগে