Ajker Patrika

রবীন্দ্র কাছারিবাড়ি: দর্শনার্থীকে মারধর-শ্লীলতাহানি, কাস্টোডিয়ানসহ আসামি ১০

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি  
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র কাছারিবাড়িতে এক দর্শনার্থীর ওপর হামলা ও তাঁর স্ত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা হয়েছে। এতে কাছারিবাড়ির কাস্টোডিয়ানসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে শাহজাদপুর আমলি আদালতে এই মামলার আবেদন করেন শাহজাদপুর উপজেলার বাসিন্দা শাহনেওয়াজের স্ত্রী ছাবরিনা আক্তার সুইটি। আদালতের বিচারক মোসলেম উদ্দিন অভিযোগ আমলে নিয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখাকে (ডিবি) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছেন।

শাহজাদপুর আমলি আদালতের পেশকার আনোয়ার হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, মামলার অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বিচারক মোসলেম উদ্দিন সিরাজগঞ্জের ডিবিকে আদেশ দিয়েছেন।

সিরাজগঞ্জ ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একরামুল হোসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলার বিষয়টি আমি জেনেছি। আদালত মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন শাহজাদপুর রবীন্দ্র কাছারিবাড়ির কাস্টোডিয়ান হাবিবুর রহমান, গ্রন্থাগার পরিচালক শরীফুজ্জামান সরকার, বিদ্যুৎ ও বাগান পরিচালক সিরাজুল ইসলাম, বাগানের মালি শফিকুল ইসলাম, বাগান ও কাউন্টার পরিচালক মজিবুর রহমান, বাগানের নিরাপত্তাকর্মী আব্দুল মমিন, শাহজাদপুর উপজেলার কাংলাকান্দা গ্রামের আজিজ শেখের ছেলে নুহ শেখ, ফরিদপুর জেলার হাদল গ্রামের বাবলু সরকার, পাবনার আমিনপুর গ্রামের আনিসুর রহমান ও নাটোরের গুরুদাসপুর গ্রামের যেগেন্দ্রনগর গ্রামের রেজাউল। তাঁরা সবাই রবীন্দ্র কাছারিবাড়িতে কর্মরত রয়েছেন।

মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, ৮ জুন মামলার বাদী তাঁর স্বামী শাহনেওয়াজ ও ভাতিজাকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে রবীন্দ্র কাছারিবাড়িতে বেড়াতে যান। মোটরসাইকেল প্রবেশের সময় নিয়ম অনুযায়ী কাউন্টার পরিচালক টিকিটের টাকা গ্রহণ করলেও কোনো টোকেন দেননি। সরল বিশ্বাসে ভেতরে প্রবেশ করে বেড়ানো শেষে বিকেল ৬টার দিকে বের হওয়ার সময় আসামিরা মামলার বাদীর কাছে টোকেন দেখতে চান। বাদী কোনো টোকেন দেওয়া হয়নি বললে আসামিরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। তখন বাদী ও তাঁর স্বামী গালিগালাজ করতে নিষেধ করায় আসামিরা কাছারিবাড়ির মূল ফটক বন্ধ করে কাস্টোডিয়ানের হুকুমে আসামিরা বাদীর স্বামীকে লোহার পাইপ ও রড দিয়ে মারধর করেন।

এ সময় মামলার বাদীকে টানাহেঁচড়া করে শ্লীলতাহানি করে ও সোনার চেইন ছিনিয়ে নেন। পরে আসামিরা শাহনেওয়াজকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে কাস্টোডিয়ানের কক্ষে নিয়ে আটকে রেখে নির্যাতন করেন এবং তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে ভেঙে ফেলেন। ঘটনাটি জানাজানি হলে শাহনেওয়াজের আত্মীয়স্বজনেরা ঘটনাস্থলে এসে তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। এ ঘটনায় শাহজাদপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও পুলিশ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।

এদিকে কাছারিবাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় কাস্টোডিয়ান বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৫০-৬০ জনের নামে একটি মামলা করেছেন। এই মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বুশেহর পারমাণবিক কেন্দ্রে আছেন রুশ বিশেষজ্ঞরা, ইসরায়েলকে রাশিয়ার হুঁশিয়ারি

ইরানকে ঘিরে ফেলছে একের পর এক মার্কিন রণতরি ও যুদ্ধবিমান

এবার ৫ সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাল সরকার

ছেলের কাটা পা হাতে নিয়ে বিচারের দাবিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন বাবা

এনসিপি নেতা তুষারের বিরুদ্ধে এবার যৌন হয়রানির অভিযোগ তুললেন নীলা ইস্রাফিল

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত