নাটোর প্রতিনিধি
নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খরচ হওয়া ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা তোলার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বেতন-ভাতা বাবদ ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা আয় করেছি। যা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খরচ হয়েছে। এই টাকা যেকোন মূল্যে তুলব। এতে যদি কোনো অনিয়মও হয় তাও করব।’
নাটোরের লালপুর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ গত মঙ্গলবার তাঁর বক্তব্যে একথা বলেন। গতকাল বুধবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তাঁর বক্তব্যের এই অংশ ভাইরাল হয়। বক্তব্যের সময় তাঁর পাশে ছিলেন লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আখতার, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইসাহাক আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আফতাব হোসেন ঝুলফুসহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
একজন সংসদ সদস্যের এমন বক্তব্যে এলাকায় চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
আবুল কালাম আজাদ নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। তিনি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নাটোর-১ আসন থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শহিদুল ইসলাম বকুলকে পরাজিত করে দ্বিতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমার বিগত ৫ বছরের (বিগত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে) বেতন ভাতার ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা ছাড়া আমার কোনো সম্পদ ছিল না আর ভবিষ্যতেও থাকবে না। তবে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে (দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে), যা আমি তুলব। এটা আমি তুলব, যেভাবেই হোক। এটুকু অন্যায় করব, আর করব না।’
এমপি কালাম আরও বলেন, ‘সে সময় (দশম জাতীয় সংসদে এমপি থাকাকালীন) আমার একটি টাকাও খরচ হয়নি। ২৫ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা দিয়েছি। ট্যাক্স-ফ্রি গাড়ি কিনেছি ২৭ লাখ টাকা দিয়ে। ইচ্ছা করলে আমি এক কোটি টাকা দিয়ে গাড়ি কিনতে পারতাম। কিন্তু আমার যেহেতু টাকা নাই, আমি ২৭ লাখ টাকা দিয়ে কিনেছিলাম। এবার আমি কিনব, ওই টাকা দিয়ে কিনব। ওই টাকা আমি তুলে নেবো। নিয়ে আর কিছু করব না। খালি এই ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা তুলব।’
মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্যের এমন বক্তব্যের ব্যাপারে লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আখতারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বক্তব্য দিয়েছেন এমপি, তাকে জিজ্ঞাসা করেন।’ একটি মিটিংয়ে আছেন জানিয়ে ফোন রেখে দেন ইউএনও।
লালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আফতাব হোসেন ঝুলফু বলেন, ‘আবুল কালাম আজাদ একজন জনপ্রিয় নেতা, যা তিনি স্বতন্ত্র নির্বাচন করে প্রমাণ করেছেন। একটি মহল তার বক্তব্য খণ্ডিত করে প্রচার চালিয়ে বিভ্রান্তি ছাড়াচ্ছে।’
সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার বক্তব্য পুরোটা আসেনি। আগে ও পরে আরও কথা আছে। সেদিন (২৬ মার্চ) মুক্তিযোদ্ধারা আমার কাছে বিভিন্ন দাবি পেশ করে। আমি তাদের জানাই, প্রয়োজনে আমার বরাদ্দ থেকে আমি তাদের প্রয়োজন মেটাব। দরকার হলে ইউএনও সাহায্য করবেন, তাও আমার বরাদ্দ থেকেই। আমি তো আর নিজের ঘর থেকে টাকা দেব না-এই কথাগুলোর পর আমি গাড়ি কেনার কথা বলেছি যার প্রসঙ্গক্রমে এসেছে দশম জাতীয় সংসদে আমার টাকার কথা। ১ কোটি ২৬ লাখ টাকার বিষয়টি সিরিয়াসলি নেওয়ার কিছু নেই।’
দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি নাটোর জেলা শাখার সভাপতি সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘একজন সংসদ সদস্য যদি প্রকাশ্যে কোনো অনুষ্ঠানে অনিয়ম দুর্নীতি করার ঘোষণা দেন, তাহলে এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। সংসদ সদস্যের এমন বক্তব্যে তাঁর সহকারী এবং দলীয় নেতা কর্মীরা দুর্নীতি করতে উৎসাহিত হবেন। এমপি যদি ১ কোটি টাকা দুর্নীতি করতে চান তাহলে তাঁর সহযোগীরা আরও কয়েক কোটি টাকা দুর্নীতি করে এমপিকে সেই টাকা তুলে দেবেন। এটা একদিকে যেমন পরিষ্কারভাবে শপথ লঙ্ঘন, অন্যদিকে নির্বাচনী বিধিরও লঙ্ঘন। নির্বাচনী ব্যয় অনুযায়ী একজন সংসদ সদস্য ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারেন না। সংসদ সদস্য জেনে শুনেই এমন কথা বলেছেন যা তিনি বলতে পারেন না।’
নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খরচ হওয়া ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা তোলার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বেতন-ভাতা বাবদ ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা আয় করেছি। যা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খরচ হয়েছে। এই টাকা যেকোন মূল্যে তুলব। এতে যদি কোনো অনিয়মও হয় তাও করব।’
নাটোরের লালপুর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ গত মঙ্গলবার তাঁর বক্তব্যে একথা বলেন। গতকাল বুধবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তাঁর বক্তব্যের এই অংশ ভাইরাল হয়। বক্তব্যের সময় তাঁর পাশে ছিলেন লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আখতার, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইসাহাক আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আফতাব হোসেন ঝুলফুসহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
একজন সংসদ সদস্যের এমন বক্তব্যে এলাকায় চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
আবুল কালাম আজাদ নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। তিনি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নাটোর-১ আসন থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শহিদুল ইসলাম বকুলকে পরাজিত করে দ্বিতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমার বিগত ৫ বছরের (বিগত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে) বেতন ভাতার ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা ছাড়া আমার কোনো সম্পদ ছিল না আর ভবিষ্যতেও থাকবে না। তবে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে (দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে), যা আমি তুলব। এটা আমি তুলব, যেভাবেই হোক। এটুকু অন্যায় করব, আর করব না।’
এমপি কালাম আরও বলেন, ‘সে সময় (দশম জাতীয় সংসদে এমপি থাকাকালীন) আমার একটি টাকাও খরচ হয়নি। ২৫ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা দিয়েছি। ট্যাক্স-ফ্রি গাড়ি কিনেছি ২৭ লাখ টাকা দিয়ে। ইচ্ছা করলে আমি এক কোটি টাকা দিয়ে গাড়ি কিনতে পারতাম। কিন্তু আমার যেহেতু টাকা নাই, আমি ২৭ লাখ টাকা দিয়ে কিনেছিলাম। এবার আমি কিনব, ওই টাকা দিয়ে কিনব। ওই টাকা আমি তুলে নেবো। নিয়ে আর কিছু করব না। খালি এই ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা তুলব।’
মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্যের এমন বক্তব্যের ব্যাপারে লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আখতারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বক্তব্য দিয়েছেন এমপি, তাকে জিজ্ঞাসা করেন।’ একটি মিটিংয়ে আছেন জানিয়ে ফোন রেখে দেন ইউএনও।
লালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আফতাব হোসেন ঝুলফু বলেন, ‘আবুল কালাম আজাদ একজন জনপ্রিয় নেতা, যা তিনি স্বতন্ত্র নির্বাচন করে প্রমাণ করেছেন। একটি মহল তার বক্তব্য খণ্ডিত করে প্রচার চালিয়ে বিভ্রান্তি ছাড়াচ্ছে।’
সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার বক্তব্য পুরোটা আসেনি। আগে ও পরে আরও কথা আছে। সেদিন (২৬ মার্চ) মুক্তিযোদ্ধারা আমার কাছে বিভিন্ন দাবি পেশ করে। আমি তাদের জানাই, প্রয়োজনে আমার বরাদ্দ থেকে আমি তাদের প্রয়োজন মেটাব। দরকার হলে ইউএনও সাহায্য করবেন, তাও আমার বরাদ্দ থেকেই। আমি তো আর নিজের ঘর থেকে টাকা দেব না-এই কথাগুলোর পর আমি গাড়ি কেনার কথা বলেছি যার প্রসঙ্গক্রমে এসেছে দশম জাতীয় সংসদে আমার টাকার কথা। ১ কোটি ২৬ লাখ টাকার বিষয়টি সিরিয়াসলি নেওয়ার কিছু নেই।’
দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি নাটোর জেলা শাখার সভাপতি সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘একজন সংসদ সদস্য যদি প্রকাশ্যে কোনো অনুষ্ঠানে অনিয়ম দুর্নীতি করার ঘোষণা দেন, তাহলে এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। সংসদ সদস্যের এমন বক্তব্যে তাঁর সহকারী এবং দলীয় নেতা কর্মীরা দুর্নীতি করতে উৎসাহিত হবেন। এমপি যদি ১ কোটি টাকা দুর্নীতি করতে চান তাহলে তাঁর সহযোগীরা আরও কয়েক কোটি টাকা দুর্নীতি করে এমপিকে সেই টাকা তুলে দেবেন। এটা একদিকে যেমন পরিষ্কারভাবে শপথ লঙ্ঘন, অন্যদিকে নির্বাচনী বিধিরও লঙ্ঘন। নির্বাচনী ব্যয় অনুযায়ী একজন সংসদ সদস্য ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারেন না। সংসদ সদস্য জেনে শুনেই এমন কথা বলেছেন যা তিনি বলতে পারেন না।’
পুরোপুরি পাকেনি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের হাওরের ধান। তবে অকালবন্যার শঙ্কায় ১ বৈশাখ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ধান কাটা শুরু হয়েছে। কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, ইতিমধ্যে ৩০ ভাগের বেশি জমির বোরো ফসল ঘরে তুলেছেন কৃষক।
১৭ মিনিট আগেবরগুনার আমতলী উপজেলার খেকুয়ানী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভবনের নিচতলায় বসছে পানের বাজার। খেকুয়ানী বাজারের ইজারাদার শাহ আলম শিকদার এ বাজার বসাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর উত্তরার রেসিডেনসিয়াল ল্যাবরেটরি কলেজে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কলেজের চেয়ারম্যানের যাচ্ছেতাই নিয়মে চলছে প্রতিষ্ঠানটি। দুটি বিষয়ের মাত্র তিনজন শিক্ষক দিয়ে চলছে কলেজটির শিক্ষা কার্যক্রম।
২ ঘণ্টা আগেভারতীয় চেইন হসপিটাল ফর্টিস এসকর্টস হার্ট ইনস্টিটিউটের নাম ভাঙিয়ে শতকোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ উঠেছে এএফসি হেলথ লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। প্রতিষ্ঠানটি ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও কুমিল্লায় ‘ফর্টিস’ নামে চারটি শাখা
২ ঘণ্টা আগে