বগুড়া প্রতিনিধি
নিজ নিজ শ্রেণিকক্ষ পালা করে ঝাড়ু দেওয়ার নিয়ম রয়েছে বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে। তবে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী ঝাড়ু দিতে না চাওয়াকে কেন্দ্র করে অন্য সহপাঠীদের সঙ্গে তর্কবিতর্ক হয়। পরে সেই ছাত্রী তাঁর মা বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩-এর বিচারকের কাছে নালিশ দেয়।
এ ছাড়া সহপাঠীদের তিরস্কার করে ফেসবুকে পোস্ট দেয় ওই ছাত্রী। সেই পোস্টের নিচে প্রতিবাদ জানিয়ে কমেন্ট করেন কয়েকজন। এর জেরে ওই বিচারক বিদ্যালয়ে গিয়ে অভিভাবকদের ডেকে অপমান করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ মঙ্গলবার সারা দিন এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে ছাত্রীরা।
আজ দুই অভিভাবককে ‘অপদস্থ’ করার অভিযোগে বিকেলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। পরে শিক্ষকদের আশ্বাসে তারা বিদ্যালয়ের ভেতর প্রবেশ করে বিক্ষোভ দেখায়।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিচারকের অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ের সঙ্গে সহপাঠীদের ফেসবুকে পাল্টাপাল্টি মন্তব্য করাকে কেন্দ্র করে বিচারক দুজন অভিভাবককে অপদস্থ করেন।
কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩-এর বিচারক রুবাইয়া ইয়াসমিনের মেয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। বিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দিয়ে পরিচ্ছন্ন করে থাকে। গতকাল সোমবার ওই বিচারকের মেয়ের শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই শিক্ষার্থী প্রথমে ঝাড়ু দিতে পারে না বলে দায়িত্ব এড়াতে চায়। এ নিয়ে সহপাঠীদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সে নিজেকে ‘জজের’ মেয়ে পরিচয় দেয়।
এরপর রাতে বিচারকের মেয়ে সহপাঠীদের ‘বস্তির মেয়ে’ আখ্যা দিয়ে পোস্ট দেয়। পোস্টে উল্লেখ করে, ‘তোরা বস্তির মেয়ে। আমার মা জজ। তোদের মায়েদের বল আমার মায়ের মতো জজ হতে।’
ওই পোস্টে বিচারকের মেয়ের চারজন সহপাঠী পাল্টা উত্তর দেয়। এ নিয়ে বিচারক রুবাইয়া ইয়াছমিন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুনকে আজ অভিভাবকদের ডাকতে বলেন। বেলা ১১টার দিকে প্রধান শিক্ষকের ডাকে ওই চার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা বিদ্যালয়ে আসেন। ওই সময় বিচারক রুবাইয়া ইয়াছমিন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের গালাগালি করেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দিয়ে জেলে ভরার হুমকি দেন। এ সময় দুজন অভিভাবক ওই বিচারকের পা ধরে ক্ষমা চান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সহকারী শিক্ষক বলেন, ‘বিচারকের মেয়ে ও কিছু শিক্ষার্থী পাল্টাপাল্টি পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে বিচার বসানো হয়। এই সময় বিচারক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জেলে দেওয়ার হুমকি দিলে দুইজন অভিভাবক নিজে থেকেই পা ধরে ক্ষমা চান। তাঁদের কেউ বাধ্য করেনি বা পা ধরতে বলেনি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইল সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুন বলেন, ‘বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। সরকারি চাকরিজীবীদের সন্তানদের সঙ্গে বেসরকারি চাকরিজীবী বা ব্যবসায়ীদের সন্তানদের মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব কাজ করে। যতটুকু জেনেছি সোমবার বিচারকের মেয়ের ঝাড়ু দেওয়া কথা ছিল। তবে সে মাত্র তিন মাস আগে স্কুলে আশায় এই পরিবেশ হয়তো বুঝে উঠতে পারেনি। এ জন্য সে ঝাড়ু দিতে প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে এই কাজটি সম্পন্ন করে। এই সময় অন্য শিক্ষার্থীরা “জয় বাংলা” বলে তাকে ক্রিটিসাইজ করে। এই নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয়।’
প্রধান শিক্ষক আরও বলেন, ‘এ কারণে কয়েকজন শিক্ষার্থী ও অভিভাবককে ডাকা হয়। তাঁদের সঙ্গে কথা বলা হয়। কিন্তু অভিভাবকের মাফ চাওয়াকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীরা রাস্তা অবরোধ করে। অভিভাবকেরা ভয় পেয়ে এভাবে মাফ চেয়েছেন। তাঁদের কেউ বাধ্য করেনি।’
বিকেলে বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নিলুফা ইয়াছমিন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে আলোচনায় বসেন। আলোচনার জন্য শিক্ষার্থীরা তাদের অবরোধ তুলে নেয়।
নিজ নিজ শ্রেণিকক্ষ পালা করে ঝাড়ু দেওয়ার নিয়ম রয়েছে বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে। তবে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী ঝাড়ু দিতে না চাওয়াকে কেন্দ্র করে অন্য সহপাঠীদের সঙ্গে তর্কবিতর্ক হয়। পরে সেই ছাত্রী তাঁর মা বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩-এর বিচারকের কাছে নালিশ দেয়।
এ ছাড়া সহপাঠীদের তিরস্কার করে ফেসবুকে পোস্ট দেয় ওই ছাত্রী। সেই পোস্টের নিচে প্রতিবাদ জানিয়ে কমেন্ট করেন কয়েকজন। এর জেরে ওই বিচারক বিদ্যালয়ে গিয়ে অভিভাবকদের ডেকে অপমান করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ মঙ্গলবার সারা দিন এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে ছাত্রীরা।
আজ দুই অভিভাবককে ‘অপদস্থ’ করার অভিযোগে বিকেলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। পরে শিক্ষকদের আশ্বাসে তারা বিদ্যালয়ের ভেতর প্রবেশ করে বিক্ষোভ দেখায়।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিচারকের অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ের সঙ্গে সহপাঠীদের ফেসবুকে পাল্টাপাল্টি মন্তব্য করাকে কেন্দ্র করে বিচারক দুজন অভিভাবককে অপদস্থ করেন।
কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩-এর বিচারক রুবাইয়া ইয়াসমিনের মেয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। বিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দিয়ে পরিচ্ছন্ন করে থাকে। গতকাল সোমবার ওই বিচারকের মেয়ের শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই শিক্ষার্থী প্রথমে ঝাড়ু দিতে পারে না বলে দায়িত্ব এড়াতে চায়। এ নিয়ে সহপাঠীদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সে নিজেকে ‘জজের’ মেয়ে পরিচয় দেয়।
এরপর রাতে বিচারকের মেয়ে সহপাঠীদের ‘বস্তির মেয়ে’ আখ্যা দিয়ে পোস্ট দেয়। পোস্টে উল্লেখ করে, ‘তোরা বস্তির মেয়ে। আমার মা জজ। তোদের মায়েদের বল আমার মায়ের মতো জজ হতে।’
ওই পোস্টে বিচারকের মেয়ের চারজন সহপাঠী পাল্টা উত্তর দেয়। এ নিয়ে বিচারক রুবাইয়া ইয়াছমিন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুনকে আজ অভিভাবকদের ডাকতে বলেন। বেলা ১১টার দিকে প্রধান শিক্ষকের ডাকে ওই চার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা বিদ্যালয়ে আসেন। ওই সময় বিচারক রুবাইয়া ইয়াছমিন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের গালাগালি করেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দিয়ে জেলে ভরার হুমকি দেন। এ সময় দুজন অভিভাবক ওই বিচারকের পা ধরে ক্ষমা চান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সহকারী শিক্ষক বলেন, ‘বিচারকের মেয়ে ও কিছু শিক্ষার্থী পাল্টাপাল্টি পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে বিচার বসানো হয়। এই সময় বিচারক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জেলে দেওয়ার হুমকি দিলে দুইজন অভিভাবক নিজে থেকেই পা ধরে ক্ষমা চান। তাঁদের কেউ বাধ্য করেনি বা পা ধরতে বলেনি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইল সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুন বলেন, ‘বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। সরকারি চাকরিজীবীদের সন্তানদের সঙ্গে বেসরকারি চাকরিজীবী বা ব্যবসায়ীদের সন্তানদের মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব কাজ করে। যতটুকু জেনেছি সোমবার বিচারকের মেয়ের ঝাড়ু দেওয়া কথা ছিল। তবে সে মাত্র তিন মাস আগে স্কুলে আশায় এই পরিবেশ হয়তো বুঝে উঠতে পারেনি। এ জন্য সে ঝাড়ু দিতে প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে এই কাজটি সম্পন্ন করে। এই সময় অন্য শিক্ষার্থীরা “জয় বাংলা” বলে তাকে ক্রিটিসাইজ করে। এই নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয়।’
প্রধান শিক্ষক আরও বলেন, ‘এ কারণে কয়েকজন শিক্ষার্থী ও অভিভাবককে ডাকা হয়। তাঁদের সঙ্গে কথা বলা হয়। কিন্তু অভিভাবকের মাফ চাওয়াকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীরা রাস্তা অবরোধ করে। অভিভাবকেরা ভয় পেয়ে এভাবে মাফ চেয়েছেন। তাঁদের কেউ বাধ্য করেনি।’
বিকেলে বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নিলুফা ইয়াছমিন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে আলোচনায় বসেন। আলোচনার জন্য শিক্ষার্থীরা তাদের অবরোধ তুলে নেয়।
রাজধানীর শাহজাদপুরের বীর উত্তম রফিকুল ইসলাম অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত মজুমদার ভিলায় থাকা একটি আবাসিক হোটেলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত আরও একজনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। নিহত ওই ব্যক্তির নাম ইসরাফুল আলম (৩৫)। তাঁর বাড়ি ঝিনাইদহ সদরের আরাপপুর।
২১ মিনিট আগেদায়িত্ব পালনরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যের নাকে ঘুষি মারা যশোর সরকারি সিটি কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শাওন ইসলাম সবুজকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত রোববার রাতে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তাঁকে বহিষ্কার করে ছাত্রদল।
২৫ মিনিট আগেজুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সিলেট বিভাগের শহীদদের নাম স্থান পেয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) প্রকাশিত ২০২৫ সালের ডায়েরিতে। এতে সিলেট বিভাগের তিন জেলার মোট ৩৩ শহীদের নাম প্রকাশ করা হয়। ডায়েরির ১১৮ থেকে ১২০ তম পাতায় শহীদদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
৩০ মিনিট আগেসম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমানের ১৩ বছরের সাজার বিরুদ্ধে করা আপিলের শুনানি শেষ হয়েছে। আগামী ৩০ এপ্রিল রায় দেবেন আপিল বিভাগ। আজ মঙ্গলবার শুনানি শেষে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।
১ ঘণ্টা আগে