Ajker Patrika

পাবনা-১: নৌকা ও ট্রাক প্রতীকের সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত ১০ 

পাবনা ও সাঁথিয়া প্রতিনিধি
পাবনা-১: নৌকা ও ট্রাক প্রতীকের সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত ১০ 

পাবনা-১ আসনে নৌকা ও ট্রাক প্রতীকে প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। 

আজ শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে সাঁথিয়া পৌর সদরের বোয়াইলমারী বাজারে এই ঘটনা ঘটে। 

সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করি। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। পুরো বিষয়টা আমরা তদন্ত করে দেখছি।’ 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বিকেলে বোয়াইলমারী বাজারে ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপক আবু সাঈদের নির্বাচনী পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে সন্ধ্যার পর ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, সাঁথিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মাহমুদ দেলোয়ার ও বেড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুল বাতেনের নেতৃত্বে তার সমর্থকরা নির্বাচনী মিছিল বের করেন। 

মিছিলটি উপজেলা আওয়ামী লীগের অফিস পার হওয়ার সময় পিছন থেকে ইট পাটকেল ছুঁড়ে হামলা চালায় নৌকার সমর্থকেরা। এ সময় উভয়পক্ষের সমর্থকেরা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে দুপক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। আহতদের সাঁথিয়া ও বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

আহতদের মধ্যে তাৎক্ষণিকভাবে চারজনের নাম জানা গেছ। তারা হলেন, আব্দুর রশিদ দুলাল (৫০), সজল হোসেন (২৮), মনোয়ার হোসেন (৩০), সাব্বির হোসেন (২৮)। 

এ বিষয়ে সাঁথিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ দেলোয়ার বলেন, ‘অধ্যাপক আবু সাঈদের নির্বাচনী পথসভা শেষে আমরা মিছিল নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের অফিস পার হওয়ার সময় পেছন থেকে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল রানা খোকনের নেতৃত্বে নৌকার সমর্থকরা আমাদের ওপর হামলা করে। এতে আমাদের ৭-৮ জন আহত হয়েছে।’ 

উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল রানা খোকন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমরা ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের অফিসে বসেছিলাম। এ সময় সাঈদের সমর্থকেরা মিছিল নিয়ে যাবার সময় আমাদের লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুঁড়ে মারে। তখন আমরা দৌঁড়ে আওয়ামী লীগের অফিসে যাই। এ সময়ে উভয় পক্ষের মধ্যে একটু ধাওয়া পাল্টা দেওয়া হয়। সাঈদের সমর্থকেরা আওয়ামী লীগের অফিস ভাঙচুর করে। এই ঘটনায় আমাদেরও ৩-৪ জন আহত হয়েছে।’ 

সাঁথিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসান আলী বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি এলাকায় ছিলাম না। পরে সংঘর্ষের ঘটনাটি শুনেছি। পুরো বিষয়টি আমার জানা নেই। জেনে তারপর বিস্তারিত বলতে পারবো।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত