Ajker Patrika

গাড়ি থেকে নামিয়ে রাবি শিক্ষককে মারধর, গ্রেপ্তার ১

রাবি প্রতিনিধি
আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫: ৫৭
গাড়ি থেকে নামিয়ে রাবি শিক্ষককে মারধর, গ্রেপ্তার ১

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। দুজনের নাম উল্লেখ করে নগরীর মতিহার থানায় একটি মামলা করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষক। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার রাতেই একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 

গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) প্রধান ফটকের বিপরীত দিকে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে। 

ভুক্তভোগী শিক্ষকের নাম অধ্যাপক সৈয়দ মুহাম্মদ আলী রেজা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক। 

মামলার অভিযুক্তরা হলেন—মৃত তসলিম উদ্দিনের ছেলে মো. মিনহাজ আবেদীন (৩৯) ও মোশারফ হোসেনের ছেলে মোসাদ্দেক হোসেন রাতুল (২৭)। তাদের উভয়ের বাড়ি রাজশাহী নগরের তালাইমারী শহীদ মিনার এলাকায়। 

মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ব্যক্তিগত গাড়ি চালিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফিরছিলেন অধ্যাপক সৈয়দ মুহাম্মদ আলী রেজা। নগরীর রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) প্রধান ফটকের বিপরীতে সামনে একটি মোটরসাইকেল চড়ে মো. মিনহাজ আবেদীন ও মোসাদ্দেক হোসেন রাতুল ভুক্তভোগী শিক্ষকের গাড়ি অতিক্রম করে পথরোধ করেন। এ সময় তাঁরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। একপর্যায়ে ওই শিক্ষককে গাড়ির দরজা খুলতে বাধ্য করেন তারা এবং গাড়ি থেকে বের হতেই অভিযুক্ত দুজন একসঙ্গে তাকে এলোপাতাড়িভাবে মুখে এবং বুকে কিল-ঘুষি মারেন। 

মামলার এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, মারধরের পর অভিযুক্তরা তাঁদের মোটরসাইকেল নিয়ে তালাইমারী রাস্তার দিকে এগোতে থাকলে গাড়ি নিয়ে তাঁদের পিছু নেন ভুক্তভোগী শিক্ষক। পরে তালাইমারী মোড়ে পৌঁছালে অভিযুক্তরা আবার ওই শিক্ষকের পথরোধ করেন। একপর্যায়ে অভিযুক্তরা মোটরসাইকেল থেকে নেমে গালি-গালাজ করে জানতে চায়, কেন তাদের পিছু নিয়েছেন তিনি। এ সময় ভুক্তভোগী শিক্ষক তাঁদের পরিচয় জানতে চান ও তাদের মোটরসাইকেলের নম্বর দেখতে গেলে মোসাদ্দেক হোসেন মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যান। 

অন্যদিকে মিনহাজ গালিগালাজ করে হুমকি অব্যাহত রাখেন। সেখানে তাঁকে আবারও মারধর এবং গলাটিপে ধরে শ্বাস রোধ করে হত্যার চেষ্টা করেন মিনহাজ। স্থানীয় লোকজন ভুক্তভোগী শিক্ষককে সরিয়ে নিয়ে আসলে মিনহাজ প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যান। 

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষক অধ্যাপক সৈয়দ আলী রেজা আজকের পত্রিকাকে জানান, ঘটনার পরপরই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহায়তায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। অভিযুক্তরা কেন এ হামলা করেছেন এ বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারছেন না। বিষয়টি জঙ্গিবাদী ও মৌলবাদী হামলা কি না, পুলিশ সেটা তদন্ত করে দেখবেন বলেও জানান তিনি। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. মোবারক পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভুক্তভোগী শিক্ষক গতকাল রাতে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। গতকাল রাতেই মামলার প্রধান অভিযুক্ত মিনহাজ আবেদীনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরেক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত আছে।’ 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনাটি জানার পরেই ভুক্তভোগী শিক্ষককে আইনি সহায়তা দেওয়া হয়েছে। মতিহার থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনা তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত