Ajker Patrika

রাবিতে প্রক্সি জালিয়াতি: ৩ জনকে বহিষ্কার, একজনের ভর্তি বাতিল

রাবি প্রতিনিধি
রাবিতে প্রক্সি জালিয়াতি: ৩ জনকে বহিষ্কার, একজনের ভর্তি বাতিল

ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি ও ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের তিন নেতা কর্মীকে বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া অসুদপায়ে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবদুস সালাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। 

বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা ফজলুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রাজু আহমেদ, শহীদ হবিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের কর্মী ও লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মহিবুল মমিন ওরফে সনেট এবং শের-ই-বাংলা হল ছাত্রলীগের কর্মী ও শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাকোয়ান সিদ্দিক ওরফে প্রাঙ্গণ। 

আর ভর্তি বাতিল করা হয়েছে আহসান হাবীবের। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগে ২০২২-২৩ সেশনে নতুন শিক্ষার্থী। 

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের মাধ্যমে ভর্তি হওয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় পপুলেশন সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করা হলো এবং উক্ত শিক্ষার্থীকে অর্থের বিনিময়ে অসদুপায় অবলম্বনের মাধ্যমে ভর্তি হতে সহায়তাকারী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হলো।’ 

এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুশফিক তাহমিদ ওরফে তন্ময়সহ ছাত্রলীগের চার নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি, অপহরণ ও তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবির অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনার পরদিন শুক্রবার তাঁদের বিরুদ্ধে নগরের মতিহার থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়। 

এর মধ্যে একটি পাবলিক পরীক্ষা আইনে, অন্যটি অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে। পরে শনিবার রাতে ছাত্রলীগ নেতা মুশফিক তাহমিদসহ ওই চার নেতা কর্মীকে সংগঠন থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। 

এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগের আরেক নেতা মুশফিক তাহমিদ তন্ময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ মখদুম হলে থাকেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রত্ব না থাকায় তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা যায়নি। তবে, তার বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়ার কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালাম। 

তাঁর হলে থাকার বিষয়ে শাহ মখদুম হলের প্রাধ্যক্ষ রুহুল আমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র না। তবুও ছাত্রলীগের পদধারী হওয়ায় ক্ষমতার দাপটে হলে থাকতেন। এর আগে আমরা অনেকবার তাকে হল ত্যাগ করতে বলেছি। কিন্তু সে শোনেনি। সম্প্রতি তার কক্ষটি আমরা সিলগালা করে দিয়েছি। তার আর হলে থাকার সুযোগ নেই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত