Ajker Patrika

রাজশাহীতে শীত নামলেও পৌঁছেনি শীতবস্ত্র

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী    
Thumbnail image
উত্তরের জেলা রাজশাহীতে শীত বাড়ার পাশাপাশি পড়ছে ঘন কুয়াশা। ছবি: আজকের পত্রিকা

অগ্রহায়ণের শেষদিকে এসে উত্তরের জেলা রাজশাহীতে শীত নেমেছে। ভোরের প্রকৃতি ঢেকে থাকছে কুয়াশায়। বেলা না গড়ানো পর্যন্ত ঠান্ডা কমছে না। আবার বিকেলের পর থেকেই অনুভূত হচ্ছে শীত। সন্ধ্যা থেকে বইছে হিমেল হাওয়া। এতে বেড়েছে শীতের তীব্রতা।

আর শীত বাড়ায় রাজশাহী নগরের ফুটপাতের গরম কাপড়ের দোকান বসেছে। সেখানে ভিড় বাড়ছে মানুষের। কিন্তু আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় অনেকেই গরম কাপড় কিনতে পারছে না। ফলে শীতে কষ্ট পাচ্ছেন নিম্ন আয়ের ও ছিন্নমূল মানুষ। তাদের জন্য এখনো পর্যন্ত সরকারি কিংবা বেসরকারি উদ্যোগে শীতবস্ত্র নিয়ে আসেনি কেউ।

রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানিয়েছে, আজ সোমবার ভোর ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন রোববার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত এক সপ্তাহ ধরেই রাজশাহীতে শীতের তীব্রতা অনুভূত হচ্ছে।

রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন বলেন, ‘এখন কয়েক দিন তাপমাত্রা আরও হ্রাস পেতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত কোথাও কোথাও কুয়াশা পড়তে পারে। তবে এখনই শৈত্যপ্রবাহের কোনো পূর্বাভাস দেয়নি আবহাওয়া অধিদপ্তর।’

রাজশাহীতে কুয়াশার মধ্যে রাস্তা দিয়ে চলছে গাড়ি। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজশাহীতে কুয়াশার মধ্যে রাস্তা দিয়ে চলছে গাড়ি। ছবি: আজকের পত্রিকা

কিন্তু শীত নামলেও রাজশাহীতে সরকারি উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু হয়নি। সম্প্রতি শুধু একটি সামাজিক সংগঠনকে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় কিছু শীতবস্ত্র বিতরণ করতে দেখা গেছে। এর বাইরে কোথাও কাউকে শীতার্ত মানুষের পাশে শীতবস্ত্র নিয়ে দাঁড়াতে দেখা যায়নি।

রাজশাহী জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সালাহ উদ্দীন আল ওয়াদুদ সোমবার সকালে বলেন, ‘আমাদের এখনো শীতবস্ত্র বরাদ্দ আসেনি। বরাদ্দ এলে জেলার সবখানেই তা বিতরণ করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত