Ajker Patrika

শামীম ওসমানের ছেলে অয়নের বিরুদ্ধে এসপির কাছে অভিযোগ

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ২০ জুন ২০২৩, ১৭: ৩৬
শামীম ওসমানের ছেলে অয়নের বিরুদ্ধে এসপির কাছে অভিযোগ

নারায়ণগঞ্জে জমি সংক্রান্ত পারিবারিক বিরোধ চলছিল ভাই বোনদের দুটি পক্ষের মধ্যে। এর মধ্যে একটি পক্ষকে ডেকে নিয়ে বাড়ি খালি করে দিতে নির্দেশ ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানপুত্র অয়ন ওসমানের বিরুদ্ধে। 

গতকাল রোববার বিকেলে চাষাঢ়া রূপায়ন টাওয়ারে অয়ন ওসমানের অফিসে ডেকে নিয়ে এই হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ বাদী পক্ষের। ঘটনার পর থেকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন দাবি করে পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী দুই ভাই। 

আজ সোমবার নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) বরাবর এই অভিযোগ দেন ফতুল্লার হাজীগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা আব্দুস সবুর মোল্লা (৫৮) এবং আবু সায়েম মোল্লা (৪০)। অভিযোগে তারা উল্লেখ করেন, আদালতে বিচারাধীন পারিবারিক মামলা নিয়ে আমার দুই বোন ও এক ভাই অয়ন ওসমানের দ্বারস্থ হন। এ সময় অয়ন ওসমান তাদের পক্ষ নিয়ে আমাদের বাড়িঘর খালি করে তাদের বুঝিয়ে দিতে নির্দেশ দেন। প্রয়োজনে লোকজন নিয়ে গিয়ে বাসা খালি করার ব্যবস্থা করতে বলেন। 

লিখিত অভিযোগে দুই ভাই আরও উল্লেখ করেন, ‘গত ১৬ জুন রাত ৮টায় একই এলাকার সাগর (৪০) ফোন দিয়ে জানায় ১৮ তারিখ বিকেল সাড়ে ৪টায় অয়ন ওসমান তাদের ডেকেছেন। একই ফোনে কায়েমপুর এলাকার নাহিদ পুনরায় জানায় নির্ধারিত তারিখে যেন অয়ন ওসমানের সঙ্গে তারা দেখা করেন। কেন দেখা করতে হবে এমন প্রশ্ন করলে তারা বলেন, আমরা কিছু জানি না। বিষয়টি রহস্যজনক মনে হওয়ায় দেখা করতে অনাগ্রহ প্রকাশ করেন সবুর ও সায়েম মোল্লা। 

 ১৮ জুন তারিখ বিকেল পৌনে ৫টায় মসজিদে প্রবেশ করার সময় সবুর মোল্লাকে সাগর ও নাহিদ জোড়পূর্বক অয়ন ওসমানের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকেই বসা ছিলো আমার ভাই আবু সাঈদ মোল্লা (৪৮), বোন মাবিয়া সিদ্দিকা (৫২), আয়েশা সিদ্দিকা (৫৫), ভাগ্নে মাসুদ (৩৫)। কিছুক্ষণ পরেই অয়ন ওসমান ও তার সহযোগী রিয়াদ সেখানে উপস্থিত হয়। 

এরপর অয়ন আমার উদ্দেশে বলেন, আগামীকাল (১৯ জুন) সকালের মধ্যে আবু সাঈদ ও মাবিয়ার কাছে বাড়িঘর সবকিছু বুঝাইয়া দিয়া চলে যাবেন। আমি কারন জানতে চাইলে সে ধমক দিয়ে বলে আমার কারন জানার দরকার নাই। সে তার অফিসে থাকা নাহিদকে বলে সকালে তুমি আমার লোকজন নিয়ে যাবে এবং সাইদ মোল্লাকে বাড়িঘর বুঝিয়ে দিয়ে আসবে। আমরা তার কথায় ভয়ে কিছুই বলতে পারিনি এবং নীরবে চলে আসি। এই ঘটনায় পুলিশের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করছি। 

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভুক্তভোগী সায়েম মোল্লা আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল আমার বড় ভাইকে হুমকি ধমকি দিয়েছিলো অয়ন ওসমান সাহেব। আজকে দুপুর ৩টার সময়েও নাহিদ তার লোকজন নিয়ে এসেছিলো। কিন্তু যখন শুনেছে আমরা এসপি অফিসে আসছি তখন সে চলে গেছে। আমরা বিকেল ৪টায় পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেই। 
তিনি আমাদের কথা শুনে বলেন, যেভাবে সমাধান করা যায় সেভাবেই তিনি ব্যবস্থা নিবেন। প্রয়োজনে হুমকিদাতাদের গ্রেপ্তার করা হবে। 

কেন এই বিরোধ জানতে চাইলে বলেন, ২০২০ সালে আমাদের বাবা মারা যান। গত বছর আমরা বাড়ি ভাগ করতে বসি। আমার দুই বোন ও এক ভাই জাল দলিল নিয়ে এসে দাবি করেন তাদের নামে নাকি সব লিখে দিয়ে গেছে বাবা। এটা নিয়ে আদালতে ৪টা মামলা আছে এবং সবগুলো বিচারাধীন। সেই বিষয় নিয়ে এখন তারা অয়ন ওসমানের ভয় দেখিয়ে আমাদের তাড়িয়ে দিতে চাচ্ছে। 

এই বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেলের ব্যক্তিগত ও সরকারি নম্বরে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোনকল রিসিভ করেননি। পরবর্তীতে তাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষুদেবার্তা প্রেরন করলে তিনি বার্তাটি দেখে নীরব থাকেন। 

অভিযোগের বিষয়ে অয়ন ওসমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দিয়ে থাকলে উনিই ভালো বলতে পারবেন, আমার এই বিষয়ে কিছু জানা নেই। কে করাচ্ছে সেটাও জানার বিষয়। ক্রিটিক্যাল মোমেন্টে অভিযোগ উঠবে এগুলাই স্বাভাবিক। যারা অভিযোগ দিয়েছে উনাদের জিজ্ঞাসা করে বিষয়টা জেনে নেই। আমি যদি এখানে বিন্দু পরিমান মিথ্যা খুঁজে পাই তাহলে যেই কয়টা মামলা করা সম্ভব তা করার ব্যবস্থা করা হবে। আমি এক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেব না। আমার নাম বেঁচে যদি কেউ কিছু করে থাকে তাহলে মামলা হবে। আমিই মামলা দেব। আমার নামে অভিযোগ এসেছে অথচ এই বিষয়ে আমার কোন ধারনাই নেই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ডাব চুরি করতে গিয়ে গাছ থেকে পড়ে প্রাণ গেল যুবকের

বদলগাছী (নওগাঁ) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নওগাঁর বদলগাছী উপজেলায় ডাব চুরি করতে গিয়ে গাছ থেকে পড়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। ওই ব্যক্তির নাম আসলাম হোসেন (৪৫)। তিনি উপজেলার কোলা ইউনিয়নের পারিচা গ্রামের মোলায়েমের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার ভোরের দিকে বদলগাছী উপজেলার আক্কেলপুর মধ্যপাড়া (মণ্ডলপাড়া) গ্রামে মুসা নামের এক ব্যক্তির নারকেলগাছে উঠেছিলেন আসলাম। ধারণা করা হচ্ছে, ডাব চুরি করার সময় তিনি গাছ থেকে নিচে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।

সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা গাছের নিচে ডাবসহ লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে বদলগাছী থানা-পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে।

বদলগাছী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ডাব পাড়তে গিয়ে পা ফসকে পড়ে ওই ব্যক্তি মারা গেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নারায়ণগঞ্জে কারখানায় বিস্ফোরণে ৬ শ্রমিক দগ্ধ, অবস্থা গুরুতর

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১২: ২৯
এম এস ডাইং প্রিন্টিং অ্যান্ড ফিনিশিং কারখানা। ছবি: সংগৃহীত
এম এস ডাইং প্রিন্টিং অ্যান্ড ফিনিশিং কারখানা। ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বিসিক শিল্পনগরীতে এমএস ডাইং প্রিন্টিং অ্যান্ড ফিনিশিং নামে একটি কারখানায় বিস্ফোরণে ৬ শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন। গুরুতর অবস্থায় তাঁদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।

আজ রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দগ্ধরা হলেন— কারখানাটির শ্রমিক আল আমিন (৩০), আজিজুল্লাহ (৩২), মো. সেলিম (৩৫), মো. জালাল মোল্লা (৪০), মো. নাজমুল হুদা (৩৫) এবং সিকিউরিটি গার্ড সুপারভাইজার নুর মোহাম্মদ (৩৫)।

দগ্ধরা জানান, সকালে কারখানার নিচতলায় বয়লার রুমে কাজ করছিলেন শ্রমিকেরা। হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। মুহূর্তেই সেই কক্ষে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে। এতে ৬ জনের শরীর ঝলসে যায়। সহকর্মীরা দগ্ধদের উদ্ধার করে ঢাকায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসেন।

বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, দগ্ধদের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের সবার অবস্থাই গুরুতর। কার শরীরে কত শতাংশ পুড়েছে তা পরবর্তীতে বলা যাবে।

ফতুল্লা ফায়ার স্টেশনের ফায়ার ফাইটার খায়রুল ইসলাম আজকের পত্রিকা বলেন, সকালে এসএম ডাইং স্টেশনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তবে কারাখানা থেকে কোনো তাদের (ফায়ার সার্ভিস) বিস্ফোরণের সংবাদ জানানো হয়নি। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে তাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্ত করছেন। বিস্ফোরণের কারণ তদন্তের পর জানা যাবে। তবে এ ঘটনায় কারখানাটির বেশ কয়েক শ্রমিক-কর্মচারী আহত হয়েছেন।

ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আগুনে দগ্ধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হচ্ছে। অফিশিয়ালি আমাদের এই বিষয়ে কেউ তথ্য দেয়নি। গণমাধ্যমে সংবাদ পেয়ে আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কেশবপুরে হাডুডু খেলায় অতর্কিত হামলা: ছাত্রদলের আহ্বায়কসহ আহত ১০

কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি 
আহত ব্যক্তিদের কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
আহত ব্যক্তিদের কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

যশোরের কেশবপুর উপজেলায় গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী হাডুডু খেলার অনুষ্ঠানে অতর্কিত হামলায় উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়কসহ অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার পাঁজিয়া ইউনিয়নের সাগরদত্তকাটি গ্রামের মধ্যপাড়ায় হাডুডু খেলার পুরস্কার বিতরণের সময় এই ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৯ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

হামলায় আহত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আজিজুর রহমান, বিদ্যানন্দকাটির কামরুজ্জামান (২৮), মির্জাপুর গ্রামের আবু মুসা (২০), পাত্রপাড়া গ্রামের নয়ন (২১), সাগরদত্তকাটি গ্রামের সুমন হোসেন (২৫), মইনুল ইসলাম (২৫), মনোহরনগর গ্রামের আলী হাসান, মজিদপুর গ্রামের রিয়াদ হোসেন (২২) ও মাদারডাঙ্গা গ্রামের মাসুদ হোসেন (২৩)। রাতে আহত ব্যক্তিদের কয়েকজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এই ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

খেলা দেখতে আসা একাধিক দর্শক জানান, আটদলীয় হাডুডু টুর্নামেন্টের উদ্বোধন ও অতিথি নির্বাচন নিয়ে আয়োজক কমিটির দুটি গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়।

শনিবার দুপুরে পাঁজিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন মুকুল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করার পরই আয়োজক কমিটির একটি অংশ এতে আপত্তি জানিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি করে।

একপর্যায়ে তারা অনুষ্ঠানের মঞ্চে থাকা মকবুল হোসেন মুকুলকে উদ্দেশ করে অশালীন কথাবার্তা বলতে থাকলে তিনি মঞ্চ থেকে চলে যান।

সন্ধ্যায় ওই হাডুডু খেলার ফাইনাল দেখার জন্য মঞ্চে আসেন উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আজিজুর রহমান। ফাইনালে উপজেলার বুড়ুলি দল খুলনার চুকনগর দলকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়। খেলা শেষে চ্যাম্পিয়ন দলের কাছে পুরস্কার হিসেবে ফ্রিজ হস্তান্তর করার সময় একদল যুবক মঞ্চে এসে অতর্কিত হামলা চালান। এ সময় মঞ্চে থাকা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আজিজুর রহমানসহ আরও কয়েকজন আহত হন। হামলার কারণে দর্শকেরা ভয়ে দিগ্‌বিদিক ছোটাছুটি করতে থাকেন এবং এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

খেলার রেফারি শওকত হোসেন বলেন, সুষ্ঠুভাবে হাডুডু খেলা সম্পন্ন হলেও পুরস্কার বিতরণের সময় ওই ঘটনা ঘটে। টুর্নামেন্টের সভাপতি রেজাউল করিম সরদার বলেন, ‘হামলা শুরু হলে আমি দ্রুত এলাকা ত্যাগ করি।’

পাঁজিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মকবুল হোসেন মুকুল বলেন, ‘কিছু যুবক পুরস্কার বিতরণের সময় হামলা চালিয়েছে। ওই সময় আমি সেখানে ছিলাম না এবং এটি কোনো রাজনৈতিক বিষয়ও নয়।’

এ ব্যাপারে উপজেলার পাঁজিয়া ইউনিয়নের বিট পুলিশিংয়ের সহকারী কর্মকর্তা সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মামুন বলেন, খেলার অনুষ্ঠানে মারামারির ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নোয়াখালীতে ট্রাকের পেছনে মাইক্রোবাসের ধাক্কা, নিহত ১

নোয়াখালী প্রতিনিধি
আবুল কালাম আজাদ। ছবি: সংগৃহীত
আবুল কালাম আজাদ। ছবি: সংগৃহীত

সৌদি আরবে পবিত্র ওমরাহ শেষে বাড়ি ফেরার পথে নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদী বাজারের টিভি সেন্টার এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় আবুল কালাম আজাদ (৫৩) নামের এক ব্যবসায়ী মারা গেছেন। রোববার (২৬ অক্টোবর) ভোরে মাইজদী টিভি সেন্টার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় আবুল কালামকে বহনকারী মাইক্রোবাসটি দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দেয়। তখন মাইক্রোবাসের যাত্রী আবুল কালাম আজাদ মারা যান এবং আহত হন আরও তিনজন।

আবুল কালাম আজাদ জেলার সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নুরুল হক ছোট মিয়ার ছেলে। তিনি স্থানীয় উত্তর ওয়াপদা বাজারের ব্যবসায়ী ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সৌদি আরবে পবিত্র ওমরাহ পালন শেষে শনিবার রাতে দেশে ফেরেন আজাদ। এরপর মাইক্রোবাস যোগে স্ত্রী নাসিমা আক্তার, মা ও ভাতিজা লিমনসহ গ্রামের বাড়ি ফিরছিলেন। যাত্রাপথে মাইক্রোবাসটি সোনাপুর-চৌমুহনী আঞ্চলিক মহাসড়কের মাইজদী বাজারের টিভি সেন্টার এলাকায় পৌঁছালে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দেন।

এতে মাইক্রোবাসটি ধুমড়েমুচড়ে যায়। ঘটনার পরপরই চালক পালিয়ে যান। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক আজাদকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত ব্যক্তিদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনার পরপরই মাইক্রোবাসের চালক পালিয়ে যান। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত