কামরুল হাসান রবি, ধোবাউড়া (ময়মনসিংহ)
ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার পোড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়নে অতিদরিদ্রদের জন্য ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং (ভিজিএফ) কর্মসূচির চাল বিতরণে কম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ১০ কেজি করে দেওয়ার কথা থাকলেও কেউ ৫ কেজি, কেউ ৮ কেজি করে চাল পেয়েছেন। তবে, চাল কম দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, পোড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়নে ৩ হাজার ৯০৪ জন উপকারভোগীর মধ্যে ৩৯ দশমিক ৪ টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে পোড়াকান্দুলিয়া ইউপিতে গেলে ভিজিএফের কার্ডে চাল পেয়েছেন এমন বেশ কয়েকজন উপকারভোগী বিতরণে অনিয়ম হওয়ার কথা জানান।
পোড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়নের বহরভিটা গ্রামের উপকারভোগী আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ভিজিএফের কার্ডে আমাকে ১০ কেজি চালের পরিবর্তে ৫ কেজি ৮২০ গ্রাম চাল দেওয়া হয়েছে।’
বহরভিটা গ্রামের উপকারভোগী চান মিয়া বলেন, ‘আমাকে ইউপি মেম্বার একটি কার্ড দিয়েছেন। কার্ড নিয়ে চাল তোলার পর মেপে দেখি ১০ কেজির পরিবর্তে ৮ কেজি ২৯৫ গ্রাম। নিয়মের কোনো তোয়াক্কা না করে এভাবে চাল কম দেওয়া হলেও তাঁদের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলছে না।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পোড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এক কর্মী বলেন, ‘আমাদের ইউনিয়নে ১০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা থাকলেও প্রতি কার্ডধারীকে ৭ থেকে ৮ কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছে এবং ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল হক কিছু চাল রেখে দিয়েছেন বলে শুনেছি।’
উপকারভোগীদের মধ্যে সঠিক পরিমাপে চাল বিতরণের জন্য বলেছেন বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল হক। তিনি বলেন, ‘আমি খোঁজখবর রাখছি, মাঝেমধ্যে দু-একজনের কম হতে পারে।’ চাল রাখার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কিছু চাল খরচের জন্য রেখে দিয়েছি। পরে কম পড়লে সেখান থেকে এনে দিয়ে দিব।’
পোড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়নে ভিজিএফের চাল বিতরণে দায়িত্বরত ট্যাগ অফিসার এ কে এম বদরুদ্দোজা বলেন, ‘সঠিকভাবে চাল দেওয়া হচ্ছে।’ কম দেওয়ার বিষয়ে বলেন, ‘ভুক্তভোগীদের ব্যাগ ছিঁড়া থাকার কারণে চাল কম হতে পারে।’
ইউপি সচিব আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘কাউকে চাল কম দেওয়া হচ্ছে না। আমরা সঠিকভাবে চাল বিতরণ করছি।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিশাত শারমিন বলেন, ‘চাল কম দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজার রহমান।
আরও খবর পড়ুন:
ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার পোড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়নে অতিদরিদ্রদের জন্য ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং (ভিজিএফ) কর্মসূচির চাল বিতরণে কম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ১০ কেজি করে দেওয়ার কথা থাকলেও কেউ ৫ কেজি, কেউ ৮ কেজি করে চাল পেয়েছেন। তবে, চাল কম দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, পোড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়নে ৩ হাজার ৯০৪ জন উপকারভোগীর মধ্যে ৩৯ দশমিক ৪ টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে পোড়াকান্দুলিয়া ইউপিতে গেলে ভিজিএফের কার্ডে চাল পেয়েছেন এমন বেশ কয়েকজন উপকারভোগী বিতরণে অনিয়ম হওয়ার কথা জানান।
পোড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়নের বহরভিটা গ্রামের উপকারভোগী আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ভিজিএফের কার্ডে আমাকে ১০ কেজি চালের পরিবর্তে ৫ কেজি ৮২০ গ্রাম চাল দেওয়া হয়েছে।’
বহরভিটা গ্রামের উপকারভোগী চান মিয়া বলেন, ‘আমাকে ইউপি মেম্বার একটি কার্ড দিয়েছেন। কার্ড নিয়ে চাল তোলার পর মেপে দেখি ১০ কেজির পরিবর্তে ৮ কেজি ২৯৫ গ্রাম। নিয়মের কোনো তোয়াক্কা না করে এভাবে চাল কম দেওয়া হলেও তাঁদের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলছে না।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পোড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এক কর্মী বলেন, ‘আমাদের ইউনিয়নে ১০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা থাকলেও প্রতি কার্ডধারীকে ৭ থেকে ৮ কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছে এবং ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল হক কিছু চাল রেখে দিয়েছেন বলে শুনেছি।’
উপকারভোগীদের মধ্যে সঠিক পরিমাপে চাল বিতরণের জন্য বলেছেন বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল হক। তিনি বলেন, ‘আমি খোঁজখবর রাখছি, মাঝেমধ্যে দু-একজনের কম হতে পারে।’ চাল রাখার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কিছু চাল খরচের জন্য রেখে দিয়েছি। পরে কম পড়লে সেখান থেকে এনে দিয়ে দিব।’
পোড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়নে ভিজিএফের চাল বিতরণে দায়িত্বরত ট্যাগ অফিসার এ কে এম বদরুদ্দোজা বলেন, ‘সঠিকভাবে চাল দেওয়া হচ্ছে।’ কম দেওয়ার বিষয়ে বলেন, ‘ভুক্তভোগীদের ব্যাগ ছিঁড়া থাকার কারণে চাল কম হতে পারে।’
ইউপি সচিব আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘কাউকে চাল কম দেওয়া হচ্ছে না। আমরা সঠিকভাবে চাল বিতরণ করছি।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিশাত শারমিন বলেন, ‘চাল কম দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজার রহমান।
আরও খবর পড়ুন:
রাজশাহী নগরীর শ্রীরামপুর এলাকায় পদ্মা নদীর একটি বাঁধ সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। ১১০ মিটার দৈর্ঘ্যের ওই বাঁধ সংস্কারে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১ কোটি ৬২ লাখ টাকা। সে হিসাবে প্রতি মিটারে খরচ ১ লাখ ৪৭ হাজার ২৭৩ টাকা। আর প্রতি ফুটে খরচ পড়ছে ৪৪ হাজার ৪৮১ টাকা। অভিযোগ উঠেছে...
২৮ মিনিট আগেচট্টগ্রামের প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে জীববৈচিত্র্য রক্ষায় মৎস্য বিভাগের নেওয়া ৪৬ কোটি টাকার একটি প্রকল্প চলছে। এরপরও মৎস্য বিভাগের ছয়টি হ্যাচারির মধ্যে মাত্র দুটি সচল। বাকিগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সেগুলোয় ডিম ফোটানোর সাকুলার ও সিস্টেন ট্রাংকের অবস্থা করুণ।
৪৪ মিনিট আগেকক্সবাজারে সমন্বিত মানবিক সহায়তা জোরদার করার লক্ষ্যে ব্র্যাক ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। সোমবার (৫ মে) রাজধানীর মহাখালীতে ব্র্যাক সেন্টারে ‘হিউম্যানিটারিয়ান-ডেভেলপমেন্ট কোএক্সিসটেন্স নেক্সাস টু অ্যাড্রেস রোহিঙ্গা ক্রাইসিস ইন কক্সবাজার’ শীর্ষক একটি প্রকল্পের যাত্রা...
৩ ঘণ্টা আগেঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বাড্ডা ইস্টার্ন হাউজিংয়ের আফতাবনগরের দুটি ব্লক এবং স্যানভ্যালির আংশিক জায়গায় অস্থায়ী পশুর হাট বসানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট।
৪ ঘণ্টা আগে