Ajker Patrika

'এখন মনে হচ্ছে টিকা না নেওয়াই ভালো ছিল'

ইলিয়াস আহমেদ
আপডেট : ০৯ জুন ২০২১, ১২: ৫০
'এখন মনে হচ্ছে টিকা না নেওয়াই ভালো ছিল'

ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহে করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজের অনিশ্চয়তায় ভুগছেন ৪৫ হাজারের বেশি মানুষ। প্রতিদিনই সিভিল সার্জন অফিস, হাসপাতাল ও সিটি করপোরেশনে টিকাগ্রহীতাদের আনাগোনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে না পাওয়ায় অনেকের মধ্যে হতাশা কাজ করছে।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, সারা দেশের ন্যায় ময়মনসিংহে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে করোনার টিকা দেওয়া শুরু হয়। প্রথমে টিকা নিতে সাধারণ মানুষের মধ্যে আগ্রহ কম দেখা গেলেও এর ভালো প্রতিফলন আসায় টিকাগ্রহীতার সংখ্যা দিনদিন বাড়তে থাকে। ময়মনসিংহ জেলায় ৯৯ হাজার ৪৩৩ জন প্রথম ডোজের টিকা গ্রহণ করেন।

ময়মনসিংহে দ্বিতীয় ডোজের টিকা প্রদান শুরু হয় ৮ এপ্রিল থেকে। দ্বিতীয় ডোজের টিকা পেয়েছেন ৫৪ হাজার ২৪২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৩৪ হাজার ৩৬৯ জন এবং নারী ১৯ হাজার ৮৭৩ জন। টিকা দেওয়ার বাকি রয়েছেন ৪৫ হাজার ১৯১ জন। সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দ্রুতই দেশের বাইরে থেকে টিকা আসবে বলে মনে করেন নজরুল ইসলাম।

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী আনোয়ার হোসেন বলেন, `সিটি করপোরেশনের অধীনে ৪৯ হাজার ৩০৮ জন প্রথম ডোজের টিকা গ্রহণ করেন। এর মধ্যে পুরুষ ৩১ হাজার ১০৩ জন এবং নারী ১৮ হাজার ২০৫ জন। দ্বিতীয় ডোজের টিকা গ্রহণ করেন ৪২ হাজার ৫০৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২৭ হাজার ৪৮ জন এবং নারী ১৫ হাজার ৪৬০ জন। দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের বাকি রয়েছেন ৬ হাজার ৮০০ জন। জেলা ও সিটি করপোরেশন মিলিয়ে ১ লাখ ৪৮ হাজার ৭৪১ জন প্রথম ডোজের টিকা গ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে টিকা দেওয়া বাকি রয়েছে ৫১ হাজার ৯৯১ জনের। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ হচ্ছে। বিদেশি টিকা বাংলাদেশে এলেই আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা রয়েছে যথাযথভাবে মানুষকে দেওয়ার।'

আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, এ নিয়ে কারও হতাশ হলে চলবে না, সবাইকে একটু ধৈর্য ধরতে হবে। সিটি করপোরেশনের গৃহীত নানা পদক্ষেপে অন্যান্য বিভাগের তুলনায় ময়মনসিংহে করোনা সংক্রমণের অবস্থা ভালো রয়েছে বলে দাবি করে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।

দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায় থাকা ময়মনসিংহ নগরীর বদরের মোড়ের বাসিন্দা সেলিম হোসেন বলেন, করোনা টিকার প্রথম ডোজ তাঁদের পরিবারের পাঁচ সদস্য নিয়েছিলেন। দ্বিতীয় ডোজের সময়ের ১৫ দিন আগেই টিকা শেষ হয়ে যাওয়ায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা। সম্প্রতি তাঁঁদের পরিবারের তিনজন জ্বরে আক্রান্ত হলে তাদের মধ্যে ভয় আরও বেশি বেড়ে যায়। টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারলে হয়তো পরিবারের সদস্যদের এমন অবস্থা হতো না।

সিভিল সার্জন অফিসের সামনে কথা হয় গীতা রানী পাল নামে এক নারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, `শম্ভুগঞ্জ থেকে এসেছি সিভিল সার্জন কার্যালয়ে টিকা দেওয়ার খোঁজখবর নেওয়ার জন্য। এ বিষয়ে অফিসের লোকজন সঠিক কোনো উত্তর দিতে পারেননি। আমাদের দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়ার এক মাস সময় পার হয়ে গেছে, তাই টিকা নিয়ে পরিবারের সদস্যরা চিন্তিত। এখন মনে হচ্ছে টিকা না নেওয়াই ভালো ছিল। পরিবারের সব সদস্যর মানসিক চিন্তার মধ্যে পড়ে গেছি টিকার জন্য।'

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. চিত্তরঞ্জন দেবনাথ বলেন, টিকা পাওয়ার সুনির্দিষ্ট তারিখ এখনো অস্পষ্ট। তাই যাঁদের প্রথম ডোজ দেওয়ার পর দ্বিতীয় ডোজের তারিখ ওভার হয়েছে, তাঁদের হতাশ না হয়ে অবশ্যই স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললেই করোনার সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। অন্যান্য জেলার তুলনায় ময়মনসিংহের করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতি কিছুটা ভালো হওয়ায় সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

জেলা প্রশাসকের তথ্যমতে, ৭ জুন পর্যন্ত জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭৮ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৬০৫ জন, সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৭৯ জন। আইসোলেশনে রয়েছেন ৪৪৮ জন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘আমি বিএনপি করি, তবে শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’

ড্রাইভিং লাইসেন্সে বিআরটিএর নিয়ন্ত্রণ থাকছে না: উপদেষ্টা ফাওজুল কবির

সন্তান জন্মের ৪ মাস পর বিয়ের খবর দিলেন জেমস

সেনানিবাসের সাবজেলেই রাখা হবে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে: কারা মহাপরিদর্শক

ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষায় নতুন ৩ ব্যাটালিয়ন, দুই হাজার ২৫৮ পদ সৃষ্টি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শুধু সেটআপটা নষ্ট করেছি, আ.লীগ অফিস দখল করিনি—সংবাদ সম্মেলনে এনসিপি নেতা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে বিপ্লব উদ্যানে এনসিপির সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা
চট্টগ্রামে বিপ্লব উদ্যানে এনসিপির সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর ও দখলের কথা অস্বীকার করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নগর যুগ্ম সমন্বয়কারী আরিফ মঈনুদ্দিন। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু অবশ্যই স্বাধীনতার একজন অন্যতম স্থপতি। কিন্তু গত ১৬ বছরে শেখ মুজিবকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে মানুষের ক্ষোভ আছে। সেখানে ছাত্র-জনতা ম্যুরাল ভাঙচুর করে। আমরা সেখানে শুধু সেটআপটা নষ্ট করে দিয়েছি, দখল করিনি।’

আজ বুধবার নগরীর বিপ্লব উদ্যানে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন এনসিপি নেতারা।

আরিফ মঈনুদ্দিন বলেন, ‘গত বছরের ৫ আগস্টের পর চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের অফিসগুলো পরিত্যক্ত ছিল। কিন্তু দুই মাস ধরে খবর পাচ্ছি, অফিসগুলোতে কার্যক্রম চলছে, দরজা-জানালা লাগানো হচ্ছে, লোকজন আসা-যাওয়া করছে। আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছিলাম, কিন্তু প্রশাসন ব্যবস্থা নেয়নি।’

ভাঙচুরের বিষয়ে যুগ্ম সমন্বয়কারী মোহাম্মদ এরফানুল হক বলেন, আওয়ামী লীগের সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হলেও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড থেমে নেই। ওই ভবন আওয়ামী লীগ বিনা ভাড়ায় দখল করে ছিল। পাশাপাশি সেখানে বিভিন্ন অপকর্ম পরিচালনা করা হতো।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার নগরীর নিউমার্কেটের দোস্ত বিল্ডিংয়ে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর করেন একদল তরুণ। এতে নেতৃত্ব দেন এনসিপি নেতা আরিফ মঈনুদ্দিন। তাঁর সঙ্গে সাবেক সমন্বয়কসহ এনসিপি নেতা-কর্মীদের ভাঙচুর চালানোর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সমন্বয়কারী মো. রাফসান জানি ও মো. জসিম উদ্দিন। এ ছাড়া কমিটির সদস্য, সংগঠক ও থানা পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘আমি বিএনপি করি, তবে শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’

ড্রাইভিং লাইসেন্সে বিআরটিএর নিয়ন্ত্রণ থাকছে না: উপদেষ্টা ফাওজুল কবির

সন্তান জন্মের ৪ মাস পর বিয়ের খবর দিলেন জেমস

সেনানিবাসের সাবজেলেই রাখা হবে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে: কারা মহাপরিদর্শক

ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষায় নতুন ৩ ব্যাটালিয়ন, দুই হাজার ২৫৮ পদ সৃষ্টি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পুলিশ পরিচয়ে সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
পুলিশ পরিচয়ে সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি

পুলিশ পরিচয়ে কিশোরগঞ্জের এক সাংবাদিককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই সাংবাদিক। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে ভুক্তভোগী সাংবাদিককে মোবাইল ফোনে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক খায়রুল ইসলাম মাসিক কালের নতুন সংবাদের সম্পাদক ও দৈনিক নওরোজের কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি। আর অভিযুক্ত জুয়েল ওরফে রুবেল ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার লংগাইর গ্রামের ছিদ্দিক মিয়ার ছেলে। হুমকি দেওয়ার সময় তিনি নিজেকে পুলিশ বলে দাবি করেন।

অভিযোগে বলা হয়, গত ২৭ আগস্ট নিকলী থানার পুলিশ কনস্টেবল বিল্লালের বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ এনে কিশোরগঞ্জ পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন এক তরুণী। এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশের জন্য অভিযুক্ত বিল্লালের বক্তব্য নেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে বিল্লালের হয়ে জুয়েল ওরফে রুবেল পুলিশ পরিচয় দিয়ে মোবাইল ফোনে বিভিন্ন থানায় মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দিয়ে হয়রানি করাসহ প্রাণনাশের হুমকি দেন।

কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুকিত সরকার বলেন, অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিষয়টি জানতে এ প্রতিবেদক হুমকিদাতাকে ফোন করলে নাম না বলে উল্টা ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে থাকেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘আমি বিএনপি করি, তবে শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’

ড্রাইভিং লাইসেন্সে বিআরটিএর নিয়ন্ত্রণ থাকছে না: উপদেষ্টা ফাওজুল কবির

সন্তান জন্মের ৪ মাস পর বিয়ের খবর দিলেন জেমস

সেনানিবাসের সাবজেলেই রাখা হবে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে: কারা মহাপরিদর্শক

ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষায় নতুন ৩ ব্যাটালিয়ন, দুই হাজার ২৫৮ পদ সৃষ্টি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বুয়েটের ঘটনায় অভিযুক্তের পক্ষে স্ট্যাটাস, পরে শর্তহীন ক্ষমা চাইলেন চাকসু নেতা

চবি প্রতিনিধি 
ছবি: আজকের পত্রিকা
ছবি: আজকের পত্রিকা

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও নারীদের কটূক্তি করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শ্রীশান্ত রায় নামের এক শিক্ষার্থীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। বুয়েটে ধর্ষণের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিতর্কিত পোস্ট দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) নবনির্বাচিত নির্বাহী সদস্য আকাশ দাস। তাঁর এই পোস্ট ঘিরে ক্যাম্পাসে তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া বিক্ষোভ সমাবেশও করেছেন শিক্ষার্থীরা।

আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

চাকসু নির্বাচনে নির্বাহী সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির মনোনীত প্যানেল থেকে নির্বাচিত হন আকাশ দাস। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) নির্বাচিত প্রতিনিধিদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। তবে ধর্ষণের মতো স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় তাঁকে ঘিরে চলছে নানা সমালোচনা। অনেকে বলছেন, তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব করার যোগ্যতা হারিয়েছেন।

বুয়েটে ধর্ষণের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দীর্ঘ এই ফেসবুক পোস্টের এক জায়গায় আকাশ দাস লেখেন, ‘একটা মেয়েকে কখনোই জোরপূর্বকভাবে ঘর থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা সম্ভব না, যদি না মেয়েটার আগ্রহ থাকে।’

ফেসবুকে তাঁর এমন মন্তব্যের পরপরই ক্যাম্পাসজুড়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক সমালোচনা।

ফেসবুক পোস্টে আকাশ লেখেন, ‘সম্প্রতি বুয়েটের ধর্ষণ কান্ড নিয়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে। যে ছেলেটা ধর্ষণ করলো সবাই তার বিচার দাবি করছে। এটা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু আমি যতটুকু বুঝি, একতরফাভাবে কখনো কাউকে দায়ী করা যায় না। ছেলেটা যদি দোষী প্রমাণিত হয় তাহলে অবশ্যই তার শাস্তি আমি দাবি করছি। কিন্তু মেয়েটা যে নির্দোষ এমনটাও তো নয়। বরং যে ধরনের ধর্ষণকাণ্ডগুলো ঘটে থাকে বেশিরভাগ মেয়েরাই ছেলেদের ফাঁসানোর জন্য ধর্ষণকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে। এখানেও এমনটা ঘটেছে কি না সেটিও তদন্তের আওতায় আনা উচিত বলে আমি মনে করি।’

আকাশ দাসের এমন মন্তব্যের বিরুদ্ধে কড়া সমালোচনা করেছেন চাকসুর নবনির্বাচিত ভিপি ইব্রাহিম রনি। এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘চাকসুর নবনির্বাচিত সদস্য আকাশ দাশ (দাস) বুয়েটের ধর্ষণ ঘটনাকে ঘিরে তার ব্যক্তিগত ফেসবুকে যে নিন্দনীয় মন্তব্য করেছেন, আমি তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। তিনি যেন অবিলম্বে বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন, এই আহ্বান জানাচ্ছি।’

ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় লেখেন, ‘আকাশ দাস চবি ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল থেকে সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ধর্ষণকে কীভাবে নর্মালাইজড করেছে দেখেন! এরাই ক্যাম্পাসকে নারীবান্ধব ক্যাম্পাস গড়বে।’

ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মোহাম্মদ পারভেজ লেখেন, ‘সম্প্রতি চাকসুর নবনির্বাচিত নির্বাহী সদস্য আকাশ দাশ (দাস) তার ব্যক্তিগত ফেসবুক ওয়ালে বুয়েটের ধর্ষণকাণ্ড নিয়ে যে গর্হিত ও অমানবিক মন্তব্য করেছেন, আমরা তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একই সঙ্গে আমরা তার বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার আহ্বান জানাচ্ছি।’

এ ছাড়া তীব্র সমালোচনা করেছেন চাকসু নির্বাচনে বিজিত প্রার্থীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

তীব্র সমালোচনার মুখে আকাশ দাস তাঁর পূর্ববর্তী সেই পোস্ট ডিলিট করেন এবং ক্ষমা চেয়ে আরও একটি পোস্ট লেখেন। সেই পোস্টে তিনি বলেন, ‘আমার যে পোস্ট নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে আমি সে পোস্ট দেওয়ার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। আমি অপরাধীর পক্ষ নিয়েছি বিষয়টি এমন নয়, বরং ঘটনাটি সম্পর্কে আমি পুরোপুরি ওয়াকিবহাল ছিলাম না।’

আকাশ বলেন, ‘আশা করি বিষয়টা আপনারা সবাই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আমি সকলের কাছে শর্তহীন ক্ষমা চাচ্ছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘আমি বিএনপি করি, তবে শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’

ড্রাইভিং লাইসেন্সে বিআরটিএর নিয়ন্ত্রণ থাকছে না: উপদেষ্টা ফাওজুল কবির

সন্তান জন্মের ৪ মাস পর বিয়ের খবর দিলেন জেমস

সেনানিবাসের সাবজেলেই রাখা হবে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে: কারা মহাপরিদর্শক

ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষায় নতুন ৩ ব্যাটালিয়ন, দুই হাজার ২৫৮ পদ সৃষ্টি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাটহাজারী থানা চত্বরে পুলিশকে আক্রমণ, শিবিরের সাবেক সভাপতি গ্রেপ্তার

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামের হাটহাজারী মডেল থানা চত্বরে পুলিশকে আক্রমণ ও পুলিশি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মো. রায়হান (২৬) নামের এক শিবির নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) বেলা ২টার দিকে থানা চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাটহাজারী মডেল থানার এসআই রুপন নাথ।

গ্রেপ্তার রায়হান হাটহাজারী পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের হাদী চৌধুরী বাড়ির মো. আবুল কালামের ছেলে। তিনি হাটহাজারী কলেজ শাখা শিবিরের সাবেক সভাপতি ছিলেন। তিনি একাধিক মামলার আসামি বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হাটহাজারী উপজেলা জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির অধ্যাপক শোয়াইব চৌধুরী জানান, গ্রেপ্তার রায়হান একসময় হাটহাজারী কলেজের ছাত্রশিবিরের সভাপতি ছিলেন। বর্তমানে তাঁর কোনো পদ-পদবি নেই।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনজুর কাদের ভূঁইয়া জানান, গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে পৌরসভার আলীপুরের স্কুলছাত্র তানভির হত্যার আসামিদের আদালতে নেওয়া হচ্ছিল। ওই সময় শিবির নেতা রায়হানকে ছবি তুলতে ও ভিডিও ধারণ করতে থানা-পুলিশের এক কর্মকর্তা নিষেধ করেন। এতে ওই শিবির নেতা পুলিশের ওপর আক্রমণ করেন এবং পুলিশি কাজে বাধা দেন। তখন তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার রায়হানের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

তবে রায়হানকে চাকসু নির্বাচনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাটহাজারী সার্কেল) কাজী তারেক আজিজ আহত হওয়ার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে পুলিশের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘আমি বিএনপি করি, তবে শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’

ড্রাইভিং লাইসেন্সে বিআরটিএর নিয়ন্ত্রণ থাকছে না: উপদেষ্টা ফাওজুল কবির

সন্তান জন্মের ৪ মাস পর বিয়ের খবর দিলেন জেমস

সেনানিবাসের সাবজেলেই রাখা হবে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে: কারা মহাপরিদর্শক

ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষায় নতুন ৩ ব্যাটালিয়ন, দুই হাজার ২৫৮ পদ সৃষ্টি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত