গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
ঝড়-বৃষ্টি কিংবা গভীর রাতে কোনো অপমৃত্যুর ঘটনা ঘটলেই থানা থেকে ডাক পড়ে বারেকের। লাশ টানার ভ্যানগাড়ি নিয়ে বারেক ছুটে চলেন মরদেহ আনতে। সুরতহালের পর সেই লাশ নিয়ে যান থানায়, সেখান থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে। পোস্ট মর্টেমের পর তা পৌঁছে দেন আত্মীয়দের কাছে। সম্পূর্ণ কাজ তিনি একাই করেন।
বারেক ডোমের পুরো নাম আবদুল বারেক। ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌর শহরের ছয়গন্ডা মহল্লার মৃত মাহফিজের ছেলে তিনি। পেশায় ছিলেন রিকশাচালক। তবে এখন তিনি বারেক ডোম হিসেবেই পরিচিত।
রিকশাচালক থেকে ডোম হওয়ার গল্প জানতে চাইলে বারেক বলেন, ‘২৫ বছর আগে উপজেলার মাওহা ইউনিয়নের বরইকান্দি গ্রামে চার-পাঁচ দিনের পচা একটি মরদেহ উদ্ধার হয়। তখন থানায় কোনো ডোম নেই। কেউ রাজি হয় না সেই লাশ থানায় নিতে। দারোগা জোর করে লাশ আমার রিকশায় তুলে দেন। সেই থেকে শুরু। তারপর কোনো অপমৃত্যুর ঘটনা ঘটলেই থানা থেকে ডাক পড়ে।’
বারেক আরও বলেন, ‘থানায় তখন কোনো ভ্যানগাড়ি ছিল না। আমি নিজ খরচে একটি ভ্যানগাড়ি বানিয়ে নেই। সেই ভ্যানগাড়িও এখন নষ্ট। অন্য একটি রিকশার সঙ্গে ভ্যানগাড়ি জুড়ে লাশ টানি। এত কিছুর পরও থানায় আমার স্থায়ী নিয়োগ হয়নি। ফলে নিয়মিত বেতন-ভাতাও পাই না। লাশপ্রতি দুই থেকে তিন হাজার টাকা পাই। তা দিয়েই কোনো রকমে চলে সংসার। সব সময় তো আর কাজ থাকে না, তখন অর্থসংকটে পড়তে হয়।’
লাশ আনতে গিয়ে কখনো ভয় পেয়েছেন কি না, জানতে চাইলে বারেক ডোম বলেন, ‘প্রায় ১২ বছর আগের ঘটনা। মাঝরাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে লাশ নিয়ে ফিরছিলাম। শ্যামগঞ্জ বাজারের কাছে যেতেই হঠাৎ ভ্যান থেমে যায়। মনে হচ্ছিল কে যেন পেছন থেকে টেনে ধরেছে, অথবা লাশের ওপর কিছু একটা বসে আছে। অন্ধকারে কিছু দেখা যায় না। তখন ভয়ে আঁতকে উঠি, সারা শরীর ঘেমে ভিজে যায়। পরে পকেটে থাকা টর্চ জ্বালিয়ে দেখি এক পাগল ভ্যানে লাশের ওপর বসে আছে। সেদিন খুব ভয় পেয়েছিলাম।’
বারেক আরও জানান, ২৫ বছরে তিন হাজারের বেশি মরদেহ বহন করেছেন তিনি। ২০টির বেশি লাশ কবর থেকে তুলেছেন। অর্ধশতাধিক পচা-গলা মরদেহ হাতে ধরেছেন। শুরুতে এসব করতে খুব খারাপ লাগত, এখন অভ্যাস হয়ে গেছে।
গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘থানায় নিয়োগপ্রাপ্ত কোনো ডোম নেই। বারেক দীর্ঘদিন যাবৎ মরদেহ টানার কাজ করছে। তাকে কোনো মাসিক বেতন দেওয়া হয় না, সে চুক্তিভিত্তিক কাজ করে।’
ঝড়-বৃষ্টি কিংবা গভীর রাতে কোনো অপমৃত্যুর ঘটনা ঘটলেই থানা থেকে ডাক পড়ে বারেকের। লাশ টানার ভ্যানগাড়ি নিয়ে বারেক ছুটে চলেন মরদেহ আনতে। সুরতহালের পর সেই লাশ নিয়ে যান থানায়, সেখান থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে। পোস্ট মর্টেমের পর তা পৌঁছে দেন আত্মীয়দের কাছে। সম্পূর্ণ কাজ তিনি একাই করেন।
বারেক ডোমের পুরো নাম আবদুল বারেক। ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌর শহরের ছয়গন্ডা মহল্লার মৃত মাহফিজের ছেলে তিনি। পেশায় ছিলেন রিকশাচালক। তবে এখন তিনি বারেক ডোম হিসেবেই পরিচিত।
রিকশাচালক থেকে ডোম হওয়ার গল্প জানতে চাইলে বারেক বলেন, ‘২৫ বছর আগে উপজেলার মাওহা ইউনিয়নের বরইকান্দি গ্রামে চার-পাঁচ দিনের পচা একটি মরদেহ উদ্ধার হয়। তখন থানায় কোনো ডোম নেই। কেউ রাজি হয় না সেই লাশ থানায় নিতে। দারোগা জোর করে লাশ আমার রিকশায় তুলে দেন। সেই থেকে শুরু। তারপর কোনো অপমৃত্যুর ঘটনা ঘটলেই থানা থেকে ডাক পড়ে।’
বারেক আরও বলেন, ‘থানায় তখন কোনো ভ্যানগাড়ি ছিল না। আমি নিজ খরচে একটি ভ্যানগাড়ি বানিয়ে নেই। সেই ভ্যানগাড়িও এখন নষ্ট। অন্য একটি রিকশার সঙ্গে ভ্যানগাড়ি জুড়ে লাশ টানি। এত কিছুর পরও থানায় আমার স্থায়ী নিয়োগ হয়নি। ফলে নিয়মিত বেতন-ভাতাও পাই না। লাশপ্রতি দুই থেকে তিন হাজার টাকা পাই। তা দিয়েই কোনো রকমে চলে সংসার। সব সময় তো আর কাজ থাকে না, তখন অর্থসংকটে পড়তে হয়।’
লাশ আনতে গিয়ে কখনো ভয় পেয়েছেন কি না, জানতে চাইলে বারেক ডোম বলেন, ‘প্রায় ১২ বছর আগের ঘটনা। মাঝরাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে লাশ নিয়ে ফিরছিলাম। শ্যামগঞ্জ বাজারের কাছে যেতেই হঠাৎ ভ্যান থেমে যায়। মনে হচ্ছিল কে যেন পেছন থেকে টেনে ধরেছে, অথবা লাশের ওপর কিছু একটা বসে আছে। অন্ধকারে কিছু দেখা যায় না। তখন ভয়ে আঁতকে উঠি, সারা শরীর ঘেমে ভিজে যায়। পরে পকেটে থাকা টর্চ জ্বালিয়ে দেখি এক পাগল ভ্যানে লাশের ওপর বসে আছে। সেদিন খুব ভয় পেয়েছিলাম।’
বারেক আরও জানান, ২৫ বছরে তিন হাজারের বেশি মরদেহ বহন করেছেন তিনি। ২০টির বেশি লাশ কবর থেকে তুলেছেন। অর্ধশতাধিক পচা-গলা মরদেহ হাতে ধরেছেন। শুরুতে এসব করতে খুব খারাপ লাগত, এখন অভ্যাস হয়ে গেছে।
গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘থানায় নিয়োগপ্রাপ্ত কোনো ডোম নেই। বারেক দীর্ঘদিন যাবৎ মরদেহ টানার কাজ করছে। তাকে কোনো মাসিক বেতন দেওয়া হয় না, সে চুক্তিভিত্তিক কাজ করে।’
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য। মঙ্গলবার রাতে একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কা লাগার পর কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়। গুরুতর আহত অবস্থায় ঢামেকে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।
৪ মিনিট আগেঢাকার মূল সড়কগুলোতে ব্যাটারিচালিত অবৈধ রিকশাগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ মে) অভিযান পরিচালনার সময় বেশ কয়েকটি রিকশা ক্রেন দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। তবে গুঁড়িয়ে দেওয়া তিন রিকশার চালকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
১ ঘণ্টা আগেকুষ্টিয়া সদর উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী ও দুই শিশুসন্তানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম করেছেন মামুন নামের এক ব্যক্তি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানে স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। স্ত্রী-সন্তানদের ওপর নৃশংস হামলার পর মামুন নিজেও গলায় ছুরিকাঘাত করে ‘আত্মহত্যার’ চেষ্টা করেন।
১ ঘণ্টা আগেবরিশাল নগরীতে যুবলীগ নেতার হয়ে জমি দখলচেষ্টার ঘটনায় অভিযুক্ত মহানগর বিএনপির দুই যুগ্ম আহ্বায়ককে শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দেওয়া শোকজে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দিতে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় বিএনপি। বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল কবির রিজভী শোকজে স্বাক্ষর করেছেন।
২ ঘণ্টা আগে