নেত্রকোনা প্রতিনিধি
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে প্রতিবেশীদের মধ্যে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের আটজন আহত হন। তাঁদের মধ্যে একজন চিকিৎসা নেওয়ার সময় হাসপাতালে ঢুকে তাঁকে ফের মারধর করা হয়। এ ঘটনায় উভয়পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, গতকাল বুধবার বিকেলে উপজেলার কেওয়ারদীঘি গ্রামের মারধরের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, গতকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে কেওয়ারদীঘি গ্রামের প্রতিবেশী রুবেল মিয়া ও রতন মিয়ার মধ্যে বাচ্চাদের বকাঝকা করা নিয়ে ঝগড়া শুরু হয়। একপর্যায়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পরিবারের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে একপক্ষের রুবেল মিয়াসহ চারজন আহত হয়। অপরপক্ষের রতন মিয়াসহ তিন-চারজন আহত হয়।
বিকেলে আহত রুবেল মিয়াকে মোহনগঞ্জ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে সেখানেও হামলা চালায় প্রতিপক্ষের লোকজন। এ সময় রুবেলকে দেখতে হাসপাতালে যায় তাঁর চাচাতো ভাই রিপন। রিপনেকেও লোহার রড দিয়ে পেটায় রতনের লোকজন। পরে চিকিৎসকেরা থানায় খবর দিলে পুলিশ হাসপাতালে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
হামলার শিকার রুবেল মিয়া বলেন, ‘বেলা ১১টার দিকে ছোটদের বিষয় নিয়ে তর্কাতর্কির জেরে রতনের পরিবারের লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমিসহ পরিবারের চারজন আহত হই। পরে বিকেলে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে জরুরি বিভাগে গেলে সেখানে রতনের ভাতিজা আশরাফের নেতৃত্বে ৮-১০ জন যুবক রড নিয়ে এসে আমার ওপর হামলা চালায়।’
চিকিৎসকেরা তাঁদের পরে শান্ত করতে না পেরে পুলিশে খবর দেয়। এতে তাঁরা বাইরে গিয়ে গেটের কাছে চাচাতো ভাই রিপনকে পেয়ে তাঁকেও রড দিয়ে বেদম পেটায় বলে তিনি জানান।
আহত রিপন জানান, ‘আমি রোগী দেখতে এসেছিলাম। এর মধ্যে আশরাফ ও তাঁর সঙ্গীরা রড দিয়ে পিটিয়ে আমাকে জখম করেছে। আমার ছয়টি দাঁত নড়ে গেছে। এগুলো ফেলে দিতে হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। এ ঘটনায় রাতে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।’
এদিকে প্রতিপক্ষের রতন মিয়া বলেন, ‘ঝগড়া শুরু করেছে রুবেলের পরিবারের লোকজন। এর জেরে আমাকে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। হাসপাতালের ভেতরে মারধরের বিষয়টি আমার জানা নেই।’
হাসপাতালের ভেতর হামলার বিষয়ে আশরাফের বক্তব্য জানতে চেয়ে তাঁর মোবাইল ফোনে কল করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) পার্থ সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা আহত রোগীর ওপর হামলা চালালে আমরা পুলিশে খবর দিই। পুলিশ আসার আগেই অবশ্য হামলাকারীরা চলে যায়।’
চিকিৎসক আরও বলেন, ‘শুনেছি, গেটের কাছে আরও একজনকে তারা মারধর করেছে। মুখে আঘাত লাগায় একজনের বেশ কয়েকটি দাঁত নড়বড়ে হয়ে গেছে। ঠোঁট ও মুখের ভেতর কেটে যাওয়ায় প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে।’
ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, মারধরের ঘটনায় উভয়পক্ষ থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে প্রতিবেশীদের মধ্যে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের আটজন আহত হন। তাঁদের মধ্যে একজন চিকিৎসা নেওয়ার সময় হাসপাতালে ঢুকে তাঁকে ফের মারধর করা হয়। এ ঘটনায় উভয়পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, গতকাল বুধবার বিকেলে উপজেলার কেওয়ারদীঘি গ্রামের মারধরের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, গতকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে কেওয়ারদীঘি গ্রামের প্রতিবেশী রুবেল মিয়া ও রতন মিয়ার মধ্যে বাচ্চাদের বকাঝকা করা নিয়ে ঝগড়া শুরু হয়। একপর্যায়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পরিবারের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে একপক্ষের রুবেল মিয়াসহ চারজন আহত হয়। অপরপক্ষের রতন মিয়াসহ তিন-চারজন আহত হয়।
বিকেলে আহত রুবেল মিয়াকে মোহনগঞ্জ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে সেখানেও হামলা চালায় প্রতিপক্ষের লোকজন। এ সময় রুবেলকে দেখতে হাসপাতালে যায় তাঁর চাচাতো ভাই রিপন। রিপনেকেও লোহার রড দিয়ে পেটায় রতনের লোকজন। পরে চিকিৎসকেরা থানায় খবর দিলে পুলিশ হাসপাতালে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
হামলার শিকার রুবেল মিয়া বলেন, ‘বেলা ১১টার দিকে ছোটদের বিষয় নিয়ে তর্কাতর্কির জেরে রতনের পরিবারের লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমিসহ পরিবারের চারজন আহত হই। পরে বিকেলে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে জরুরি বিভাগে গেলে সেখানে রতনের ভাতিজা আশরাফের নেতৃত্বে ৮-১০ জন যুবক রড নিয়ে এসে আমার ওপর হামলা চালায়।’
চিকিৎসকেরা তাঁদের পরে শান্ত করতে না পেরে পুলিশে খবর দেয়। এতে তাঁরা বাইরে গিয়ে গেটের কাছে চাচাতো ভাই রিপনকে পেয়ে তাঁকেও রড দিয়ে বেদম পেটায় বলে তিনি জানান।
আহত রিপন জানান, ‘আমি রোগী দেখতে এসেছিলাম। এর মধ্যে আশরাফ ও তাঁর সঙ্গীরা রড দিয়ে পিটিয়ে আমাকে জখম করেছে। আমার ছয়টি দাঁত নড়ে গেছে। এগুলো ফেলে দিতে হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। এ ঘটনায় রাতে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।’
এদিকে প্রতিপক্ষের রতন মিয়া বলেন, ‘ঝগড়া শুরু করেছে রুবেলের পরিবারের লোকজন। এর জেরে আমাকে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। হাসপাতালের ভেতরে মারধরের বিষয়টি আমার জানা নেই।’
হাসপাতালের ভেতর হামলার বিষয়ে আশরাফের বক্তব্য জানতে চেয়ে তাঁর মোবাইল ফোনে কল করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) পার্থ সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা আহত রোগীর ওপর হামলা চালালে আমরা পুলিশে খবর দিই। পুলিশ আসার আগেই অবশ্য হামলাকারীরা চলে যায়।’
চিকিৎসক আরও বলেন, ‘শুনেছি, গেটের কাছে আরও একজনকে তারা মারধর করেছে। মুখে আঘাত লাগায় একজনের বেশ কয়েকটি দাঁত নড়বড়ে হয়ে গেছে। ঠোঁট ও মুখের ভেতর কেটে যাওয়ায় প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে।’
ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, মারধরের ঘটনায় উভয়পক্ষ থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চিঠিতে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছে। পাঁচ দিনের মধ্যে নির্দিষ্ট ঠিকানায় টাকা না পৌঁছালে লাশ গুম করে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী হায়দার স্বপনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়েছে পুলিশ।
২ মিনিট আগেজয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার দানেশপুর এলাকা থেকে কষ্টিপাথরের বিষ্ণুমূর্তিসহ দুই পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
৩ মিনিট আগেআগামী জাতীয় নির্বাচনে অবৈধ সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে ডিএসসিসিতে প্রশাসক বসতে দেওয়া হবে বলে মনে করেন বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। আজ সোমবার দুপুরে (১৬ জুন) নগর ভবনের অডিটরিয়ামে পরিচ্ছন্ন ঢাকা ও নাগরিক সেবা নিশ্চিতকল্পে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা
৩৬ মিনিট আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ ও গোমস্তাপুর উপজেলায় ঈদুল আজহার ছুটি চলার সময় গত এক সপ্তাহে চারটি হত্যাকাণ্ড হয়েছে। এর মধ্যে জমিসংক্রান্ত বিরোধের কারণে তিনটি খুনের ঘটনা ঘটেছে। অন্যটি ক্রিকেট খেলার দ্বন্দ্ব নিয়ে ঘটেছে। এসব ঘটনায় আহত এক জনপ্রতিনিধিসহ ১১ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শিবগঞ্জ ও গোমস্তাপুর থানায় এসব
১ ঘণ্টা আগে