Ajker Patrika

বেড়েই চলেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষজন 

মেলান্দহ (জামালপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৭: ৩৮
বেড়েই চলেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষজন 

জামালপুরের মেলান্দহে শীতকালীন সবজির পাশাপাশি অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষজন। দোকানে মূল্যতালিকা টাঙানোর কথা থাকলেও ব্যবসায়ীরা তা মানছেন না। ফলে প্রতিদিনই সাধারণ ক্রেতাদের দামের পার্থক্য দেখতে হয়। 

আজ রোববার সকালে মেলান্দহ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬৮ থেকে ১৭০ টাকা কেজি। বোতলজাত তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকায়। পাঁচ লিটার তেলের বোতল কিনতে দিতে হচ্ছে ৭৪৫ থেকে ৮০০ টাকা। 

সাজ্জাদ হোসেন নামে এক ক্রেতা বলেন, দিনে যে কয় টাকা ইনকাম হয়, তা দিয়ে তেল, ডাল, পেঁয়াজ-রসুন কিনতেই শেষ। সয়াবিন তেলের দাম ১৭০ টাকা। এক কেজি তেল কিনে অন্য বাজার করতে গেলে দেখা যায় টাকা প্রায় শেষ। এখন সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে তেলের। 

শাহনাজ বেগম নামে এক গৃহিণী বলেন, ‘সবকিছুরই দাম বেড়েছে, এখন তো গরিবের মরণ। আমাদের মতো গরিব মানুষের করার কিছুই নেই। কদিন আগে তেলের দাম একটু কম ছিল। আজ বাজারে এসে দেখি সয়াবিন তেলের দাম আগের চেয়ে ২০ টাকা বেড়েছে। দাম বাড়লে সরকারের কিছুই হয় না, যত মরণ গরিবের।’ 

হাজরাবাড়ী পৌরসভার কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, মৌসুমেও অনেক সবজি বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। ফুলকপি ৬০ টাকায়, বেগুন ৬০ ও পেঁয়াজ ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দুই দিন আগেও যা ছিল ২৫-৩০ টাকা কেজি। পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১০ টাকা। বেগুনের বেড়েছে ২০ টাকা। তবে নতুন আলুর দাম স্থিতিশীল রয়েছে। 

কাঁচাবাজারে আসা ক্রেতা বাদল মিয়া বলেন, ‘শীতকালীন শাকসবজির দাম ১০-২০ টাকা বেড়েছে। গরিব মানুষের কেনার ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। মুরগি কিনতে গেলাম দেখি ১৫৬ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। সেখানেও চড়া দাম। তাই মুরগি না কিনে এখন ডিম ও কিছু সবজি কিনে বাড়ি যাচ্ছি।’ 

কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিদিন বাড়ছে শাকসবজির দাম। আমরা বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করছি। এ কারণে ক্রেতাদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়।’ 

মেলান্দহ বাজারের ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘তেলের দাম বেড়েছে দ্বিগুণ। আমরা পাইকারি ১৬৫ টাকা কেজি দরে সয়াবিন তেল বিক্রি করছি। এতে সীমিত লাভ হয়। মসুর ডালও দুদিনে ১০ টাকা বেড়েছে।’

মেলান্দহ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘বাজার সহনশীল করার লক্ষ্যে আমরা তদারকি শুরু করব। তদারকির জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।’ 

সহকারী কমিশনার আরও বলেন, বাজারমূল্যের চেয়ে বেশি দামে তেল বিক্রি করা যাবে না। প্রতিটি দোকানে মূল্যতালিকা টাঙাতে হবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত