ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ময়মনসিংহে স্বামী হত্যা মামলায় স্ত্রীসহ দুজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক আলী মনসুর এই রায় ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার গোরকপুর গ্রামের বাসিন্দা ও ভিকটিমের স্ত্রী মোছা. সাবিনা খাতুন (৩৩) ও তাঁর পরকীয়া প্রেমিক একই এলাকার বাসিন্দা মো. লিয়াকত আলী (৩৬)।
আদালত পরিদর্শক (ওসি) পিএসএম মোস্তাছিনুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক আলী মনসুর আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করেন বিচারক।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবিনা খাতুন একই এলাকার লিয়াকত আলীর ঢাকার বাসায় থেকে গৃহপরিচারিকার কাজ করতেন। সেই থেকে লিয়াকত তাঁর স্ত্রীর অগোচরে সাবিনা খাতুনের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে তোলেন। পরে করোনার সময় ২০২১ সালে লিয়াকত সপরিবারে ঢাকা থেকে নিজ বাড়ি গোরকপুরে ফিরে আসেন। সাবিনা খাতুনও ঢাকা থেকে ফিরে তাঁর বাবার বাড়িতে বসবাস করতে থাকেন।
অপর দিকে, একই গ্রামের বাসিন্দা ভিকটিম হজরত আলীর প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর একাই ছিলেন। পরে সামাজিক আলোচনার মাধ্যমে হজরত আলীর সঙ্গে বিয়ে হয় সাবিনা খাতুনের। সংসার করার সময় প্রায়ই লিয়াকত আলী হজরত আলীর বাড়িতে যাতায়াত করে সাবিনা খাতুনের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক চালিয়ে যেতে থাকেন।
ঘটনার মাসখানেক আগে হজরত আলী তাঁর ঘরে সাবিনা খাতুন ও লিয়াকত আলীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পেয়ে উভয়কে গালমন্দ করেন। এ রকম অবস্থায় অনৈতিক সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়ার পথে হজরত আলীকে বাধা মনে করেন তাঁরা। পরে উভয়ে হজরত আলীকে হত্যার জন্য পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে দিনক্ষণ নির্ধারণ করেন।
ঘটনার দিন ২০২১ সালের ২৯ আগস্ট রাত ৮টার দিকে সাবিনা খাতুন মোবাইলে হজরত আলীকে আসামি মো. লিয়াকত আলীর সঙ্গে দেখা করতে বলেন। ওই দিন রাতে হজরত আলী গোরকপুর বাজারে লিয়াকতের সঙ্গে দেখা করলে কৌশলে কুতিকুড়া আঁতলা বিলে নিয়ে তাঁকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করেন। হত্যার পর মরদেহ মাটিতে পুঁতে রাখেন এবং হজরত আলীকে হত্যার বিষয়টি মোবাইলে সাবিনাকে জানায় লিয়াকত। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হলে পুলিশ দীর্ঘ তদন্ত শেষে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
এই মামলার রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট শামীমুল আজম খান লিছন ও বিবাদীপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আকবর আলী খান।
ময়মনসিংহে স্বামী হত্যা মামলায় স্ত্রীসহ দুজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক আলী মনসুর এই রায় ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার গোরকপুর গ্রামের বাসিন্দা ও ভিকটিমের স্ত্রী মোছা. সাবিনা খাতুন (৩৩) ও তাঁর পরকীয়া প্রেমিক একই এলাকার বাসিন্দা মো. লিয়াকত আলী (৩৬)।
আদালত পরিদর্শক (ওসি) পিএসএম মোস্তাছিনুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক আলী মনসুর আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করেন বিচারক।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবিনা খাতুন একই এলাকার লিয়াকত আলীর ঢাকার বাসায় থেকে গৃহপরিচারিকার কাজ করতেন। সেই থেকে লিয়াকত তাঁর স্ত্রীর অগোচরে সাবিনা খাতুনের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে তোলেন। পরে করোনার সময় ২০২১ সালে লিয়াকত সপরিবারে ঢাকা থেকে নিজ বাড়ি গোরকপুরে ফিরে আসেন। সাবিনা খাতুনও ঢাকা থেকে ফিরে তাঁর বাবার বাড়িতে বসবাস করতে থাকেন।
অপর দিকে, একই গ্রামের বাসিন্দা ভিকটিম হজরত আলীর প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর একাই ছিলেন। পরে সামাজিক আলোচনার মাধ্যমে হজরত আলীর সঙ্গে বিয়ে হয় সাবিনা খাতুনের। সংসার করার সময় প্রায়ই লিয়াকত আলী হজরত আলীর বাড়িতে যাতায়াত করে সাবিনা খাতুনের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক চালিয়ে যেতে থাকেন।
ঘটনার মাসখানেক আগে হজরত আলী তাঁর ঘরে সাবিনা খাতুন ও লিয়াকত আলীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পেয়ে উভয়কে গালমন্দ করেন। এ রকম অবস্থায় অনৈতিক সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়ার পথে হজরত আলীকে বাধা মনে করেন তাঁরা। পরে উভয়ে হজরত আলীকে হত্যার জন্য পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে দিনক্ষণ নির্ধারণ করেন।
ঘটনার দিন ২০২১ সালের ২৯ আগস্ট রাত ৮টার দিকে সাবিনা খাতুন মোবাইলে হজরত আলীকে আসামি মো. লিয়াকত আলীর সঙ্গে দেখা করতে বলেন। ওই দিন রাতে হজরত আলী গোরকপুর বাজারে লিয়াকতের সঙ্গে দেখা করলে কৌশলে কুতিকুড়া আঁতলা বিলে নিয়ে তাঁকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করেন। হত্যার পর মরদেহ মাটিতে পুঁতে রাখেন এবং হজরত আলীকে হত্যার বিষয়টি মোবাইলে সাবিনাকে জানায় লিয়াকত। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হলে পুলিশ দীর্ঘ তদন্ত শেষে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
এই মামলার রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট শামীমুল আজম খান লিছন ও বিবাদীপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আকবর আলী খান।
‘যদি টাহা দিত তাইলে আমার বাবারে গুলি কইর্যা মারত না। আমার ছাওয়ালরে আইন্না দে রে... আমি টাহা চাই না রে...।’ এসব বলতে বলতে বিলাপ করছেন লিবিয়ায় নিহত আকাশ হাওলাদার ওরফে রাসেলের মা লিপিয়া বেগম।
২ ঘণ্টা আগেবইমেলার দ্বিতীয় দিন ছিল গতকাল। ঝকঝকে নতুন স্টল আর প্যাভিলিয়নগুলো এরই মধ্যে দর্শক-ক্রেতার পদচারণে মুখর। নতুন বইয়ের খোঁজখবর নিচ্ছেন বইপ্রেমীরা। নতুন বই অবশ্য আসা শুরু হয়েছে মাত্র। প্রকাশকদের ভাষ্য, সব বই মেলায়...
২ ঘণ্টা আগেবিভিন্ন দাবিতে গতকাল রোববার রাজধানীর চারটি স্থানে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেছেন শিক্ষার্থী, জুলাই অভ্যুত্থানের আহত ছাত্র-জনতা এবং চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা। এতে মহানগরীর বড় এলাকাজুড়ে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়।
২ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নিয়েছেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহতরা। সুচিকিৎসা, পুনর্বাসন, ক্ষতিপূরণের দাবিতে রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টার দিকে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে যমুনার সামনে তারা অবস্থান নেন। এর কয়েক মিনিট পরই আহতদের সঙ্গে কথা বলতে সেখানে উপস্থিত হন বৈষম্যবিরোধী
৩ ঘণ্টা আগে