Ajker Patrika

বকশীগঞ্জে ‘বীর নিবাস’ নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ

রাশেদুল ইসলাম রনি, বকশীগঞ্জ (জামালপুর) 
আপডেট : ০৮ জানুয়ারি ২০২৩, ২১: ১৪
বকশীগঞ্জে ‘বীর নিবাস’ নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ

জামালপুরের বকশীগঞ্জে বীর নিবাস নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। নির্মাণকাজে নিম্নমানের ইট, বালু ও সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন এক বীর মুক্তিযোদ্ধা। 

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ‘অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় বীর নিবাস নির্মাণকাজ চলছে। এতে জামালপুরের বকশীগঞ্জে ২৯টি বীর নিবাস নির্মিত হচ্ছে। প্রায় ৪ শতাংশ জমির ওপর নির্মিত প্রতিটি ভবন নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪ লাখ ১০ হাজার টাকা। বীর নিবাসে দুটি শোবার ঘর, একটি রান্নাঘর, একটি খাবার ঘর ও দুটি বাথরুম থাকছে।

বকশীগঞ্জে ২৯টি বীর নিবাস নির্মাণে কাজ করছেন কয়েকজন ঠিকাদার। এর মধ্যে ছয়টি বীর নিবাসের নির্মাণকাজ করছেন বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ঠিকাদার সাইফুল ইসলাম খান বিজয়। 

অভিযোগ থেকে জানা গেছে, বীর নিবাস নির্মাণে ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্নমানের ইট, বালু ও সিমেন্ট। এতে ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় যেকোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কাজের অনিয়মে বাধা দেওয়া হলেও জোর করে নির্মাণকাজ অব্যাহত রেখেছেন ঠিকাদার।

উপজেলার সদর ইউনিয়নের সূর্যনগর এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদেরের ছেলে মো. সোহেল বলেন, ‘বীর নিবাসের নির্মাণকাজে অনিয়ম হইছে। ইট দিছে তিন নম্বর। এ ছাড়া নিম্নমানের সিমেন্ট ও বালু দিছে। কিছুদিন আগে সাত বস্তা বালুর মধ্যে এক বস্তা সিমেন্ট দিয়ে কাজ করেছে।’ 

বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদের বলেন, ‘বীর নিবাসের নির্মাণকাজ ভালো চাই। এক নম্বর ইট ও ভালো মানের সিমেন্ট-বালু দিয়ে কাজ করা হোক।’ 

অভিযোগের বিষয়ে ঠিকাদার সাইফুল ইসলাম বিজয় বলেন, ‘আমি কোথাও কোনো কাজ খারাপ করি নাই। যদি কাজ খারাপ হয়, তাহলে আমি সেটি সংশোধন করে দেব।’ 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনমুন জাহান লিজা বলেন, ‘অভিযোগ পেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে সরেজমিনে গিয়েছিলাম। এ বিষয়ে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্মাণকাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। নির্মাণসামগ্রী পরীক্ষা করে যদি নিম্নমানের ইট পাওয়া যায়, তাহলে ঘর ভেঙে নতুন করে নির্মাণ করা হবে।’

বকশীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, `যদি কোনো ঘরের নির্মাণকাজ ভালো না হয়, তাহলে অর্থ বরাদ্দ ও কাজ বন্ধ থাকবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কুয়েটে ক্লাস বর্জন নিয়ে শিক্ষক সমিতিতে মতবিরোধ, এক শিক্ষকের পদত্যাগ

২ ম্যাচ খেলেই মোস্তাফিজ কীভাবে ৬ কোটি রুপি পাবেন

দুটি নোবেলের গৌরব বোধ করতে পারে চবি: প্রধান উপদেষ্টা

বিড়াল নির্যাতনের ঘটনায় গ্রামীণফোন ও অ্যারিস্টোফার্মা কেন আলোচনায়

বাগ্‌বিতণ্ডার মধ্যে সাম্যকে ইট ও ধারালো অস্ত্রের আঘাত করা হয়: ডিএমপি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত