Ajker Patrika

সরকারি গাছ: থাকলে আপদ, কাটলে বিপদ! 

গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
সরকারি গাছ: থাকলে আপদ, কাটলে বিপদ! 

থাকলে আপদ, কাটলে বিপদ—এটা সরকারি গাছ বিষয়ে গ্রামীণ প্রবাদ। বিশেষ করে সড়কের পাশে লাগানো গাছ প্রায়ই ঝড় বৃষ্টিতে রাস্তা কিংবা ফসলি জমিতে উপড়ে পড়ে বা ঝুঁকিপূর্ণভাবে ঝুলে থাকে। এসব গাছ চাইলেই কেউ কাটতে পারে না। রয়েছে হাজারটা নিয়মকানুন ও বিধিনিষেধ। এসব আনুষ্ঠানিকতার ভয়ে ও হয়রানির আশঙ্কায় ঝুঁকিপূর্ণ গাছ কাটতে কেউ এগিয়ে আসেন না।

সরকারি গাছ কাটতে বন বিভাগের অনুমতি লাগে। প্রশাসন বলছে, ঝড়-বৃষ্টিতে পড়ে যাওয়া গাছ যদি সড়ক কিংবা জনগণের চলাচল কিংবা কোনো রকম সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায় তবে বন বিভাগ বা সংশ্লিষ্ট ইউপি বা পৌরসভা তা কাটতে পারে। কিন্তু বছরের পর বছর ময়মনসিংহের গৌরীপুরে বিভিন্ন সড়কে অর্ধশত ঝুঁকিপূর্ণ গাছ থাকলেও তা কাটতে এগিয়ে আসছে না কেউ।

এদিকে গৌরীপুর রেঞ্জের বন কর্মকর্তা লুৎফর রহমানের দেখা পাওয়াও কঠিন! অভিযোগ রয়েছে, মাসে দু-এক দিন যদিও তিনি কার্যালয়ে আসেন তাও কয়েক মিনিটের জন্য। তিনি ছাড়া এসব গাছ কাটার অনুমতি কেউ দিতে পারেন না। এসব নানা জটিলতায় বছরের পর বছর বিপজ্জনকভাবে গৌরীপুরে রাস্তার ওপর ঝুলে আছে অর্ধশতাধিক মৃত বা অর্ধমৃত গাছ। 

আজ শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায়, এলজিইডির গৌরীপুর-কলতাপাড়া সড়কের তাঁতকুড়া বাজারের পাশে একটি ও গৌরীপুর-শ্যামগঞ্জ সড়কের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সীমানা প্রাচীরের পাশে একটি গাছ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় সড়কের ওপর ঝুলে আছে। বড় যানবাহনগুলো ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। 

এ ছাড়া গৌরীপুর-শাহগঞ্জ, গৌরীপুর-বোকাইনগর সড়কেও বেশ কয়েকটি গাছ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। উপজেলার বিভিন্ন সড়কে প্রায় অর্ধশত গাছ বছরের পর বছর এভাবে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। 

তবে কর্তৃপক্ষ এসব ঝুঁকিপূর্ণ গাছ না কাটলেও রাতের আঁধারে গায়েব হয়ে যাচ্ছে সুস্থ সবল গাছ। সড়কটিতে ঘুরে গাছ চুরির আলামতও পাওয়া গেছে। 

তাঁতকুড়া গ্রামের সাইফুল আলম বলেন, কয়েক বছর যাবৎ একটি গাছ সড়ক ও বিদ্যুতের তারের ওপর ঝুলে আছে, অথচ কাটা হচ্ছে না। অপরদিকে শত শত গাছ রাতের আঁধারে সড়ক থেকে গায়েব হয়ে যাচ্ছে, দেখার কেউ নেই। 

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে গৌরীপুর উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. লুৎফর রহমানের ফোন নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি জবাব দেননি। 

গৌরীপুর আবাসিক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) আব্দুল্লাহ আল নোমান জানান, প্রতিটি সড়কের পাশেই বিদ্যুতের তার রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এসব গাছ ভেঙে পড়লে বিদ্যুৎ বিতরণের তার ও খুঁটির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা আছে। 

গৌরীপুর উপজেলা প্রকৌশলী আবু সালেহ মো. ওয়াহেদুল হক বলেন, ‘তাঁতকুড়া বাজারের পাশের গাছটি ডৌহাখলা ইউনিয়নে ও হাসপাতালের পাশের গাছটি গৌরীপুর সদর ইউনিয়নের অন্তর্গত। জনস্বার্থ বিবেচনায় ঝুঁকিপূর্ণ গাছগুলো কাটতে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানের অনুরোধ করা হয়েছে। আশা করছি শিগগিরই কাটা হবে।’ 

এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাসান মারুফ বলেন, ‘এসব দেখার দায়িত্ব বন বিভাগের। গৌরীপুর বন কর্মকর্তাকে সহজে পাওয়া যায় না। তবে জনস্বার্থ বিবেচনায় ঝুঁকিপূর্ণ গাছগুলো কাটতে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘আমি বিএনপি করি, তবে শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’

ড্রাইভিং লাইসেন্সে বিআরটিএর নিয়ন্ত্রণ থাকছে না: উপদেষ্টা ফাওজুল কবির

সন্তান জন্মের ৪ মাস পর বিয়ের খবর দিলেন জেমস

সেনানিবাসের সাবজেলেই রাখা হবে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে: কারা মহাপরিদর্শক

ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষায় নতুন ৩ ব্যাটালিয়ন, দুই হাজার ২৫৮ পদ সৃষ্টি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পুলিশ পরিচয়ে সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
পুলিশ পরিচয়ে সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি

পুলিশ পরিচয়ে কিশোরগঞ্জের এক সাংবাদিককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই সাংবাদিক। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে ভুক্তভোগী সাংবাদিককে মোবাইল ফোনে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক খায়রুল ইসলাম মাসিক কালের নতুন সংবাদের সম্পাদক ও দৈনিক নওরোজের কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি। আর অভিযুক্ত জুয়েল ওরফে রুবেল ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার লংগাইর গ্রামের ছিদ্দিক মিয়ার ছেলে। হুমকি দেওয়ার সময় তিনি নিজেকে পুলিশ বলে দাবি করেন।

অভিযোগে বলা হয়, গত ২৭ আগস্ট নিকলী থানার পুলিশ কনস্টেবল বিল্লালের বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ এনে কিশোরগঞ্জ পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন এক তরুণী। এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশের জন্য অভিযুক্ত বিল্লালের বক্তব্য নেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে বিল্লালের হয়ে জুয়েল ওরফে রুবেল পুলিশ পরিচয় দিয়ে মোবাইল ফোনে বিভিন্ন থানায় মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দিয়ে হয়রানি করাসহ প্রাণনাশের হুমকি দেন।

কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুকিত সরকার বলেন, অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিষয়টি জানতে এ প্রতিবেদক হুমকিদাতাকে ফোন করলে নাম না বলে উল্টা ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে থাকেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘আমি বিএনপি করি, তবে শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’

ড্রাইভিং লাইসেন্সে বিআরটিএর নিয়ন্ত্রণ থাকছে না: উপদেষ্টা ফাওজুল কবির

সন্তান জন্মের ৪ মাস পর বিয়ের খবর দিলেন জেমস

সেনানিবাসের সাবজেলেই রাখা হবে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে: কারা মহাপরিদর্শক

ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষায় নতুন ৩ ব্যাটালিয়ন, দুই হাজার ২৫৮ পদ সৃষ্টি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বুয়েটের ঘটনায় অভিযুক্তের পক্ষে স্ট্যাটাস, পরে শর্তহীন ক্ষমা চাইলেন চাকসু নেতা

চবি প্রতিনিধি 
ছবি: আজকের পত্রিকা
ছবি: আজকের পত্রিকা

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও নারীদের কটূক্তি করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শ্রীশান্ত রায় নামের এক শিক্ষার্থীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। বুয়েটে ধর্ষণের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিতর্কিত পোস্ট দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) নবনির্বাচিত নির্বাহী সদস্য আকাশ দাস। তাঁর এই পোস্ট ঘিরে ক্যাম্পাসে তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া বিক্ষোভ সমাবেশও করেছেন শিক্ষার্থীরা।

আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

চাকসু নির্বাচনে নির্বাহী সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির মনোনীত প্যানেল থেকে নির্বাচিত হন আকাশ দাস। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) নির্বাচিত প্রতিনিধিদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। তবে ধর্ষণের মতো স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় তাঁকে ঘিরে চলছে নানা সমালোচনা। অনেকে বলছেন, তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব করার যোগ্যতা হারিয়েছেন।

বুয়েটে ধর্ষণের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দীর্ঘ এই ফেসবুক পোস্টের এক জায়গায় আকাশ দাস লেখেন, ‘একটা মেয়েকে কখনোই জোরপূর্বকভাবে ঘর থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা সম্ভব না, যদি না মেয়েটার আগ্রহ থাকে।’

ফেসবুকে তাঁর এমন মন্তব্যের পরপরই ক্যাম্পাসজুড়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক সমালোচনা।

ফেসবুক পোস্টে আকাশ লেখেন, ‘সম্প্রতি বুয়েটের ধর্ষণ কান্ড নিয়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে। যে ছেলেটা ধর্ষণ করলো সবাই তার বিচার দাবি করছে। এটা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু আমি যতটুকু বুঝি, একতরফাভাবে কখনো কাউকে দায়ী করা যায় না। ছেলেটা যদি দোষী প্রমাণিত হয় তাহলে অবশ্যই তার শাস্তি আমি দাবি করছি। কিন্তু মেয়েটা যে নির্দোষ এমনটাও তো নয়। বরং যে ধরনের ধর্ষণকাণ্ডগুলো ঘটে থাকে বেশিরভাগ মেয়েরাই ছেলেদের ফাঁসানোর জন্য ধর্ষণকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে। এখানেও এমনটা ঘটেছে কি না সেটিও তদন্তের আওতায় আনা উচিত বলে আমি মনে করি।’

আকাশ দাসের এমন মন্তব্যের বিরুদ্ধে কড়া সমালোচনা করেছেন চাকসুর নবনির্বাচিত ভিপি ইব্রাহিম রনি। এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘চাকসুর নবনির্বাচিত সদস্য আকাশ দাশ (দাস) বুয়েটের ধর্ষণ ঘটনাকে ঘিরে তার ব্যক্তিগত ফেসবুকে যে নিন্দনীয় মন্তব্য করেছেন, আমি তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। তিনি যেন অবিলম্বে বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন, এই আহ্বান জানাচ্ছি।’

ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় লেখেন, ‘আকাশ দাস চবি ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল থেকে সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ধর্ষণকে কীভাবে নর্মালাইজড করেছে দেখেন! এরাই ক্যাম্পাসকে নারীবান্ধব ক্যাম্পাস গড়বে।’

ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মোহাম্মদ পারভেজ লেখেন, ‘সম্প্রতি চাকসুর নবনির্বাচিত নির্বাহী সদস্য আকাশ দাশ (দাস) তার ব্যক্তিগত ফেসবুক ওয়ালে বুয়েটের ধর্ষণকাণ্ড নিয়ে যে গর্হিত ও অমানবিক মন্তব্য করেছেন, আমরা তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একই সঙ্গে আমরা তার বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার আহ্বান জানাচ্ছি।’

এ ছাড়া তীব্র সমালোচনা করেছেন চাকসু নির্বাচনে বিজিত প্রার্থীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

তীব্র সমালোচনার মুখে আকাশ দাস তাঁর পূর্ববর্তী সেই পোস্ট ডিলিট করেন এবং ক্ষমা চেয়ে আরও একটি পোস্ট লেখেন। সেই পোস্টে তিনি বলেন, ‘আমার যে পোস্ট নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে আমি সে পোস্ট দেওয়ার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। আমি অপরাধীর পক্ষ নিয়েছি বিষয়টি এমন নয়, বরং ঘটনাটি সম্পর্কে আমি পুরোপুরি ওয়াকিবহাল ছিলাম না।’

আকাশ বলেন, ‘আশা করি বিষয়টা আপনারা সবাই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আমি সকলের কাছে শর্তহীন ক্ষমা চাচ্ছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘আমি বিএনপি করি, তবে শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’

ড্রাইভিং লাইসেন্সে বিআরটিএর নিয়ন্ত্রণ থাকছে না: উপদেষ্টা ফাওজুল কবির

সন্তান জন্মের ৪ মাস পর বিয়ের খবর দিলেন জেমস

সেনানিবাসের সাবজেলেই রাখা হবে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে: কারা মহাপরিদর্শক

ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষায় নতুন ৩ ব্যাটালিয়ন, দুই হাজার ২৫৮ পদ সৃষ্টি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাটহাজারী থানা চত্বরে পুলিশকে আক্রমণ, শিবিরের সাবেক সভাপতি গ্রেপ্তার

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামের হাটহাজারী মডেল থানা চত্বরে পুলিশকে আক্রমণ ও পুলিশি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মো. রায়হান (২৬) নামের এক শিবির নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) বেলা ২টার দিকে থানা চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাটহাজারী মডেল থানার এসআই রুপন নাথ।

গ্রেপ্তার রায়হান হাটহাজারী পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের হাদী চৌধুরী বাড়ির মো. আবুল কালামের ছেলে। তিনি হাটহাজারী কলেজ শাখা শিবিরের সাবেক সভাপতি ছিলেন। তিনি একাধিক মামলার আসামি বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হাটহাজারী উপজেলা জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির অধ্যাপক শোয়াইব চৌধুরী জানান, গ্রেপ্তার রায়হান একসময় হাটহাজারী কলেজের ছাত্রশিবিরের সভাপতি ছিলেন। বর্তমানে তাঁর কোনো পদ-পদবি নেই।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনজুর কাদের ভূঁইয়া জানান, গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে পৌরসভার আলীপুরের স্কুলছাত্র তানভির হত্যার আসামিদের আদালতে নেওয়া হচ্ছিল। ওই সময় শিবির নেতা রায়হানকে ছবি তুলতে ও ভিডিও ধারণ করতে থানা-পুলিশের এক কর্মকর্তা নিষেধ করেন। এতে ওই শিবির নেতা পুলিশের ওপর আক্রমণ করেন এবং পুলিশি কাজে বাধা দেন। তখন তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার রায়হানের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

তবে রায়হানকে চাকসু নির্বাচনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাটহাজারী সার্কেল) কাজী তারেক আজিজ আহত হওয়ার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে পুলিশের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘আমি বিএনপি করি, তবে শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’

ড্রাইভিং লাইসেন্সে বিআরটিএর নিয়ন্ত্রণ থাকছে না: উপদেষ্টা ফাওজুল কবির

সন্তান জন্মের ৪ মাস পর বিয়ের খবর দিলেন জেমস

সেনানিবাসের সাবজেলেই রাখা হবে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে: কারা মহাপরিদর্শক

ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষায় নতুন ৩ ব্যাটালিয়ন, দুই হাজার ২৫৮ পদ সৃষ্টি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নারায়ণগঞ্জে ইট দিয়ে থেঁতলে যুবককে হত্যার ভিডিও ভাইরাল, গ্রেপ্তার ৩

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া।
ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া।

ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে বাসা থেকে তুলে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের খানপুরে আবু হানিফ (৩০) নামের যুবককে হত্যার ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন কুমিল্লার মুরাদনগরের সায়েস্তারা গ্রামের ফরচান মিয়ার ছেলে বাহার (৩৬) ও তাঁর ভাই সাইদুল ইসলাম (২৫), নারায়ণগঞ্জ শহরের মেট্রোহল এলাকার শফিকুর রহমানের ছেলে মুশফিকুর রহমান জিতু (২৯)।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাছির আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখে জড়িত অন্য আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ।

এ দিকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে বাসা থেকে তুলে নিয়ে নিরাপত্তাকর্মী আবু হানিফকে হত্যাকাণ্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

৬৫ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, একটি খোলা জায়গায় হানিফকে মাটিতে ফেলে বারবার ইট দিয়ে আঘাত করছেন কয়েকজন। অন্তত ৫-৭ জনের ওই দল দফায় দফায় তাঁকে পিটিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে।

তথ্যমতে, গত সোমবার দুপুরে আবু হানিফকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে শহরের খানপুর জোড়া ট্যাংকি মাঠে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। এক শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ তুলে তাঁকে দফায় দফায় মারধর করা হয়।

সন্ধ্যায় হানিফ সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়লে তাঁকে রাস্তায় ফেলে যান অপরাধীরা। পরে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জের খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত আবু হানিফ স্থানীয় একটি বাড়ির নৈশপ্রহরী হিসেবে কাজ করতেন। তিনি তিনি বাগেরহাটের শরণখোলার আবুল কালামের ছেলে। তাঁর স্ত্রী ও তিন সন্তান রয়েছে।

স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার আসামিরাসহ তাঁদের কয়েকজন সহযোগী আবু হানিফের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যান। এরপর খানপুর জোড়া ট্যাংকি এলাকায় দফায় দফায় মারধর করেন।

জানতে চাইলে নিহত ব্যক্তির বোন রাবেয়া বলেন, ‘দুপুরের দিকে হানিফ বাসায় শুয়ে ছিলেন। এলাকার কিছু ছেলে এসেই ভাইরে মারতে মারতে নিয়ে চলে যায়। আমাদের কোনো কথাই শোনেনি, কী কারণে মারতেছে তাও বলেনি। অনেক পরে বলতেছে সে (হানিফ) নাকি কোন বাচ্চারে ধর্ষণ করতে চাইছে। কিন্তু কোন মেয়ে-কবে, তার কিছুই আমরা জানি না।’

নিহত ব্যক্তির ভগ্নিপতি মো. ইব্রাহিম বলেন, ‘শুরু থেকে আমি ছিলাম না। আমি ছিলাম ডিউটিতে। দুপুরে আমাকে ফোন দিয়ে জানায়, এলাকার কিছু যুবক ছেলে বাসায় ঝামেলা করতেছে। ফোন পাইয়া আমি বাড়িতে আসি। বাসায় আসার পর ওই ছেলেরা আমাকে ধইরা খানপুর জোড়া টাংকির মাঠে নিয়ে আসে। তখন দেখি, আমার সম্বন্ধীর (হানিফ) ভেতরে বসাইয়া রাখছে। ১০-১২ জন যুবক পোলাপান ছিল। তাদের মধ্যে পাশের বাড়ির অভি নামের স্থানীয় একজনকে চিনেছি। সন্ধ্যায় হানিফ ভাইরে অটোতে তুলে কোথায় যেন নিয়ে চলে যায়। অনেক পরে আমরা তাঁরে হাসপাতালে পাই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘আমি বিএনপি করি, তবে শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’

ড্রাইভিং লাইসেন্সে বিআরটিএর নিয়ন্ত্রণ থাকছে না: উপদেষ্টা ফাওজুল কবির

সন্তান জন্মের ৪ মাস পর বিয়ের খবর দিলেন জেমস

সেনানিবাসের সাবজেলেই রাখা হবে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে: কারা মহাপরিদর্শক

ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষায় নতুন ৩ ব্যাটালিয়ন, দুই হাজার ২৫৮ পদ সৃষ্টি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত