Ajker Patrika

‘বেতন বোনাস চাওয়ায়’ শ্রমিককে রাতভর নির্যাতন, ৭ দিন পর মৃত্যু 

ফুলবাড়িয়া (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি 
আপডেট : ০৬ এপ্রিল ২০২৪, ২২: ৫৬
‘বেতন বোনাস চাওয়ায়’ শ্রমিককে রাতভর নির্যাতন, ৭ দিন পর মৃত্যু 

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় ঈদের বেতন বোনাস চাওয়ায় এক চালকল শ্রমিককে রশি দিয়ে বেঁধে নির্যাতনে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ শনিবার ভোরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সামিউল ইসলাম (২৬) নামের ওই চালকল শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। 

এর আগে, ২৯ এপ্রিল উপজেলার সরকার অটো ডায়ার রাইস মিলে নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অটো রাইস মিলের ব্যবস্থাপক এনামুল হককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার বনকালী গ্রামের মৃত সাইফুল ইসলামের ছেলে সামিউল ইসলাম। বাকতা মাজুমতলী গ্রামের ‘সরকার অটো ডায়ার রাইস মিলে’ চাতাল শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন তিনি। 

প্রায় এক যুগ আগে ফুলবাড়িয়া উপজেলার বাকতা আকন্দপাড়া গ্রামের মমিন মন্ডলের মেয়ে সাথী আক্তারকে বিয়ে করেন। এরপর থেকে শ্বশুড় বাড়িতেই বাস করেন। এই দম্পতির সোহান (৬) ও আব্দুল্লাহ (৪) নামের দুই ছেলে সন্তান রয়েছে। একই মিলে তাঁর শাশুড়ি মালেকা বেগম শ্রমিকদের রান্নাবান্নার কাজ করেন। 

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, গত শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাতে রাইস মিলে কাজ করার সময় ঈদের বেতন বোনাসের দাবিতে মালিক পক্ষের সঙ্গে তর্কবির্তকে জড়িয়ে পড়েন সামিউল। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রাইস মিলের মালিক আবুল কালাম সরকারের ছেলে শরিফ মিয়াসহ ৭–৮ জন কর্মচারী নিয়ে সামিউলকে মিলের গুদাম ঘরে নিয়ে রশি দিয়ে বেঁধে রাতভর নির্যাতন করেন। লোহাড় রড দিয়ে পিটিয়ে পা ও কোমড় ভেঙ্গে ফেলা হয়। রড গরম করে দুই পায়ে ছ্যাঁকা দেয়। নির্যাতনে একপর্যায়ে সামিউলের অবস্থা খারাপ হয়ে গেলে ভোরে মিল মালিকের ছেলে শরীফ মিয়া সামিউলের শ্বাশুড়িকে জানায় তাঁর মেয়ের জামাইকে রাইস মিল থেকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। 

শ্বাশুড়ি ও দুই সন্তান নিয়ে স্ত্রী সাথী আক্তার অটো রাইস মিলে গেলে তাঁদের উপস্থিতিতেও লোহার রড দিয়ে সামিউলকে পেটাতে থাকেন। স্ত্রী সন্তানদের আকুতিতে সকালে তাঁর হাত পায়ের বাঁধন খুলে দিয়ে বাড়িতে নিয়ে যেতে বলেন। 

ওই দিন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপতালে সামিউলকে ভর্তি করা হয়। ঢাকায় রেফার্ড করা হলেও টাকার অভাবে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিতে পারেননি। 

নির্যাতনের ওই ঘটনায় সামিউলের স্ত্রী সাথী আক্তার বাদী হয়ে গত বুধবার ফুলবাড়িয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় নির্যাতনের মূল অভিযুক্ত চালকলের মালিকের ছেলে শরীফ মিয়া ও ব্যবস্থাপক এনামুল হকসহ চারজনের নাম উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা কয়জনকে আসামি করা হয়। 

সামিউলের স্ত্রী সাথী আক্তার বলেন, ‘বেতন ও ঈদ বোনাস নিয়ে তর্ক করায় আমার স্বামীকে নিষ্ঠুরভাবে নির্যাতন করেন শরীফসহ তাঁর লোকজন। চোখের সামনে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে কোমর, পা ভেঙে ফেলা হয়। লোহার রড গরম করে ছ্যাঁক দেওয়া হয় দুই পায়ে। বুকের ওপর গরম চালের বস্তা রেখে দিয়ে নির্যাতন করে হত্যা করেন মিলের মালিকের লোকজন।’ 

ফুলবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহা. রাশেদুজ্জামান বলেন, ‘নির্যাতনে আহত রইস মিলের শ্রমিক সামিউল চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা যান। এ ঘটনায় মিলের ব্যবস্থাপককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

২৭ লাখ টাকার সোনার বার ও মোটরসাইকেলসহ আটক ১

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
সোনার বারসহ আটক ব্যক্তি। ছবি: আজকের পত্রিকা
সোনার বারসহ আটক ব্যক্তি। ছবি: আজকের পত্রিকা

ভারতে সোনা পাচারের চেষ্টার সময় চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এ সময় আটক ব্যক্তির কাছ থেকে প্রায় ২৭ লাখ টাকার একটি সোনার বার, মোটরসাইকেল, মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। আজ শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির সহকারী পরিচালক মো. হায়দার আলী এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানান।

আটককৃত ব্যক্তি হলেন দামুড়হুদা উপজেলার মুন্সিপুর গ্রামের জসিম বিশ্বাসের ছেলে হাসেম বিশ্বাস (৪৮)।  

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত বুধবার বিশেষ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবির একটি বিশেষ দল সীমান্ত পিলার ৯৩/৩-আর থেকে প্রায় ১ হাজার ২০০ গজ অভ্যন্তরে কুতুবপুর পাকা রাস্তার পাশে অবস্থান নেয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বিজিবি সদস্যরা মোটরসাইকেল আরোহী এক ব্যক্তিকে সীমান্তের দিকে যেতে দেখে তাঁকে থামার নির্দেশ দেন। লোকটি পালানোর চেষ্টা করলে টহল দল তাঁকে ধাওয়া করে আটক করে। তল্লাশির পর আটক ব্যক্তির লুঙ্গির ভাঁজে স্কচটেপে মোড়ানো একটি প্যাকেট পাওয়া যায়। প্যাকেটটি খুলে ১৪০ দশমিক ৫৩ গ্রাম ওজনের সোনার বারটি জব্দ করা হয়। একই সঙ্গে তাঁর ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও মোবাইল ফোনটিও জব্দ করা হয়।

বিজিবির হিসাব অনুযায়ী, জব্দকৃত সোনা, মোটরসাইকেল ও মোবাইল ফোনের মোট আনুমানিক মূল্য ২৬ লাখ ৮৩ হাজার ৫১৭ টাকা। বিজিবির সহকারী পরিচালক মো. হায়দার আলী জানান, সীমান্ত এলাকায় সব ধরনের চোরাচালান—যার মধ্যে সোনাও রয়েছে, তা প্রতিরোধ করতে বিজিবি টহল এবং নজরদারি আরও বাড়িয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঈশ্বরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রী নিহত

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি 
দুমড়েমুচড়ে যাওয়া সিএনজিচালিত অটোরিকশা। ছবি: আজকের পত্রিকা
দুমড়েমুচড়ে যাওয়া সিএনজিচালিত অটোরিকশা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষে স্বামী-স্ত্রী নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার হরিপুর জব্বার ভূঁইয়ার বাড়ির সামনে উচাখিলা-ত্রিশাল সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় নিহত দম্পতির নাতি রিফাত (৫) ও অটোরিকশাচালক বাদল মিয়াসহ (৩২) তিনজন আহত হন।

নিহতরা হলেন মো. এবাদুল হক মণ্ডল (৬০) এবং তাঁর স্ত্রী সাজেদা খাতুন (৫০)। নিহত এবাদুল হক মণ্ডল উচাখিলা ইউনিয়নের চর আলগী গ্রামের মৃত ওয়াহেদ আলী মণ্ডলের ছেলে। তিনি ভালুকার নগরবাড়ী এলাকায় কটন গ্রুপে ডাইনিং হেলপার হিসেবে কাজ করতেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আজ দুপুরের দিকে ত্রিশাল থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় এই দম্পতি নাতিকে নিয়ে ঈশ্বরগঞ্জের দাখিলের দিকে যাচ্ছিলেন। ঈশ্বরগঞ্জের রাজিবপুর ইউনিয়নের হরিপুর এলাকায় এলে অটোরিকশাটির সঙ্গে একটি পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অটোরিকশাটি সড়কের পাশা পড়ে দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে মো. এবাদুল হক নিহত হন। তাঁর স্ত্রী সাজেদা খাতুনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানা-পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

নিহতের চাচাতো ভাই ফারুক মণ্ডল বলেন, ‘এবাদুল হক তার স্ত্রী ও নাতিকে নিয়ে তার অসুস্থ মাকে দেখতে আসছিল। বাড়ি আসার আগেই সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। নাতি রিফাতকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে স্বামী-স্ত্রী নিহত হয়েছে। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলেও খবর পেয়েছি। দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহন জব্দ করা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

‎২৮ বছরে সাড়ে ১২ লাখ ব্যাগ রক্ত সরবরাহ করেছে বাঁধন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আজ শুক্রবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে কেক কেটে ও বেলুন উড়িয়ে বাঁধনের ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ শুক্রবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে কেক কেটে ও বেলুন উড়িয়ে বাঁধনের ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজভিত্তিক দেশের সবচেয়ে বড় স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সংগঠন ‘বাঁধন’ গত ২৮ বছরে ১২ লাখ ৩৫ হাজার ব্যাগ রক্ত বিনা মূল্যে সরবরাহ করেছে। এ ছাড়া বিনা মূল্যে ২৬ লাখ ৩ হাজার ৯৪৭ জন মানুষকে রক্তের গ্রুপ জানিয়ে দিয়েছে। বর্তমানে দেশের ৬১টি জেলার ৯২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিচালিত হচ্ছে বাঁধন। ‎

আজ শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এসব তথ্য জানায় সংগঠনটি।

আজ বিকেলে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে কেক কেটে ও বেলুন উড়িয়ে উদ্‌যাপন করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় র‍্যালি করেন সংগঠনটির কর্মীরা। এতে অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমেদসহ বাঁধনের উপদেষ্টা ও বিভিন্ন স্তরের কর্মীরা।

সংগঠনটির এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রতিপাদ্য ‘আটাশের আহ্বান, নিঃস্বার্থ হোক রক্তদান’।

র‍্যালি শুরুর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমেদ বলেন, বাঁধন দীর্ঘ ২৮ বছর পারি দিয়েছে। এই ২৮ বছর ধরে সংগঠনটি স্বেচ্ছায় মানবতার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। বাঁধন মানবতার কাজে আরও এগিয়ে আসুক।

‎বাঁধন ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মীর আসাদুজ্জামান রিন্টু বলেন, ‘গত ২৮ বছরে আমরা যদিও প্রায় সাড়ে ১২ লাখ ব্যাগ রক্ত বিনা মূল্যে সরবরাহ করেছি, কিন্তু আমাদের সংগঠনের সবচেয়ে বড় অবদান বলতে পারি—রক্তদানে মানুষের মানসিকতা পরিবর্তন করা। দেশের উচ্চশিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তরুণদের এবং রক্তদানে সক্ষম সুস্থ মানুষকে রক্তদানে উদ্বুদ্ধ ও সচেতন করতে পেরেছি। তাই এখন প্রতিবছর দেশে হাজার হাজার মানুষ স্বেচ্ছায় রক্তদান করছে।’

‎‎বাঁধনের ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা জানান সংগঠনটির কেন্দ্রীয় পরিষদের সভাপতি এস এম কামরুজ্জামান কাফি ও সাধারণ সম্পাদক আহমেদ রেযা জুনাইদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাঁধন কেন্দ্রীয় পরিষদের উপদেষ্টারা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাঁধন কর্মীসহ বিভিন্ন ইউনিটের কর্মীরা।

‎১৯৯৭ সালের ২৪ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ্ হল থেকে যাত্রা শুরু করে স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সংগঠন বাঁধন। স্বেচ্ছায় রক্তদানে উদ্বুদ্ধকরণ, স্বেচ্ছায় রক্তদান, অন্যান্য সেবা ও সচেতনমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সুস্থ সমাজ বিনির্মাণে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে কাজ করছে বাঁধন।

এর পাশাপাশি গত বছর বন্যায় ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, চাঁদপুরসহ সাতক্ষীরা এলাকায় ৭ হাজার ৫০০টির বেশি পরিবারের মধ্যে ত্রাণ সহযোগিতা করেছে সংগঠনটি। এ ছাড়া চলতি বছর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ‘কুইক রেসপন্স টিম’ গঠন করে রক্তদান করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন সেন্টারে এনসিপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
শাহবাগে এনসিপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ। ছবি: সংগৃহীত
শাহবাগে এনসিপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ঢাকা মহানগর ও ঢাকা জেলার সমন্বয় সভায় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগে শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। এতে একজন আহত হয়েছেন।

প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, অতীতের আর্থিক লেনদেন-সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে বংশাল ও মোহাম্মদপুর থানার নেতা-কর্মীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কনভেনশন সেন্টারের তৃতীয় তলায় এনসিপি ঢাকা মহানগর ও ঢাকা জেলার সমন্বয় সভা চলছিল। ওই সময় দ্বিতীয় তলায় এনসিপির মোহাম্মদপুর ও বংশাল থানার নেতা-কর্মীরা বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। পরে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে বংশাল থানার কর্মী মোহাম্মদ ইউসুফ আহত হন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত আজকের পত্রিকাকে জানান, দুটি থানার কয়েকজনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। তাদের থামাতে গিয়েছিল অনেকে। পরে বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে।

আর্থিক বিরোধকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষ কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সেটা আমি নিশ্চিত না।’

এনসিপির ঢাকা মহানগরীর নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কয়েক মাস আগে বংশাল থানার কয়েকজন নেতার মোহাম্মদপুরের একটি কোম্পানির সঙ্গে আর্থিক লেনদেন নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। বিষয়টি ঢাকা মহানগর উত্তরের শোয়েব নামে এক নেতাকে জানানো হলে তিনি মোহাম্মদপুর থানার রিয়ান নামে এক নেতাকে বিষয়টি সমাধানের দায়িত্ব দেন।

অভিযোগ রয়েছে, রিয়ান বংশালের নেতাদের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা নেন। এর পর থেকে রিয়ানের কাছে টাকা ফেরত চাইতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন বংশালের নেতারা। আজ কনভেনশন হলে রিয়ানের মুখোমুখি হন বংশালের নেতারা। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও সংঘর্ষ হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত