Ajker Patrika

চায়ের দোকানে বসে থাকা ব্যক্তিকে পেছন থেকে ছুরিকাঘাতে হত্যা

ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ময়মনসিংহের ভালুকায় চায়ের দোকানে বসে থাকা এক ব্যক্তিকে পেছন থেকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের লবণকোঠা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম রফিকুল ইসলাম রতন (৪০)। তিনি ওই গ্রামের মিয়াজ উদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে চুন্নু মিয়া (৪২) নামের একজনকে আটক করেছে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। তিনি ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার টাঙ্গাটিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি লবণকোঠা গ্রামে ভাড়া বাড়িতে থেকে শ্রমিকের কাজ করতেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রতন রাতে বাড়ির পাশে চায়ের দোকানে বসে ছিলেন। চুন্নু হঠাৎ দৌড়ে এসে ছুরি দিয়ে তাঁর পিঠে একাধিক আঘাত করেন। পরে আশপাশের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। রতনের সঙ্গে চুন্নুর স্ত্রীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ও কলহের জেরে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রত্যক্ষদর্শী মোসলেম উদ্দিন বলেন, ‘আমিও দোকানে বসে চা পান করছিলাম। এ সময় চুন্নু মিয়া দৌড়ে এসে কোনো কিছু না বলেই রফিকুল ইসলাম রতনের পিঠে একাধিক ছুরিকাঘাত করে। আমি বাধা দিতে গেলে আমাকেও ছুরিকাঘাতের চেষ্টা করে। তখন নিজের হাতে থাকা কাপের চা চুন্নুর মুখে ছুড়ে দিয়ে নিজেকে রক্ষা করি। সে পরে দৌড়ে তার বাসায় গিয়ে সিলিংয়ে উঠে আত্মগোপন করে। ঘটনাটি জানাজানি হলে আশপাশের লোকজন তার বাড়ি ঘিরে ফেলে পুলিশে খবর দিই।’

খবর পেয়ে ভালুকা মডেল থানার পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ওই বাসায় অভিযান চালিয়ে চুন্নুকে আটক করেন।

হবিরবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হাফিজ উদ্দিন মৃধা বলেন, ‘সোমবার রাতে আমাকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে গিয়ে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত রতনকে হাসপাতালে পাঠিয়ে দিই। তারপর জানতে পারি সে হাসপাতালে মারা গেছে। অভিযুক্ত চুন্নুকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে।’

ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সামছুল হুদা খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। কী কারণে হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে, সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত