এম. কে. দোলন বিশ্বাস, ইসলামপুর (জামালপুর)
‘কাদম্বিনী মরিয়া প্রমাণ করিল সে মরে নাই’ এটি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘জীবিত ও মৃত’ শীর্ষক গল্পের কথা। কিন্তু বাস্তবে জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় মো. ফজলুল হক পেংকু নামে এক দিনমজুর আছেন, যিনি ‘জীবিত’ থেকেও ‘মৃত’! তিনি উপজেলার গাইবান্ধা ইউনিয়নের নাপিতের চর শাহপাড়া গ্রামের মৃত নজু মিয়ার ছেলে।
সরকারি বরাদ্দের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় নাম অন্তর্ভুক্ত করতে গতকাল সোমবার ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্রে অনলাইনে আবেদন করতে যান ফজলুল হক পেংকু। আবেদন করতে গিয়ে জানতে পারেন, ভোটার তালিকায় তিনি ‘মৃত’।
ভুক্তভোগী ফজলুল হক পেংকু বলেন, ‘সরকারি চালের কার্ডের জন্য আবেদন করতে গিয়ে জানতে পারি আমি নাকি মারা গেছি! আমার আবেদন করার সুযোগ নেই। পরে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সচিব ফিরোজ আমাকে জানান, ভোটার তালিকায় আমাকে মৃত দেখানো হয়েছে। পরে তিনি ভোটার তালিকা সংশোধনের আবেদন করতে বলেন। আমি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেছি।’
ফজলুল হক বলেন, ‘আমি মারা গেলাম কবে? আমি তো মরি নাই।’ তিনি জানান, মৃত অবস্থার অবসান ঘটাতে জীবিত থেকেও নতুনভাবে ‘জীবিত’ প্রমাণ করতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এর জন্য তথ্যকেন্দ্র থেকে শুরু করে ইউপি চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত অফিসসহ নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় পর্যন্ত যেতে হচ্ছে তাঁকে। কিন্তু সমাধান সহজে পাচ্ছেন না তিনি।
রেকর্ডপত্রে ফজলুল হক পেংকু ‘মৃত’ থাকায় ‘জীবিত’ হওয়াটা এখন জরুরি হয়ে পড়েছে। কারণ এটির ওপর নির্ভর করছে বেশ কিছু মৌলিক বিষয়। সম্পত্তি রক্ষা, ওয়ারিশ ও নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং সরকারি সুযোগ-সুবিধাসহ অনেক কিছু।
ভোটার তালিকায় দেখা যায়, জীবিত ফজলুল হক পেংকু ভোটার তালিকায় মৃত! তাঁর জন্ম তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৭ খ্রিষ্টাব্দ। ভোটার তালিকায় মৃত থাকায় তিনি সরকারি ভাতার জন্য আবেদন করতে পারছেন না।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৯ সালে ভোটার তথ্য হালনাগাদের সময় ভুল তথ্য দিয়ে ওই ব্যক্তিদের মৃত দেখান তথ্য সংগ্রহকারীরা। আর তা যাচাইবাছাই ছাড়াই তাতে স্বাক্ষর করেন ভোটার তথ্য হালনাগাদে দায়িত্বে থাকা শনাক্তকারী ও সুপারভাইজাররা।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সচিব সৈয়দ ফিরোজুল আলম ফিরোজ বলেন, ‘ভোটার হালনাগাদ করার সময় ওই ব্যক্তিকে ভুলক্রমে মৃত দেখানো হয়েছে। তিনি আবেদন করেছেন। ইউপি চেয়ারম্যান তাঁর জীবিত থাকার প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সেটা সংশোধন করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।’
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মোক্তার হোসেন বলেন, জীবিত ফজলুল হক পেংকুকে ভোটার তালিকায় ভুলক্রমে মৃত দেখানো হয়েছে। তিনি আবেদন করলে সংশোধন করে দেওয়া হবে।
‘কাদম্বিনী মরিয়া প্রমাণ করিল সে মরে নাই’ এটি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘জীবিত ও মৃত’ শীর্ষক গল্পের কথা। কিন্তু বাস্তবে জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় মো. ফজলুল হক পেংকু নামে এক দিনমজুর আছেন, যিনি ‘জীবিত’ থেকেও ‘মৃত’! তিনি উপজেলার গাইবান্ধা ইউনিয়নের নাপিতের চর শাহপাড়া গ্রামের মৃত নজু মিয়ার ছেলে।
সরকারি বরাদ্দের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় নাম অন্তর্ভুক্ত করতে গতকাল সোমবার ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্রে অনলাইনে আবেদন করতে যান ফজলুল হক পেংকু। আবেদন করতে গিয়ে জানতে পারেন, ভোটার তালিকায় তিনি ‘মৃত’।
ভুক্তভোগী ফজলুল হক পেংকু বলেন, ‘সরকারি চালের কার্ডের জন্য আবেদন করতে গিয়ে জানতে পারি আমি নাকি মারা গেছি! আমার আবেদন করার সুযোগ নেই। পরে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সচিব ফিরোজ আমাকে জানান, ভোটার তালিকায় আমাকে মৃত দেখানো হয়েছে। পরে তিনি ভোটার তালিকা সংশোধনের আবেদন করতে বলেন। আমি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেছি।’
ফজলুল হক বলেন, ‘আমি মারা গেলাম কবে? আমি তো মরি নাই।’ তিনি জানান, মৃত অবস্থার অবসান ঘটাতে জীবিত থেকেও নতুনভাবে ‘জীবিত’ প্রমাণ করতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এর জন্য তথ্যকেন্দ্র থেকে শুরু করে ইউপি চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত অফিসসহ নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় পর্যন্ত যেতে হচ্ছে তাঁকে। কিন্তু সমাধান সহজে পাচ্ছেন না তিনি।
রেকর্ডপত্রে ফজলুল হক পেংকু ‘মৃত’ থাকায় ‘জীবিত’ হওয়াটা এখন জরুরি হয়ে পড়েছে। কারণ এটির ওপর নির্ভর করছে বেশ কিছু মৌলিক বিষয়। সম্পত্তি রক্ষা, ওয়ারিশ ও নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং সরকারি সুযোগ-সুবিধাসহ অনেক কিছু।
ভোটার তালিকায় দেখা যায়, জীবিত ফজলুল হক পেংকু ভোটার তালিকায় মৃত! তাঁর জন্ম তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৭ খ্রিষ্টাব্দ। ভোটার তালিকায় মৃত থাকায় তিনি সরকারি ভাতার জন্য আবেদন করতে পারছেন না।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৯ সালে ভোটার তথ্য হালনাগাদের সময় ভুল তথ্য দিয়ে ওই ব্যক্তিদের মৃত দেখান তথ্য সংগ্রহকারীরা। আর তা যাচাইবাছাই ছাড়াই তাতে স্বাক্ষর করেন ভোটার তথ্য হালনাগাদে দায়িত্বে থাকা শনাক্তকারী ও সুপারভাইজাররা।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সচিব সৈয়দ ফিরোজুল আলম ফিরোজ বলেন, ‘ভোটার হালনাগাদ করার সময় ওই ব্যক্তিকে ভুলক্রমে মৃত দেখানো হয়েছে। তিনি আবেদন করেছেন। ইউপি চেয়ারম্যান তাঁর জীবিত থাকার প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সেটা সংশোধন করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।’
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মোক্তার হোসেন বলেন, জীবিত ফজলুল হক পেংকুকে ভোটার তালিকায় ভুলক্রমে মৃত দেখানো হয়েছে। তিনি আবেদন করলে সংশোধন করে দেওয়া হবে।
রাজধানীর হাতিরঝিল মোড়ল গলিতে এক যুবদল কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে তাঁকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
১৬ মিনিট আগে২০৩০ সালের মধ্যে রাজধানীতে নিরাপদ গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে ঢাকা শহরের বাস রুট যৌক্তিকীকরণ এবং প্রতি রুটে অভিন্ন কোম্পানির অধীনে বাস সার্ভিস চালুর একটি উদ্যোগ নিয়েছিল বিগত সরকার। এজন্য ২৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প শুরু করা হয় ২০২০ সালের ১ মার্চ।
১ ঘণ্টা আগেপুরোপুরি পাকেনি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের হাওরের ধান। তবে অকালবন্যার শঙ্কায় ১ বৈশাখ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ধান কাটা শুরু হয়েছে। কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, ইতিমধ্যে ৩০ ভাগের বেশি জমির বোরো ফসল ঘরে তুলেছেন কৃষক।
৫ ঘণ্টা আগেবরগুনার আমতলী উপজেলার খেকুয়ানী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভবনের নিচতলায় বসছে পানের বাজার। খেকুয়ানী বাজারের ইজারাদার শাহ আলম শিকদার এ বাজার বসাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
৬ ঘণ্টা আগে