Ajker Patrika

তীব্র লোডশেডিংয়ে বোরো ধানখেতে ক্ষতির আশঙ্কা

মেলান্দহ (জামালপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৭ এপ্রিল ২০২২, ১১: ৩৪
তীব্র লোডশেডিংয়ে বোরো ধানখেতে ক্ষতির আশঙ্কা

জামালপুরের মেলান্দহে তীব্র লোডশেডিং হাওয়ায় বোরো ধানখেতে পানি দিতে পারছেন না কৃষকেরা। প্রয়োজনীয় পানির অভাবে ধান উৎপাদনে মারাত্মকভাবে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন তাঁরা।

জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় প্রায় ২০ হাজার ২২০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করা হয়েছে। বর্তমানে বোরো ধানগাছে শিষ আসা শুরু করেছে। পানি কম থাকলে ধানের শিষ ছোট হয়, ধানে পাতার পরিমাণ বেড়ে যায়। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে উৎপাদন কম হলে কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। 

স্থানীয় কৃষকেরা বলেন, রাতে দুই ঘণ্টা ও দিনে এক ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে। ঘন ঘন লোডশেডিং হওয়ার কারণে রাতদিন মিলে তিন-চার বিঘা জমিতে পানি দিতে পারেন সেচপাম্পের মালিকেরা। প্রতিটি সেচপাম্প মোটরের অধীনে প্রায় ১৫ থেকে ১৬ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করা হয়। লোডশেডিং হওয়ায় ধানখেতে পানি দিতে পারছেন না। 

উপজেলার ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের কৃষক মোস্তফা বলেন, ‘বারে বারে বিদ্যুৎ যায় আর আসে। ঠিকমতো জমি ভেজে না। এই করে কি আবাদ হয়? এত কষ্ট করেও ফলন যদি ঠিকমতো না পাওয়া যায়, তাহলে সংসার চালানো কঠিন হয়ে যাবে।’

ওই ইউনিয়নের সেচপাম্পের মালিক আলম মিয়া বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে রাতে ঘুম নেই। রাতে বিদ্যুৎ এক ঘণ্টাও থাকে না। বিদ্যুৎ আসার সঙ্গে সঙ্গেই মোটর চালু করতে হয়। রাতদিন মিলেও ধানখেতে পানি দিতে পারছি না। আমার মোটর দিয়ে ১২ বিঘা জমিতে পানি দেই।’

লোডশেডিংয়ের কারণে প্রতিদিন তিন-চার বিঘা জমিতে পানি দিতে পারছি। বাকি জমিগুলোতে ঠিকমতো পানি দিতে পারছি না। 

স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. নুরুল আমিন বলেন, বর্তমানে গ্যাসের স্বল্পতা ও বিদ্যুৎ উৎপাদনে ঘাটতির কারণে এবং জামালপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র (৯৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন) বন্ধ থাকায় জামালপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মেলান্দহ জোনাল অফিসের আওতাধীন চাহিদার অর্ধেকেরও কম বিদ্যুৎ সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে। তাই ব্যাপক লোডশেডিং করতে হচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে, দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত