Ajker Patrika

জামালপুরে কলেজ কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগ, ছাত্রলীগের ২ নেতাকে বহিষ্কার

জামালপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ২১: ২৩
Thumbnail image

ছাড়পত্রের শিক্ষার্থীকে ভর্তি করতে না চাওয়ায় জামালপুরের সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতিসহ দুই নেতার বিরুদ্ধে কলেজের এক কর্মচারীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার সকালে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে কলেজের প্রশাসনিক ভবনের কম্পিউটার কক্ষে এই ঘটনা ঘটে। 

মারধরের শিকার কলেজের হিসাবরক্ষক মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. শামীম আহম্মেদ আমার কাছে এসে টিসিতে (ছাড়পত্র) ভর্তি করতে এক শিক্ষার্থীকে তালিকায় নাম লিখতে বলেন। আমি অধ্যক্ষের অনুমতি নেওয়া ছাড়া নাম তালিকায় না তুলতে চাইলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এরপর উপাধ্যক্ষ কক্ষে ডেকে নিয়ে যান। এ সময় তাঁর সঙ্গে শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি নাদিম হোসেন জয়সহ আরও চারজন ছিলেন। একপর্যায়ে আমাকে টেনে হিঁচড়ে অটোরিকশায় তুলে মারধর করতে করতে পৌর গোরস্থানে নিয়ে যান জানে মেরে ফেলতে। এ সময় আশপাশের লোকজন এসে আমাকে উদ্ধার করেন।’ 

জামালপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি খাবিরুল ইসলাম বাবু বলেন, ‘এই ঘটনায় কলেজের অধ্যক্ষ একটি অভিযোগ দিয়েছেন। তাঁর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা দুজনকে সাময়িক বহিষ্কার করেছি। তদন্ত চলছে অভিযোগ প্রমাণিত হলে পরবর্তীতে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে সুপারিশ করা হবে।’ 

কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর হারুণ অর রশীদ বলেন, ‘মো. শামীম আহম্মেদ ও নাদিম হাসানের নেতৃত্বে কয়েকজন কলেজের সাধারণ শাখায় কম্পিউটার কক্ষে প্রবেশ করেন। শামীম আহম্মেদ টিসিমূলে এক শিক্ষার্থীকে কলেজে ভর্তি করতে বলেন। তখন মো. হেলাল উদ্দিন কলেজের অধ্যক্ষের অনুমতি ব্যতীত ভর্তি তালিকা আপ্রুভ অস্বীকৃতি জানান। পরে ওই দুজনের নেতৃত্বে তাঁকে গালিগালাজ করা হয়। তাঁদের গালিগালাজ করতে নিষেধ করা হয়। এ সময় সরকারি দায়িত্ব পালনকালে তাঁরা মারধর শুরু করেন। তাঁরা এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি ও লাথি মারতে থাকেন। একপর্যায়ে তাঁরা টেনে–হিঁচড়ে তাঁকে (হেলাল উদ্দিন) ওই কক্ষ থেকে বের করা হয়। পরে কলেজ থেকে তাঁকে অটোরিকশায় উঠিয়ে নেওয়া হয়। অটোরিকশায় উঠিয়েও তাঁকে মারধর করতে-করতে পৌর কবরস্থানে নেওয়া হয়।’ 

এই ঘটনায় কলেজের হিসাবরক্ষক হেলাল উদ্দিন বাদী হয়ে জামালপুর সদর থানায় একটি মামলা করেছেন। জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি–তদন্ত) হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ওই কলেজের একজন কর্মচারীকে মারধরের অভিযোগে থানায় একটি মামলা হয়েছে। এখানে দুজনের নাম ও ৩ থেকে ৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। দ্রুত তাঁদেরকে গ্রেপ্তার করা হবে।’ 

এ বিষয়ে জানার জন্য সদ্য অব্যাহতি পাওয়া ছাত্রলীগ নেতা মো. শামীম আহম্মেদের মোবাইল ফোনে কল করা হলে বন্ধ পাওয়া যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত