Ajker Patrika

জামালপুরে খরস্রোতা ব্রহ্মপুত্রে ধূ ধূ বালুচর

প্রতিনিধি
আপডেট : ২৬ এপ্রিল ২০২১, ২০: ৪৮
জামালপুরে খরস্রোতা ব্রহ্মপুত্রে ধূ ধূ বালুচর

দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর): খরস্রোতা গভীরতম নদের নাম ব্রহ্মপুত্র। কালের পরিক্রমায় এখন পানি শুকিয়ে এ নদের বুকে জেগে উঠেছে বালুচর। শুষ্ক মৌসুমে বিগত বছরগুলোতে স্বল্প পরিমাণ পানির ক্ষীণ ধারা থাকলেও তিন বছর ধরে একেবারেই স্রোতধারা নেই। প্রতিবছর শীতের মাঝামাঝি থেকে এ নদ পানিশূন্য হয়ে পড়ছে। কোথাও কোথাও এ নদ মৃতপ্রায়। নদের বুক চিরে জেগে উঠেছে অসংখ্য বালুচর। ফলে এ নদের অববাহিকার বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে পরিবেশ, জলবায়ু, জীববৈচিত্র্য ও কৃষি অর্থনীতিতে নেমে এসেছে বিপর্যয়।

ভারতের আসাম থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে ব্রহ্মপুত্র নদ। জামালপুরে দেওয়ানগঞ্জের বাহাদুরাবাদ সর্দারপাড়া, ফারাজীপাড়া, কাজলাপাড়া ও পোল্যাকান্দিতে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার ইংরেজি 'ইউ' আকৃতির হয়ে দেশের দক্ষিণে চলে গেছে। গভীরতা কমে যাওয়ায় বর্ষাকালে সহজেই নদ উছলে অববাহিকা প্লাবিত হয়। ভয়াবহ ভাঙনের কবলে পড়ে নদীপাড়ের মানুষ। বিশেষ করে পোল্যাকান্দি, ফারাজীপাড়া, মাদারেরচর, মদনেরচর, নয়াগ্রাম, তিলকপুর, উৎমারচর, কলকিহারা এবং উত্তরের সানন্দবাড়ী অঞ্চলের মানুষের বসতভিটাসহ নদের গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে কৃষি ও আবাদি জমি। এরই মধ্যেই ঘরবাড়ি, বসতভিটা হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে হাজারো মানুষ। আবার গ্রীষ্ম মৌসুমে হয়ে পড়ে পানিশূন্য। বছরের প্রায় ছয় মাস নদ থাকে পানিশূন্য। ফলে এ নদের কোনো সুফল পাচ্ছেন না কৃষকরা।

ব্রহ্মপুত্র নদের এ করুণ পরিণতির জন্যে জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব, ফারাক্কা বাঁধের পরিকল্পিত পানি প্রত্যাহারকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। ফারাক্কা ব্যারেজ চালু হওয়ার পর থেকে ধীরে ধীরে মরণদশা হয়েছে নদটির। প্রতিবছর দু’পাড়ে বালু জমতে জমতে এ নদের প্রশস্ততা কমে এসেছে। এ অঞ্চলের কৃষি অর্থনীতি ও পরিবেশের ওপর মারাত্মক বিরূপ প্রভাব পড়েছে। কৃষক ও জেলেদের জীবন জীবিকায় নেমে এসেছে বিপর্যয়। বিপুল সংখ্যক মৎস্যজীবী মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত