মাহিদুল ইসলাম, মৌলভীবাজার
মৌলভীবাজারে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল। এটি এ জেলার মানুষের চিকিৎসাসেবার একমাত্র ভরসাস্থল। তবে এই ভরসার জায়গায় কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না সাধারণ রোগীরা। প্রতিষ্ঠার ৪১ বছর পার হলেও ২০২৫ সালে এসে মাত্র ৪১ জন চিকিৎসক দিয়ে ধুঁকে ধুঁকে চলছে হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম। জনবলের তীব্র সংকটের পাশাপাশি আইসিইউ, সিসিইউ, সিটি স্ক্যান, ইকো, হৃদ্রোগ চিকিৎসাসহ বিভিন্ন বিশেষায়িত সেবা নেই এ হাসপাতালে।
জানা গেছে, জেলায় প্রায় ২১ লাখ মানুষের বসবাস। এর সঙ্গে বছরে যোগ হয় আরও লাখো পর্যটক। বিপুল জনগোষ্ঠীর উন্নত চিকিৎসাসেবার জন্য নেই অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান। জেলার ২৫০ শয্যার হাসপাতালটি আইসিইউ, সিসিইউসহ অন্য বিশেষায়িত সেবা নিশ্চিতে ২৫০ থেকে ৫০০ শয্যায় উন্নীত করা জরুরি বলে মনে করছেন মৌলভীবাজার জেলাবাসী।
সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রোগীরা ভিড় করছেন। সেবা দিচ্ছেন একজন চিকিৎসক। রোগীদের চাপ সামাল দিতে চিকিৎসকের পাশাপাশি মাঝেমধ্যে নার্সরাও রোগী দেখছেন। হাসপাতালে আসা রোগীদের মধ্যে বিরাট একটা অংশ হৃদ্রোগে আক্রান্ত। তাঁদের চিকিৎসা হাসপাতালে না থাকায় সরাসরি বিভাগীয় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হচ্ছে।
হাসপাতালে ২৫০ শয্যা থাকলেও আন্তবিভাগীয় গড়ে প্রতিদিন ৩০০-৪০০ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। বহিঃবিভাগে চিকিৎসার জন্য দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন রোগীরা। এসব রোগীর জন্য নেই পর্যাপ্ত চিকিৎসক। এ ছাড়া টেকনিশিয়ানের অভাবে পরীক্ষার অনেক যন্ত্রপাতি বন্ধ রয়েছে। জরুরি বিভাগে আগত অনেক রোগীর আইসিইউ প্রয়োজন হলেও বিশেষায়িত সেবা না থাকায় ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালের জরুরি বিভাগে প্রতিদিন গড়ে ৪০০-৫০০ রোগী সেবার জন্য আসেন। মাত্র তিনজন চিকিৎসক এখানে সেবা দেন। ন্যূনতম সেবা চালু রাখতে হলে জরুরি বিভাগে অন্তত ৯ জন চিকিৎসক দরকার। এ ছাড়া ২৫০ শয্যার হলেও হাসপাতালের ইনডোরে গড়ে প্রতিদিন ৩৫০-৪০০ জন রোগী ভর্তি থাকে। হাসপাতালে রোগীদের সঠিক চিকিৎসা নিশ্চিত করতে কমপক্ষে ১০০ জন চিকিৎসকের প্রয়োজন, অথচ সেবা দিচ্ছেন মাত্র ৪১ জন চিকিৎসক।
হালনাগাদ তথ্যমতে, মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসা কর্মকর্তার ৫৪টি পদের মধ্যে ১৩টি শূন্য রয়েছে, নার্স ও দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তার ১৮৫টি পদের মধ্যে ২৯টি শূন্য, তৃতীয় শ্রেণির পদ ও সহকারী নার্সের ৫৬টি পদের মধ্যে ১২টি শূন্য, চতুর্থ শ্রেণির পদ ৭০টির মধ্যে ২৮ শূন্য রয়েছে। এ ছাড়া পরিচ্ছন্নতাকর্মীর ৬১ পদ শূন্য রয়েছে।
জানতে চাইলে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (উপপরিচালক) প্রণয় কান্তি দাশ আজকের পত্রিকাকে বলেন, হাসপাতালে মোট চিকিৎসকের প্রায় ২৫ শতাংশ সংকট রয়েছে। ৬০ শতাংশ টেকনোলজিস্ট সংকট। এ ছাড়া ইকো, কার্ডিওলজির মতো গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা করা যায় না। আইসিইউ, সিসিইউ নেই। হাসপাতালে রোগীর তুলনায় চিকিৎসক একেবারেই কম। জনবল সংকটসহ বিভিন্ন সমস্যার বিষয়ে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’
মৌলভীবাজারে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল। এটি এ জেলার মানুষের চিকিৎসাসেবার একমাত্র ভরসাস্থল। তবে এই ভরসার জায়গায় কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না সাধারণ রোগীরা। প্রতিষ্ঠার ৪১ বছর পার হলেও ২০২৫ সালে এসে মাত্র ৪১ জন চিকিৎসক দিয়ে ধুঁকে ধুঁকে চলছে হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম। জনবলের তীব্র সংকটের পাশাপাশি আইসিইউ, সিসিইউ, সিটি স্ক্যান, ইকো, হৃদ্রোগ চিকিৎসাসহ বিভিন্ন বিশেষায়িত সেবা নেই এ হাসপাতালে।
জানা গেছে, জেলায় প্রায় ২১ লাখ মানুষের বসবাস। এর সঙ্গে বছরে যোগ হয় আরও লাখো পর্যটক। বিপুল জনগোষ্ঠীর উন্নত চিকিৎসাসেবার জন্য নেই অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান। জেলার ২৫০ শয্যার হাসপাতালটি আইসিইউ, সিসিইউসহ অন্য বিশেষায়িত সেবা নিশ্চিতে ২৫০ থেকে ৫০০ শয্যায় উন্নীত করা জরুরি বলে মনে করছেন মৌলভীবাজার জেলাবাসী।
সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রোগীরা ভিড় করছেন। সেবা দিচ্ছেন একজন চিকিৎসক। রোগীদের চাপ সামাল দিতে চিকিৎসকের পাশাপাশি মাঝেমধ্যে নার্সরাও রোগী দেখছেন। হাসপাতালে আসা রোগীদের মধ্যে বিরাট একটা অংশ হৃদ্রোগে আক্রান্ত। তাঁদের চিকিৎসা হাসপাতালে না থাকায় সরাসরি বিভাগীয় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হচ্ছে।
হাসপাতালে ২৫০ শয্যা থাকলেও আন্তবিভাগীয় গড়ে প্রতিদিন ৩০০-৪০০ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। বহিঃবিভাগে চিকিৎসার জন্য দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন রোগীরা। এসব রোগীর জন্য নেই পর্যাপ্ত চিকিৎসক। এ ছাড়া টেকনিশিয়ানের অভাবে পরীক্ষার অনেক যন্ত্রপাতি বন্ধ রয়েছে। জরুরি বিভাগে আগত অনেক রোগীর আইসিইউ প্রয়োজন হলেও বিশেষায়িত সেবা না থাকায় ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালের জরুরি বিভাগে প্রতিদিন গড়ে ৪০০-৫০০ রোগী সেবার জন্য আসেন। মাত্র তিনজন চিকিৎসক এখানে সেবা দেন। ন্যূনতম সেবা চালু রাখতে হলে জরুরি বিভাগে অন্তত ৯ জন চিকিৎসক দরকার। এ ছাড়া ২৫০ শয্যার হলেও হাসপাতালের ইনডোরে গড়ে প্রতিদিন ৩৫০-৪০০ জন রোগী ভর্তি থাকে। হাসপাতালে রোগীদের সঠিক চিকিৎসা নিশ্চিত করতে কমপক্ষে ১০০ জন চিকিৎসকের প্রয়োজন, অথচ সেবা দিচ্ছেন মাত্র ৪১ জন চিকিৎসক।
হালনাগাদ তথ্যমতে, মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসা কর্মকর্তার ৫৪টি পদের মধ্যে ১৩টি শূন্য রয়েছে, নার্স ও দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তার ১৮৫টি পদের মধ্যে ২৯টি শূন্য, তৃতীয় শ্রেণির পদ ও সহকারী নার্সের ৫৬টি পদের মধ্যে ১২টি শূন্য, চতুর্থ শ্রেণির পদ ৭০টির মধ্যে ২৮ শূন্য রয়েছে। এ ছাড়া পরিচ্ছন্নতাকর্মীর ৬১ পদ শূন্য রয়েছে।
জানতে চাইলে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (উপপরিচালক) প্রণয় কান্তি দাশ আজকের পত্রিকাকে বলেন, হাসপাতালে মোট চিকিৎসকের প্রায় ২৫ শতাংশ সংকট রয়েছে। ৬০ শতাংশ টেকনোলজিস্ট সংকট। এ ছাড়া ইকো, কার্ডিওলজির মতো গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা করা যায় না। আইসিইউ, সিসিইউ নেই। হাসপাতালে রোগীর তুলনায় চিকিৎসক একেবারেই কম। জনবল সংকটসহ বিভিন্ন সমস্যার বিষয়ে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’
বরিশালে সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজে ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠনে কাউন্সিলের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য প্রায় ২ হাজার ৭০০ শিক্ষার্থীকে সদস্যপদ দিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে।
১ ঘণ্টা আগেসিরাজগঞ্জের সদর উপজেলার ছাতিয়ানতলীতে গড়ে উঠছে অন্যতম বৃহৎ বিসিক শিল্পপার্ক। উত্তরবঙ্গকে দেশের অন্যতম শিল্পাঞ্চলে রূপ দেওয়ার স্বপ্ন ছিল এ প্রকল্প ঘিরে। তবে ৭১৯ কোটি টাকার এ প্রকল্পের কাজ শেষ না করেই উদ্যোক্তাদের কাছে প্লট হস্তান্তর করায় ক্ষোভে ফুঁসছেন শিল্পোদ্যোক্তারা।
১ ঘণ্টা আগেহযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের কার্গো ভিলেজের আমদানি কার্গো (পণ্য) কমপ্লেক্সে বিভিন্ন আমদানি পণ্যের পাশাপাশি মেয়াদোত্তীর্ণ রাসায়নিক দ্রব্যও মজুত ছিল। স্তূপাকারে ছিল দীর্ঘ দিন ধরে বাজেয়াপ্ত পুরোনো ও নষ্ট মালামাল। ঢাকা কাস্টমস সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর মিরপুরের শিয়ালবাড়ী এলাকায় একটি কারখানার ফটকে দায়িত্ব পালন করেন পঞ্চাশোর্ধ্ব ফোরকান মোল্লা। ছয় দিন আগে পাশের রাস্তায় রাসায়নিক গুদাম ও পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ঘটনার পরদিন তাঁর চোখে জ্বালাপোড়া, শ্বাসকষ্ট ও বমিভাব দেখা দেয়। চিকিৎসার পর কিছুটা সুস্থ হয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে