গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি
মোবাইল গেমের নেশায় অনেকেই নিঃস্ব হচ্ছেন, আবার কেউ কেউ ফেসবুক ও ইউটিউব দেখে হয়েছেন স্বাবলম্বী। প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারে বদলে যাচ্ছে জীবনের গল্প। ঠিক তেমনি ইউটিউব দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে সফল আঙুর চাষের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার জুগিন্দা গ্রামের প্রবাসফেরত যুবক মো. দেলোয়ার হোসেন।
এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে প্রথমবারের মতো আঙুরের চাষ দেখে মুগ্ধ হন দেলোয়ার। সেখানকার কৃষকদের অনুপ্রেরণায় সিদ্ধান্ত নেন নিজেও আঙুর চাষ করবেন। প্রথমে তিনি সংগ্রহ করেন ১০০টি আঙুরের ডাল। এর মধ্যে ৩০টি নষ্ট হলেও বাকি ৭০টি ডাল বাড়ির পাশে ১০ কাঠা জমিতে রোপণ করে গড়ে তোলেন আঙুরের বাগান।
শুরুতে স্থানীয়রা তাঁর উদ্যোগকে ভালোভাবে নেয়নি। তবে ধীরে ধীরে বাগান দৃশ্যমান হলে অনেকেই অবাক হন। এখন থোকায় থোকায় ঝুলে থাকা আঙুর দেখে উৎসাহিত হচ্ছেন আশপাশের মানুষ। অনেকেই আগ্রহ দেখাচ্ছেন নতুন করে আঙুর চাষে নামার।
দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘প্রথমে কারও সহযোগিতা পাইনি। ফেসবুক ও ইউটিউব দেখে নিজের মতো করে শুরু করি। অনেকে কটাক্ষ করলেও থেমে যাইনি। বরং চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলাম আঙুর চাষকে। এখন বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ আমার বাগান দেখতে আসছেন। ফল দেখে মুগ্ধ হয়ে অনেকে চারা নিচ্ছেন।’
তিনি জানান, বাগান তৈরিতে তার প্রায় দেড় লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এবার ৫ থেকে৬ লাখ টাকার আঙুর বিক্রির আশা করছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবং ভালো দাম পেলে চাষ আরও বাড়াবেন। তিনি বলেন, ‘সফলতা পেতে হলে পরিশ্রম আর ত্যাগ স্বীকার করতে হয়—আমি সেটাই করছি।’
দেলোয়ারের বাবা জালাল উদ্দিন খাঁ বলেন, ‘আমার ছেলে দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিল। ইউটিউব দেখে আঙুর চাষ শুরু করে। আমি যতটা পারি তাকে সহযোগিতা করছি। শুরুতে গ্রামের লোকজন এটাকে গুরুত্ব না দিলেও এখন সবাই গর্ব করছে। আপনারা তার জন্য দোয়া করবেন।’
বায়ার ক্রপ সাইন্সের কানিজ ফাতেমা ওয়ারিন বলেন, ‘আঙুরের ফলন দেখে ভালো লেগেছে। আমাদের কোম্পানির পক্ষ থেকে তাকে সহযোগিতা করা হবে। আমি সময় পেলেই বাগানটি পরিদর্শনে আসব এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেব।’
গাংনী উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিন জানান, দেলোয়ার হোসেনের বাগান পরিদর্শন করে নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তাঁর সফলতা অন্যদেরও অনুপ্রাণিত করবে বলে আশা করছেন তিনি।
গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন বলেন, ‘আঙুরের স্বাদ ভালো হলে এই চারা পুরো গাংনী উপজেলা ও জেলার বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে দেওয়া হবে। উপজেলা কৃষি অফিস থেকেও তাঁকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে। অনুকূল আবহাওয়া ও বাজারমূল্য ঠিক থাকলে তিনি ভালো লাভবান হবেন। তাঁকে দেখে আরও অনেকে আঙুর চাষে আগ্রহী হবেন।’
মোবাইল গেমের নেশায় অনেকেই নিঃস্ব হচ্ছেন, আবার কেউ কেউ ফেসবুক ও ইউটিউব দেখে হয়েছেন স্বাবলম্বী। প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারে বদলে যাচ্ছে জীবনের গল্প। ঠিক তেমনি ইউটিউব দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে সফল আঙুর চাষের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার জুগিন্দা গ্রামের প্রবাসফেরত যুবক মো. দেলোয়ার হোসেন।
এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে প্রথমবারের মতো আঙুরের চাষ দেখে মুগ্ধ হন দেলোয়ার। সেখানকার কৃষকদের অনুপ্রেরণায় সিদ্ধান্ত নেন নিজেও আঙুর চাষ করবেন। প্রথমে তিনি সংগ্রহ করেন ১০০টি আঙুরের ডাল। এর মধ্যে ৩০টি নষ্ট হলেও বাকি ৭০টি ডাল বাড়ির পাশে ১০ কাঠা জমিতে রোপণ করে গড়ে তোলেন আঙুরের বাগান।
শুরুতে স্থানীয়রা তাঁর উদ্যোগকে ভালোভাবে নেয়নি। তবে ধীরে ধীরে বাগান দৃশ্যমান হলে অনেকেই অবাক হন। এখন থোকায় থোকায় ঝুলে থাকা আঙুর দেখে উৎসাহিত হচ্ছেন আশপাশের মানুষ। অনেকেই আগ্রহ দেখাচ্ছেন নতুন করে আঙুর চাষে নামার।
দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘প্রথমে কারও সহযোগিতা পাইনি। ফেসবুক ও ইউটিউব দেখে নিজের মতো করে শুরু করি। অনেকে কটাক্ষ করলেও থেমে যাইনি। বরং চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলাম আঙুর চাষকে। এখন বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ আমার বাগান দেখতে আসছেন। ফল দেখে মুগ্ধ হয়ে অনেকে চারা নিচ্ছেন।’
তিনি জানান, বাগান তৈরিতে তার প্রায় দেড় লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এবার ৫ থেকে৬ লাখ টাকার আঙুর বিক্রির আশা করছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবং ভালো দাম পেলে চাষ আরও বাড়াবেন। তিনি বলেন, ‘সফলতা পেতে হলে পরিশ্রম আর ত্যাগ স্বীকার করতে হয়—আমি সেটাই করছি।’
দেলোয়ারের বাবা জালাল উদ্দিন খাঁ বলেন, ‘আমার ছেলে দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিল। ইউটিউব দেখে আঙুর চাষ শুরু করে। আমি যতটা পারি তাকে সহযোগিতা করছি। শুরুতে গ্রামের লোকজন এটাকে গুরুত্ব না দিলেও এখন সবাই গর্ব করছে। আপনারা তার জন্য দোয়া করবেন।’
বায়ার ক্রপ সাইন্সের কানিজ ফাতেমা ওয়ারিন বলেন, ‘আঙুরের ফলন দেখে ভালো লেগেছে। আমাদের কোম্পানির পক্ষ থেকে তাকে সহযোগিতা করা হবে। আমি সময় পেলেই বাগানটি পরিদর্শনে আসব এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেব।’
গাংনী উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিন জানান, দেলোয়ার হোসেনের বাগান পরিদর্শন করে নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তাঁর সফলতা অন্যদেরও অনুপ্রাণিত করবে বলে আশা করছেন তিনি।
গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন বলেন, ‘আঙুরের স্বাদ ভালো হলে এই চারা পুরো গাংনী উপজেলা ও জেলার বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে দেওয়া হবে। উপজেলা কৃষি অফিস থেকেও তাঁকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে। অনুকূল আবহাওয়া ও বাজারমূল্য ঠিক থাকলে তিনি ভালো লাভবান হবেন। তাঁকে দেখে আরও অনেকে আঙুর চাষে আগ্রহী হবেন।’
সুনামগঞ্জের যাদুকাটা নদীতে চলছে বালু লুটের মহোৎসব। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে হুমকির মুখে রয়েছে নদীর তীরবর্তী বসতবাড়ি ও কৃষিজমি থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট, ৮৬ কোটি টাকার আরেফিন-অদ্বৈত মৈত্রী সেতু এবং ঐতিহ্যবাহী অদ্বৈত মন্দিরের মতো স্থাপনা।
৩ মিনিট আগেচট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সারিবদ্ধ আটটি কফিন। প্রতিটিতে শায়িত একেকজন প্রবাসী। কিছুদিন আগেই তাঁরা হাসিমুখে বিদেশে পাড়ি দিয়েছিলেন। সন্তানের কপালে চুমু দিয়ে, স্ত্রীকে সন্তানের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে দেশ ছেড়েছিলেন। মা-বাবার কাছে আরজি ছিল, ‘নিজের খেয়াল রেখো।’ কিন্তু আজ তাঁরা নিথর।
৭ মিনিট আগেদেশের রাজনীতিতে রাজধানী-লাগোয়া শিল্পনগরী গাজীপুর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে ইতিমধ্যে পুরো জেলায় বইছে নির্বাচনী হাওয়া। তফসিল ঘোষণার আগেই গাজীপুরের মাঠে নেমে পড়েছেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের
১০ মিনিট আগেপুরান ঢাকার আরমানি টোলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী মো. জুবায়েদ হোসেনকে হত্যার ঘটনায় তাঁর ছাত্রীকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (১৯ অক্টোবর) রাত ১১টা ২০ মিনিটের দিকে বংশালের নূর বক্স রোডে রৌশান ভিলা থেকে ওই ছাত্রীকে (এইচএসসি শিক্ষার্থী) আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। জুবায়েদ তাকে বাসায় গিয়ে পড়াতেন
২ ঘণ্টা আগে