Ajker Patrika

মানিকগঞ্জ জেলা আ. লীগের সম্মেলন ঘিরে নেতা-কর্মীদের মাঝে সাজ সাজ রব

মঞ্জুর রহমান, মানিকগঞ্জ
আপডেট : ২৮ নভেম্বর ২০২২, ১৬: ২৪
মানিকগঞ্জ জেলা আ. লীগের সম্মেলন ঘিরে নেতা-কর্মীদের মাঝে সাজ সাজ রব

মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন দীর্ঘ ছয় বছর পর আগামী ১১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। কাঙ্ক্ষিত সম্মেলনকে ঘিরে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেত্রীবৃন্দসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীদের মাঝে সাজ সাজ রব বিরাজ করছে। জেলা শহরের বাসস্ট্যান্ড থেকে বেউথা, শহীদ রফিক সড়কসহ সাতটি উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দুটি পদে অংশগ্রহণকারীদের ছবিসংবলিত অর্ধশতাধিক গেট ও শত শত ব্যানার ফেস্টুনে ভরে গেছে। এ ছাড়া কাঙ্ক্ষিত পদ পেতে একটু সময় পেলেই লবিং এর জন্য ঢাকায় কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে ছুটে যাচ্ছেন জেলার সিনিয়র ও মধ্যম সারির নেতারা।

দলীয় কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১৭ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। দলীয় গঠনতন্ত্র অনুসারে তিন বছর পর পর সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও নানা কারণে চার বছর পার হলেও করা হয়নি। অবশেষে জাতীয় নির্বাচনের এক বছর আগেই মানিকগঞ্জ সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় মাঠে সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, উদ্বোধক হিসেবে থাকবেন প্রেসিডিয়াম সদস্য ফারুক খান, প্রধান বক্তা মির্জা আজম ও বিশেষ অতিথি হিসেবে ডা. দীপু মনি উপস্থিত থাকবেন।

জেলা সম্মেলন সফল করতে ইতিমধ্যে জেলার ৬৫টি ইউনিয়নের সম্মেলন শেষ হয়েছে। সাতটি উপজেলার মধ্যে মানিকগঞ্জ সদর, মানিকগঞ্জ পৌরসভা ও শিবালয় উপজেলা ছাড়া পাঁচটি উপজেলা (সিঙ্গাইর-হরিরামপুর-ঘিওর-দৌলতপুর-সাটুরিয়া) কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে সম্মেলন করা হয়েছে। এই পাঁচটি উপজেলার মধ্যে তিনটি উপজেলা (হরিরামপুর-সাটুরিয়া-দৌলতপুর) স্থানীয় সংসদ সদস্যদের কাছের মানুষ হওয়ায় ভোট ছাড়াই পূর্বের কমিটি বহাল রেখেছেন। দুটি উপজেলা (সিঙ্গাইর ও ঘিওর) একজন সভাপতি আরেকজন সাধারণ সম্পাদক পদে ভোট না দিয়ে নতুন সদস্য মনোনীত করা হয়েছে। আগামী ২ ডিসেম্বর শিবালয় উপজেলা এবং ৭ ডিসেম্বর মানিকগঞ্জ সদর ও মানিকগঞ্জ পৌরসভার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এই তিনটিতে স্থানীয় সংসদ সদস্যদের কাছের মানুষদের ভোট ছাড়াই মনোনীত করা হবে বলে গুঞ্জন রয়েছে।

এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে একাদিক প্রার্থী অংশগ্রহণ করবে বলে লোকমুখে শোনা যাচ্ছে। ইতিমধ্যে জেলা শহরসহ সাতটি উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশীদের ছবিসংবলিত অর্ধশতাধিক গেট ও শত শত ব্যানার ফেস্টুন শোভা পাচ্ছে।

সম্মেলনের অংশগ্রহণকারী সভাপতি পদে প্রার্থীরা হলেন গত সম্মেলনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বী বিজয়ী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম মহীউদ্দিন, সহসভাপতি ও সাটুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ।

মানিকগঞ্জ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছেএছাড়া সম্মেলনের সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থীরা হলেন, জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ও জেলা জজ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌরসভার মেয়র গাজি কামরুল হুদা সেলিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাদরুল ইসলাম খান বাবলু, যুগ্ম সম্পাদক কাজী এনায়েত হোসেন টিপু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ডায়াবেটিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল, তায়েবুর রহমান টিপু, সাংগঠনিক সম্পাদক সুদেব কুমার সাহা এবং শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক তাবারাকুল তোসাদ্দেক হোসেন খান টিটু প্রমুখ।

জেলা শহরে সরেজমিনে ঘুরে এবং সাতটি উপজেলায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সম্মেলনের জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রায় এক ডজন প্রার্থী থাকলেও ব্যানার ফেস্টুন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি প্রচারণায় এগিয়ে আছেন সুলতানুল আজম খান আপেল ও সুদেব কুমার সাহা। জেলা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে কেন্দ্রীয় নেতাদের ছবি দিয়ে এই দুজনের ছবি সংবলিত প্রায় অর্ধ শতাধিক গেট ও ব্যানার ফেস্টুনে ভরে গেছে। এ ছাড়া দলের মধ্যেম সারির নেতারা সম্মেলন সফল করতে বড় বড় ব্যানার ফেস্টুন লাগিয়েছেন।

নাম পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের তৃণমূলের বেশ কয়েকজন ভোটার আজকের পত্রিকাকে জানান, সম্মেলনের আয়োজন করে সিলেকশনের মাধ্যমে নেতা বানিয়ে গেলে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন হয় না। তিন বছরে একবার তৃণমূলের কর্মীদের খোঁজ খবর রাখেন না। নিজ দলের সাংগঠনিক কোনো কাজে তাদের কাছে গেলে দেখা পাওয়া যায় না। সিলেকশনে সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় দলীয় কোন্দলের জর্জরিত থাকে সংগঠন। আর যদি ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচিত হয় তাহলেই তৃণমূলের মূল্যায়ন বাড়বে। সংগঠন শক্তিশালী হবে।

সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী সুলতান আজম খান আপেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, আমি জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ জেলা আওয়ামী লীগের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি। বিএনপি-জামাত জোট সরকারের সময়ে হামলা-মামলা সহ্য করে দলের জন্য নিঃস্বার্থ ভাবে কাজ করেছি। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে তৃণমূলের নেতা–কর্মীদের ভোটের মাধ্যমে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলে সংগঠন শক্তিশালী হবে। পাশাপাশি দলের জন্য কাজ করা যোগ্যদের মূল্যায়ন হবে। তবে আমরা যে যাই বলি দলের নেত্রী যে সিদ্ধান্ত দেবেন সেই সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া হবে। আরেক প্রার্থী সুদেব কুমার সাহার সম্মেলন নিয়ে বক্তব্য জানতে তার মুঠো ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেনি।

জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক এহতেশাম হোসেন খান ভুনু আজকের পত্রিকাকে বলেন, দুটি উপজেলা ও একটি পৌরসভা ছাড়া সব উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের সম্মেলন শেষ হয়েছে। আগামী ৭ ডিসেম্বরের মধ্যেই বাকিগুলো সম্মেলন শেষ হবে। সম্মেলন সফল করতে এখন স্টেজ তৈরির কাজ চলছে। আগামী ১১ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে সম্মেলন সফলভাবে সম্পূর্ণ হবে।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহীউদ্দিন বলেন, ‘১৯৮৪,১৯৯২ ও ১৯৯৬ সালের সম্মেলনে আমি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হই। এরপর ২০০৩ সালের সম্মেলনের ভোটে আমি সভাপতি নির্বাচিত হই। আমার কার্যক্রমে খুশি হয়ে ২০১৫ সালের সম্মেলনে নেত্রী আমাকে বিনা ভোটে সভাপতি নির্বাচিত করেন। এবারের সম্মেলনে আমাদের নেত্রীর সিদ্ধান্ত হবে আমার সিদ্ধান্ত। আমার দলের জন্য আমার নেত্রী যে সিদ্ধান্ত দেবেন আমি বা আমরা তার সিদ্ধান্ত মাথা পেতে নিব। নেত্রীর যে সিদ্ধান্ত দেবেন সেটাই মেনে নেবেন আরেক প্রার্থী আব্দুস সালাম।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হঠাৎ পদত্যাগ করলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ব‌রিশাল
অধ্যাপক ড. মো. মুহ‌সিন। ছবি: সংগৃহীত
অধ্যাপক ড. মো. মুহ‌সিন। ছবি: সংগৃহীত

ব‌রিশাল বিশ্ব‌বিদ‌্যাল‌য়ের রে‌জিস্ট্রার (অতিরিক্ত দা‌য়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. মুহ‌সিন উদ্দীন পদত‌্যাগ ক‌রে‌ছেন। আজ সোমবার সকা‌লে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌ‌ফিক আলমের দপ্ত‌রে তিনি পদত‌্যাগপত্র জমা দি‌য়ে‌ছেন।

অধ্যাপক ড. মো. মুহসিন উদ্দীন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, রোববারই তিনি উপাচার্যকে পদত্যাগের কথা জানিয়েছিলেন এবং আজ আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।

পদত্যাগের কারণ প্রসঙ্গে অধ্যাপক মুহসিন জানান, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) বাজেট টিম বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনের সময় ১৭টি ‘অবজার্ভেশন’ (পর্যবেক্ষণ) দিয়েছে। এর মধ্যে চারটি পর্যবেক্ষণ সরাসরি রেজিস্ট্রার-সংক্রান্ত। এই পর্যবেক্ষণগুলো ছিল—কেন রেজিস্ট্রার অধ্যাপক হয়েও সিন্ডিকেট সদস্য ও একাডেমিক সদস্য? কেন তিনি আবাসিক কর্মকর্তা হিসেবে ক্যাম্পাসের ভেতরে থাকেন না? কেন রেজিস্ট্রার গাড়ি ব্যবহার করেন?

রেজিস্ট্রার জানান, এসব কারণে তিনি মনে করেন এই পদে থাকা উচিত হবে না। যে কারণে তিনি পদত্যাগ করেছেন। চলতি বছরের ২১ মে ড. মুহসিন রেজিস্ট্রার হিসেবে যোগদান করেন। ছয় মাস পর্যন্ত এ পদে থাকার কথা থাকলেও তার আগেই পদত্যাগ করলেন তিনি।

এ ব্যাপারে জানতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলমকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

তবে উপাচার্যের পিএস টু ভিসি মুহাম্মদ মিজানুর রহমান আজ‌কের প‌ত্রিকা‌কে ব‌লেন, ‘আমি শু‌নে‌ছি রে‌জিস্ট্রার পদত‌্যাগপত্র জমা দি‌য়ে‌ছেন, কিন্তু দে‌খিনি।’ উপাচার্য প্রস‌ঙ্গে ব‌লেন, ‘স‌্যার এক‌টি সভায় আছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হবিগঞ্জে বাস উল্টে খাদে পড়ে ১ জন নিহত, আহত ২০

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি   
মাধবপুর উপজেলার বেজুড়া এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় গভীর খাদে পড়ে যায় বাস। ছবি: আজকের পত্রিকা
মাধবপুর উপজেলার বেজুড়া এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় গভীর খাদে পড়ে যায় বাস। ছবি: আজকের পত্রিকা

হবিগঞ্জের মাধবপুরে মাজার জিয়ারত শেষে বাড়ি ফেরার পথে বাস উল্টে খাদে পড়ে বাদল মিয়া (৪০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন যাত্রী। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বেজুড়া নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত বাদল মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার বীরপাশা গ্রামের পল্টু মিয়ার ছেলে। আহতদের সবাই একই এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

পুলিশ জানায়, রোববার হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার এক মাজারে জিয়ারত শেষে ভোরে দিগন্ত পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে করে বাড়ি ফিরছিলেন বাদল। বাসটি মাধবপুর উপজেলার বেজুড়া এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক বাসটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এর ফলে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশের গভীর খাদে পড়ে যায়। এতে বাসের নিচে অনেক যাত্রী আটকা পড়েন এবং বাদল মিয়া ঘটনাস্থলেই মারা যান।

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে মাধবপুর ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে। আহতদের উদ্ধার করে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়।

শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে শিশুকে গলা কেটে হত্যা, সহপাঠী আটক

নোয়াখালী প্রতিনিধি
বাটরা আল মাদ্রাসাতুল ইসলামিয়া মখযানুল উলুম মাদ্রাসা। ছবি: সংগৃহীত
বাটরা আল মাদ্রাসাতুল ইসলামিয়া মখযানুল উলুম মাদ্রাসা। ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার চাষিরহাট ইউনিয়নে মাথায় টুপি পরাকে কেন্দ্র করে নাজিম উদ্দিন (১৩) নামের এক মাদ্রাসা ছাত্রকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তারই সহপাঠীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আবু সায়েদকে (১৫) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার বাটরা আল মাদ্রাসাতুল ইসলামিয়া মখযানুল উলুম মাদ্রাসায় ঘুমের মধ্যে ছুরি দিয়ে গলা কেটে নাজিমকে হত্যা করা হয়।

নিহত নাজিম উদ্দিন ওই উপজেলার চাষিরহাট ইউনিয়নের জাহানাবাদ গ্রামের ওবায়দুল্যার ছেলে।

পুলিশ জানায়, নাজিম ও সায়েদ ওই মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের ছাত্র। এর মধ্যে নাজিম ২২ পারা কোরআন মুখস্থ শেষ করে এবং সায়েদ ২৩ পারা শেষ করে। গত ১০-১৫ দিন আগে টুপি পরাকে কেন্দ্র করে নাজিম ও সায়েদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে হুজুর দুজনের মধ্যে বিবাদ মীমাংসা করে দেন। কিন্তু সায়েদের মধ্যে রাগ থেকে যায়। তাই সে বাজার থেকে কিছুদিন আগে ৩০০ টাকা দিয়ে একটি নতুন ছুরি কিনে নিয়ে আসে এবং নাজিমকে হত্যার জন্য সুযোগ খুঁজতে থাকে। রোববার রাতে নাজিম ঘুমিয়ে পড়লে ঘুমের মধ্যে তার গলা কেটে তাকে হত্যা করে সায়েদ। গোঙানি শুনতে পেয়ে হুজুর ও অন্য ছাত্ররা জেগে যায়। পরে ছুরিসহ সায়েদকে আটক করা হয়।

সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আবু সায়েদকে আটক করে। সোমবার ক্রাইমসিনের প্রতিনিধিদল ঘটনাস্থলে গিয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মেট্রোরেল বন্ধের প্রভাব, সকাল থেকেই রাজধানীতে তীব্র যানজট

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
সকালে যানজটে অফিসগামী মানুষ বিপাকে পড়েন। ছবি: ফেসবুক
সকালে যানজটে অফিসগামী মানুষ বিপাকে পড়েন। ছবি: ফেসবুক

রাজধানী ঢাকার ফার্মগেট এলাকায় মেট্রো লাইনের একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে দুর্ঘটনায় এক পথচারী নিহত ঘটনায় আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন অসংখ্য মানুষ। এর মধ্যে আজ সোমবার সকাল থেকে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) লাইন মেরামত শুরু করে। এর ফলে খেজুরবাগান থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত সড়ক আংশিকভাবে বন্ধ হওয়ায় ওই এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

গতকাল রোববার পথচারী নিহতের ঘটনার পর মেরামতের কাজ শুরু হলে সকাল থেকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ, ফার্মগেট, সোনারগাঁও, রেইনবো, বিজয় সরণি, উড়োজাহাজ মোড় এবং আগারগাঁও এলাকায় গাড়ির দীর্ঘ সারি দেখা যায়। অফিস সময়ে এসব রাস্তায় যানজটের কারণে সাধারণ যাত্রী ও অফিসগামী মানুষ ভোগান্তিতে পড়েন।

তেজগাঁও ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তারা জানান, মেট্রোরেলের আংশিক বন্ধ থাকার কারণে সাধারণ যাত্রী বিভিন্ন ধরনের বিকল্প যানবাহনে রওনা হচ্ছেন। ফলে রাস্তায় গাড়ির চাপ বেড়ে যানজটের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে।

এ ছাড়া রেইনবো ক্রসিং এলাকায় একটি বড় লরি নষ্ট হয়ে পড়ায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে থেকে নামা যান চলাচল ব্যাহত হয়।

অন্যদিকে, যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে লেক রোড এলাকায় হেঁটে, পিকআপ ও ট্রাকযোগে বিপুলসংখ্যক লোক সমাগম হওয়ায় ওই সড়কেও যানজটের সৃষ্টি হয়।

জনগণের ভোগান্তি কমাতে ট্রাফিক তেজগাঁও বিভাগ মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পশ্চিম পাশে বিকল্প ডাইভারশন চালু করে। ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা যানজট নিরসনে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে বলে জানিয়েছে বিভাগটি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত