পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি
লালমনিরহাটের পাটগ্রামের বুড়িমারী স্থল শুল্কস্টেশনের একাধিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ঘোষিত আমদানিপণ্যের প্রতি ফাইলের ঋণপত্র (এলসি)/বিল অব এন্ট্রি অনুযায়ী টাকা ব্যাংকে যথানিয়মে পরিশোধ করা হয়। এরপর কাস্টমস কর্মকর্তাদের কাছে প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্রসহ (ডকুমেন্ট) ফাইল নিয়ে গেলে গাড়িতে আনা পণ্যের টনপ্রতি অতিরিক্ত টাকা দাবি করা হয়।
অভিযোগ উঠেছে, ওই শুল্কস্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা জহির রায়হান সিদ্দিক ও রফিকুল ইসলাম এবং সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা এস এম রুহিনুল ইসলাম এ ধরনের অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। আর্থিক লেনদেনের এ ধরনের কথা প্রকাশ না করার প্রচ্ছন্ন হুমকিও দেন বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান একাধিক সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ও আমদানিকারক। তাঁদের সঙ্গে কোনো ব্যবসায়ী বা ব্যবসায়ীর প্রতিনিধি দ্বিমত করলে ওই ব্যবসায়ীর ব্যবসাসংক্রান্ত কাজকর্মে নানান প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করা হয়। এ ছাড়া আমদানিপণ্য ও গাড়ি যাচাই ও পরীক্ষার নামে করা হয় হয়রানি।
সংশ্লিষ্ট একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, এ ধরনের কর্মকর্তারা টাকার লোভে অসাধু কিছু ব্যবসায়ীর সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন। এতে ইতিপূর্বে মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি ও পাচারের ঘটনা ঘটেছে।
একাধিক সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ২১ জুন ফাইলপ্রতি টাকা দাবির ঘটনা নিয়ে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট প্রতিনিধির সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান জহির রায়হান সিদ্দিক ও রফিকুল ইসলাম। এ সময় ফাইল ছুড়ে মারেন তাঁরা। প্রায় সময় এ রাজস্ব কর্মকর্তারা ব্যবসায়ী ও তাঁদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে উগ্র আচরণ করেন। কর্মকর্তাদের এমন কার্যকলাপে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের সুষ্ঠু পরিবেশে বিঘ্ন ঘটছে। এতে ব্যবসায়ীরা এ স্থলবন্দর দিয়ে ব্যবসা করার মনোবল হারাচ্ছেন।
বুড়িমারী স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, নানা কারণে এ শুল্কস্টেশন দিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য কমে গেছে। ভারত ও ভুটান থেকে ডলোমাইড পাউডার, জিপসাম, লাইমস্টোন পাথর ও পাউডার আমদানি করা হয়। আগের তুলনায় আমদানির পরিমাণ ও গাড়ি প্রবেশের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যবসায়ী ও কর্মচারী বলেন, ‘ওই শুল্ক রাজস্ব কর্মকর্তা ও সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। ঘুষ না দিলে সরকারি বিধিবিধান দেখিয়ে ফাইল আটক ও হয়রানি করেন। এতে সরকারের ভাবমূর্তি ও দেশের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হচ্ছে।’
এ ব্যাপারে রাজস্ব কর্মকর্তা (আরও) জহির রায়হান সিদ্দিক বলেন, ‘আমি আমদানিপণ্যের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চাই। এটা অনেকের পছন্দ না। এ কারণে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ ছড়ানো হয়েছে। কাউকে কোনো ধরনের হয়রানি বা অনিয়ম করা হয় না। কে বলেছে, নাম বলেন।’
রাজস্ব কর্মকর্তা (আরও) রফিকুল ইসলাম জানান, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট বা তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কোনো প্রকার বিতর্কের ঘটনা ঘটেনি। এটা মিথ্যা।
বুড়িমারী স্থল শুল্কস্টেশনের সহকারী কমিশনার (এসি) রাহাত হোসেন প্রথমে রাজস্ব কর্মকর্তাদের বিতর্কিত বিষয়গুলো এড়িয়ে যান। পরে বলেন, ‘আপনাদের মাধ্যমে জানলাম। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নেব। জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
লালমনিরহাটের পাটগ্রামের বুড়িমারী স্থল শুল্কস্টেশনের একাধিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ঘোষিত আমদানিপণ্যের প্রতি ফাইলের ঋণপত্র (এলসি)/বিল অব এন্ট্রি অনুযায়ী টাকা ব্যাংকে যথানিয়মে পরিশোধ করা হয়। এরপর কাস্টমস কর্মকর্তাদের কাছে প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্রসহ (ডকুমেন্ট) ফাইল নিয়ে গেলে গাড়িতে আনা পণ্যের টনপ্রতি অতিরিক্ত টাকা দাবি করা হয়।
অভিযোগ উঠেছে, ওই শুল্কস্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা জহির রায়হান সিদ্দিক ও রফিকুল ইসলাম এবং সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা এস এম রুহিনুল ইসলাম এ ধরনের অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। আর্থিক লেনদেনের এ ধরনের কথা প্রকাশ না করার প্রচ্ছন্ন হুমকিও দেন বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান একাধিক সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ও আমদানিকারক। তাঁদের সঙ্গে কোনো ব্যবসায়ী বা ব্যবসায়ীর প্রতিনিধি দ্বিমত করলে ওই ব্যবসায়ীর ব্যবসাসংক্রান্ত কাজকর্মে নানান প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করা হয়। এ ছাড়া আমদানিপণ্য ও গাড়ি যাচাই ও পরীক্ষার নামে করা হয় হয়রানি।
সংশ্লিষ্ট একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, এ ধরনের কর্মকর্তারা টাকার লোভে অসাধু কিছু ব্যবসায়ীর সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন। এতে ইতিপূর্বে মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি ও পাচারের ঘটনা ঘটেছে।
একাধিক সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ২১ জুন ফাইলপ্রতি টাকা দাবির ঘটনা নিয়ে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট প্রতিনিধির সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান জহির রায়হান সিদ্দিক ও রফিকুল ইসলাম। এ সময় ফাইল ছুড়ে মারেন তাঁরা। প্রায় সময় এ রাজস্ব কর্মকর্তারা ব্যবসায়ী ও তাঁদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে উগ্র আচরণ করেন। কর্মকর্তাদের এমন কার্যকলাপে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের সুষ্ঠু পরিবেশে বিঘ্ন ঘটছে। এতে ব্যবসায়ীরা এ স্থলবন্দর দিয়ে ব্যবসা করার মনোবল হারাচ্ছেন।
বুড়িমারী স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, নানা কারণে এ শুল্কস্টেশন দিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য কমে গেছে। ভারত ও ভুটান থেকে ডলোমাইড পাউডার, জিপসাম, লাইমস্টোন পাথর ও পাউডার আমদানি করা হয়। আগের তুলনায় আমদানির পরিমাণ ও গাড়ি প্রবেশের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যবসায়ী ও কর্মচারী বলেন, ‘ওই শুল্ক রাজস্ব কর্মকর্তা ও সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। ঘুষ না দিলে সরকারি বিধিবিধান দেখিয়ে ফাইল আটক ও হয়রানি করেন। এতে সরকারের ভাবমূর্তি ও দেশের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হচ্ছে।’
এ ব্যাপারে রাজস্ব কর্মকর্তা (আরও) জহির রায়হান সিদ্দিক বলেন, ‘আমি আমদানিপণ্যের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চাই। এটা অনেকের পছন্দ না। এ কারণে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ ছড়ানো হয়েছে। কাউকে কোনো ধরনের হয়রানি বা অনিয়ম করা হয় না। কে বলেছে, নাম বলেন।’
রাজস্ব কর্মকর্তা (আরও) রফিকুল ইসলাম জানান, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট বা তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কোনো প্রকার বিতর্কের ঘটনা ঘটেনি। এটা মিথ্যা।
বুড়িমারী স্থল শুল্কস্টেশনের সহকারী কমিশনার (এসি) রাহাত হোসেন প্রথমে রাজস্ব কর্মকর্তাদের বিতর্কিত বিষয়গুলো এড়িয়ে যান। পরে বলেন, ‘আপনাদের মাধ্যমে জানলাম। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নেব। জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি
লালমনিরহাটের পাটগ্রামের বুড়িমারী স্থল শুল্কস্টেশনের একাধিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ঘোষিত আমদানিপণ্যের প্রতি ফাইলের ঋণপত্র (এলসি)/বিল অব এন্ট্রি অনুযায়ী টাকা ব্যাংকে যথানিয়মে পরিশোধ করা হয়। এরপর কাস্টমস কর্মকর্তাদের কাছে প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্রসহ (ডকুমেন্ট) ফাইল নিয়ে গেলে গাড়িতে আনা পণ্যের টনপ্রতি অতিরিক্ত টাকা দাবি করা হয়।
অভিযোগ উঠেছে, ওই শুল্কস্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা জহির রায়হান সিদ্দিক ও রফিকুল ইসলাম এবং সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা এস এম রুহিনুল ইসলাম এ ধরনের অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। আর্থিক লেনদেনের এ ধরনের কথা প্রকাশ না করার প্রচ্ছন্ন হুমকিও দেন বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান একাধিক সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ও আমদানিকারক। তাঁদের সঙ্গে কোনো ব্যবসায়ী বা ব্যবসায়ীর প্রতিনিধি দ্বিমত করলে ওই ব্যবসায়ীর ব্যবসাসংক্রান্ত কাজকর্মে নানান প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করা হয়। এ ছাড়া আমদানিপণ্য ও গাড়ি যাচাই ও পরীক্ষার নামে করা হয় হয়রানি।
সংশ্লিষ্ট একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, এ ধরনের কর্মকর্তারা টাকার লোভে অসাধু কিছু ব্যবসায়ীর সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন। এতে ইতিপূর্বে মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি ও পাচারের ঘটনা ঘটেছে।
একাধিক সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ২১ জুন ফাইলপ্রতি টাকা দাবির ঘটনা নিয়ে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট প্রতিনিধির সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান জহির রায়হান সিদ্দিক ও রফিকুল ইসলাম। এ সময় ফাইল ছুড়ে মারেন তাঁরা। প্রায় সময় এ রাজস্ব কর্মকর্তারা ব্যবসায়ী ও তাঁদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে উগ্র আচরণ করেন। কর্মকর্তাদের এমন কার্যকলাপে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের সুষ্ঠু পরিবেশে বিঘ্ন ঘটছে। এতে ব্যবসায়ীরা এ স্থলবন্দর দিয়ে ব্যবসা করার মনোবল হারাচ্ছেন।
বুড়িমারী স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, নানা কারণে এ শুল্কস্টেশন দিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য কমে গেছে। ভারত ও ভুটান থেকে ডলোমাইড পাউডার, জিপসাম, লাইমস্টোন পাথর ও পাউডার আমদানি করা হয়। আগের তুলনায় আমদানির পরিমাণ ও গাড়ি প্রবেশের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যবসায়ী ও কর্মচারী বলেন, ‘ওই শুল্ক রাজস্ব কর্মকর্তা ও সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। ঘুষ না দিলে সরকারি বিধিবিধান দেখিয়ে ফাইল আটক ও হয়রানি করেন। এতে সরকারের ভাবমূর্তি ও দেশের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হচ্ছে।’
এ ব্যাপারে রাজস্ব কর্মকর্তা (আরও) জহির রায়হান সিদ্দিক বলেন, ‘আমি আমদানিপণ্যের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চাই। এটা অনেকের পছন্দ না। এ কারণে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ ছড়ানো হয়েছে। কাউকে কোনো ধরনের হয়রানি বা অনিয়ম করা হয় না। কে বলেছে, নাম বলেন।’
রাজস্ব কর্মকর্তা (আরও) রফিকুল ইসলাম জানান, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট বা তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কোনো প্রকার বিতর্কের ঘটনা ঘটেনি। এটা মিথ্যা।
বুড়িমারী স্থল শুল্কস্টেশনের সহকারী কমিশনার (এসি) রাহাত হোসেন প্রথমে রাজস্ব কর্মকর্তাদের বিতর্কিত বিষয়গুলো এড়িয়ে যান। পরে বলেন, ‘আপনাদের মাধ্যমে জানলাম। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নেব। জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
লালমনিরহাটের পাটগ্রামের বুড়িমারী স্থল শুল্কস্টেশনের একাধিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ঘোষিত আমদানিপণ্যের প্রতি ফাইলের ঋণপত্র (এলসি)/বিল অব এন্ট্রি অনুযায়ী টাকা ব্যাংকে যথানিয়মে পরিশোধ করা হয়। এরপর কাস্টমস কর্মকর্তাদের কাছে প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্রসহ (ডকুমেন্ট) ফাইল নিয়ে গেলে গাড়িতে আনা পণ্যের টনপ্রতি অতিরিক্ত টাকা দাবি করা হয়।
অভিযোগ উঠেছে, ওই শুল্কস্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা জহির রায়হান সিদ্দিক ও রফিকুল ইসলাম এবং সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা এস এম রুহিনুল ইসলাম এ ধরনের অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। আর্থিক লেনদেনের এ ধরনের কথা প্রকাশ না করার প্রচ্ছন্ন হুমকিও দেন বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান একাধিক সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ও আমদানিকারক। তাঁদের সঙ্গে কোনো ব্যবসায়ী বা ব্যবসায়ীর প্রতিনিধি দ্বিমত করলে ওই ব্যবসায়ীর ব্যবসাসংক্রান্ত কাজকর্মে নানান প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করা হয়। এ ছাড়া আমদানিপণ্য ও গাড়ি যাচাই ও পরীক্ষার নামে করা হয় হয়রানি।
সংশ্লিষ্ট একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, এ ধরনের কর্মকর্তারা টাকার লোভে অসাধু কিছু ব্যবসায়ীর সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন। এতে ইতিপূর্বে মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি ও পাচারের ঘটনা ঘটেছে।
একাধিক সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ২১ জুন ফাইলপ্রতি টাকা দাবির ঘটনা নিয়ে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট প্রতিনিধির সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান জহির রায়হান সিদ্দিক ও রফিকুল ইসলাম। এ সময় ফাইল ছুড়ে মারেন তাঁরা। প্রায় সময় এ রাজস্ব কর্মকর্তারা ব্যবসায়ী ও তাঁদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে উগ্র আচরণ করেন। কর্মকর্তাদের এমন কার্যকলাপে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের সুষ্ঠু পরিবেশে বিঘ্ন ঘটছে। এতে ব্যবসায়ীরা এ স্থলবন্দর দিয়ে ব্যবসা করার মনোবল হারাচ্ছেন।
বুড়িমারী স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, নানা কারণে এ শুল্কস্টেশন দিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য কমে গেছে। ভারত ও ভুটান থেকে ডলোমাইড পাউডার, জিপসাম, লাইমস্টোন পাথর ও পাউডার আমদানি করা হয়। আগের তুলনায় আমদানির পরিমাণ ও গাড়ি প্রবেশের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যবসায়ী ও কর্মচারী বলেন, ‘ওই শুল্ক রাজস্ব কর্মকর্তা ও সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। ঘুষ না দিলে সরকারি বিধিবিধান দেখিয়ে ফাইল আটক ও হয়রানি করেন। এতে সরকারের ভাবমূর্তি ও দেশের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হচ্ছে।’
এ ব্যাপারে রাজস্ব কর্মকর্তা (আরও) জহির রায়হান সিদ্দিক বলেন, ‘আমি আমদানিপণ্যের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চাই। এটা অনেকের পছন্দ না। এ কারণে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ ছড়ানো হয়েছে। কাউকে কোনো ধরনের হয়রানি বা অনিয়ম করা হয় না। কে বলেছে, নাম বলেন।’
রাজস্ব কর্মকর্তা (আরও) রফিকুল ইসলাম জানান, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট বা তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কোনো প্রকার বিতর্কের ঘটনা ঘটেনি। এটা মিথ্যা।
বুড়িমারী স্থল শুল্কস্টেশনের সহকারী কমিশনার (এসি) রাহাত হোসেন প্রথমে রাজস্ব কর্মকর্তাদের বিতর্কিত বিষয়গুলো এড়িয়ে যান। পরে বলেন, ‘আপনাদের মাধ্যমে জানলাম। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নেব। জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে কম মুনাফায় ওষুধ বিক্রির অভিযোগে ‘সততা ড্রাগ হাউস’ নামে একটি ফার্মেসিকে ১ হাজার টাকা জরিমানা ও ৬ ঘণ্টার জন্য দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে উপজেলা কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি। সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে পৌর শহরের নালিতাবাড়ী বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
২ মিনিট আগেপটুয়াখালীর দুমকীতে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের অধীনে থাকা ফেরি বিভাগের প্রায় কোটি টাকার সম্পদ অযত্ন আর অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে। পায়রা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে নদীর তীরে ফেলে রাখা দুটি ফেরি বর্তমানে অচল অবস্থায় পড়ে আছে। নিরাপত্তার অভাবে রাতের আঁধারে এর মূল্যবান যন্ত্রাংশও চুরি হয়ে যাচ্ছে।
২০ মিনিট আগেচাঁদপুর জেলা সদরসহ প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) সিলিন্ডার। ক্রেতার সহজলভ্যতার জন্য এই বিক্রির অনুমোদন থাকলেও মানা হচ্ছে না বিস্ফোরক পরিদপ্তরের কোনো নিয়মনীতি। অধিকাংশ দোকানে একই সঙ্গে বিক্রি হচ্ছে এলপিজি সিলিন্ডার ও জ্বালানি তেল। এতে যেকোনো সময় বড়
৪১ মিনিট আগেকাঠালিয়া উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি জাকির হোসেন বলেন, ‘রাজাপুর ও কাঠালিয়ার বিএনপি এখন দুভাগে বিভক্ত। কেন্দ্র থেকে বহিষ্কৃত বা স্থগিত ব্যক্তিদের কর্মসূচিতে অংশ নিতে নিষেধ থাকলেও এখানে তা মানা হচ্ছে না। মনে হয় রাজাপুর-কাঠালিয়ায় ভিন্ন একটি বিএনপি চলছে।’
১ ঘণ্টা আগেনালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে কম মুনাফায় ওষুধ বিক্রির অভিযোগে ‘সততা ড্রাগ হাউস’ নামে একটি ফার্মেসিকে ১ হাজার টাকা জরিমানা ও ৬ ঘণ্টার জন্য দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে উপজেলা কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি। সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে পৌর শহরের নালিতাবাড়ী বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় রাতে উপজেলা কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সভাপতি আবু সিনা তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দোকান বন্ধের ছবি দিয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন। এতে তিনি লেখেন, ‘সমিতির আইন লঙ্ঘনের দায়ে সততা ড্রাগ হাউসকে ১ হাজার টাকা জরিমানা ও ৬ ঘণ্টা দোকান বন্ধ করে দিল কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি।’ পোস্টটি ভাইরাল হলে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ওই দিন বিকেলে একজন ক্রেতার কাছে কম মুনাফায় পাইকারি দরে ওষুধ বিক্রি করেন দোকানের মালিক মিজানুর রহমান। পরে বিষয়টি সমিতির নেতাদের কানে গেলে তাঁরা দোকানে এসে জরিমানা করেন ও ৬ ঘণ্টা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। এ সময় কোনো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত ছিলেন না।
সততা ড্রাগ হাউসের স্বত্বাধিকারী মিজানুর রহমান বলেন, ‘একজন ব্যবসায়ীর কাছে একটু কম দামে ওষুধ বিক্রি করেছিলাম। এ জন্য সমিতি আমার দোকান বন্ধ ও জরিমানা করেছে। অথচ আমিও ওই সমিতির সদস্য।’
এ বিষয়ে উপজেলা কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সভাপতি আবু সিনা বলেন, ‘এটা আমাদের সংগঠনের নিয়ম অনুযায়ী করা হয়েছে। বিস্তারিত জানতে জেলা কমিটির সঙ্গে কথা বলতে পারেন।’
শেরপুরের ঔষধ তত্ত্বাবধায়ক জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ওষুধ কম বা বেশি দামে বিক্রি করা ব্যবসায়ীর নিজস্ব বিষয়। এ জন্য কোনো সমিতি দোকান বন্ধ বা জরিমানা করতে পারে না। সরকার কোনো সমিতিকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়নি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা আক্তার ববি বলেন, ‘বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে কম মুনাফায় ওষুধ বিক্রির অভিযোগে ‘সততা ড্রাগ হাউস’ নামে একটি ফার্মেসিকে ১ হাজার টাকা জরিমানা ও ৬ ঘণ্টার জন্য দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে উপজেলা কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি। সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে পৌর শহরের নালিতাবাড়ী বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় রাতে উপজেলা কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সভাপতি আবু সিনা তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দোকান বন্ধের ছবি দিয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন। এতে তিনি লেখেন, ‘সমিতির আইন লঙ্ঘনের দায়ে সততা ড্রাগ হাউসকে ১ হাজার টাকা জরিমানা ও ৬ ঘণ্টা দোকান বন্ধ করে দিল কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি।’ পোস্টটি ভাইরাল হলে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ওই দিন বিকেলে একজন ক্রেতার কাছে কম মুনাফায় পাইকারি দরে ওষুধ বিক্রি করেন দোকানের মালিক মিজানুর রহমান। পরে বিষয়টি সমিতির নেতাদের কানে গেলে তাঁরা দোকানে এসে জরিমানা করেন ও ৬ ঘণ্টা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। এ সময় কোনো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত ছিলেন না।
সততা ড্রাগ হাউসের স্বত্বাধিকারী মিজানুর রহমান বলেন, ‘একজন ব্যবসায়ীর কাছে একটু কম দামে ওষুধ বিক্রি করেছিলাম। এ জন্য সমিতি আমার দোকান বন্ধ ও জরিমানা করেছে। অথচ আমিও ওই সমিতির সদস্য।’
এ বিষয়ে উপজেলা কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সভাপতি আবু সিনা বলেন, ‘এটা আমাদের সংগঠনের নিয়ম অনুযায়ী করা হয়েছে। বিস্তারিত জানতে জেলা কমিটির সঙ্গে কথা বলতে পারেন।’
শেরপুরের ঔষধ তত্ত্বাবধায়ক জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ওষুধ কম বা বেশি দামে বিক্রি করা ব্যবসায়ীর নিজস্ব বিষয়। এ জন্য কোনো সমিতি দোকান বন্ধ বা জরিমানা করতে পারে না। সরকার কোনো সমিতিকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়নি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা আক্তার ববি বলেন, ‘বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
লালমনিরহাটের পাটগ্রামের বুড়িমারী স্থল শুল্কস্টেশনের একাধিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ঘোষিত আমদানিপণ্যের প্রতি ফাইলের ঋণপত্র (এলসি)/বিল অব এন্ট্রি অনুযায়ী টাকা ব্যাংকে যথানিয়মে পরিশোধ করা হয়। এরপর কাস্টমস কর্মকর্তাদের কাছে প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্রসহ (ডকুমেন্ট)
২৫ জুন ২০২৫পটুয়াখালীর দুমকীতে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের অধীনে থাকা ফেরি বিভাগের প্রায় কোটি টাকার সম্পদ অযত্ন আর অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে। পায়রা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে নদীর তীরে ফেলে রাখা দুটি ফেরি বর্তমানে অচল অবস্থায় পড়ে আছে। নিরাপত্তার অভাবে রাতের আঁধারে এর মূল্যবান যন্ত্রাংশও চুরি হয়ে যাচ্ছে।
২০ মিনিট আগেচাঁদপুর জেলা সদরসহ প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) সিলিন্ডার। ক্রেতার সহজলভ্যতার জন্য এই বিক্রির অনুমোদন থাকলেও মানা হচ্ছে না বিস্ফোরক পরিদপ্তরের কোনো নিয়মনীতি। অধিকাংশ দোকানে একই সঙ্গে বিক্রি হচ্ছে এলপিজি সিলিন্ডার ও জ্বালানি তেল। এতে যেকোনো সময় বড়
৪১ মিনিট আগেকাঠালিয়া উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি জাকির হোসেন বলেন, ‘রাজাপুর ও কাঠালিয়ার বিএনপি এখন দুভাগে বিভক্ত। কেন্দ্র থেকে বহিষ্কৃত বা স্থগিত ব্যক্তিদের কর্মসূচিতে অংশ নিতে নিষেধ থাকলেও এখানে তা মানা হচ্ছে না। মনে হয় রাজাপুর-কাঠালিয়ায় ভিন্ন একটি বিএনপি চলছে।’
১ ঘণ্টা আগেদুমকী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর দুমকীতে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের অধীনে থাকা ফেরি বিভাগের প্রায় কোটি টাকার সম্পদ অযত্ন আর অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে। পায়রা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে নদীর তীরে ফেলে রাখা দুটি ফেরি বর্তমানে অচল অবস্থায় পড়ে আছে। নিরাপত্তার অভাবে রাতের আঁধারে এর মূল্যবান যন্ত্রাংশও চুরি হয়ে যাচ্ছে।
রোদ-বৃষ্টি, পানি ও কাদার আস্তরণে এখন অচল দুটি ফেরি। দীর্ঘদিন ধরে শ্রমিক-কর্মচারীদের পদচারণ না থাকায় ও ফেরিটি চলাচল না করায় পুরো এলাকা আগাছায় ছেয়ে গেছে। এই অবস্থায় খোলা আকাশের নিচে পড়ে থাকা কোটি টাকার নৌযান দুটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
সূত্র মতে, ২০২১ সালের ২৪ অক্টোবর পায়রা সেতু চালু হওয়ার পর ফেরি দুটি দুমকীর বাহেরচর এলাকায় পায়রা নদীর তীরে রাখা হয়। বর্তমানে এগুলো অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে এবং বেশির ভাগ মালপত্র চুরি হয়ে গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে খোলা আকাশের নিচে পড়ে থাকায় ফেরি দুটির বেশির ভাগ মূল্যবান যন্ত্রপাতি উধাও। ভেতরের অংশে আবর্জনার স্তূপ জমেছে। পানি ও মাটির আস্তরণে ঢেকে গেছে ফেরি দুটির অধিকাংশ অংশ। সরকারি কোটি টাকার সম্পত্তি রক্ষায় কর্তৃপক্ষের কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি।
ঝাটারা এলাকার মো. জসিম উদ্দিন বলেন, সরকারি সম্পদ এভাবে নষ্ট হচ্ছে। এগুলো নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা বা অন্য কোথাও কাজে লাগানো উচিত ছিল।
পার্শ্ববর্তী জলিশা এলাকার মো. শাহিন মনে করেন, ফেরিগুলো নিলামে বিক্রি করলেও সরকারি কোষাগারে কিছু টাকা আসত। তা ছাড়া সংস্কার করে জনগণের সেবায় কাজে লাগালে আরও বেশি উপকার হতো। দেশের সম্পদ রক্ষা হতো, মানুষ সেবা পেত।
ফেরিচালকের সহকারী মো. কায়েস জানান, দীর্ঘদিন ধরে ফেরি দুটি পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। মেয়াদোত্তীর্ণ না হওয়ায় নিলামে উঠানো হয়নি। তবে কবে মেয়াদোত্তীর্ণ হবে, তা তিনি বলতে পারেননি।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জামিল আক্তার বলেন, ‘বাহেরচর এলাকায় পায়রা নদীর তীরে থাকা ফেরি সম্পর্কে আমার জানা আছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
পটুয়াখালীর দুমকীতে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের অধীনে থাকা ফেরি বিভাগের প্রায় কোটি টাকার সম্পদ অযত্ন আর অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে। পায়রা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে নদীর তীরে ফেলে রাখা দুটি ফেরি বর্তমানে অচল অবস্থায় পড়ে আছে। নিরাপত্তার অভাবে রাতের আঁধারে এর মূল্যবান যন্ত্রাংশও চুরি হয়ে যাচ্ছে।
রোদ-বৃষ্টি, পানি ও কাদার আস্তরণে এখন অচল দুটি ফেরি। দীর্ঘদিন ধরে শ্রমিক-কর্মচারীদের পদচারণ না থাকায় ও ফেরিটি চলাচল না করায় পুরো এলাকা আগাছায় ছেয়ে গেছে। এই অবস্থায় খোলা আকাশের নিচে পড়ে থাকা কোটি টাকার নৌযান দুটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
সূত্র মতে, ২০২১ সালের ২৪ অক্টোবর পায়রা সেতু চালু হওয়ার পর ফেরি দুটি দুমকীর বাহেরচর এলাকায় পায়রা নদীর তীরে রাখা হয়। বর্তমানে এগুলো অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে এবং বেশির ভাগ মালপত্র চুরি হয়ে গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে খোলা আকাশের নিচে পড়ে থাকায় ফেরি দুটির বেশির ভাগ মূল্যবান যন্ত্রপাতি উধাও। ভেতরের অংশে আবর্জনার স্তূপ জমেছে। পানি ও মাটির আস্তরণে ঢেকে গেছে ফেরি দুটির অধিকাংশ অংশ। সরকারি কোটি টাকার সম্পত্তি রক্ষায় কর্তৃপক্ষের কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি।
ঝাটারা এলাকার মো. জসিম উদ্দিন বলেন, সরকারি সম্পদ এভাবে নষ্ট হচ্ছে। এগুলো নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা বা অন্য কোথাও কাজে লাগানো উচিত ছিল।
পার্শ্ববর্তী জলিশা এলাকার মো. শাহিন মনে করেন, ফেরিগুলো নিলামে বিক্রি করলেও সরকারি কোষাগারে কিছু টাকা আসত। তা ছাড়া সংস্কার করে জনগণের সেবায় কাজে লাগালে আরও বেশি উপকার হতো। দেশের সম্পদ রক্ষা হতো, মানুষ সেবা পেত।
ফেরিচালকের সহকারী মো. কায়েস জানান, দীর্ঘদিন ধরে ফেরি দুটি পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। মেয়াদোত্তীর্ণ না হওয়ায় নিলামে উঠানো হয়নি। তবে কবে মেয়াদোত্তীর্ণ হবে, তা তিনি বলতে পারেননি।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জামিল আক্তার বলেন, ‘বাহেরচর এলাকায় পায়রা নদীর তীরে থাকা ফেরি সম্পর্কে আমার জানা আছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
লালমনিরহাটের পাটগ্রামের বুড়িমারী স্থল শুল্কস্টেশনের একাধিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ঘোষিত আমদানিপণ্যের প্রতি ফাইলের ঋণপত্র (এলসি)/বিল অব এন্ট্রি অনুযায়ী টাকা ব্যাংকে যথানিয়মে পরিশোধ করা হয়। এরপর কাস্টমস কর্মকর্তাদের কাছে প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্রসহ (ডকুমেন্ট)
২৫ জুন ২০২৫শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে কম মুনাফায় ওষুধ বিক্রির অভিযোগে ‘সততা ড্রাগ হাউস’ নামে একটি ফার্মেসিকে ১ হাজার টাকা জরিমানা ও ৬ ঘণ্টার জন্য দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে উপজেলা কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি। সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে পৌর শহরের নালিতাবাড়ী বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
২ মিনিট আগেচাঁদপুর জেলা সদরসহ প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) সিলিন্ডার। ক্রেতার সহজলভ্যতার জন্য এই বিক্রির অনুমোদন থাকলেও মানা হচ্ছে না বিস্ফোরক পরিদপ্তরের কোনো নিয়মনীতি। অধিকাংশ দোকানে একই সঙ্গে বিক্রি হচ্ছে এলপিজি সিলিন্ডার ও জ্বালানি তেল। এতে যেকোনো সময় বড়
৪১ মিনিট আগেকাঠালিয়া উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি জাকির হোসেন বলেন, ‘রাজাপুর ও কাঠালিয়ার বিএনপি এখন দুভাগে বিভক্ত। কেন্দ্র থেকে বহিষ্কৃত বা স্থগিত ব্যক্তিদের কর্মসূচিতে অংশ নিতে নিষেধ থাকলেও এখানে তা মানা হচ্ছে না। মনে হয় রাজাপুর-কাঠালিয়ায় ভিন্ন একটি বিএনপি চলছে।’
১ ঘণ্টা আগেমুহাম্মদ মাসুদ আলম, চাঁদপুর
চাঁদপুর জেলা সদরসহ প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) সিলিন্ডার। ক্রেতার সহজলভ্যতার জন্য এই বিক্রির অনুমোদন থাকলেও মানা হচ্ছে না বিস্ফোরক পরিদপ্তরের কোনো নিয়মনীতি। অধিকাংশ দোকানে একই সঙ্গে বিক্রি হচ্ছে এলপিজি সিলিন্ডার ও জ্বালানি তেল। এতে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে শহরে বঙ্গবন্ধু সড়কে একই দোকানে এলপিজি ও জ্বালানি তেল বিক্রির অনিয়মের কারণে সৃষ্ট অগ্নিকাণ্ডে চারজন দগ্ধ হয়ে মারা যায়। ওই ঘটনার পর প্রশাসন কিছুটা নড়েচড়ে বসলেও বর্তমানে তাদের ভূমিকা নীরব। তবে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে সদর উপজেলা প্রশাসন।
সাম্প্রতিক সময়ে চাঁদপুর জেলার আঞ্চলিক, উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়ক এবং বাজারগুলোতে মুদি, ফোন, চায়ের দোকান, সার-কীটনাশক এমনকি টেইলারিং দোকানেও গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি হতে দেখা যাচ্ছে। গুরুতর বিষয় হলো, এসব দোকানে পাশাপাশি বিক্রি হচ্ছে জ্বালানি তেলও। ব্যবসায়ীরা জানান, তাঁরা সিলিন্ডার বিক্রির জন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদন বা বিস্ফোরক পরিদপ্তরের নিয়মকানুন সম্পর্কে অবগত নন। তাঁরা রাস্তার পাশে বা দোকানের সামনে প্রচণ্ড তাপমাত্রায় সিলিন্ডার সাজিয়ে রাখেন, যাতে ক্রেতাদের চোখে পড়ে। একটি দোকানে কী পরিমাণ সিলিন্ডার রাখা যাবে—এসব নিয়মের কিছুই জানেন না ব্যবসায়ীরা।
এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির বিষয়ে বিস্ফোরক পরিদপ্তরের নিয়ম হচ্ছে, একটি দোকানে ১২ লিটারের সর্বোচ্চ ৮টি এবং বড় আকারের হলে ৩টি সিলিন্ডার লাইসেন্স ছাড়া বিক্রি করা যায়। তবে সিলিন্ডার অবশ্যই রোদে না রেখে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। অতিরিক্ত মজুত করলে বিস্ফোরক পরিদপ্তরের লাইসেন্স বাধ্যতামূলক।
সদর উপজেলার চান্দ্রা চৌরাস্তার স্যানিটারি মালপত্র বিক্রি করেন ব্যবসায়ী জহিরুল ইসলাম। তিনি এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারও বিক্রি করেন। তবে বিক্রির জন্য অনুমোদনের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তিনি বলেন, ‘এলাকার অনেক দোকানে বিক্রি হয়। আমিও তাদের মতো বিক্রি করি। কী পরিমাণ সিলিন্ডার মজুত রাখা যাবে—এমন প্রশ্নের জবাবে জানান, এই বিষয়ে তিনি অবগত নন।
সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের ফরক্কাবাদ বাজারের মোটর গ্যারেজে বিক্রি হয় গ্যাস সিলিন্ডার ও জ্বালানি তেল। দোকানের মালিক সুমন দাস বলেন, কোনো নিয়ম জানা নেই বিক্রির জন্য। দুর্ঘটনা হলে কী করণীয়, সেটাও বলতে পারেননি এই ব্যবসায়ী।
ফরিদগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া বাজার, ভাটিয়ালপুর, নয়ারহাট, রামপুর, গোয়ালভাওর এলাকার দোকানগুলোতে দেখা গেছে প্রায় দোকানে ২০ থেকে ২৫টি করে এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার মজুত। অনেক দোকানি রোদের মধ্যে রেখেছেন সিলিন্ডার।
রামপুর বাজারের ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, সিলিন্ডার দোকানের সামনে না রাখলে ক্রেতারা জানবে কীভাবে। এ জন্য রোদে রাখা হায়।
সিলিন্ডারের নির্দিষ্ট মেয়াদের বিষয়ে জানতে চাইলে শহরের বাসিন্দা আল-ইমরান শোভন, মাইনুল ইসলাম, শাহজাহান বলেন, ‘এ বিষয়টি জানতাম না। মেয়াদোত্তীর্ণ সিলিন্ডার ব্যবহারে আগামীতে সতর্ক থাকব।’
ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়েই গ্যাস সিলিন্ডারের নির্দিষ্ট মেয়াদ সম্পর্কে অজ্ঞ। শহরের নিউ ট্রাক রোডের ব্যবসায়ী শামীম, সেলিম খান ও সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করি। কিন্তু এটির মেয়াদ থাকে জানা ছিল না। এখন থেকে মাল ক্রয়ের সময় মেয়াদ দেখে নিতে হবে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিটি গ্যাস সিলিন্ডারের ওপরের অংশে একটি কোড থাকে (যেমন A-২০২৫)। ‘A’ মানে জানুয়ারি-মার্চ, ‘B’ মানে এপ্রিল-জুন, ‘C’ মানে জুলাই-সেপ্টেম্বর এবং ‘D’ মানে অক্টোবর-ডিসেম্বর। এই অক্ষর এবং তার পরের সালটি সিলিন্ডারের মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ নির্দেশ করে। সিলিন্ডারের মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ হিসেবে লেখা থাকবে ‘এ’-২০২৫, অর্থাৎ এটির মেয়াদ শেষ ২০২৫ সালের মার্চ মাসে।
চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম এন জামিউল হিকমা বলেন, ‘গ্যাস সিলিন্ডার ও জ্বালানির বিক্রির বিষয়টি অবগত হলাম। শিগগির অভিযান পরিচালনা করা হবে।’
বিস্ফোরক পরিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের বিস্ফোরক পরিদর্শক মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ভোক্তার সহজলভ্যতার কারণে স্থানীয় দোকানগুলোয় বিক্রির জন্য অনুমোদন লাগে না। তবে যেকোনো দোকানে ১২ লিটারের ৮-১০টির বেশি সিলিন্ডার রাখতে পারবে না। ১২ লিটারের বেশি ওজনের হলে ৩ থেকে ৪টি রেখে বিক্রি করতে পারবে। অতিরিক্ত মজুত করলে অবশ্যই বিস্ফোরক পরিদপ্তরের লাইসেন্স লাগবে। রাস্তার ওপর রেখে বিক্রি করতে পারবে না। ঠান্ডা জায়গায় সিলিন্ডার রাখতে হবে।
চাঁদপুর জেলা সদরসহ প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) সিলিন্ডার। ক্রেতার সহজলভ্যতার জন্য এই বিক্রির অনুমোদন থাকলেও মানা হচ্ছে না বিস্ফোরক পরিদপ্তরের কোনো নিয়মনীতি। অধিকাংশ দোকানে একই সঙ্গে বিক্রি হচ্ছে এলপিজি সিলিন্ডার ও জ্বালানি তেল। এতে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে শহরে বঙ্গবন্ধু সড়কে একই দোকানে এলপিজি ও জ্বালানি তেল বিক্রির অনিয়মের কারণে সৃষ্ট অগ্নিকাণ্ডে চারজন দগ্ধ হয়ে মারা যায়। ওই ঘটনার পর প্রশাসন কিছুটা নড়েচড়ে বসলেও বর্তমানে তাদের ভূমিকা নীরব। তবে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে সদর উপজেলা প্রশাসন।
সাম্প্রতিক সময়ে চাঁদপুর জেলার আঞ্চলিক, উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়ক এবং বাজারগুলোতে মুদি, ফোন, চায়ের দোকান, সার-কীটনাশক এমনকি টেইলারিং দোকানেও গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি হতে দেখা যাচ্ছে। গুরুতর বিষয় হলো, এসব দোকানে পাশাপাশি বিক্রি হচ্ছে জ্বালানি তেলও। ব্যবসায়ীরা জানান, তাঁরা সিলিন্ডার বিক্রির জন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদন বা বিস্ফোরক পরিদপ্তরের নিয়মকানুন সম্পর্কে অবগত নন। তাঁরা রাস্তার পাশে বা দোকানের সামনে প্রচণ্ড তাপমাত্রায় সিলিন্ডার সাজিয়ে রাখেন, যাতে ক্রেতাদের চোখে পড়ে। একটি দোকানে কী পরিমাণ সিলিন্ডার রাখা যাবে—এসব নিয়মের কিছুই জানেন না ব্যবসায়ীরা।
এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির বিষয়ে বিস্ফোরক পরিদপ্তরের নিয়ম হচ্ছে, একটি দোকানে ১২ লিটারের সর্বোচ্চ ৮টি এবং বড় আকারের হলে ৩টি সিলিন্ডার লাইসেন্স ছাড়া বিক্রি করা যায়। তবে সিলিন্ডার অবশ্যই রোদে না রেখে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। অতিরিক্ত মজুত করলে বিস্ফোরক পরিদপ্তরের লাইসেন্স বাধ্যতামূলক।
সদর উপজেলার চান্দ্রা চৌরাস্তার স্যানিটারি মালপত্র বিক্রি করেন ব্যবসায়ী জহিরুল ইসলাম। তিনি এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারও বিক্রি করেন। তবে বিক্রির জন্য অনুমোদনের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তিনি বলেন, ‘এলাকার অনেক দোকানে বিক্রি হয়। আমিও তাদের মতো বিক্রি করি। কী পরিমাণ সিলিন্ডার মজুত রাখা যাবে—এমন প্রশ্নের জবাবে জানান, এই বিষয়ে তিনি অবগত নন।
সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের ফরক্কাবাদ বাজারের মোটর গ্যারেজে বিক্রি হয় গ্যাস সিলিন্ডার ও জ্বালানি তেল। দোকানের মালিক সুমন দাস বলেন, কোনো নিয়ম জানা নেই বিক্রির জন্য। দুর্ঘটনা হলে কী করণীয়, সেটাও বলতে পারেননি এই ব্যবসায়ী।
ফরিদগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া বাজার, ভাটিয়ালপুর, নয়ারহাট, রামপুর, গোয়ালভাওর এলাকার দোকানগুলোতে দেখা গেছে প্রায় দোকানে ২০ থেকে ২৫টি করে এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার মজুত। অনেক দোকানি রোদের মধ্যে রেখেছেন সিলিন্ডার।
রামপুর বাজারের ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, সিলিন্ডার দোকানের সামনে না রাখলে ক্রেতারা জানবে কীভাবে। এ জন্য রোদে রাখা হায়।
সিলিন্ডারের নির্দিষ্ট মেয়াদের বিষয়ে জানতে চাইলে শহরের বাসিন্দা আল-ইমরান শোভন, মাইনুল ইসলাম, শাহজাহান বলেন, ‘এ বিষয়টি জানতাম না। মেয়াদোত্তীর্ণ সিলিন্ডার ব্যবহারে আগামীতে সতর্ক থাকব।’
ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়েই গ্যাস সিলিন্ডারের নির্দিষ্ট মেয়াদ সম্পর্কে অজ্ঞ। শহরের নিউ ট্রাক রোডের ব্যবসায়ী শামীম, সেলিম খান ও সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করি। কিন্তু এটির মেয়াদ থাকে জানা ছিল না। এখন থেকে মাল ক্রয়ের সময় মেয়াদ দেখে নিতে হবে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিটি গ্যাস সিলিন্ডারের ওপরের অংশে একটি কোড থাকে (যেমন A-২০২৫)। ‘A’ মানে জানুয়ারি-মার্চ, ‘B’ মানে এপ্রিল-জুন, ‘C’ মানে জুলাই-সেপ্টেম্বর এবং ‘D’ মানে অক্টোবর-ডিসেম্বর। এই অক্ষর এবং তার পরের সালটি সিলিন্ডারের মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ নির্দেশ করে। সিলিন্ডারের মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ হিসেবে লেখা থাকবে ‘এ’-২০২৫, অর্থাৎ এটির মেয়াদ শেষ ২০২৫ সালের মার্চ মাসে।
চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম এন জামিউল হিকমা বলেন, ‘গ্যাস সিলিন্ডার ও জ্বালানির বিক্রির বিষয়টি অবগত হলাম। শিগগির অভিযান পরিচালনা করা হবে।’
বিস্ফোরক পরিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের বিস্ফোরক পরিদর্শক মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ভোক্তার সহজলভ্যতার কারণে স্থানীয় দোকানগুলোয় বিক্রির জন্য অনুমোদন লাগে না। তবে যেকোনো দোকানে ১২ লিটারের ৮-১০টির বেশি সিলিন্ডার রাখতে পারবে না। ১২ লিটারের বেশি ওজনের হলে ৩ থেকে ৪টি রেখে বিক্রি করতে পারবে। অতিরিক্ত মজুত করলে অবশ্যই বিস্ফোরক পরিদপ্তরের লাইসেন্স লাগবে। রাস্তার ওপর রেখে বিক্রি করতে পারবে না। ঠান্ডা জায়গায় সিলিন্ডার রাখতে হবে।
লালমনিরহাটের পাটগ্রামের বুড়িমারী স্থল শুল্কস্টেশনের একাধিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ঘোষিত আমদানিপণ্যের প্রতি ফাইলের ঋণপত্র (এলসি)/বিল অব এন্ট্রি অনুযায়ী টাকা ব্যাংকে যথানিয়মে পরিশোধ করা হয়। এরপর কাস্টমস কর্মকর্তাদের কাছে প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্রসহ (ডকুমেন্ট)
২৫ জুন ২০২৫শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে কম মুনাফায় ওষুধ বিক্রির অভিযোগে ‘সততা ড্রাগ হাউস’ নামে একটি ফার্মেসিকে ১ হাজার টাকা জরিমানা ও ৬ ঘণ্টার জন্য দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে উপজেলা কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি। সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে পৌর শহরের নালিতাবাড়ী বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
২ মিনিট আগেপটুয়াখালীর দুমকীতে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের অধীনে থাকা ফেরি বিভাগের প্রায় কোটি টাকার সম্পদ অযত্ন আর অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে। পায়রা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে নদীর তীরে ফেলে রাখা দুটি ফেরি বর্তমানে অচল অবস্থায় পড়ে আছে। নিরাপত্তার অভাবে রাতের আঁধারে এর মূল্যবান যন্ত্রাংশও চুরি হয়ে যাচ্ছে।
২০ মিনিট আগেকাঠালিয়া উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি জাকির হোসেন বলেন, ‘রাজাপুর ও কাঠালিয়ার বিএনপি এখন দুভাগে বিভক্ত। কেন্দ্র থেকে বহিষ্কৃত বা স্থগিত ব্যক্তিদের কর্মসূচিতে অংশ নিতে নিষেধ থাকলেও এখানে তা মানা হচ্ছে না। মনে হয় রাজাপুর-কাঠালিয়ায় ভিন্ন একটি বিএনপি চলছে।’
১ ঘণ্টা আগেআরিফ রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি
ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঠালিয়া) আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী কেন্দ্রীয় ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল পদ স্থগিত ও বহিষ্কৃত নেতাদের নিয়ে সভা-সমাবেশ করায় দলে ক্ষোভ ও বিভক্তি দেখা দিয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, সম্প্রতি তিনি রাজাপুর উপজেলা বিএনপির স্থগিত সাধারণ সম্পাদক নাসিম উদ্দিন আকন ও কাঠালিয়া উপজেলা বিএনপির স্থগিত সাধারণ সম্পাদক আখতার হোসেন নিজাম মীরবহরসহ পদ স্থগিত হওয়া একাধিক নেতাকে নিয়ে সভা-সমাবেশ করেছেন। এই ঘটনায় দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
কাঠালিয়া উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি জাকির হোসেন বলেন, ‘রাজাপুর ও কাঠালিয়ার বিএনপি এখন দুভাগে বিভক্ত। কেন্দ্র থেকে বহিষ্কৃত বা স্থগিত ব্যক্তিদের কর্মসূচিতে অংশ নিতে নিষেধ থাকলেও এখানে তা মানা হচ্ছে না। মনে হয় রাজাপুর-কাঠালিয়ায় ভিন্ন একটি বিএনপি চলছে।’
জাকির হোসেনের দাবি, বিষয়টি কেন্দ্রীয় নেতাদের অবহিত করা হয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, নাসিম উদ্দিন আকন চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ পান। সন্তোষজনক জবাব না পাওয়ায় ২৫ জানুয়ারি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তাঁর পদ স্থগিত করা হয়।
পরে ২ ফেব্রুয়ারি বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে দলীয় গঠনতন্ত্রের ৫(গ) ধারা মোতাবেক তাঁর প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পদ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়।
একইভাবে কাঠালিয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আখতার হোসেন নিজাম মীরবহরকে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে সমর্থন ও নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে অংশ নেওয়ার অভিযোগে ৫ এপ্রিল শোকজ করা হয়। পরদিন সন্তোষজনক জবাব না পাওয়ায় তাঁর পদ স্থগিত করা হয় এবং তাঁকে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।
নাসিম উদ্দিন আকন বলেন, ‘আমাকে বহিষ্কার করা হয়নি, শুধু পদ স্থগিত করা হয়েছে। জেলা বিএনপির রোষানলের কারণে এই সিদ্ধান্ত। রাজাপুরের মানুষ ও নেতা-কর্মীরা আমাকে ভালোবাসেন। তাই রাজনৈতিক, পারিবারিকসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাঁরা আমাকে দাওয়াত দেন। এটা আমার গ্রহণযোগ্যতা। তাই রাজনৈতিক বা সামাজিক অনুষ্ঠানে আমি স্বাভাবিকভাবেই অংশগ্রহণ করি। রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণে আমার কোনো বাধা নাই।’
পদ স্থগিত নেতা আখতার হোসেন নিজাম মীরবহরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় নেতা রফিকুল ইসলাম জামাল বলেন, ‘বহিষ্কৃত ব্যক্তিদের সঙ্গে কাজ করা যায় না; তবে যাঁদের পদ স্থগিত করা হয়েছে, তাঁরা মিছিল-সমাবেশে অংশ নিতে পারেন। তাঁদের পদ না থাকলেও তাঁরা দলের অংশ, তাই সভায় অংশগ্রহণে সমস্যা নেই।’
রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, ‘যে আওয়ামী লীগ করে, সেও যদি আমার মিছিল-মিটিংয়ে আসে, আমি কি তাকে বের করে দেব? মিছিল-মিটিংয়ে আসা এক জিনিস, কিন্তু পদাধিকার বলে কমিটি বা সংগঠন করা আরেক জিনিস। সাংগঠনিকভাবে যার পদ স্থগিত, সে কমিটিতে থাকতে পারে না। তবে মতবিনিময় সভা বা জনসভায় তার উপস্থিতিতে আমি কোনো সমস্যা দেখি না।’ নাসিম উদ্দিন আকনের বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করার বিষয়ে জানতে চাইলে, তিনি ব্যাখ্যা দেন, ‘না, ওটা আমাদের অস্থায়ী কার্যালয়। শাহজাহান ওমর দল থেকে যাওয়ার পর ওটা রাজাপুর বিএনপির অস্থায়ী অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। সেখানে তারেক রহমান ও জিয়াউর রহমানের ছবি আছে। নতুন অফিস এখনো নেওয়া হয়নি।’
রফিকুল ইসলাম জামাল আরও বলেন, ‘নাসিম উদ্দিন আকন একটি স্কুল ও মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সভাপতি। আমি যদি সেই জায়গায় যাই, তাহলে কি সে থাকবে না? আমার দলের কেউ যদি দল থেকে বহিষ্কারও হয়, কিন্তু সেই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি বা শিক্ষক হিসেবে থাকে, তাহলে সে উপস্থিত থাকলে সমস্যা কোথায়?’
জেলা বিএনপির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাৎ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যাঁরা পদ স্থগিত নেতাদের নিয়ে কার্যক্রম চালাচ্ছেন, এতে বিভ্রান্তি ও বিশৃঙ্খলা তৈরি হচ্ছে। বিষয়টি কেন্দ্রীয়ভাবে জানানো হয়েছে।’
রাজাপুর ও কাঠালিয়া বিএনপির মধ্যে বিরোধ ও দ্বন্দ্বে মাঠের রাজনীতি আরও জটিল হয়ে উঠছে। কেন্দ্রীয় নেতার অংশগ্রহণে পদ স্থগিত নেতাদের নিয়ে সভা হওয়ায় স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে, দলীয় সিদ্ধান্ত মানা না হলে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা কোথায়?
ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঠালিয়া) আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী কেন্দ্রীয় ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল পদ স্থগিত ও বহিষ্কৃত নেতাদের নিয়ে সভা-সমাবেশ করায় দলে ক্ষোভ ও বিভক্তি দেখা দিয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, সম্প্রতি তিনি রাজাপুর উপজেলা বিএনপির স্থগিত সাধারণ সম্পাদক নাসিম উদ্দিন আকন ও কাঠালিয়া উপজেলা বিএনপির স্থগিত সাধারণ সম্পাদক আখতার হোসেন নিজাম মীরবহরসহ পদ স্থগিত হওয়া একাধিক নেতাকে নিয়ে সভা-সমাবেশ করেছেন। এই ঘটনায় দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
কাঠালিয়া উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি জাকির হোসেন বলেন, ‘রাজাপুর ও কাঠালিয়ার বিএনপি এখন দুভাগে বিভক্ত। কেন্দ্র থেকে বহিষ্কৃত বা স্থগিত ব্যক্তিদের কর্মসূচিতে অংশ নিতে নিষেধ থাকলেও এখানে তা মানা হচ্ছে না। মনে হয় রাজাপুর-কাঠালিয়ায় ভিন্ন একটি বিএনপি চলছে।’
জাকির হোসেনের দাবি, বিষয়টি কেন্দ্রীয় নেতাদের অবহিত করা হয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, নাসিম উদ্দিন আকন চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ পান। সন্তোষজনক জবাব না পাওয়ায় ২৫ জানুয়ারি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তাঁর পদ স্থগিত করা হয়।
পরে ২ ফেব্রুয়ারি বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে দলীয় গঠনতন্ত্রের ৫(গ) ধারা মোতাবেক তাঁর প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পদ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়।
একইভাবে কাঠালিয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আখতার হোসেন নিজাম মীরবহরকে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে সমর্থন ও নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে অংশ নেওয়ার অভিযোগে ৫ এপ্রিল শোকজ করা হয়। পরদিন সন্তোষজনক জবাব না পাওয়ায় তাঁর পদ স্থগিত করা হয় এবং তাঁকে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।
নাসিম উদ্দিন আকন বলেন, ‘আমাকে বহিষ্কার করা হয়নি, শুধু পদ স্থগিত করা হয়েছে। জেলা বিএনপির রোষানলের কারণে এই সিদ্ধান্ত। রাজাপুরের মানুষ ও নেতা-কর্মীরা আমাকে ভালোবাসেন। তাই রাজনৈতিক, পারিবারিকসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাঁরা আমাকে দাওয়াত দেন। এটা আমার গ্রহণযোগ্যতা। তাই রাজনৈতিক বা সামাজিক অনুষ্ঠানে আমি স্বাভাবিকভাবেই অংশগ্রহণ করি। রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণে আমার কোনো বাধা নাই।’
পদ স্থগিত নেতা আখতার হোসেন নিজাম মীরবহরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় নেতা রফিকুল ইসলাম জামাল বলেন, ‘বহিষ্কৃত ব্যক্তিদের সঙ্গে কাজ করা যায় না; তবে যাঁদের পদ স্থগিত করা হয়েছে, তাঁরা মিছিল-সমাবেশে অংশ নিতে পারেন। তাঁদের পদ না থাকলেও তাঁরা দলের অংশ, তাই সভায় অংশগ্রহণে সমস্যা নেই।’
রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, ‘যে আওয়ামী লীগ করে, সেও যদি আমার মিছিল-মিটিংয়ে আসে, আমি কি তাকে বের করে দেব? মিছিল-মিটিংয়ে আসা এক জিনিস, কিন্তু পদাধিকার বলে কমিটি বা সংগঠন করা আরেক জিনিস। সাংগঠনিকভাবে যার পদ স্থগিত, সে কমিটিতে থাকতে পারে না। তবে মতবিনিময় সভা বা জনসভায় তার উপস্থিতিতে আমি কোনো সমস্যা দেখি না।’ নাসিম উদ্দিন আকনের বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করার বিষয়ে জানতে চাইলে, তিনি ব্যাখ্যা দেন, ‘না, ওটা আমাদের অস্থায়ী কার্যালয়। শাহজাহান ওমর দল থেকে যাওয়ার পর ওটা রাজাপুর বিএনপির অস্থায়ী অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। সেখানে তারেক রহমান ও জিয়াউর রহমানের ছবি আছে। নতুন অফিস এখনো নেওয়া হয়নি।’
রফিকুল ইসলাম জামাল আরও বলেন, ‘নাসিম উদ্দিন আকন একটি স্কুল ও মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সভাপতি। আমি যদি সেই জায়গায় যাই, তাহলে কি সে থাকবে না? আমার দলের কেউ যদি দল থেকে বহিষ্কারও হয়, কিন্তু সেই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি বা শিক্ষক হিসেবে থাকে, তাহলে সে উপস্থিত থাকলে সমস্যা কোথায়?’
জেলা বিএনপির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাৎ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যাঁরা পদ স্থগিত নেতাদের নিয়ে কার্যক্রম চালাচ্ছেন, এতে বিভ্রান্তি ও বিশৃঙ্খলা তৈরি হচ্ছে। বিষয়টি কেন্দ্রীয়ভাবে জানানো হয়েছে।’
রাজাপুর ও কাঠালিয়া বিএনপির মধ্যে বিরোধ ও দ্বন্দ্বে মাঠের রাজনীতি আরও জটিল হয়ে উঠছে। কেন্দ্রীয় নেতার অংশগ্রহণে পদ স্থগিত নেতাদের নিয়ে সভা হওয়ায় স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে, দলীয় সিদ্ধান্ত মানা না হলে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা কোথায়?
লালমনিরহাটের পাটগ্রামের বুড়িমারী স্থল শুল্কস্টেশনের একাধিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ঘোষিত আমদানিপণ্যের প্রতি ফাইলের ঋণপত্র (এলসি)/বিল অব এন্ট্রি অনুযায়ী টাকা ব্যাংকে যথানিয়মে পরিশোধ করা হয়। এরপর কাস্টমস কর্মকর্তাদের কাছে প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্রসহ (ডকুমেন্ট)
২৫ জুন ২০২৫শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে কম মুনাফায় ওষুধ বিক্রির অভিযোগে ‘সততা ড্রাগ হাউস’ নামে একটি ফার্মেসিকে ১ হাজার টাকা জরিমানা ও ৬ ঘণ্টার জন্য দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে উপজেলা কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি। সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে পৌর শহরের নালিতাবাড়ী বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
২ মিনিট আগেপটুয়াখালীর দুমকীতে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের অধীনে থাকা ফেরি বিভাগের প্রায় কোটি টাকার সম্পদ অযত্ন আর অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে। পায়রা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে নদীর তীরে ফেলে রাখা দুটি ফেরি বর্তমানে অচল অবস্থায় পড়ে আছে। নিরাপত্তার অভাবে রাতের আঁধারে এর মূল্যবান যন্ত্রাংশও চুরি হয়ে যাচ্ছে।
২০ মিনিট আগেচাঁদপুর জেলা সদরসহ প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) সিলিন্ডার। ক্রেতার সহজলভ্যতার জন্য এই বিক্রির অনুমোদন থাকলেও মানা হচ্ছে না বিস্ফোরক পরিদপ্তরের কোনো নিয়মনীতি। অধিকাংশ দোকানে একই সঙ্গে বিক্রি হচ্ছে এলপিজি সিলিন্ডার ও জ্বালানি তেল। এতে যেকোনো সময় বড়
৪১ মিনিট আগে