Ajker Patrika

নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতা: ঝিনাইদহে নৌকার সমর্থকদের প্রায় ৪০ বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ 

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
আপডেট : ০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮: ৪১
Thumbnail image

ঝিনাইদহ সদরের পোড়াহাটি ইউনিয়নে নৌকার সমর্থকদের অন্তত ৪০টি বাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে। এই আসনে বিজয়ী ঈগল প্রতীকের সমর্থকেরা আজ সোমবার সকাল ৯টার দিকে বাসুদেবপুর, হীরাডাঙ্গা, চর হীরাডাঙ্গা, সুরাপাড়া ও বারইখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ। এদিকে ঘটনার পর গ্রামগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ও বিজিবি সদস্যদের টহল বাড়ানো হয়েছে।

ঝিনাইদহ-২ (হরিণাকুন্ডু ও সদর উপজেলা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন নৌকা প্রতীকের তাহজীব আলম সিদ্দিকী। 

স্থানীয়রা জানায়, গতকাল রোববার ভোট গ্রহণের পর শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ছিল। হঠাৎ আজ সকাল ৯টার দিকে সদর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পোড়াহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হিরণের ৫০-৬০ জন অনুসারী সদর উপজেলার বাসুদেবপুর গ্রাম থেকে নৌকার সমর্থকদের বাড়িঘর ভাঙচুর শুরু করেন। সে সময় বাড়ির আসবাবও ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। শহিদুল ইসলাম বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী নাসের শাহরিয়ারের সমর্থক। 

নৌকার প্রার্থী তাহজীব আলম অনুসারী ও সদর থানা যুবলীগের আহ্বায়ক ইব্রাহিম খলিল রাজার সঙ্গে শহিদুল ইসলামের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এ বিরোধের জেরেই নির্বাচনের পরদিন হামলার ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

বাসুদেবপুর গ্রামের মনোয়ারা বেগম বলেন, ‘সকালে একবার এসে আমাদের দাবড়িয়ে গেছে। এরপর ৯টার দিকে এসে আমার ঘর ভাঙচুর করেছে। তিনটা গরু আর তিনটা ছাগল নিয়ে গেছে।’ এ ছাড়া বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৪০টি ঘরবাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলে জানান তিনি। 
 
হীরাডাঙ্গা গ্রামে বাড়ি ভাঙচুর ঘরবাড়িসদর থানা যুবলীগের আহ্বায়ক ইব্রাহিম খলিল রাজার বাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এলাকায় ইব্রাহিম খলিলকে পাওয়া না গেলেও তাঁর বাবা ফজলুর রহমান শাহ বলেন, ‘হীরাডাঙ্গার ফিরোজ, মালেক বিশ্বাসসহ আরও অনেকে নেতৃত্ব দিয়ে দেখিয়ে দেখিয়ে ভাঙচুর করে। যারা ভাঙচুর করেছে, তারা সবাই শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে চলে। সে নির্দেশ দিয়েই এ কাজ করেছে।’ 

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সদর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পোড়াহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সকালে আমার সমর্থক বাসুদেবপুর গ্রামের আতিয়ারকে মারধর করার পরই লোকজন উত্তেজিত হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তাদের থামিয়ে চলে যাচ্ছি।’

ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মীর আবিদুর রহমান জানান, পরিস্থিতি এখন শান্ত আছে। পুলিশের টহল জোরদার রয়েছে। সবাইকে সতর্ক করা হচ্ছে। 

উল্লেখ্য, ঝিনাইদহ-২ (হরিণাকুন্ডু ও সদর উপজেলা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের নাসের শাহরিয়ার ১ লাখ ৩৬ হাজার ৭৭৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সংসদ সদস্য নৌকা প্রতীকের তাহজীব আলম পেয়েছেন ১ লাখ ১৬ হাজার ২০৭ ভোট। এই আসনে মোট প্রার্থী ১১ জন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত