ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহ সদরের পোড়াহাটি ইউনিয়নে নৌকার সমর্থকদের অন্তত ৪০টি বাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে। এই আসনে বিজয়ী ঈগল প্রতীকের সমর্থকেরা আজ সোমবার সকাল ৯টার দিকে বাসুদেবপুর, হীরাডাঙ্গা, চর হীরাডাঙ্গা, সুরাপাড়া ও বারইখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ। এদিকে ঘটনার পর গ্রামগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ও বিজিবি সদস্যদের টহল বাড়ানো হয়েছে।
ঝিনাইদহ-২ (হরিণাকুন্ডু ও সদর উপজেলা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন নৌকা প্রতীকের তাহজীব আলম সিদ্দিকী।
স্থানীয়রা জানায়, গতকাল রোববার ভোট গ্রহণের পর শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ছিল। হঠাৎ আজ সকাল ৯টার দিকে সদর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পোড়াহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হিরণের ৫০-৬০ জন অনুসারী সদর উপজেলার বাসুদেবপুর গ্রাম থেকে নৌকার সমর্থকদের বাড়িঘর ভাঙচুর শুরু করেন। সে সময় বাড়ির আসবাবও ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। শহিদুল ইসলাম বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী নাসের শাহরিয়ারের সমর্থক।
নৌকার প্রার্থী তাহজীব আলম অনুসারী ও সদর থানা যুবলীগের আহ্বায়ক ইব্রাহিম খলিল রাজার সঙ্গে শহিদুল ইসলামের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এ বিরোধের জেরেই নির্বাচনের পরদিন হামলার ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
বাসুদেবপুর গ্রামের মনোয়ারা বেগম বলেন, ‘সকালে একবার এসে আমাদের দাবড়িয়ে গেছে। এরপর ৯টার দিকে এসে আমার ঘর ভাঙচুর করেছে। তিনটা গরু আর তিনটা ছাগল নিয়ে গেছে।’ এ ছাড়া বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৪০টি ঘরবাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
সদর থানা যুবলীগের আহ্বায়ক ইব্রাহিম খলিল রাজার বাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এলাকায় ইব্রাহিম খলিলকে পাওয়া না গেলেও তাঁর বাবা ফজলুর রহমান শাহ বলেন, ‘হীরাডাঙ্গার ফিরোজ, মালেক বিশ্বাসসহ আরও অনেকে নেতৃত্ব দিয়ে দেখিয়ে দেখিয়ে ভাঙচুর করে। যারা ভাঙচুর করেছে, তারা সবাই শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে চলে। সে নির্দেশ দিয়েই এ কাজ করেছে।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সদর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পোড়াহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সকালে আমার সমর্থক বাসুদেবপুর গ্রামের আতিয়ারকে মারধর করার পরই লোকজন উত্তেজিত হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তাদের থামিয়ে চলে যাচ্ছি।’
ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মীর আবিদুর রহমান জানান, পরিস্থিতি এখন শান্ত আছে। পুলিশের টহল জোরদার রয়েছে। সবাইকে সতর্ক করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ঝিনাইদহ-২ (হরিণাকুন্ডু ও সদর উপজেলা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের নাসের শাহরিয়ার ১ লাখ ৩৬ হাজার ৭৭৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সংসদ সদস্য নৌকা প্রতীকের তাহজীব আলম পেয়েছেন ১ লাখ ১৬ হাজার ২০৭ ভোট। এই আসনে মোট প্রার্থী ১১ জন।
ঝিনাইদহ সদরের পোড়াহাটি ইউনিয়নে নৌকার সমর্থকদের অন্তত ৪০টি বাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে। এই আসনে বিজয়ী ঈগল প্রতীকের সমর্থকেরা আজ সোমবার সকাল ৯টার দিকে বাসুদেবপুর, হীরাডাঙ্গা, চর হীরাডাঙ্গা, সুরাপাড়া ও বারইখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ। এদিকে ঘটনার পর গ্রামগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ও বিজিবি সদস্যদের টহল বাড়ানো হয়েছে।
ঝিনাইদহ-২ (হরিণাকুন্ডু ও সদর উপজেলা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন নৌকা প্রতীকের তাহজীব আলম সিদ্দিকী।
স্থানীয়রা জানায়, গতকাল রোববার ভোট গ্রহণের পর শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ছিল। হঠাৎ আজ সকাল ৯টার দিকে সদর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পোড়াহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হিরণের ৫০-৬০ জন অনুসারী সদর উপজেলার বাসুদেবপুর গ্রাম থেকে নৌকার সমর্থকদের বাড়িঘর ভাঙচুর শুরু করেন। সে সময় বাড়ির আসবাবও ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। শহিদুল ইসলাম বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী নাসের শাহরিয়ারের সমর্থক।
নৌকার প্রার্থী তাহজীব আলম অনুসারী ও সদর থানা যুবলীগের আহ্বায়ক ইব্রাহিম খলিল রাজার সঙ্গে শহিদুল ইসলামের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এ বিরোধের জেরেই নির্বাচনের পরদিন হামলার ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
বাসুদেবপুর গ্রামের মনোয়ারা বেগম বলেন, ‘সকালে একবার এসে আমাদের দাবড়িয়ে গেছে। এরপর ৯টার দিকে এসে আমার ঘর ভাঙচুর করেছে। তিনটা গরু আর তিনটা ছাগল নিয়ে গেছে।’ এ ছাড়া বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৪০টি ঘরবাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
সদর থানা যুবলীগের আহ্বায়ক ইব্রাহিম খলিল রাজার বাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এলাকায় ইব্রাহিম খলিলকে পাওয়া না গেলেও তাঁর বাবা ফজলুর রহমান শাহ বলেন, ‘হীরাডাঙ্গার ফিরোজ, মালেক বিশ্বাসসহ আরও অনেকে নেতৃত্ব দিয়ে দেখিয়ে দেখিয়ে ভাঙচুর করে। যারা ভাঙচুর করেছে, তারা সবাই শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে চলে। সে নির্দেশ দিয়েই এ কাজ করেছে।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সদর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পোড়াহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সকালে আমার সমর্থক বাসুদেবপুর গ্রামের আতিয়ারকে মারধর করার পরই লোকজন উত্তেজিত হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তাদের থামিয়ে চলে যাচ্ছি।’
ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মীর আবিদুর রহমান জানান, পরিস্থিতি এখন শান্ত আছে। পুলিশের টহল জোরদার রয়েছে। সবাইকে সতর্ক করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ঝিনাইদহ-২ (হরিণাকুন্ডু ও সদর উপজেলা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের নাসের শাহরিয়ার ১ লাখ ৩৬ হাজার ৭৭৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সংসদ সদস্য নৌকা প্রতীকের তাহজীব আলম পেয়েছেন ১ লাখ ১৬ হাজার ২০৭ ভোট। এই আসনে মোট প্রার্থী ১১ জন।
প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতরা। সুচিকিৎসা, পুনর্বাসন, ক্ষতিপূরণের দাবিতে রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টার দিকে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে যমুনার সামনে তারা অবস্থান নেন। এর কয়েক মিনিট পরই আহতদের সঙ্গে কথা বলতে সেখানে উপস্থিত হন
৮ মিনিট আগেবরিশাল নগরের সিঅ্যান্ডবি রোডের বাসিন্দা সুলতান খান। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে গত বুধবার কোতোয়ালি থানায় বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা করেছেন। ‘বৈষম্যবিরোধী গণমাধ্যম সাংবাদিক ফোরাম’ নামের সংগঠনের আহ্বায়ক পরিচয়ে তিনি এ মামলা করেন। এতে বরিশালের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি), সিটি করপোরেশনের ম
১৫ মিনিট আগেচট্টগ্রাম নগরীতে দুদিনের ব্যবধানে প্রকাশ্যে কয়েক দফা ঝটিকা মিছিল করেছেন ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। এরপর তৎপর হয়েছে পুলিশ। তাঁদের ধরতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে। গত দুদিনে আওয়ামী লীগের এক নেতাসহ ছাত্রলীগ-যুবলীগের...
১৯ মিনিট আগেময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল ও শিবিরকর্মীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রোববার দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ আহত হননি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে...
২৩ মিনিট আগে