ফকিরহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
বাগেরহাটের ফকিরহাটে ১০ কোটি টাকার বেশি বাজারমূল্যের অবৈধ দখলাধীন খাসজমি উদ্ধার করেছে উপজেলা ভূমি অফিস। সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিধান কান্তি হালদারের নেতৃত্বে উপজেলার বিভিন্ন মৌজা থেকে গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে মোট ৩৬ দশমিক ৩৮ একর খাসজমি উদ্ধার করা হয়।
ভূমি অফিসের তথ্যমতে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকার সরকারি খাসজমি দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করে আসছিল কিছু প্রভাবশালী মানুষ। এসব জমির মধ্যে বিলান, ডাঙা, কৃষি ও চর ভরাটের খাসজমি অন্তর্ভুক্ত ছিল। এসব জমি উদ্ধারের জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি), নায়েব ও সার্ভেয়ারদের সমন্বয়ে একটি দল সরকারি সম্পত্তি সংরক্ষণ, ব্যবস্থাপনা ও উদ্ধার কার্যক্রমের আওতায় খাসজমি চিহ্নিত করার কাজ শুরু করেন। তাঁদের এই কার্যক্রমে সহায়তা করতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান স্বপন দাশের তত্ত্বাবধানে উপজেলার আটটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন সহযোগিতা করে।
সূত্রে জানা যায়, ফকিরহাট মডেল থানার পুলিশের সহায়তায় ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিধান কান্তি হালদারের নেতৃত্বে গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে মোট ৩৬ দশমিক ৩৮ একর খাসজমি উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় মৌজা দর অনুযায়ী উদ্ধারকৃত এই জমির বাজারমূল্য ১০ কোটি ১০ লাখ ৫০ হাজার ৪৫৫ টাকা।
সার্ভেয়ার মো. তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, উপজেলার সুনগর ইউনিয়ন ভূমি অফিস, ফকিরহাট সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিস ও মানসা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের আওতায় থাকা ভলিউম বই ও খতিয়ান পর্যালোচনা করে খাসজমি চিহ্নিত করা হয়। পরে উদ্ধারকাজ শুরু করা হয়েছিল।
সম্প্রতি ফকিরহাট ভূমি অফিস থেকে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে পাঠানো এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, উদ্ধারকৃত খাসজমির একটি বড় অংশ সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের গৃহ নির্মাণের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে, যার মধ্যে ১৩০টি ঘর এরই মধ্যে তৈরি করে ভূমিহীনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ছাড়া বর্তমানে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৮০টি ঘর নির্মাণাধীন রয়েছে। তবে উদ্ধারকৃত জমির মধ্যে ১ দশমিক ৭৮ একর পুনরায় বেদখল হয়ে গেছে।
জমি উদ্ধার ও ভূমিহীনদের বরাদ্দের বিষয়ে আলাপকালে উপজেলা চেয়ারম্যান স্বপন দাশ বলেন, ‘ফকিরহাটে কোনো মানুষ ভূমিহীন থাকবে না—এমন লক্ষ্য নিয়ে মূলত কাজটি শুরু করা হয়েছে। ভূমিহীনদের আবাসনে সরকারের সদিচ্ছা রয়েছে। তা বাস্তবায়নে আমরা সমন্বিতভাবে কাজ করছি। স্থানীয় ভূস্বামীদের হাত থেকে অনেক জমি উদ্ধার করা হয়েছে। এই উদ্ধারকাজ অব্যবহৃত রেখে সব ভূমিহীনদের তা বরাদ্দ দেওয়া হবে।’
সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিধান কান্তি হালদার বলেন, সরকারি সম্পদ সংরক্ষণের জন্য খাসজমি উদ্ধার শুরু করা হয়। উদ্ধারকাজ বেগবান করতে উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা সহযোগিতা করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানজিদা বেগম বলেন, খাসজমি উদ্ধার একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া হলেও অনেক কারণে তা থমকে ছিল। ভূমিহীনদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের কারণে এই উদ্ধারকাজ বেগবান হয়েছে। জমি উদ্ধার করে বেশ কিছু জমিতে গৃহ নির্মাণ করা হয়।
ফকিরহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান স্বপন দাশ বলেন, ‘উদ্ধার কার্যক্রমের মাধ্যমে খাসজমি ভোগ করা প্রভাবশালী ও ভূমিস্বামীদের কাছে একটি বার্তা গিয়েছিল। সরকারি জমি কেউ জোরজবরদস্তি করে ভোগদখল করতে পারবে না। এ জমি উদ্ধার করে ভূমিহীনদের মধ্যে বণ্টন করে আমরা সমাজে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা, বৈষম্য কমানো ও এসডিজি অর্জনে সরকারকে সহায়তার চেষ্টা করছি।’
বাগেরহাটের ফকিরহাটে ১০ কোটি টাকার বেশি বাজারমূল্যের অবৈধ দখলাধীন খাসজমি উদ্ধার করেছে উপজেলা ভূমি অফিস। সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিধান কান্তি হালদারের নেতৃত্বে উপজেলার বিভিন্ন মৌজা থেকে গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে মোট ৩৬ দশমিক ৩৮ একর খাসজমি উদ্ধার করা হয়।
ভূমি অফিসের তথ্যমতে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকার সরকারি খাসজমি দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করে আসছিল কিছু প্রভাবশালী মানুষ। এসব জমির মধ্যে বিলান, ডাঙা, কৃষি ও চর ভরাটের খাসজমি অন্তর্ভুক্ত ছিল। এসব জমি উদ্ধারের জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি), নায়েব ও সার্ভেয়ারদের সমন্বয়ে একটি দল সরকারি সম্পত্তি সংরক্ষণ, ব্যবস্থাপনা ও উদ্ধার কার্যক্রমের আওতায় খাসজমি চিহ্নিত করার কাজ শুরু করেন। তাঁদের এই কার্যক্রমে সহায়তা করতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান স্বপন দাশের তত্ত্বাবধানে উপজেলার আটটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন সহযোগিতা করে।
সূত্রে জানা যায়, ফকিরহাট মডেল থানার পুলিশের সহায়তায় ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিধান কান্তি হালদারের নেতৃত্বে গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে মোট ৩৬ দশমিক ৩৮ একর খাসজমি উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় মৌজা দর অনুযায়ী উদ্ধারকৃত এই জমির বাজারমূল্য ১০ কোটি ১০ লাখ ৫০ হাজার ৪৫৫ টাকা।
সার্ভেয়ার মো. তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, উপজেলার সুনগর ইউনিয়ন ভূমি অফিস, ফকিরহাট সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিস ও মানসা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের আওতায় থাকা ভলিউম বই ও খতিয়ান পর্যালোচনা করে খাসজমি চিহ্নিত করা হয়। পরে উদ্ধারকাজ শুরু করা হয়েছিল।
সম্প্রতি ফকিরহাট ভূমি অফিস থেকে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে পাঠানো এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, উদ্ধারকৃত খাসজমির একটি বড় অংশ সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের গৃহ নির্মাণের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে, যার মধ্যে ১৩০টি ঘর এরই মধ্যে তৈরি করে ভূমিহীনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ছাড়া বর্তমানে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৮০টি ঘর নির্মাণাধীন রয়েছে। তবে উদ্ধারকৃত জমির মধ্যে ১ দশমিক ৭৮ একর পুনরায় বেদখল হয়ে গেছে।
জমি উদ্ধার ও ভূমিহীনদের বরাদ্দের বিষয়ে আলাপকালে উপজেলা চেয়ারম্যান স্বপন দাশ বলেন, ‘ফকিরহাটে কোনো মানুষ ভূমিহীন থাকবে না—এমন লক্ষ্য নিয়ে মূলত কাজটি শুরু করা হয়েছে। ভূমিহীনদের আবাসনে সরকারের সদিচ্ছা রয়েছে। তা বাস্তবায়নে আমরা সমন্বিতভাবে কাজ করছি। স্থানীয় ভূস্বামীদের হাত থেকে অনেক জমি উদ্ধার করা হয়েছে। এই উদ্ধারকাজ অব্যবহৃত রেখে সব ভূমিহীনদের তা বরাদ্দ দেওয়া হবে।’
সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিধান কান্তি হালদার বলেন, সরকারি সম্পদ সংরক্ষণের জন্য খাসজমি উদ্ধার শুরু করা হয়। উদ্ধারকাজ বেগবান করতে উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা সহযোগিতা করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানজিদা বেগম বলেন, খাসজমি উদ্ধার একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া হলেও অনেক কারণে তা থমকে ছিল। ভূমিহীনদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের কারণে এই উদ্ধারকাজ বেগবান হয়েছে। জমি উদ্ধার করে বেশ কিছু জমিতে গৃহ নির্মাণ করা হয়।
ফকিরহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান স্বপন দাশ বলেন, ‘উদ্ধার কার্যক্রমের মাধ্যমে খাসজমি ভোগ করা প্রভাবশালী ও ভূমিস্বামীদের কাছে একটি বার্তা গিয়েছিল। সরকারি জমি কেউ জোরজবরদস্তি করে ভোগদখল করতে পারবে না। এ জমি উদ্ধার করে ভূমিহীনদের মধ্যে বণ্টন করে আমরা সমাজে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা, বৈষম্য কমানো ও এসডিজি অর্জনে সরকারকে সহায়তার চেষ্টা করছি।’
গত বৃহস্পতিবার তদন্ত কমিটি মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা নদীর ষাটনল থেকে আমিরাবাদ পর্যন্ত পরিদর্শন করে। এ সময় তারা ষাটনল, ষাটনল বাবু বাজার, মোহনপুর ও এখলাছপুর এলাকা থেকে পানির নমুনা সংগ্রহ করে প্রাথমিক পরীক্ষার পর চূড়ান্ত পরীক্ষার জন্য ঢাকায় ল্যাবরেটরিতে নিয়ে যান।
৯ মিনিট আগেআজ সকাল থেকে জেলা বিএনপির সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করে ডাকা হরতালে ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ। ভোরে বালিয়াডাঙ্গী চৌরাস্তার চারটি রাস্তায় বাঁশ-বেঞ্চ দিয়ে বন্ধ করে ঠাকুরগাঁও শহর থেকে উপজেলার প্রবেশপথ কালমেঘ বাজারে গাছ ফেলে হরতাল কর্মসূচি পালন করে বিএনপির নেতা-কর্মীরা। তাতে সড়কে চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে...
২৯ মিনিট আগেবিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিসহ সাত দফা দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো অনশন কর্মসূচি পালন করছেন রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, আজ শনিবার বিকেল ৪টার মধ্যে দাবি পূরণের ঘোষণা না দেওয়া হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) আওতাধীন এলাকায়...
২ ঘণ্টা আগেমাদারীপুরের ডাসারে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় আজিজুল হাওলাদার (৬০) নামের এক চায়ের দোকানির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার ধামুসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে