খুলনা, কয়রা ও পাইকগাছা প্রতিনিধি
রাজধানীর ঢাকায় বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে খুলনায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি পুলিশ তল্লাশি ও ধরপাকড় শুরু করেছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির নেতারা। গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বিএনপি ও দলটির সংগঠনের ১২ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তারের তথ্য পাওয়া গেছে।
আজ বুধবার খুলনা বিএনপি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। খুলনা বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্যসচিব মিজানুর রহমান মিলটন বলেন, মঙ্গলবার রাতে খুলনার প্রায় সব উপজেলায় অভিযান চালিয়ে নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মূলত রাজধানীতে মহাসমাবেশে যাতে না যেতে পারে এ কারণে দলের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করার জন্য গ্রেপ্তার চালানো হচ্ছে।
বিএনপির নেতাদের দাবি, মহাসমাবেশ সামনে রেখে নেতা-কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে মঙ্গলবার রাতভর অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। কয়েকজনকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে গেছে। তবে মহাসমাবেশের আগে পুলিশের ধরপাকড় ও বাধা দেওয়ার আশঙ্কায় অনেক নেতা-কর্মী আগেই ঢাকায় পৌঁছে গেছেন বলেও জানান তাঁরা।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন খুলনার ফুলতলা উপজেলার জামিরা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সহসভাপতি জিয়াউর সরদার, জামিরা ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য আব্দুল্লাহ খান, রূপসা উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এস এম বোরহান উদ্দিন, ৪ নম্বর টিএসবি ইউনিয়ন যুবদল নেতা মো. সাগর সরদার, বটিয়াঘাটা উপজেলা যুবদল নেতা শাহারিয়ার আলম বাপ্পী খান, বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আখতার শেখ, তেরখাদা থানা বিএনপির সহসভাপতি লস্কর আবুল কালাম, যুবদলের আহ্বায়ক মোল্লা হুমায়ুন কবির, ডুমুরিয়া উপজেলার মাগুরঘোনা ইউনিয়ন বিএনপি সদস্যসচিব আশরাফুল, খর্নিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাসেম মেম্বার, দিঘলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রাজু আহম্মেদ ও কয়রা উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শরিফুল আলম।
কয়রা উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব নুরুল আমিন বাবুল বলেন, মহাসমাবেশ সামনে রেখে নেতা-কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে মঙ্গলবার রাতভর অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। বিএনপি নেতা শরিফুল আলমকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে গেছে। এ ছাড়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মহরম হোসেন, উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব মো. মোতাসিম বিল্লাহ, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন ও নির্বাহী সদস্য সবুজ হোসেনের বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালায়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব মো. মোতাসিম বিল্লাহ বলেন, ‘আমার বাড়িতে নারী ও শিশুরা রয়েছে। রাত সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ সদস্যরা আমার বাড়িতে গিয়ে আমার খোঁজ নেন। এতে স্ত্রীসহ আমার পরিবারের সদস্যদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। আমি আত্মগোপনে থাকায় পুলিশ আমাকে খুঁজে পায়নি।’
মোতাসিম বিল্লাহ আরও বলেন, ‘পুলিশ আমার বাড়ি থেকে বেরিয়ে যুবদলের আহ্বায়ক শরিফুল আলমের বাড়িতে যায়। সেখান থেকে তাঁকে থানায় নিয়ে যায়।’
এদিকে বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে কয়রা উপজেলা বিএনপি, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটির পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. নুরুল আমিন বাবুল।
পাইকগাছায় নাশকতা মামলায় কয়রার যুবদলের আহ্বায়ক শরিফুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ বিষয়ে পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ২০২২ সালে ৭ ডিসেম্বর উপজেলার রাড়ুলী ইউনিয়নের শ্রীকন্টপুর গ্রামের একটি চালকলে বসে সরকারবিরোধী নাশকতার পরিকল্পনা করছিল। এ সময় পাইকগাছা থানায় এজাহারনামীয় ৩৪ জন ও সন্দিগ্ধ ৭০-৮০ জনকে আসামি করে মামলা হয়। ওই মামলায় শরিফুল আলমকে সন্দিগ্ধ হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়।
তবে বিএনপির দেওয়া গ্রেপ্তারের তথ্য মিথ্যা দাবি করে খুলনা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান বলেন, সমাবেশকে কেন্দ্র করে কোনো গ্রেপ্তার চালানো হচ্ছে না। যদি কেউ গ্রেপ্তার হয়ে থাকে তবে অন্য কোনো মামলার আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার হতে পারে। কোনো বিশেষ অভিযান চলছে না।
রাজধানীর ঢাকায় বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে খুলনায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি পুলিশ তল্লাশি ও ধরপাকড় শুরু করেছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির নেতারা। গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বিএনপি ও দলটির সংগঠনের ১২ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তারের তথ্য পাওয়া গেছে।
আজ বুধবার খুলনা বিএনপি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। খুলনা বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্যসচিব মিজানুর রহমান মিলটন বলেন, মঙ্গলবার রাতে খুলনার প্রায় সব উপজেলায় অভিযান চালিয়ে নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মূলত রাজধানীতে মহাসমাবেশে যাতে না যেতে পারে এ কারণে দলের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করার জন্য গ্রেপ্তার চালানো হচ্ছে।
বিএনপির নেতাদের দাবি, মহাসমাবেশ সামনে রেখে নেতা-কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে মঙ্গলবার রাতভর অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। কয়েকজনকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে গেছে। তবে মহাসমাবেশের আগে পুলিশের ধরপাকড় ও বাধা দেওয়ার আশঙ্কায় অনেক নেতা-কর্মী আগেই ঢাকায় পৌঁছে গেছেন বলেও জানান তাঁরা।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন খুলনার ফুলতলা উপজেলার জামিরা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সহসভাপতি জিয়াউর সরদার, জামিরা ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য আব্দুল্লাহ খান, রূপসা উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এস এম বোরহান উদ্দিন, ৪ নম্বর টিএসবি ইউনিয়ন যুবদল নেতা মো. সাগর সরদার, বটিয়াঘাটা উপজেলা যুবদল নেতা শাহারিয়ার আলম বাপ্পী খান, বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আখতার শেখ, তেরখাদা থানা বিএনপির সহসভাপতি লস্কর আবুল কালাম, যুবদলের আহ্বায়ক মোল্লা হুমায়ুন কবির, ডুমুরিয়া উপজেলার মাগুরঘোনা ইউনিয়ন বিএনপি সদস্যসচিব আশরাফুল, খর্নিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাসেম মেম্বার, দিঘলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রাজু আহম্মেদ ও কয়রা উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শরিফুল আলম।
কয়রা উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব নুরুল আমিন বাবুল বলেন, মহাসমাবেশ সামনে রেখে নেতা-কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে মঙ্গলবার রাতভর অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। বিএনপি নেতা শরিফুল আলমকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে গেছে। এ ছাড়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মহরম হোসেন, উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব মো. মোতাসিম বিল্লাহ, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন ও নির্বাহী সদস্য সবুজ হোসেনের বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালায়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব মো. মোতাসিম বিল্লাহ বলেন, ‘আমার বাড়িতে নারী ও শিশুরা রয়েছে। রাত সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ সদস্যরা আমার বাড়িতে গিয়ে আমার খোঁজ নেন। এতে স্ত্রীসহ আমার পরিবারের সদস্যদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। আমি আত্মগোপনে থাকায় পুলিশ আমাকে খুঁজে পায়নি।’
মোতাসিম বিল্লাহ আরও বলেন, ‘পুলিশ আমার বাড়ি থেকে বেরিয়ে যুবদলের আহ্বায়ক শরিফুল আলমের বাড়িতে যায়। সেখান থেকে তাঁকে থানায় নিয়ে যায়।’
এদিকে বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে কয়রা উপজেলা বিএনপি, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটির পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. নুরুল আমিন বাবুল।
পাইকগাছায় নাশকতা মামলায় কয়রার যুবদলের আহ্বায়ক শরিফুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ বিষয়ে পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ২০২২ সালে ৭ ডিসেম্বর উপজেলার রাড়ুলী ইউনিয়নের শ্রীকন্টপুর গ্রামের একটি চালকলে বসে সরকারবিরোধী নাশকতার পরিকল্পনা করছিল। এ সময় পাইকগাছা থানায় এজাহারনামীয় ৩৪ জন ও সন্দিগ্ধ ৭০-৮০ জনকে আসামি করে মামলা হয়। ওই মামলায় শরিফুল আলমকে সন্দিগ্ধ হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়।
তবে বিএনপির দেওয়া গ্রেপ্তারের তথ্য মিথ্যা দাবি করে খুলনা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান বলেন, সমাবেশকে কেন্দ্র করে কোনো গ্রেপ্তার চালানো হচ্ছে না। যদি কেউ গ্রেপ্তার হয়ে থাকে তবে অন্য কোনো মামলার আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার হতে পারে। কোনো বিশেষ অভিযান চলছে না।
খুলনা, কয়রা ও পাইকগাছা প্রতিনিধি
রাজধানীর ঢাকায় বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে খুলনায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি পুলিশ তল্লাশি ও ধরপাকড় শুরু করেছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির নেতারা। গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বিএনপি ও দলটির সংগঠনের ১২ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তারের তথ্য পাওয়া গেছে।
আজ বুধবার খুলনা বিএনপি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। খুলনা বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্যসচিব মিজানুর রহমান মিলটন বলেন, মঙ্গলবার রাতে খুলনার প্রায় সব উপজেলায় অভিযান চালিয়ে নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মূলত রাজধানীতে মহাসমাবেশে যাতে না যেতে পারে এ কারণে দলের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করার জন্য গ্রেপ্তার চালানো হচ্ছে।
বিএনপির নেতাদের দাবি, মহাসমাবেশ সামনে রেখে নেতা-কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে মঙ্গলবার রাতভর অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। কয়েকজনকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে গেছে। তবে মহাসমাবেশের আগে পুলিশের ধরপাকড় ও বাধা দেওয়ার আশঙ্কায় অনেক নেতা-কর্মী আগেই ঢাকায় পৌঁছে গেছেন বলেও জানান তাঁরা।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন খুলনার ফুলতলা উপজেলার জামিরা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সহসভাপতি জিয়াউর সরদার, জামিরা ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য আব্দুল্লাহ খান, রূপসা উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এস এম বোরহান উদ্দিন, ৪ নম্বর টিএসবি ইউনিয়ন যুবদল নেতা মো. সাগর সরদার, বটিয়াঘাটা উপজেলা যুবদল নেতা শাহারিয়ার আলম বাপ্পী খান, বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আখতার শেখ, তেরখাদা থানা বিএনপির সহসভাপতি লস্কর আবুল কালাম, যুবদলের আহ্বায়ক মোল্লা হুমায়ুন কবির, ডুমুরিয়া উপজেলার মাগুরঘোনা ইউনিয়ন বিএনপি সদস্যসচিব আশরাফুল, খর্নিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাসেম মেম্বার, দিঘলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রাজু আহম্মেদ ও কয়রা উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শরিফুল আলম।
কয়রা উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব নুরুল আমিন বাবুল বলেন, মহাসমাবেশ সামনে রেখে নেতা-কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে মঙ্গলবার রাতভর অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। বিএনপি নেতা শরিফুল আলমকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে গেছে। এ ছাড়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মহরম হোসেন, উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব মো. মোতাসিম বিল্লাহ, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন ও নির্বাহী সদস্য সবুজ হোসেনের বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালায়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব মো. মোতাসিম বিল্লাহ বলেন, ‘আমার বাড়িতে নারী ও শিশুরা রয়েছে। রাত সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ সদস্যরা আমার বাড়িতে গিয়ে আমার খোঁজ নেন। এতে স্ত্রীসহ আমার পরিবারের সদস্যদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। আমি আত্মগোপনে থাকায় পুলিশ আমাকে খুঁজে পায়নি।’
মোতাসিম বিল্লাহ আরও বলেন, ‘পুলিশ আমার বাড়ি থেকে বেরিয়ে যুবদলের আহ্বায়ক শরিফুল আলমের বাড়িতে যায়। সেখান থেকে তাঁকে থানায় নিয়ে যায়।’
এদিকে বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে কয়রা উপজেলা বিএনপি, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটির পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. নুরুল আমিন বাবুল।
পাইকগাছায় নাশকতা মামলায় কয়রার যুবদলের আহ্বায়ক শরিফুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ বিষয়ে পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ২০২২ সালে ৭ ডিসেম্বর উপজেলার রাড়ুলী ইউনিয়নের শ্রীকন্টপুর গ্রামের একটি চালকলে বসে সরকারবিরোধী নাশকতার পরিকল্পনা করছিল। এ সময় পাইকগাছা থানায় এজাহারনামীয় ৩৪ জন ও সন্দিগ্ধ ৭০-৮০ জনকে আসামি করে মামলা হয়। ওই মামলায় শরিফুল আলমকে সন্দিগ্ধ হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়।
তবে বিএনপির দেওয়া গ্রেপ্তারের তথ্য মিথ্যা দাবি করে খুলনা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান বলেন, সমাবেশকে কেন্দ্র করে কোনো গ্রেপ্তার চালানো হচ্ছে না। যদি কেউ গ্রেপ্তার হয়ে থাকে তবে অন্য কোনো মামলার আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার হতে পারে। কোনো বিশেষ অভিযান চলছে না।
রাজধানীর ঢাকায় বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে খুলনায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি পুলিশ তল্লাশি ও ধরপাকড় শুরু করেছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির নেতারা। গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বিএনপি ও দলটির সংগঠনের ১২ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তারের তথ্য পাওয়া গেছে।
আজ বুধবার খুলনা বিএনপি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। খুলনা বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্যসচিব মিজানুর রহমান মিলটন বলেন, মঙ্গলবার রাতে খুলনার প্রায় সব উপজেলায় অভিযান চালিয়ে নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মূলত রাজধানীতে মহাসমাবেশে যাতে না যেতে পারে এ কারণে দলের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করার জন্য গ্রেপ্তার চালানো হচ্ছে।
বিএনপির নেতাদের দাবি, মহাসমাবেশ সামনে রেখে নেতা-কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে মঙ্গলবার রাতভর অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। কয়েকজনকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে গেছে। তবে মহাসমাবেশের আগে পুলিশের ধরপাকড় ও বাধা দেওয়ার আশঙ্কায় অনেক নেতা-কর্মী আগেই ঢাকায় পৌঁছে গেছেন বলেও জানান তাঁরা।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন খুলনার ফুলতলা উপজেলার জামিরা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সহসভাপতি জিয়াউর সরদার, জামিরা ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য আব্দুল্লাহ খান, রূপসা উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এস এম বোরহান উদ্দিন, ৪ নম্বর টিএসবি ইউনিয়ন যুবদল নেতা মো. সাগর সরদার, বটিয়াঘাটা উপজেলা যুবদল নেতা শাহারিয়ার আলম বাপ্পী খান, বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আখতার শেখ, তেরখাদা থানা বিএনপির সহসভাপতি লস্কর আবুল কালাম, যুবদলের আহ্বায়ক মোল্লা হুমায়ুন কবির, ডুমুরিয়া উপজেলার মাগুরঘোনা ইউনিয়ন বিএনপি সদস্যসচিব আশরাফুল, খর্নিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাসেম মেম্বার, দিঘলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রাজু আহম্মেদ ও কয়রা উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শরিফুল আলম।
কয়রা উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব নুরুল আমিন বাবুল বলেন, মহাসমাবেশ সামনে রেখে নেতা-কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে মঙ্গলবার রাতভর অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। বিএনপি নেতা শরিফুল আলমকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে গেছে। এ ছাড়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মহরম হোসেন, উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব মো. মোতাসিম বিল্লাহ, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন ও নির্বাহী সদস্য সবুজ হোসেনের বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালায়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব মো. মোতাসিম বিল্লাহ বলেন, ‘আমার বাড়িতে নারী ও শিশুরা রয়েছে। রাত সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ সদস্যরা আমার বাড়িতে গিয়ে আমার খোঁজ নেন। এতে স্ত্রীসহ আমার পরিবারের সদস্যদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। আমি আত্মগোপনে থাকায় পুলিশ আমাকে খুঁজে পায়নি।’
মোতাসিম বিল্লাহ আরও বলেন, ‘পুলিশ আমার বাড়ি থেকে বেরিয়ে যুবদলের আহ্বায়ক শরিফুল আলমের বাড়িতে যায়। সেখান থেকে তাঁকে থানায় নিয়ে যায়।’
এদিকে বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে কয়রা উপজেলা বিএনপি, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটির পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. নুরুল আমিন বাবুল।
পাইকগাছায় নাশকতা মামলায় কয়রার যুবদলের আহ্বায়ক শরিফুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ বিষয়ে পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ২০২২ সালে ৭ ডিসেম্বর উপজেলার রাড়ুলী ইউনিয়নের শ্রীকন্টপুর গ্রামের একটি চালকলে বসে সরকারবিরোধী নাশকতার পরিকল্পনা করছিল। এ সময় পাইকগাছা থানায় এজাহারনামীয় ৩৪ জন ও সন্দিগ্ধ ৭০-৮০ জনকে আসামি করে মামলা হয়। ওই মামলায় শরিফুল আলমকে সন্দিগ্ধ হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়।
তবে বিএনপির দেওয়া গ্রেপ্তারের তথ্য মিথ্যা দাবি করে খুলনা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান বলেন, সমাবেশকে কেন্দ্র করে কোনো গ্রেপ্তার চালানো হচ্ছে না। যদি কেউ গ্রেপ্তার হয়ে থাকে তবে অন্য কোনো মামলার আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার হতে পারে। কোনো বিশেষ অভিযান চলছে না।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, সংঘর্ষের সময় সাংবাদিক সাব্বির ঘটনাস্থলের ভিডিও ধারণ করছিলেন। এ সময় বিষয়টি কলেজ শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাজু মিয়ার দৃষ্টিগোচর হলে তিনি কয়েকজন অনুসারীকে নিয়ে সাব্বিরের ওপর হামলা চালান।
৩১ মিনিট আগেজিয়া মঞ্চের নবগঠিত ঢাকা জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাভার থানা কমিটির সদস্যসচিব জাকির হোসেনের সঙ্গে বনগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক বাবুল হোসেনের বিরোধ দীর্ঘদিনের। জমি আর এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত বছর ৫ আগস্টের পর দুই পক্ষের মধ্যে এই বিরোধের সৃষ্টি হয়।
৪৩ মিনিট আগেসালাম বলেন, ‘বিএনপির একটা অতীত আছে। এই দেশের মুক্তিযুদ্ধ, এই দেশের স্বাধীনতার ঘোষণা, এই দেশের পুনর্গঠন—সবকিছুর মধ্যে বিএনপি আছে। সেই জায়গায় দেশের মানুষের যে আস্থা, তার নামটা হলো বিএনপি। তাই অত সহজে বিএনপিকে আস্থার জায়গা থেকে সরানো যাবে না। যতই তারা চেষ্টা করুক। বিএনপির নেতা-কর্মীদের জেলে দিয়ে...
১ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ছোট ফেনী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে সেই বালু নদীটির ওপর সেতু নির্মাণকাজে ব্যবহারের অভিযোগে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলীসহ দুই কর্মকর্তাকে এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় বালু উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত প্রায় ১.৫ কিলোমিটার...
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর মিরপুরে সরকারি বাঙলা কলেজে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে বাঙলা কলেজ সাংবাদিক সমিতির (বাকসাস) সভাপতি ও দৈনিক কালবেলার বাঙলা কলেজ প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম সাব্বির ছাত্রদলের হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রদল ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, সংঘর্ষের সময় সাংবাদিক সাব্বির ঘটনাস্থলের ভিডিও ধারণ করছিলেন। বিষয়টি দেখে কলেজ শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাজু মিয়া কয়েকজন অনুসারীকে নিয়ে সাব্বিরের ওপর হামলা চালান। এতে সাংবাদিক সাব্বির আহত হন। সঙ্গে থাকা সহকর্মীরা তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে উদ্ধার করে রাজধানীর ডেলটা হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখান থেকে তাঁকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন।
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাঙলা কলেজ সাংবাদিক সমিতি। এক বিবৃতিতে সমিতির সাধারণ সম্পাদক শিহাব আল নাসিম বলেন, ‘সাংবাদিকদের ওপর এ ধরনের হামলা মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। আমরা হামলাকারীদের অবিলম্বে শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’
এদিকে ঘটনার বিষয়ে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ‘আমি খোঁজ দিচ্ছি। এখনই ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
এর কিছুক্ষণ পরই ছাত্রদলের অভিযুক্ত ওই নেতাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রদল।
ছাত্রদলের সহসভাপতি পদমর্যাদার দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত ওই নোটিশে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, সরকারি বাঙলা কলেজ শাখার দায়িত্বশীল পদে আসীন থেকে সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগের ভিত্তিতে আপনার বিরুদ্ধে কেন স্থায়ী সাংগঠনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, এই মর্মে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের উপস্থিতিতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হলো। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এই নির্দেশনা প্রদান করেন।’
রাজধানীর মিরপুরে সরকারি বাঙলা কলেজে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে বাঙলা কলেজ সাংবাদিক সমিতির (বাকসাস) সভাপতি ও দৈনিক কালবেলার বাঙলা কলেজ প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম সাব্বির ছাত্রদলের হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রদল ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, সংঘর্ষের সময় সাংবাদিক সাব্বির ঘটনাস্থলের ভিডিও ধারণ করছিলেন। বিষয়টি দেখে কলেজ শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাজু মিয়া কয়েকজন অনুসারীকে নিয়ে সাব্বিরের ওপর হামলা চালান। এতে সাংবাদিক সাব্বির আহত হন। সঙ্গে থাকা সহকর্মীরা তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে উদ্ধার করে রাজধানীর ডেলটা হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখান থেকে তাঁকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন।
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাঙলা কলেজ সাংবাদিক সমিতি। এক বিবৃতিতে সমিতির সাধারণ সম্পাদক শিহাব আল নাসিম বলেন, ‘সাংবাদিকদের ওপর এ ধরনের হামলা মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। আমরা হামলাকারীদের অবিলম্বে শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’
এদিকে ঘটনার বিষয়ে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ‘আমি খোঁজ দিচ্ছি। এখনই ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
এর কিছুক্ষণ পরই ছাত্রদলের অভিযুক্ত ওই নেতাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রদল।
ছাত্রদলের সহসভাপতি পদমর্যাদার দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত ওই নোটিশে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, সরকারি বাঙলা কলেজ শাখার দায়িত্বশীল পদে আসীন থেকে সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগের ভিত্তিতে আপনার বিরুদ্ধে কেন স্থায়ী সাংগঠনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, এই মর্মে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের উপস্থিতিতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হলো। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এই নির্দেশনা প্রদান করেন।’
রাজধানীর ঢাকায় বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে খুলনায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি পুলিশ তল্লাশি ও ধরপাকড় শুরু করেছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির নেতারা। গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বিএনপি ও দলটির সংগঠনের ১২ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তারের তথ্য পাওয়া গেছে।
২৫ অক্টোবর ২০২৩জিয়া মঞ্চের নবগঠিত ঢাকা জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাভার থানা কমিটির সদস্যসচিব জাকির হোসেনের সঙ্গে বনগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক বাবুল হোসেনের বিরোধ দীর্ঘদিনের। জমি আর এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত বছর ৫ আগস্টের পর দুই পক্ষের মধ্যে এই বিরোধের সৃষ্টি হয়।
৪৩ মিনিট আগেসালাম বলেন, ‘বিএনপির একটা অতীত আছে। এই দেশের মুক্তিযুদ্ধ, এই দেশের স্বাধীনতার ঘোষণা, এই দেশের পুনর্গঠন—সবকিছুর মধ্যে বিএনপি আছে। সেই জায়গায় দেশের মানুষের যে আস্থা, তার নামটা হলো বিএনপি। তাই অত সহজে বিএনপিকে আস্থার জায়গা থেকে সরানো যাবে না। যতই তারা চেষ্টা করুক। বিএনপির নেতা-কর্মীদের জেলে দিয়ে...
১ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ছোট ফেনী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে সেই বালু নদীটির ওপর সেতু নির্মাণকাজে ব্যবহারের অভিযোগে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলীসহ দুই কর্মকর্তাকে এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় বালু উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত প্রায় ১.৫ কিলোমিটার...
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, সাভার
ঢাকার সাভারে প্রতিপক্ষের হামলায় আবু সাঈদ (৫৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বনগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদকসহ অন্তত আটজন। গতকাল বুধবার রাতে বনগাঁও ইউনিয়নের বেরাইদ এলাকায় এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে বনগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক বাবুল হোসেন (৪৮) ছাড়াও একই এলাকার আরিফ হোসেন (৪০), সনি মোল্লা (৬০), মোস্তফা (৫০), জবেদ আলী (৩২), আনন্দ (১৮), আরাফাত (১৮) ও আবু বক্কর সিদ্দিক (৫০) রয়েছেন। তাঁদের সবাইকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল মিয়া বলেন, জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় আবু সাঈদ নামের একজন মারা যান।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জিয়া মঞ্চের নবগঠিত ঢাকা জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাভার থানা কমিটির সদস্যসচিব জাকির হোসেনের সঙ্গে বনগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক বাবুল হোসেনের বিরোধ দীর্ঘদিনের। জমি আর এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত বছর ৫ আগস্টের পর দুই পক্ষের মধ্যে এই বিরোধের সৃষ্টি হয়। বিরোধ চরম আকার ধারণ করলে জাকির হোসেন ও তাঁর লোকজনের সঙ্গে পাল্লা দিতে না পেরে বাবুল হোসেন প্রায় চার মাস আগে এলাকা ছেড়ে চলে যান।
তাঁরা জানান, টানা চার মাস পর বাবুল হোসেন গতকাল এলাকায় ফেরেন। খবর পেয়ে গতকাল দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে জাকির হোসেনের নেতৃত্বে তাঁর লোকজন বাবুল হোসেনের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। বাবুল হোসেন তখন বেরাইদ এলাকায় অবস্থান করছিলেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সজীব হোসেন বলেন, জাকির হোসেনের লোকজনের কাছে বিভিন্ন ধরনের দেশীয় ধারালো অস্ত্র ছিল। ওই সব অস্ত্র দিয়ে তারা বাবুল হোসেনের ওপর হামলা চালালে আবু সাঈদসহ স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে বাঁচাতে এগিয়ে যান। এ সময় জাকির হোসেনের লোকজনের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে বাবুল হোসেন ও তাঁর চাচাতো ভাই আবু সাঈদসহ ৯ জন আহত হন।
সজীব হোসেন আরও বলেন, আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে নেওয়ার পথে আবু সাঈদ মারা যান। তাঁর মাথায় অনেকগুলো কোপের আঘাত ছিল। অন্য ব্যক্তিদের সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
একটি রাজনৈতিক দলের স্থানীয় একজন নেতা ও একজন জনপ্রতিনিধি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এক বছরের বেশি সময় ধরে জাকির হোসেন ও তাঁর লোকজন এলাকায় জমি দখলসহ নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। তিনি বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তাদের নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখে এলাকায় আধিপত্য বজায় রেখেছিলেন। গত বছর ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পর তিনি বিএনপির পরিচয়ে এলাকায় নানা অপকর্ম করে বেড়াচ্ছেন।
সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল মিয়া নিশ্চিত করেছেন, ময়নাতদন্তের জন্য নিহত ব্যক্তির লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যা ও হামলার ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
ঢাকার সাভারে প্রতিপক্ষের হামলায় আবু সাঈদ (৫৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বনগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদকসহ অন্তত আটজন। গতকাল বুধবার রাতে বনগাঁও ইউনিয়নের বেরাইদ এলাকায় এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে বনগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক বাবুল হোসেন (৪৮) ছাড়াও একই এলাকার আরিফ হোসেন (৪০), সনি মোল্লা (৬০), মোস্তফা (৫০), জবেদ আলী (৩২), আনন্দ (১৮), আরাফাত (১৮) ও আবু বক্কর সিদ্দিক (৫০) রয়েছেন। তাঁদের সবাইকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল মিয়া বলেন, জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় আবু সাঈদ নামের একজন মারা যান।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জিয়া মঞ্চের নবগঠিত ঢাকা জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাভার থানা কমিটির সদস্যসচিব জাকির হোসেনের সঙ্গে বনগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক বাবুল হোসেনের বিরোধ দীর্ঘদিনের। জমি আর এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত বছর ৫ আগস্টের পর দুই পক্ষের মধ্যে এই বিরোধের সৃষ্টি হয়। বিরোধ চরম আকার ধারণ করলে জাকির হোসেন ও তাঁর লোকজনের সঙ্গে পাল্লা দিতে না পেরে বাবুল হোসেন প্রায় চার মাস আগে এলাকা ছেড়ে চলে যান।
তাঁরা জানান, টানা চার মাস পর বাবুল হোসেন গতকাল এলাকায় ফেরেন। খবর পেয়ে গতকাল দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে জাকির হোসেনের নেতৃত্বে তাঁর লোকজন বাবুল হোসেনের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। বাবুল হোসেন তখন বেরাইদ এলাকায় অবস্থান করছিলেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সজীব হোসেন বলেন, জাকির হোসেনের লোকজনের কাছে বিভিন্ন ধরনের দেশীয় ধারালো অস্ত্র ছিল। ওই সব অস্ত্র দিয়ে তারা বাবুল হোসেনের ওপর হামলা চালালে আবু সাঈদসহ স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে বাঁচাতে এগিয়ে যান। এ সময় জাকির হোসেনের লোকজনের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে বাবুল হোসেন ও তাঁর চাচাতো ভাই আবু সাঈদসহ ৯ জন আহত হন।
সজীব হোসেন আরও বলেন, আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে নেওয়ার পথে আবু সাঈদ মারা যান। তাঁর মাথায় অনেকগুলো কোপের আঘাত ছিল। অন্য ব্যক্তিদের সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
একটি রাজনৈতিক দলের স্থানীয় একজন নেতা ও একজন জনপ্রতিনিধি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এক বছরের বেশি সময় ধরে জাকির হোসেন ও তাঁর লোকজন এলাকায় জমি দখলসহ নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। তিনি বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তাদের নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখে এলাকায় আধিপত্য বজায় রেখেছিলেন। গত বছর ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পর তিনি বিএনপির পরিচয়ে এলাকায় নানা অপকর্ম করে বেড়াচ্ছেন।
সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল মিয়া নিশ্চিত করেছেন, ময়নাতদন্তের জন্য নিহত ব্যক্তির লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যা ও হামলার ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
রাজধানীর ঢাকায় বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে খুলনায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি পুলিশ তল্লাশি ও ধরপাকড় শুরু করেছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির নেতারা। গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বিএনপি ও দলটির সংগঠনের ১২ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তারের তথ্য পাওয়া গেছে।
২৫ অক্টোবর ২০২৩প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, সংঘর্ষের সময় সাংবাদিক সাব্বির ঘটনাস্থলের ভিডিও ধারণ করছিলেন। এ সময় বিষয়টি কলেজ শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাজু মিয়ার দৃষ্টিগোচর হলে তিনি কয়েকজন অনুসারীকে নিয়ে সাব্বিরের ওপর হামলা চালান।
৩১ মিনিট আগেসালাম বলেন, ‘বিএনপির একটা অতীত আছে। এই দেশের মুক্তিযুদ্ধ, এই দেশের স্বাধীনতার ঘোষণা, এই দেশের পুনর্গঠন—সবকিছুর মধ্যে বিএনপি আছে। সেই জায়গায় দেশের মানুষের যে আস্থা, তার নামটা হলো বিএনপি। তাই অত সহজে বিএনপিকে আস্থার জায়গা থেকে সরানো যাবে না। যতই তারা চেষ্টা করুক। বিএনপির নেতা-কর্মীদের জেলে দিয়ে...
১ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ছোট ফেনী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে সেই বালু নদীটির ওপর সেতু নির্মাণকাজে ব্যবহারের অভিযোগে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলীসহ দুই কর্মকর্তাকে এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় বালু উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত প্রায় ১.৫ কিলোমিটার...
১ ঘণ্টা আগেসাক্ষাৎকারে আবদুস সালাম
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
‘জামায়াত আমাদের (বিএনপির) কাঁধের ওপর ভর করেই এ পর্যন্ত এসেছে। আসলে সত্যি কথা যেটা, তাদের দুঃসময়ে আমরা কিন্তু তাদের ফেলে দিইনি। হঠাৎ করে এমন কী হয়ে গেল যে অভ্যুত্থানের পরে বিএনপির ক্ষতি করার জন্য যা যা করার দরকার, তারা তা-ই করছে।’ বুধবার সকালে আজকের পত্রিকার সঙ্গে একান্তে আলাপকালে এসব কথা বলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম। রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌর বিএনপি আয়োজিত এক জনসভায় যোগ দেওয়ার আগে তিনি আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেন।
এ সময় তাঁর সঙ্গে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাইদ চাঁদ, নগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এরশাদ আলী ঈশা, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য দেবাশীষ রায় মধু, জেলার সদস্য গোলাম মোস্তফা মামুন ও আড়ানী পৌর বিএনপির সভাপতি তোজাম্মেল হক উপস্থিত ছিলেন।
আবদুস সালাম বলেন, ‘জামায়াত বিএনপির ক্ষতি করার চেষ্টা করলেও তারা কোথা থেকে এটা করছে, সেটা দেশবাসী ইতিমধ্যে বুঝে গেছে। বিএনপি সকল ক্রাইসিস ফেস করেই এ পর্যন্ত এসেছে। আমরা কোনো ক্রাইসিসকে ভয় পাই না। সেগুলোকে মোকাবিলা করার জন্য সব সময় প্রস্তুত।’ তিনি বলেন, ‘জামায়াত মনে করছে, তারা বোধ হয় সবচেয়ে জনপ্রিয় হয়ে গেছে। এটা তো নির্বাচনেই বোঝা যাবে, দেশের মানুষ কাদেরকে চায়। কারণ, আমরা যেটা জানি, বাংলাদেশের মানুষ ধর্মভীরু, কিন্তু কট্টর না। পাকিস্তান আমলে আমরা যখন যুদ্ধ করি, এই দলটা সব সময় বলত—“ইসলাম গেল, ইসলাম গেল।” অর্থাৎ দেশ স্বাধীন হয়ে গেলে তখন আর ইসলাম থাকবে না। কিন্তু কী প্রমাণিত হয়েছে? না, ইসলাম আমাদের এখানে শক্তিশালী হয়েছে। আওয়ামী লীগের আমলে আওয়ামী লীগ বলত— “ইসলাম আইল, ইসলাম আইল।” এগুলো করে অনেকে অনেক রকম চেষ্টা করেছে। বিএনপি একটা মধ্যপন্থার দল। বামপন্থীও না, ডানপন্থীও না। এখানে সবার ভালোভাবে থাকার অধিকার আছে।’
সালাম বলেন, ‘বিএনপির একটা অতীত আছে। এই দেশের মুক্তিযুদ্ধ, এই দেশের স্বাধীনতার ঘোষণা, এই দেশের পুনর্গঠন—সবকিছুর মধ্যে বিএনপি আছে। সেই জায়গায় দেশের মানুষের যে আস্থা, তার নামটা হলো বিএনপি। তাই অত সহজে বিএনপিকে আস্থার জায়গা থেকে সরানো যাবে না। যতই তারা চেষ্টা করুক। বিএনপির নেতা-কর্মীদের জেলে দিয়ে ভয় দেখাতে পারেনি। গুম করে ফেলেছে, হত্যা করেছে। তা-ও পারেনি। কাজেই এখন আর কেউ ভয় পায় না। দীর্ঘ ১৭ বছর আগুনে পুড়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা খাঁটি সোনায় পরিণত হয়েছে। কাজেই তাদের আর ভয়ভীতি দেখিয়ে কোনোরকম লাভ হবে না।’
নির্বাচন বিলম্বিত করতেই জামায়াত পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি তুলেছে বলে মনে করেন বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা। তিনি বলেন, ‘আমরা ১৭ বছর আন্দোলন করেছি একটা কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য। তখন কি এই জামায়াতসহ কেউ পিআরের কথা বলেছে? বলে নাই। অভ্যুত্থানের পর কি কেউ পিআরের কথা বলেছে? সংস্কার কমিশন গঠনের পর তাদের আলোচ্যসূচির মধ্যে কি এটা ছিল? কোনোকিছুই ছিল না। হঠাৎ করে নিয়ে আসল। যখন দেখল, বিএনপি নির্বাচন চাইছে, দেশের মানুষও সমর্থন দিচ্ছে। নির্বাচন দিলেই বিএনপি চলে আসবে। তারা বিএনপিকে কোনোভাবেই ঠেকাতে পারছে না। তখন এটা নিয়ে আসল। তারা ভাবছে, নির্বাচন পেছালে বিএনপিকে ঠেকানো যাবে।’
আবদুস সালাম বলেন, ‘বাংলাদেশটা ভঙ্গুর অবস্থায় আছে। রাষ্ট্রীয় কোনো প্রতিষ্ঠান কাজ করছে না ঠিকমতো। সবকিছু চিন্তা করলে একটা শক্তিশালী সরকার দরকার। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে একটা ঝুলন্ত পার্লামেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। যদি পিআর সিস্টেমে নির্বাচন হয়, জনগণ তার প্রতিনিধি নির্বাচন করার অধিকার হারাবে। তখন শুধু দল দেখে ভোট দিতে হবে। এটা আসলে হয় না। জনগণকে প্রতিনিধি ঠিক করা থেকে বঞ্চিত করা কোনোভাবেই গণতান্ত্রিক উপায় হতে পারে না। সব তো জনগণের ওপর ছেড়ে দিতে হবে।’
নির্বাচন বিলম্বিত হওয়ার কারণে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নিজেদের গুছিয়ে নেওয়ার সময় পেয়েছে বলেও মনে করেন আবদুস সালাম। তিনি বলেন, ‘আমরা যে আগে নির্বাচন চেয়েছিলাম, তার যৌক্তিকতা এখন সবাই বুঝতে পারছে। এখন যে সমস্যাগুলো প্রকট আকার ধারণ করেছে, তা হতো না যদি ৬ মাস বা ৯ মাসের মধ্যে একটা নির্বাচন হতো। পরাজিত ফ্যাসিবাদ আবার নতুন করে ষড়যন্ত্র করার সুযোগ পেয়ে গেছে। নির্বাচন হলে অন্তত তারা এই ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করতে পারত না, সেই সময় তারা ভয়ে ছিল। এ সময়টা দেওয়ার কারণে তারা নিজেদের অনেকটা গুছিয়ে এনে এখন চেষ্টা করছে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার। কথা নেই, বার্তা নেই বিভিন্ন জায়গায় আগুন জ্বলছে। এগুলো কিসের আলামত?’
আবদুস সালাম প্রশ্ন তোলেন, ‘বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি যে কয়টা জায়গা নিরাপদ থাকে, তার মধ্যে বিমানবন্দর একটি। সেখানেই যদি আগুন লাগে, তাহলে প্রশ্ন ওঠে—দেশটা কি অনিরাপদ হয়ে গেল?’
‘জামায়াত আমাদের (বিএনপির) কাঁধের ওপর ভর করেই এ পর্যন্ত এসেছে। আসলে সত্যি কথা যেটা, তাদের দুঃসময়ে আমরা কিন্তু তাদের ফেলে দিইনি। হঠাৎ করে এমন কী হয়ে গেল যে অভ্যুত্থানের পরে বিএনপির ক্ষতি করার জন্য যা যা করার দরকার, তারা তা-ই করছে।’ বুধবার সকালে আজকের পত্রিকার সঙ্গে একান্তে আলাপকালে এসব কথা বলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম। রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌর বিএনপি আয়োজিত এক জনসভায় যোগ দেওয়ার আগে তিনি আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেন।
এ সময় তাঁর সঙ্গে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাইদ চাঁদ, নগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এরশাদ আলী ঈশা, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য দেবাশীষ রায় মধু, জেলার সদস্য গোলাম মোস্তফা মামুন ও আড়ানী পৌর বিএনপির সভাপতি তোজাম্মেল হক উপস্থিত ছিলেন।
আবদুস সালাম বলেন, ‘জামায়াত বিএনপির ক্ষতি করার চেষ্টা করলেও তারা কোথা থেকে এটা করছে, সেটা দেশবাসী ইতিমধ্যে বুঝে গেছে। বিএনপি সকল ক্রাইসিস ফেস করেই এ পর্যন্ত এসেছে। আমরা কোনো ক্রাইসিসকে ভয় পাই না। সেগুলোকে মোকাবিলা করার জন্য সব সময় প্রস্তুত।’ তিনি বলেন, ‘জামায়াত মনে করছে, তারা বোধ হয় সবচেয়ে জনপ্রিয় হয়ে গেছে। এটা তো নির্বাচনেই বোঝা যাবে, দেশের মানুষ কাদেরকে চায়। কারণ, আমরা যেটা জানি, বাংলাদেশের মানুষ ধর্মভীরু, কিন্তু কট্টর না। পাকিস্তান আমলে আমরা যখন যুদ্ধ করি, এই দলটা সব সময় বলত—“ইসলাম গেল, ইসলাম গেল।” অর্থাৎ দেশ স্বাধীন হয়ে গেলে তখন আর ইসলাম থাকবে না। কিন্তু কী প্রমাণিত হয়েছে? না, ইসলাম আমাদের এখানে শক্তিশালী হয়েছে। আওয়ামী লীগের আমলে আওয়ামী লীগ বলত— “ইসলাম আইল, ইসলাম আইল।” এগুলো করে অনেকে অনেক রকম চেষ্টা করেছে। বিএনপি একটা মধ্যপন্থার দল। বামপন্থীও না, ডানপন্থীও না। এখানে সবার ভালোভাবে থাকার অধিকার আছে।’
সালাম বলেন, ‘বিএনপির একটা অতীত আছে। এই দেশের মুক্তিযুদ্ধ, এই দেশের স্বাধীনতার ঘোষণা, এই দেশের পুনর্গঠন—সবকিছুর মধ্যে বিএনপি আছে। সেই জায়গায় দেশের মানুষের যে আস্থা, তার নামটা হলো বিএনপি। তাই অত সহজে বিএনপিকে আস্থার জায়গা থেকে সরানো যাবে না। যতই তারা চেষ্টা করুক। বিএনপির নেতা-কর্মীদের জেলে দিয়ে ভয় দেখাতে পারেনি। গুম করে ফেলেছে, হত্যা করেছে। তা-ও পারেনি। কাজেই এখন আর কেউ ভয় পায় না। দীর্ঘ ১৭ বছর আগুনে পুড়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা খাঁটি সোনায় পরিণত হয়েছে। কাজেই তাদের আর ভয়ভীতি দেখিয়ে কোনোরকম লাভ হবে না।’
নির্বাচন বিলম্বিত করতেই জামায়াত পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি তুলেছে বলে মনে করেন বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা। তিনি বলেন, ‘আমরা ১৭ বছর আন্দোলন করেছি একটা কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য। তখন কি এই জামায়াতসহ কেউ পিআরের কথা বলেছে? বলে নাই। অভ্যুত্থানের পর কি কেউ পিআরের কথা বলেছে? সংস্কার কমিশন গঠনের পর তাদের আলোচ্যসূচির মধ্যে কি এটা ছিল? কোনোকিছুই ছিল না। হঠাৎ করে নিয়ে আসল। যখন দেখল, বিএনপি নির্বাচন চাইছে, দেশের মানুষও সমর্থন দিচ্ছে। নির্বাচন দিলেই বিএনপি চলে আসবে। তারা বিএনপিকে কোনোভাবেই ঠেকাতে পারছে না। তখন এটা নিয়ে আসল। তারা ভাবছে, নির্বাচন পেছালে বিএনপিকে ঠেকানো যাবে।’
আবদুস সালাম বলেন, ‘বাংলাদেশটা ভঙ্গুর অবস্থায় আছে। রাষ্ট্রীয় কোনো প্রতিষ্ঠান কাজ করছে না ঠিকমতো। সবকিছু চিন্তা করলে একটা শক্তিশালী সরকার দরকার। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে একটা ঝুলন্ত পার্লামেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। যদি পিআর সিস্টেমে নির্বাচন হয়, জনগণ তার প্রতিনিধি নির্বাচন করার অধিকার হারাবে। তখন শুধু দল দেখে ভোট দিতে হবে। এটা আসলে হয় না। জনগণকে প্রতিনিধি ঠিক করা থেকে বঞ্চিত করা কোনোভাবেই গণতান্ত্রিক উপায় হতে পারে না। সব তো জনগণের ওপর ছেড়ে দিতে হবে।’
নির্বাচন বিলম্বিত হওয়ার কারণে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নিজেদের গুছিয়ে নেওয়ার সময় পেয়েছে বলেও মনে করেন আবদুস সালাম। তিনি বলেন, ‘আমরা যে আগে নির্বাচন চেয়েছিলাম, তার যৌক্তিকতা এখন সবাই বুঝতে পারছে। এখন যে সমস্যাগুলো প্রকট আকার ধারণ করেছে, তা হতো না যদি ৬ মাস বা ৯ মাসের মধ্যে একটা নির্বাচন হতো। পরাজিত ফ্যাসিবাদ আবার নতুন করে ষড়যন্ত্র করার সুযোগ পেয়ে গেছে। নির্বাচন হলে অন্তত তারা এই ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করতে পারত না, সেই সময় তারা ভয়ে ছিল। এ সময়টা দেওয়ার কারণে তারা নিজেদের অনেকটা গুছিয়ে এনে এখন চেষ্টা করছে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার। কথা নেই, বার্তা নেই বিভিন্ন জায়গায় আগুন জ্বলছে। এগুলো কিসের আলামত?’
আবদুস সালাম প্রশ্ন তোলেন, ‘বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি যে কয়টা জায়গা নিরাপদ থাকে, তার মধ্যে বিমানবন্দর একটি। সেখানেই যদি আগুন লাগে, তাহলে প্রশ্ন ওঠে—দেশটা কি অনিরাপদ হয়ে গেল?’
রাজধানীর ঢাকায় বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে খুলনায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি পুলিশ তল্লাশি ও ধরপাকড় শুরু করেছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির নেতারা। গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বিএনপি ও দলটির সংগঠনের ১২ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তারের তথ্য পাওয়া গেছে।
২৫ অক্টোবর ২০২৩প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, সংঘর্ষের সময় সাংবাদিক সাব্বির ঘটনাস্থলের ভিডিও ধারণ করছিলেন। এ সময় বিষয়টি কলেজ শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাজু মিয়ার দৃষ্টিগোচর হলে তিনি কয়েকজন অনুসারীকে নিয়ে সাব্বিরের ওপর হামলা চালান।
৩১ মিনিট আগেজিয়া মঞ্চের নবগঠিত ঢাকা জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাভার থানা কমিটির সদস্যসচিব জাকির হোসেনের সঙ্গে বনগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক বাবুল হোসেনের বিরোধ দীর্ঘদিনের। জমি আর এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত বছর ৫ আগস্টের পর দুই পক্ষের মধ্যে এই বিরোধের সৃষ্টি হয়।
৪৩ মিনিট আগেনোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ছোট ফেনী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে সেই বালু নদীটির ওপর সেতু নির্মাণকাজে ব্যবহারের অভিযোগে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলীসহ দুই কর্মকর্তাকে এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় বালু উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত প্রায় ১.৫ কিলোমিটার...
১ ঘণ্টা আগেনোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ছোট ফেনী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে সেই বালু নদীটির ওপর সেতু নির্মাণকাজে ব্যবহারের অভিযোগে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলীসহ দুই কর্মকর্তাকে এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় বালু উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত প্রায় ১.৫ কিলোমিটার পাইপ ধ্বংস এবং একটি ইঞ্জিন জব্দ করা হয়। সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের ডেপুটি প্রজেক্ট ম্যানেজার নূর নবী (৩৮) ও সাইট ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ রিয়াজুল (৩২)।
গতকাল বুধবার রাতে চরহাজারী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তেল্লারঘাট-ধনীপাড়া কানেক্টিং ব্রিজ এলাকায় অভিযান চালানো হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর ফরহাদ শামীম।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর ফরহাদ শামীম বলেন, ছোট ফেনী নদীর ওপর এলজিইডি নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘স্ট্যান্ডার্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড’ তেল্লার ঘাট-ধনীপাড়া সংযোগ ব্রিজ নির্মাণ করার ফাঁকে নির্মাণাধীন ব্রিজের পাশ থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে, যা সম্পূর্ণ নিয়মবহির্ভূত। এটি নদী ও সেতু উভয়ের জন্য ক্ষতিকর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দুজনকে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ সময় ১.৫ কিলোমিটার পাইপ ধ্বংস করা হয় এবং একটি ইঞ্জিন জব্দ করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে থানা থেকে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ছোট ফেনী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে সেই বালু নদীটির ওপর সেতু নির্মাণকাজে ব্যবহারের অভিযোগে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলীসহ দুই কর্মকর্তাকে এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় বালু উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত প্রায় ১.৫ কিলোমিটার পাইপ ধ্বংস এবং একটি ইঞ্জিন জব্দ করা হয়। সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের ডেপুটি প্রজেক্ট ম্যানেজার নূর নবী (৩৮) ও সাইট ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ রিয়াজুল (৩২)।
গতকাল বুধবার রাতে চরহাজারী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তেল্লারঘাট-ধনীপাড়া কানেক্টিং ব্রিজ এলাকায় অভিযান চালানো হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর ফরহাদ শামীম।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর ফরহাদ শামীম বলেন, ছোট ফেনী নদীর ওপর এলজিইডি নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘স্ট্যান্ডার্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড’ তেল্লার ঘাট-ধনীপাড়া সংযোগ ব্রিজ নির্মাণ করার ফাঁকে নির্মাণাধীন ব্রিজের পাশ থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে, যা সম্পূর্ণ নিয়মবহির্ভূত। এটি নদী ও সেতু উভয়ের জন্য ক্ষতিকর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দুজনকে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ সময় ১.৫ কিলোমিটার পাইপ ধ্বংস করা হয় এবং একটি ইঞ্জিন জব্দ করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে থানা থেকে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।
রাজধানীর ঢাকায় বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে খুলনায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি পুলিশ তল্লাশি ও ধরপাকড় শুরু করেছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির নেতারা। গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বিএনপি ও দলটির সংগঠনের ১২ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তারের তথ্য পাওয়া গেছে।
২৫ অক্টোবর ২০২৩প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, সংঘর্ষের সময় সাংবাদিক সাব্বির ঘটনাস্থলের ভিডিও ধারণ করছিলেন। এ সময় বিষয়টি কলেজ শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাজু মিয়ার দৃষ্টিগোচর হলে তিনি কয়েকজন অনুসারীকে নিয়ে সাব্বিরের ওপর হামলা চালান।
৩১ মিনিট আগেজিয়া মঞ্চের নবগঠিত ঢাকা জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাভার থানা কমিটির সদস্যসচিব জাকির হোসেনের সঙ্গে বনগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক বাবুল হোসেনের বিরোধ দীর্ঘদিনের। জমি আর এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত বছর ৫ আগস্টের পর দুই পক্ষের মধ্যে এই বিরোধের সৃষ্টি হয়।
৪৩ মিনিট আগেসালাম বলেন, ‘বিএনপির একটা অতীত আছে। এই দেশের মুক্তিযুদ্ধ, এই দেশের স্বাধীনতার ঘোষণা, এই দেশের পুনর্গঠন—সবকিছুর মধ্যে বিএনপি আছে। সেই জায়গায় দেশের মানুষের যে আস্থা, তার নামটা হলো বিএনপি। তাই অত সহজে বিএনপিকে আস্থার জায়গা থেকে সরানো যাবে না। যতই তারা চেষ্টা করুক। বিএনপির নেতা-কর্মীদের জেলে দিয়ে...
১ ঘণ্টা আগে