Ajker Patrika

সাক্ষাৎকারে আবদুস সালাম

বিএনপির ক্ষতি করার জন্য যা যা করা দরকার জামায়াত করছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
গতকাল সকালে আজকের পত্রিকার সঙ্গে একান্তে আলাপে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম। ছবি: আজকের পত্রিকা
গতকাল সকালে আজকের পত্রিকার সঙ্গে একান্তে আলাপে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম। ছবি: আজকের পত্রিকা

‘জামায়াত আমাদের (বিএনপির) কাঁধের ওপর ভর করেই এ পর্যন্ত এসেছে। আসলে সত্যি কথা যেটা, তাদের দুঃসময়ে আমরা কিন্তু তাদের ফেলে দিইনি। হঠাৎ করে এমন কী হয়ে গেল যে অভ্যুত্থানের পরে বিএনপির ক্ষতি করার জন্য যা যা করার দরকার, তারা তা-ই করছে।’ বুধবার সকালে আজকের পত্রিকার সঙ্গে একান্তে আলাপকালে এসব কথা বলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম। রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌর বিএনপি আয়োজিত এক জনসভায় যোগ দেওয়ার আগে তিনি আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেন।

এ সময় তাঁর সঙ্গে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাইদ চাঁদ, নগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এরশাদ আলী ঈশা, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য দেবাশীষ রায় মধু, জেলার সদস্য গোলাম মোস্তফা মামুন ও আড়ানী পৌর বিএনপির সভাপতি তোজাম্মেল হক উপস্থিত ছিলেন।

আবদুস সালাম বলেন, ‘জামায়াত বিএনপির ক্ষতি করার চেষ্টা করলেও তারা কোথা থেকে এটা করছে, সেটা দেশবাসী ইতিমধ্যে বুঝে গেছে। বিএনপি সকল ক্রাইসিস ফেস করেই এ পর্যন্ত এসেছে। আমরা কোনো ক্রাইসিসকে ভয় পাই না। সেগুলোকে মোকাবিলা করার জন্য সব সময় প্রস্তুত।’ তিনি বলেন, ‘জামায়াত মনে করছে, তারা বোধ হয় সবচেয়ে জনপ্রিয় হয়ে গেছে। এটা তো নির্বাচনেই বোঝা যাবে, দেশের মানুষ কাদেরকে চায়। কারণ, আমরা যেটা জানি, বাংলাদেশের মানুষ ধর্মভীরু, কিন্তু কট্টর না। পাকিস্তান আমলে আমরা যখন যুদ্ধ করি, এই দলটা সব সময় বলত—“ইসলাম গেল, ইসলাম গেল।” অর্থাৎ দেশ স্বাধীন হয়ে গেলে তখন আর ইসলাম থাকবে না। কিন্তু কী প্রমাণিত হয়েছে? না, ইসলাম আমাদের এখানে শক্তিশালী হয়েছে। আওয়ামী লীগের আমলে আওয়ামী লীগ বলত— “ইসলাম আইল, ইসলাম আইল।” এগুলো করে অনেকে অনেক রকম চেষ্টা করেছে। বিএনপি একটা মধ্যপন্থার দল। বামপন্থীও না, ডানপন্থীও না। এখানে সবার ভালোভাবে থাকার অধিকার আছে।’

সালাম বলেন, ‘বিএনপির একটা অতীত আছে। এই দেশের মুক্তিযুদ্ধ, এই দেশের স্বাধীনতার ঘোষণা, এই দেশের পুনর্গঠন—সবকিছুর মধ্যে বিএনপি আছে। সেই জায়গায় দেশের মানুষের যে আস্থা, তার নামটা হলো বিএনপি। তাই অত সহজে বিএনপিকে আস্থার জায়গা থেকে সরানো যাবে না। যতই তারা চেষ্টা করুক। বিএনপির নেতা-কর্মীদের জেলে দিয়ে ভয় দেখাতে পারেনি। গুম করে ফেলেছে, হত্যা করেছে। তা-ও পারেনি। কাজেই এখন আর কেউ ভয় পায় না। দীর্ঘ ১৭ বছর আগুনে পুড়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা খাঁটি সোনায় পরিণত হয়েছে। কাজেই তাদের আর ভয়ভীতি দেখিয়ে কোনোরকম লাভ হবে না।’

নির্বাচন বিলম্বিত করতেই জামায়াত পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি তুলেছে বলে মনে করেন বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা। তিনি বলেন, ‘আমরা ১৭ বছর আন্দোলন করেছি একটা কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য। তখন কি এই জামায়াতসহ কেউ পিআরের কথা বলেছে? বলে নাই। অভ্যুত্থানের পর কি কেউ পিআরের কথা বলেছে? সংস্কার কমিশন গঠনের পর তাদের আলোচ্যসূচির মধ্যে কি এটা ছিল? কোনোকিছুই ছিল না। হঠাৎ করে নিয়ে আসল। যখন দেখল, বিএনপি নির্বাচন চাইছে, দেশের মানুষও সমর্থন দিচ্ছে। নির্বাচন দিলেই বিএনপি চলে আসবে। তারা বিএনপিকে কোনোভাবেই ঠেকাতে পারছে না। তখন এটা নিয়ে আসল। তারা ভাবছে, নির্বাচন পেছালে বিএনপিকে ঠেকানো যাবে।’

আবদুস সালাম বলেন, ‘বাংলাদেশটা ভঙ্গুর অবস্থায় আছে। রাষ্ট্রীয় কোনো প্রতিষ্ঠান কাজ করছে না ঠিকমতো। সবকিছু চিন্তা করলে একটা শক্তিশালী সরকার দরকার। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে একটা ঝুলন্ত পার্লামেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। যদি পিআর সিস্টেমে নির্বাচন হয়, জনগণ তার প্রতিনিধি নির্বাচন করার অধিকার হারাবে। তখন শুধু দল দেখে ভোট দিতে হবে। এটা আসলে হয় না। জনগণকে প্রতিনিধি ঠিক করা থেকে বঞ্চিত করা কোনোভাবেই গণতান্ত্রিক উপায় হতে পারে না। সব তো জনগণের ওপর ছেড়ে দিতে হবে।’

নির্বাচন বিলম্বিত হওয়ার কারণে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নিজেদের গুছিয়ে নেওয়ার সময় পেয়েছে বলেও মনে করেন আবদুস সালাম। তিনি বলেন, ‘আমরা যে আগে নির্বাচন চেয়েছিলাম, তার যৌক্তিকতা এখন সবাই বুঝতে পারছে। এখন যে সমস্যাগুলো প্রকট আকার ধারণ করেছে, তা হতো না যদি ৬ মাস বা ৯ মাসের মধ্যে একটা নির্বাচন হতো। পরাজিত ফ্যাসিবাদ আবার নতুন করে ষড়যন্ত্র করার সুযোগ পেয়ে গেছে। নির্বাচন হলে অন্তত তারা এই ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করতে পারত না, সেই সময় তারা ভয়ে ছিল। এ সময়টা দেওয়ার কারণে তারা নিজেদের অনেকটা গুছিয়ে এনে এখন চেষ্টা করছে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার। কথা নেই, বার্তা নেই বিভিন্ন জায়গায় আগুন জ্বলছে। এগুলো কিসের আলামত?’

আবদুস সালাম প্রশ্ন তোলেন, ‘বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি যে কয়টা জায়গা নিরাপদ থাকে, তার মধ্যে বিমানবন্দর একটি। সেখানেই যদি আগুন লাগে, তাহলে প্রশ্ন ওঠে—দেশটা কি অনিরাপদ হয়ে গেল?’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে ভারত কেন বেজার

রাশিয়ার ১৬২ বিলিয়ন ডলার ইউক্রেনকে অস্ত্র কিনতে ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্তে বিভক্ত ইউরোপ

মব সৃষ্টি করে নারীর টাকা-চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

পুতিন যুদ্ধ বন্ধে ‘অস্বীকৃতি জানানোয়’ রাশিয়ার ওপর ট্রাম্পের ‘প্রথম’ নিষেধাজ্ঞা

মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ককটেল বিস্ফোরণে যুবক নিহত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অস্ত্রের মুখে বেঁধে রেখে হিমাগারে ডাকাতি

রংপুর প্রতিনিধি
অস্ত্রের মুখে বেঁধে রেখে হিমাগারে ডাকাতি
অস্ত্রের মুখে বেঁধে রেখে হিমাগারে ডাকাতি

রংপুরের তারাগঞ্জে একটি হিমাগারের নৈশপ্রহরীকে বেঁধে রেখে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ২টার উপজেলার ইকরচালী ইউনিয়নের এন এন হিমাগারে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও হিমাগার কর্তৃপক্ষ জানায়, ডাকাত দল রাত ২টার দিকে হিমাগারে প্রবেশ করে। এরপর হিমাগারের নৈশপ্রহরী সোহেল রানা, মেশিন অপারেটর মঞ্জুরুল ইসলাম ও সুজন বাবুকে অস্ত্রের মুখে বেঁধে ফেলেন। ডাকাতেরা অফিস কক্ষে প্রবেশ করে সিন্দুক ভেঙে ১২ লাখ ৫৪ হাজার ৯২০ টাকা, ৪২ ইঞ্চি রঙিন টেলিভিশন এবং সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক নিয়ে যায়।

সরেজমিন দেখা গেছে, পুরো অফিস কক্ষের ড্রয়ার ফাঁকা পড়ে আছে। মেঝেতে কাগজপত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে। ভাঙা সিন্দুকটি মেঝেতে পড়ে আছে। সেখানে বাঁশের লাঠি ও লোহার পাইপ দেখা যায়।

হিমাগারের মেশিন অপারেটর মঞ্জরুল ইসলাম বলেন, ‘ডাকাতেরা হিমাগারের পেছন দিয়ে প্রবেশ করে মেশিন রুমে এসে আমাদের দুজনকে অস্ত্রের মুখে বেঁধে ফেলে। এরপর আমাকে নিয়ে অফিসের দিকে যায়। ডাকাতদের দিকে তাকানোয় আমাকে বেধড়ক মারধর করেন। এরপর প্রহরী সোহেল রানাকে বেঁধে ফেলে। তালা কেটে আমাদের দুজনকে অফিস কক্ষে নিয়ে আসেন। পরে মেশিন রুম থেকে সাবল আনতে গিয়ে সুজনকেও অফিস কক্ষ নিয়ে আসে ডাকাতেরা। সেখানে সিন্দুক ভেঙে টাকা, টিভি, সিসিটিভির মেশিন নিয়ে চলে যায়। তাদের মুখ মাংকি টুপি দিয়ে ঢাকা ছিল।’

এন এন হিমাগারের ব্যবস্থাপক শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘রাত ২টা ৫০ মিনিটের দিকে হিমাগার থেকে ফোন করে জানায় হিমাগারে ডাকাত পড়েছে। খবর পেয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানাই এবং ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। পরে ওসি সাহেবও ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত করেন।’

তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ ফারুক বলেন, ‘খবর পেয়ে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে ভারত কেন বেজার

রাশিয়ার ১৬২ বিলিয়ন ডলার ইউক্রেনকে অস্ত্র কিনতে ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্তে বিভক্ত ইউরোপ

মব সৃষ্টি করে নারীর টাকা-চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

পুতিন যুদ্ধ বন্ধে ‘অস্বীকৃতি জানানোয়’ রাশিয়ার ওপর ট্রাম্পের ‘প্রথম’ নিষেধাজ্ঞা

মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ককটেল বিস্ফোরণে যুবক নিহত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ডিবি পরিচয়ে ছিনতাই, জনতার হাতে আটক ২

নীলফামারী প্রতিনিধি
আটক দুজন। ছবি: সংগৃহীত
আটক দুজন। ছবি: সংগৃহীত

নীলফামারীতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে পথচারীকে আটকে দেহ তল্লাশি, মারধর ও ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে দুজনকে আটক করেছে জনতা। পরে তাঁদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার বিকেলে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার পুটিমারী ইউনিয়নের দক্ষিণ ভেড়ভেড়ী এসডিএফ অফিসসংলগ্ন এলাকায়। বিষয়টি আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সকালে নিশ্চিত করেন কিশোরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল কুদ্দুস।

আটক দুজন হলেন নীলফামারী সদরের কিশামত পঞ্চপুকুর গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে হেদায়াতুল্লাহ সুজন (৩২) এবং একই উপজেলার বেড়াডাঙ্গা ব্রমোতর গ্রামের সুরত আলীর ছেলে নুর আলম (২৮)।

পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুল কুদ্দুস জানান, গতকাল বিকেলে পুটিমারীর চৌধুরীবাজার থেকে ভ্যানে বাড়ি ফিরছিলেন তোহা ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। এ সময় দক্ষিণ ভেড়ভেড়ী এসডিএফ অফিসসংলগ্ন রাস্তায় তাঁকে পাঁচ-ছয় ব্যক্তি নিজেদের ডিবি সদস্য পরিচয় দিয়ে আটক করে দেহ তল্লাশি করেন। এতে বাধা দিলে তোহাকে তাঁরা মারধর শুরু করেন এবং পকেটে থাকা ৫০ হাজার টাকা বের করে নেন। এ সময় তাঁর চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এলে ডিবি পরিচয়দানকারীরা মোটরসাইকেলে করে পালানোর চেষ্টা করেন। এলাকাবাসী এ সময় দুজনকে আটক করে। অন্যরা পালিয়ে যান।

এ ঘটনায় তোহা ইসলামের ভাই ফরহাদ হোসেন বাদী হয়ে আজ বৃহস্পতিবার থানায় একটি মামলা করেন। দুপুরে ওই মামলায় পুলিশ তাঁদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে ভারত কেন বেজার

রাশিয়ার ১৬২ বিলিয়ন ডলার ইউক্রেনকে অস্ত্র কিনতে ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্তে বিভক্ত ইউরোপ

মব সৃষ্টি করে নারীর টাকা-চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

পুতিন যুদ্ধ বন্ধে ‘অস্বীকৃতি জানানোয়’ রাশিয়ার ওপর ট্রাম্পের ‘প্রথম’ নিষেধাজ্ঞা

মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ককটেল বিস্ফোরণে যুবক নিহত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের জন্য ডাকাতিয়ার পাড়ে অধিগ্রহণ হচ্ছে ৩০ একর জমি

চাঁদপুর প্রতিনিধি
চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের অবকাঠামো নির্মাণ করতে ভূমি অধিগ্রহণের জন্য আজ বৃহস্পতিবার প্রস্তাবিত এলাকা পরিদর্শন করেন সহকারী প্রকল্প পরিচালকসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। ছবি: আজকের পত্রিকা
চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের অবকাঠামো নির্মাণ করতে ভূমি অধিগ্রহণের জন্য আজ বৃহস্পতিবার প্রস্তাবিত এলাকা পরিদর্শন করেন সহকারী প্রকল্প পরিচালকসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। ছবি: আজকের পত্রিকা

প্রতিষ্ঠার প্রায় সাত বছর পর ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের স্থায়ী ক্যাম্পাসের অবকাঠামো নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের চূড়ান্ত কাজ চলছে। প্রস্তাবিত জমির শ্রেণি যাচাই-বাছাই শেষে ওই এলাকায় ৩০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হবে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদি ইউনিয়নের নিজ গাছতলা গ্রামে ব্রিজসংলগ্ন এলাকা থেকে পূর্ব দিকে দেওয়ানবাড়ি পর্যন্ত ডাকাতিয়া নদীর পাড়ের জমিগুলোর শ্রেণি সঠিক আছে কি না তা পরিদর্শন করা হয়।

এ সময় চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) একরামুল সিদ্দিক, চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ও সহকারী প্রকল্প পরিচালক হারুন অর রশিদ, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বাপ্পি দত্ত রনি উপস্থিত ছিলেন।

চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের অবকাঠামো নির্মাণের জন্য ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে প্রস্তাবিত জমি। ছবি: আজকের পত্রিকা
চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের অবকাঠামো নির্মাণের জন্য ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে প্রস্তাবিত জমি। ছবি: আজকের পত্রিকা

একরামুল সিদ্দিক বলেন, ‘চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের জন্য এর আগেও জমির শ্রেণি সঠিক আছে কি না, তা দেখা হয়েছে। আমাদের নিজস্ব সার্ভেয়ারদের মাধ্যমে এখন আবার অধিকতর যাচাই করা হলো। কারণ, এর সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের আর্থিক বিষয় জড়িত। যাচাই শেষে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হবে। এরপর প্রাক্কলন তৈরি করা হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব কাজ সম্পন্ন হবে এবং আমরা দুটি মৌজায় মেডিকেলের জন্য এখানে ৩০ একর জমি অধিগ্রহণ করব।’

সহকারী প্রকল্প পরিচালক হারুন অর রশিদ বলেন, ‘২০১৮ সালে চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার পর ইতিমধ্যে দুটি ব্যাচের শিক্ষার্থীরা পাস করে বের হয়েছেন। চাঁদপুর সদর হাসপাতালে বর্তমানে মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এতে জেলা ও আশপাশে অনেক রোগী সেবা নিতে পাচ্ছেন।’

হারুন অর রশিদ আরও বলেন, ‘জমি অধিগ্রহণের জন্য চূড়ান্ত পর্যায়ে শ্রেণি যাচাই-বাছাই কাজের মাধ্যমে অবকাঠামো উন্নয়নকাজ এগিয়ে চলছে। মেডিকেলের অবকাঠামো নির্মাণকাজ শেষ হলে শিক্ষার্থীদের বহুদিনের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে ভারত কেন বেজার

রাশিয়ার ১৬২ বিলিয়ন ডলার ইউক্রেনকে অস্ত্র কিনতে ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্তে বিভক্ত ইউরোপ

মব সৃষ্টি করে নারীর টাকা-চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

পুতিন যুদ্ধ বন্ধে ‘অস্বীকৃতি জানানোয়’ রাশিয়ার ওপর ট্রাম্পের ‘প্রথম’ নিষেধাজ্ঞা

মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ককটেল বিস্ফোরণে যুবক নিহত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তৃতীয় দিনের মতো রাবির চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগ ‘কমপ্লিট শাটডাউন’

রাবি প্রতিনিধি  
বৈষম্যমূলক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সংশোধনসহ তিন দফা দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার তৃতীয় দিনের মতো ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করেন রাবির চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
বৈষম্যমূলক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সংশোধনসহ তিন দফা দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার তৃতীয় দিনের মতো ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করেন রাবির চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

বৈষম্যমূলক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সংশোধনসহ তিন দফা দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে তাঁরা বিভাগের সভাপতির অপসারণেরও দাবি জানান।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিভাগের সামনে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। বেলা ১টার দিকে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

সমাবেশে বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রাইসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ‘আমরা তিন দিন ধরে আমাদের ন্যায্য দাবি আদায়ে আন্দোলন করে আসছি। আমরা বিভাগের সভাপতিকে ২৪ ঘণ্টার সময় দিয়েছিলাম। কিন্তু নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও তিনি আমাদের দাবি মেনে নেননি এবং আমাদের সঙ্গে কোনো ধরনের কথা বলেননি। তিনি আমাদের প্রতি অসহযোগিতা করেছেন।’

বৈষম্যমূলক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সংশোধনসহ তিন দফা দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার তৃতীয় দিনের মতো ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করেন রাবির চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
বৈষম্যমূলক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সংশোধনসহ তিন দফা দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার তৃতীয় দিনের মতো ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করেন রাবির চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাইসুল ইসলাম মাহমুদ আরও বলেন, ‘আমরা পিএসসিতে চিঠি পাঠানোর জন্য একটি আবেদনপত্র প্রস্তুত করে স্বাক্ষর নিতে গেলে বিভাগের সভাপতি তাতে স্বাক্ষর করেননি। তিনি আমাদের সঙ্গে দেখা করতেও অস্বীকৃতি জানান। এ কারণে আমরা বর্তমান সভাপতির অপসারণ চাই।’

এ বিষয়ে চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক এনামুল হকের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি তা ধরেননি।

এর আগে গত মঙ্গলবার তিন দফা দাবিতে বিভাগে তালা দিয়ে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। তাঁদের তিন দফা দাবিগুলো হলো–বৈষম্যমূলক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সংশোধন, ইন্টার্নশিপ ভাতা চালু করা এবং বিসিএস পরীক্ষায় চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানের টেকনিক্যাল ক্যাডার সংযোজন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে ভারত কেন বেজার

রাশিয়ার ১৬২ বিলিয়ন ডলার ইউক্রেনকে অস্ত্র কিনতে ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্তে বিভক্ত ইউরোপ

মব সৃষ্টি করে নারীর টাকা-চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

পুতিন যুদ্ধ বন্ধে ‘অস্বীকৃতি জানানোয়’ রাশিয়ার ওপর ট্রাম্পের ‘প্রথম’ নিষেধাজ্ঞা

মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ককটেল বিস্ফোরণে যুবক নিহত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত