Ajker Patrika

নদে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি, মানুষের বাড়ছে আতঙ্ক

কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৪ জুন ২০২২, ১৮: ৩০
নদে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি, মানুষের বাড়ছে আতঙ্ক

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদাসীনতা ও কর্মকর্তাদের অবহেলায় ছয় মাসেও সংস্কার করা হয়নি কুষ্টিয়ার কুমারখালী শহর রক্ষাবাঁধ। এতে আতঙ্কিত শহরের প্রায় ৬০ হাজার মানুষ। হুমকির মুখে পড়েছে তিনটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানসহ শত শত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান।

স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করে জানান, ছয় মাসেও সংস্কার হয়নি শহর রক্ষাবাঁধ। এখন গড়াই নদে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। একই সঙ্গে বাড়ছে মানুষের আতঙ্ক। ভরা বর্ষার আগেই দ্রুত পাথর দিয়ে সংস্কার করা না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। 

আজ মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, গড়াই নদের কবল থেকে কুমারখালী শহররক্ষার জন্য পাথরের বাঁধ রয়েছে। সেই বাঁধের ইকোপার্ক এলাকায় বেশ খানিকটা ভাঙা রয়েছে। ভাঙার নিচে (পানি) কিছু বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা রয়েছে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গড়াই নদের তীর ঘেঁষে কুমারখালী পৌরসভা গঠিত। পৌরসভায় প্রায় ৬০ হাজার মানুষের বসবাস। ঐতিহ্যবাহী তাঁতশিল্পসহ পৌর এলাকায় দিনে দিনে গড়ে উঠেছে শত শত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। আর নদ থেকে পৌরবাসীকে রক্ষা করতে নির্মাণ করা হয়েছিল পাথরের বাঁধ। কিন্তু সেই বাঁধের ইকোপার্ক এলাকায় প্রায় ছয় মাস আগে ভাঙন শুরু হয়। ভাঙনের কিছুদিন পর কিছু জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছিল। কিন্তু এতে পুরো ভাঙন রোধ করা যায়নি। এখন নদে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষের রক্ষাবাঁধ সংস্কারের উদ্যোগ নেই। ভরা মৌসুমের আগেই বাঁধ সংস্কার না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। 

এ বিষয়ে কুমারখালী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এস এম রফিক জানান, ছয় মাস আগে বাঁধ ভেঙেছে। বারবার উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে। কিন্তু বাঁধ সংস্কার হয়নি। এতে আতঙ্কিত প্রায় ৬০ হাজার মানুষ। হুমকির মুখে তিনটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসহ শত শত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান।

উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান লালু বলেন, ‘শহররক্ষার প্রাণ হলো ইকোপার্ক এলাকার বাঁধ। সেই বাঁধ ভেঙে গেছে। অথচ কারও কোনো মাথাব্যথা নেই। বাঁধ নিয়ে ব্যবসায়ীদের দুশ্চিন্তার শেষ নেই। দ্রুত বাঁধ সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।’

কুমারখালী পৌরসভার মেয়র সামছুজ্জামান অরুন বলেন, ‘বাঁধ নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ নেই। দ্রুত সংস্কার না হলে বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অনেকবার জানানো হয়েছে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিতান কুমার মণ্ডল বলেন, ‘বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডের। গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি জানানো হয়েছে। ডিসি স্যার ও পাউবো কর্মকর্তারা ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। বিষয়টি তাঁরা দেখবেন।’

কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আব্দুল হামিদ বলেন, ‘কুমারখালী শহর রক্ষাবাঁধের প্রকল্প পাস হয়েছে। আগামী শুষ্ক মৌসুমে পাথর দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করা হবে। এ বছর জিও ব্যাগ দিয়ে ভাঙনের বাকি অংশ ভরাট করা হবে।’

 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিএনসিসির পদ ছাড়লেন এস্তোনিয়ার নাগরিক আমিনুল ইসলাম

ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল নিয়ে ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা, চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলাদেশ

এনআইডির নাম ও জন্মতারিখ সংশোধনের দায়িত্বে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা

পদত্যাগ করব না, আলোচনা করে সমাধান করব: কুয়েট উপাচার্য

কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর অতর্কিত গুলি, নিহত ২৬

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত