Ajker Patrika

১৪৪ ধারা ভেঙে দোকান দখলের অভিযোগ

পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি
Thumbnail image

খুলনা পাইকগাছায় আদালতের ১৪৪ ধারার রায় উপেক্ষা করে দোকান দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ আজ শুক্রবার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। উপজেলার রাড়ুলী ইউনিয়নের বাঁকা বাজারে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। 

স্থানীয় বলছে, রাড়ুলী ইউনিয়নের বাঁকা বাজারের সানি মার্কেটে দোকান নিয়ে স্থানীয় মো. সামাদ সরদার ও মো. ইয়াছিনুরী বিশ্বাসের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে খুলনা চতুর্থ জজ আদালতে একটি বাঁটোয়ারা মামলা হয়। বৃহস্পতিবার পাইকগাছা থানা থেকে ওই সম্পত্তিটিতে দখল ভিত্তিক স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু বিবাদী পক্ষ নোটিশ পাওয়ার পরও আদালতের রায় উপেক্ষা করে মার্কেটের ৪টি ঘরে তালা মেরে দখল নেওয়া হয়। 

মামলার বাদী মো. সামাদ সরদার বলেন, ‘বাঁকা বাজারে আট শতক জমির ওপর আমার ৩ তলা মার্কেটসহ দোকানঘর রয়েছে।  এদিকে প্রতিপক্ষ মো. ইয়াছিনুরী বিশ্বাস ও জায়গায় তাঁর পৌনে এক শতক জমি রয়েছে বলে দাবি করে আসছেন। এ জমি নিয়ে খুলনা চতুর্থ জজ আদালতে বাঁটোয়ারা মামলা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘ইয়াছিনুরী বিশ্বাস আমার ওই জমিসহ মার্কেট দখল করবে বলে বিভিন্ন ভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছেন। এ নিয়ে আমি উপজেলা নির্বাহী আদালতে গত বুধবার একটি মামলা করি। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক ওই সম্পত্তিতে দখল ভিত্তিক স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য আদেশ দেন।

মার্কেটের এক দোকানি ইমরান হোসেন বলেন, ‘আমি সামাদ সরদারের কাছ থেকে ঘর ভাড়া নিয়ে জামা-কাপড়ের ব্যবসা করতাম। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে দোকান বন্ধ করে বাড়িতে যাই। শুক্রবার সকালে এসে দেখি আমার দোকানে অন্য তালা মারা। পরে শুনেছি ইয়াছিনুরী বিশ্বাসের লোকজন ঘরে তালা মেরে দখল করেছেন।’

সানি মার্কেটের আরও দুই ব্যবসায়ী আজম শেখ, রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘রাতে আমাদের ঘরে তালা মারা হয়েছে।’

এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এক নারী বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ইয়াছিনুরীর লোকজন কয়েকটি দোকানে তালা মের দেন।’ 

অভিযুক্ত ইয়াছিনুরী বলেন, ‘আমি জমি পাব তাই বৃহস্পতিবার দুপুরে সানি মার্কেটের কয়েকটি দোকানে তালা মেরে দিয়েছি।’ ১৪৪ ধারা ভাঙার বিষয়টি অস্বীকার করে ইয়াছিনুরী বলেন, ‘স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নোটিশ পেয়েছি বেলা ১টার দিকে। কিন্তু আমি তালা মেরেছি দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে।’ 

পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  (ওসি) মো. জিয়াউর রহমান বলেন, ‘আমি গতকাল একটার দিকে সানি মার্কেটের দোকানে তালা দেওয়ার বিষয়ে জানতে পারি।  ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে থানা থেকে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি। পুরো ঘটনার তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আদালতের আইন অমান্য করে কেউ কিছু করে থাকলে অবশ্যই আইন অমান্যকারী শাস্তি পাবেন।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত