কাজী শামিম আহমেদ, খুলনা
সিডর, আইলা, ফণী, বুলবুল, আম্পান, রিমালের মতো ঘূর্ণিঝড় থেকে বাংলাদেশকে বুক চিতিয়ে রক্ষা করতে গিয়ে প্রায় প্রতিবছরই ক্ষতিগ্রস্ত হয় সুন্দরবন। আবার মনুষ্যসৃষ্ট নানা কর্মকাণ্ডে বিরূপ প্রভাব পড়ে ম্যানগ্রোভ এই বনের ওপর। এর মধ্যে রয়েছে নিজ স্বার্থে বনে আগুন লাগিয়ে দেওয়া; কাঠ, মধু এবং অন্যান্য বনজ সম্পদ অতি আহরণ, অতিরিক্ত মাছ ধরা, ভ্রমণে গিয়ে যত্রতত্র পলিথিন, প্লাস্টিকের বোতলসহ নানা বর্জ্য ফেলা প্রভৃতি। তা ছাড়া, অতিমাত্রায় পর্যটক যাওয়াও সুন্দরবনের জন্য ক্ষতি বলে মনে করছেন পরিবেশবিদেরা।
সম্প্রতি বাগেরহাটের সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জ আন্দারমানিক ইকো ট্যুরিজম সেন্টার, হারবাড়িয়া পর্যটন স্পট, শরণখোলার কটকা, করমজলের কুমির প্রজননকেন্দ্রসহ বিভিন্ন পর্যটন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বনের ভেতর কোথাও ইটের রাস্তা, কোথাও পাথরের ঢালাই করা সড়ক, বাড়ি, অফিস, মোবাইল নেটওয়ার্ক টাওয়ারসহ নানা স্থাপনা নির্মাণ করেছে বন বিভাগ ও বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ফলে বাঘ-হরিণসহ বন্য প্রাণীদের অবাধ চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব সুন্দরবন (টোয়াস) সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে তাদের সংগঠনের রেজিস্ট্রেশনভুক্ত ৬৫টি এবং এর বাইরে ৫-৭টি লঞ্চ খুলনা থেকে পর্যটকদের সুন্দরবন ভ্রমণে নিয়ে যায়-আসে। মোংলা থেকে ট্রলার ও জালিবোটে করে সুন্দরবনের করমজল ও হাড়বাড়িয়া এলাকায় ঘুরতে যান পর্যটকেরা। সেখানে এই কাজে নিযুক্ত আছে অর্ধশতাধিক নৌযান। এ ছাড়া সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সীগঞ্জ ও খুলনা থেকে করমজল ও কালাবগী পর্যটন এলাকা থেকেও একইভাবে পর্যটকেরা সুন্দরবন ভ্রমণে যান।
বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে সুন্দরবন ভ্রমণে যান ১ লাখ ২৮ হাজার ১৭৫ জন পর্যটক। সর্বশেষ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সুন্দরবন ভ্রমণ করেন ২ লাখ ১১ হাজার ৫৭ জন পর্যটক।
জানতে চাইলে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম জানান, আগে কটকা, কচিখালি, দুবলারচর, হিরণ পয়েন্ট, হাড়বাড়িয়া, কলাগাছিয়া ও করমজল—এই সাতটি স্থানে পর্যটন স্পট ছিল। নতুন করে শরণখোলার আলীবান্ধা, চাঁদপাই রেঞ্জের আন্ধারমানিক, খুলনা রেঞ্জের শেখেরটেক ও কৈলাশগঞ্জে হয়েছে আরও চারটি পর্যটন স্পট।
কটেজ মালিকেরা জানান, ইতিমধ্যে বনের কৈলাশগঞ্জ, ঢাংমারী ও আশপাশের এলাকায় চালু হয়েছে কমপক্ষে ২৩টি ইকো রিসোর্ট ও কটেজ। এর মধ্যে জঙ্গলবাড়ি, ইরাবতী, গোলকানন, বনলতা, বনবাস, বনবিবি, বনমালী, বাদাবন, সুন্দরী, শর্মিলা, ম্যানগ্রোভ হ্যাভেন, পিয়ালি, নির্বাসন জঙ্গলভিলা অন্যতম। এ ছাড়া নির্মাণাধীন রয়েছে আরও সাতটি।
অতিমাত্রায় পর্যটক সুন্দরবনের জন্য ক্ষতি বলে মনে করছেন পরিবেশবিদেরা। তাঁরা বলছেন, সুন্দরবনকেন্দ্রিক পর্যটনকে যদি সুন্দর করে নিয়ন্ত্রণ কিংবা পরিচালনা করা না যায় তাহলে এর সম্ভাবনা শঙ্কায় পরিণত হবে। এ ছাড়া সুন্দরবনে পর্যটককেন্দ্রিক যেসব নৌযান আছে, সেগুলোকে নিয়ন্ত্রিতভাবে পরিচালনা করা না গেলে জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি হবে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি ডিসিপ্লিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. খান মেহেদী হাসান বলেন, দেশের মানুষের মধ্যে আগের তুলনায় ভ্রমণের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। পদ্মা সেতু চালুর পর রাজধানীর সঙ্গে খুলনার যোগাযোগ সহজ হয়েছে। ফলে পর্যটকদের জন্য সুন্দরবন ভ্রমণ এখন সহজ। কিন্তু সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা করা না গেলে তা ক্ষতির কারণ হতে পারে।
সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেন, সুন্দরবন ভ্রমণের নীতিমালা কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে হবে। তা না হলে সঠিক পরিকল্পনার অভাবে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ ছাড়া বন্য প্রাণীর অবাধ বিচরণ নিশ্চিত করতে হবে। পরিকল্পিতভাবে পর্যটকদের সুন্দরবন ভ্রমণের ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে কারও কোনো ক্ষতি না হয়।
জানতে চাইলে বন সংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার দো বলেন, ‘আমরা চাই সহনশীল মাত্রায় সুন্দরবনে পর্যটক আসুক। যাতে করে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্যের ওপর বিরূপ প্রভাব না পড়ে। কারণ, সুন্দরবন একটি সংরক্ষিত বন। এটি বিশ্ব ঐতিহ্য। এটিকে সুরক্ষিত রাখা সকলের দায়িত্ব।’
সুন্দরবন দিবস আগামীকাল
সুন্দরবনকে বিপন্ন অবস্থা থেকে রক্ষা করতে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্য নিয়ে আগামীকাল পালিত হচ্ছে সুন্দরবন দিবস। খুলনার বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা রূপান্তরের নির্বাহী পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম খোকন জানান, ২০০১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি খুলনায় প্রথম জাতীয় সুন্দরবন সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ওই সম্মেলনে ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘সুন্দরবন দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং জাতীয়ভাবে ‘সুন্দরবন দিবস’ ঘোষণার দাবি জানানো হয় সরকারের কাছে। তবে এখন পর্যন্ত জাতীয়ভাবে সুন্দরবন দিবস পালনের সাড়া মেলেনি।
রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে সুন্দরবনকে ভালোবাসুন’ স্লোগানে এবারেও সুন্দরবন দিবস পালন করা হবে।
সুন্দরবন একাডেমির নির্বাহী পরিচালক আনোয়ারুল কাদির বলেন, তাঁরা সুন্দরবন সংরক্ষণ ও বনসংলগ্ন মানুষের জীবন-জীবিকার মানোন্নয়নের জন্য সুন্দরবন পরিচালনার ক্ষেত্রে পৃথক মন্ত্রণালয় গঠনের দাবি জানিয়ে আসছেন। তাঁদের দাবি পূরণ হলে বন এবং বনসংলগ্ন মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটবে।
আনোয়ারুল কাদির জানান, সুন্দরবনের পাশের ৫টি জেলার ১৭টি উপজেলা যেগুলো সুন্দরবনের ইমপ্যাক্ট জোন হিসেবে পরিচিত, সেখানে নানাবিধ সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করা হবে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আলোচনা সভা, র্যালি, সিগনেচার ক্যাম্পেইন, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, সাইকেল র্যালি, মানববন্ধন এবং ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতা ইত্যাদি।
সিডর, আইলা, ফণী, বুলবুল, আম্পান, রিমালের মতো ঘূর্ণিঝড় থেকে বাংলাদেশকে বুক চিতিয়ে রক্ষা করতে গিয়ে প্রায় প্রতিবছরই ক্ষতিগ্রস্ত হয় সুন্দরবন। আবার মনুষ্যসৃষ্ট নানা কর্মকাণ্ডে বিরূপ প্রভাব পড়ে ম্যানগ্রোভ এই বনের ওপর। এর মধ্যে রয়েছে নিজ স্বার্থে বনে আগুন লাগিয়ে দেওয়া; কাঠ, মধু এবং অন্যান্য বনজ সম্পদ অতি আহরণ, অতিরিক্ত মাছ ধরা, ভ্রমণে গিয়ে যত্রতত্র পলিথিন, প্লাস্টিকের বোতলসহ নানা বর্জ্য ফেলা প্রভৃতি। তা ছাড়া, অতিমাত্রায় পর্যটক যাওয়াও সুন্দরবনের জন্য ক্ষতি বলে মনে করছেন পরিবেশবিদেরা।
সম্প্রতি বাগেরহাটের সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জ আন্দারমানিক ইকো ট্যুরিজম সেন্টার, হারবাড়িয়া পর্যটন স্পট, শরণখোলার কটকা, করমজলের কুমির প্রজননকেন্দ্রসহ বিভিন্ন পর্যটন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বনের ভেতর কোথাও ইটের রাস্তা, কোথাও পাথরের ঢালাই করা সড়ক, বাড়ি, অফিস, মোবাইল নেটওয়ার্ক টাওয়ারসহ নানা স্থাপনা নির্মাণ করেছে বন বিভাগ ও বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ফলে বাঘ-হরিণসহ বন্য প্রাণীদের অবাধ চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব সুন্দরবন (টোয়াস) সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে তাদের সংগঠনের রেজিস্ট্রেশনভুক্ত ৬৫টি এবং এর বাইরে ৫-৭টি লঞ্চ খুলনা থেকে পর্যটকদের সুন্দরবন ভ্রমণে নিয়ে যায়-আসে। মোংলা থেকে ট্রলার ও জালিবোটে করে সুন্দরবনের করমজল ও হাড়বাড়িয়া এলাকায় ঘুরতে যান পর্যটকেরা। সেখানে এই কাজে নিযুক্ত আছে অর্ধশতাধিক নৌযান। এ ছাড়া সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সীগঞ্জ ও খুলনা থেকে করমজল ও কালাবগী পর্যটন এলাকা থেকেও একইভাবে পর্যটকেরা সুন্দরবন ভ্রমণে যান।
বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে সুন্দরবন ভ্রমণে যান ১ লাখ ২৮ হাজার ১৭৫ জন পর্যটক। সর্বশেষ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সুন্দরবন ভ্রমণ করেন ২ লাখ ১১ হাজার ৫৭ জন পর্যটক।
জানতে চাইলে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম জানান, আগে কটকা, কচিখালি, দুবলারচর, হিরণ পয়েন্ট, হাড়বাড়িয়া, কলাগাছিয়া ও করমজল—এই সাতটি স্থানে পর্যটন স্পট ছিল। নতুন করে শরণখোলার আলীবান্ধা, চাঁদপাই রেঞ্জের আন্ধারমানিক, খুলনা রেঞ্জের শেখেরটেক ও কৈলাশগঞ্জে হয়েছে আরও চারটি পর্যটন স্পট।
কটেজ মালিকেরা জানান, ইতিমধ্যে বনের কৈলাশগঞ্জ, ঢাংমারী ও আশপাশের এলাকায় চালু হয়েছে কমপক্ষে ২৩টি ইকো রিসোর্ট ও কটেজ। এর মধ্যে জঙ্গলবাড়ি, ইরাবতী, গোলকানন, বনলতা, বনবাস, বনবিবি, বনমালী, বাদাবন, সুন্দরী, শর্মিলা, ম্যানগ্রোভ হ্যাভেন, পিয়ালি, নির্বাসন জঙ্গলভিলা অন্যতম। এ ছাড়া নির্মাণাধীন রয়েছে আরও সাতটি।
অতিমাত্রায় পর্যটক সুন্দরবনের জন্য ক্ষতি বলে মনে করছেন পরিবেশবিদেরা। তাঁরা বলছেন, সুন্দরবনকেন্দ্রিক পর্যটনকে যদি সুন্দর করে নিয়ন্ত্রণ কিংবা পরিচালনা করা না যায় তাহলে এর সম্ভাবনা শঙ্কায় পরিণত হবে। এ ছাড়া সুন্দরবনে পর্যটককেন্দ্রিক যেসব নৌযান আছে, সেগুলোকে নিয়ন্ত্রিতভাবে পরিচালনা করা না গেলে জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি হবে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি ডিসিপ্লিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. খান মেহেদী হাসান বলেন, দেশের মানুষের মধ্যে আগের তুলনায় ভ্রমণের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। পদ্মা সেতু চালুর পর রাজধানীর সঙ্গে খুলনার যোগাযোগ সহজ হয়েছে। ফলে পর্যটকদের জন্য সুন্দরবন ভ্রমণ এখন সহজ। কিন্তু সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা করা না গেলে তা ক্ষতির কারণ হতে পারে।
সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেন, সুন্দরবন ভ্রমণের নীতিমালা কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে হবে। তা না হলে সঠিক পরিকল্পনার অভাবে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ ছাড়া বন্য প্রাণীর অবাধ বিচরণ নিশ্চিত করতে হবে। পরিকল্পিতভাবে পর্যটকদের সুন্দরবন ভ্রমণের ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে কারও কোনো ক্ষতি না হয়।
জানতে চাইলে বন সংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার দো বলেন, ‘আমরা চাই সহনশীল মাত্রায় সুন্দরবনে পর্যটক আসুক। যাতে করে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্যের ওপর বিরূপ প্রভাব না পড়ে। কারণ, সুন্দরবন একটি সংরক্ষিত বন। এটি বিশ্ব ঐতিহ্য। এটিকে সুরক্ষিত রাখা সকলের দায়িত্ব।’
সুন্দরবন দিবস আগামীকাল
সুন্দরবনকে বিপন্ন অবস্থা থেকে রক্ষা করতে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্য নিয়ে আগামীকাল পালিত হচ্ছে সুন্দরবন দিবস। খুলনার বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা রূপান্তরের নির্বাহী পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম খোকন জানান, ২০০১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি খুলনায় প্রথম জাতীয় সুন্দরবন সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ওই সম্মেলনে ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘সুন্দরবন দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং জাতীয়ভাবে ‘সুন্দরবন দিবস’ ঘোষণার দাবি জানানো হয় সরকারের কাছে। তবে এখন পর্যন্ত জাতীয়ভাবে সুন্দরবন দিবস পালনের সাড়া মেলেনি।
রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে সুন্দরবনকে ভালোবাসুন’ স্লোগানে এবারেও সুন্দরবন দিবস পালন করা হবে।
সুন্দরবন একাডেমির নির্বাহী পরিচালক আনোয়ারুল কাদির বলেন, তাঁরা সুন্দরবন সংরক্ষণ ও বনসংলগ্ন মানুষের জীবন-জীবিকার মানোন্নয়নের জন্য সুন্দরবন পরিচালনার ক্ষেত্রে পৃথক মন্ত্রণালয় গঠনের দাবি জানিয়ে আসছেন। তাঁদের দাবি পূরণ হলে বন এবং বনসংলগ্ন মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটবে।
আনোয়ারুল কাদির জানান, সুন্দরবনের পাশের ৫টি জেলার ১৭টি উপজেলা যেগুলো সুন্দরবনের ইমপ্যাক্ট জোন হিসেবে পরিচিত, সেখানে নানাবিধ সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করা হবে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আলোচনা সভা, র্যালি, সিগনেচার ক্যাম্পেইন, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, সাইকেল র্যালি, মানববন্ধন এবং ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতা ইত্যাদি।
পার্বত্য খাগড়াছড়ির সীমান্তবর্তী পানছড়ির বিভিন্ন এলাকায় নির্বিচারে কাটা হচ্ছে পাহাড়। এতে ধ্বংস হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি চক্র এই পাহাড় কাটায় জড়িত বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
৬ ঘণ্টা আগেমৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যার। তবে তীব্র জনবল-সংকটে এখানে চিকিৎসাসেবা পাওয়া দুরূহ। সাতজন চিকিৎসা কর্মকর্তা (মেডিকেল অফিসার) থাকার কথা থাকলেও আছেন মাত্র একজন। ২৩ চিকিৎসকের জায়গায় রয়েছেন ১০ জন। চিকিৎসকের ঘাটতি মেটাতে সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসাররা
৬ ঘণ্টা আগেনানা সমস্যায় জর্জরিত দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌরসভা। দীর্ঘদিন ধরে পৌর এলাকার রাস্তা ও ড্রেনের নাজুক অবস্থা, নেই পর্যাপ্ত ডাস্টবিন। ফলে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়। ফলে দুর্ভোগ বেড়েছে পৌরবাসীর। নাগরিকদের অভিযোগ, নামে প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হলেও বাড়েনি সেবার মান। তাই রাস্তা ও ড্রেনগুলো দ্রুত সংস্ক
৬ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ৫ কোটির বেশি টাকায় নেওয়া শতাধিক প্রকল্পে লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সারমিনা সাত্তার ও উপজেলা প্রকৌশলী আয়েশা আখতার নিয়ম-বহির্ভূতভাবে প্রকল্প গ্রহণ ও ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে এই অনিয়ম করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি আড়াল করতে প্রকল্পের কাগজপত্র
৬ ঘণ্টা আগে