Ajker Patrika

নতুন দামেও মিলছে না সয়াবিন তেল

মনিরামপুর প্রতিনিধি
নতুন দামেও মিলছে না সয়াবিন তেল

বিভিন্ন পর্যায়ে লিটার প্রতি ৩৮ থেকে ৪৪ টাকা বৃদ্ধি পাওয়ার পরও যশোরের মনিরামপুরে নতুন দামে মিলছে না সয়াবিন তেল। গত শুক্রবার থেকে নতুন দাম কার্যকর করার কথা থাকলেও দোকানিরা তা মানছেন না। নিজেদের ইচ্ছামতো যে যেমন পারছেন তেলের দাম হাঁকাচ্ছেন। তেল কিনতে গিয়ে দোকানে সরকারের বেঁধে দেওয়া দামের কথা বলেও লাভ হচ্ছে না।

গত দুদিন মনিরামপুর বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। এ সময় বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যায়নি মুদি দোকানগুলোতে। দু-একটি দোকানে এক লিটারের কয়েকটি বোতল পাওয়া গেছে, তবে তাতে লেখা খুচরা মূল্য ঘষে তুলে ফেলা হয়েছে। দোকানে ঝোলানো পণ্যের মূল্য তালিকায় অন্য পণ্যের দাম উল্লেখ থাকলেও সয়াবিন তেলের দামের স্থানটি ফাঁকা। 

সরেজমিনে মনিরামপুর বাজার ঘুরে দেখা যায়, খোলা সয়াবিনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০৫ টাকা থেকে ২১০ টাকায়, সুপার সয়াবিন ১৯৫ থেকে ১৯৭ টাকা আর পামের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা করে। যদিও শুক্রবার থেকে বোতলজাত সয়াবিন ১৯৮ টাকা, খোলা সয়াবিন ১৮০ টাকা ও সুপার ১৭২ টাকায় লিটার বিক্রির কথা ছিল। 

দোকানিরা বলছেন, সরকার নতুন করে সয়াবিনের যে দাম নির্ধারণ করেছেন সে তেল এখনো বাজারে আসেনি। বড় বড় ব্যবসায়ীরা খুচরা দোকানিদের তেল দিচ্ছেন না। দাম আরও বাড়ার আশায় তাঁরা তেল মজুত করে রেখেছেন। 

মনিরামপুর বাজারের একটি দোকানে ৫-৭টি এক লিটারের সয়াবিনের বোতল পাওয়া যায়। একটি বোতল ধরে দেখা গেছে তাতে খুচরা মূল্য লেখাটি ঘষে তুলে ফেলা হয়েছে। মাহিদুল ইসলাম নামের দোকানি বলেন, ‘বোতলের সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না। আমার আগের এক লিটারের ৫-৭ বোতল থেকে গেছে। দাম বাড়ায় আমি বোতলের গায়ের মূল্য লেখাটি তুলে ফেলেছি।’ 

বাজারের আরেক দোকানি রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘২০২ টাকা করে ২৮ কেজি খোলা সয়াবিন কিনে ২১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। সুপার বিক্রি করছি ১৯৫ টাকা কেজি।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক খুচরা মুদি দোকানি বলেন, ‘বাজারে বড় তেলের সব দোকানে বোতল সয়াবিন তেল আছে। তাঁরা লুকিয়ে রেখেছেন। দাম আরও বাড়বে ভেবে কেউ বের করছেন না।’

হাজী স্টোরের দোকানি সোয়াইব হাসান বলেন, ‘ঈদের ৩-৪ দিন আগ থেকে খোলা সয়াবিনের কেজি ২০৮ টাকা এবং সুপার ১৯৭ টাকা করে বিক্রি করতে হচ্ছে। আর বোতলের সয়াবিন পাচ্ছি না ৫-৬ মাস।’ 

মোহনপুর এলাকার ক্রেতা নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘খবরে শুনতেছি খোলা সয়াবিন ১৮০ টাকা লিটার। এখন দোকানে কিনতে আসলে ২০৬ টাকা কেজি চাচ্ছে।’ 

এদিকে গ্রামের দিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খোলা সয়াবিন ২১৫ টাকায় ও পাম সুপার ২০৫ টাকা কেজিতে বিক্রি করছেন মুদি দোকানিরা। 

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর যশোরের সহকারী পরিচালক ওয়ালিদ বিন হাবিব বলেন, সরকার নির্ধারিত দামের বেশি টাকায় কোনো দোকানি সয়াবিন তেল বিক্রি করলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আগামী দুই এক দিনের মধ্যে মনিরামপুরে অভিযান চালানো হবে বলে জানান এ কর্মকর্তা। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত