Ajker Patrika

চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে নওগাঁ-কুষ্টিয়ার সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে, জানালেন খাদ্য উপদেষ্টা

­যশোর প্রতিনিধি
খুলনা বিভাগের খাদ্যশস্য সংগ্রহ নিয়ে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। ছবি: আজকের পত্রিকা
খুলনা বিভাগের খাদ্যশস্য সংগ্রহ নিয়ে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। ছবি: আজকের পত্রিকা

চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে নওগাঁ ও কুষ্টিয়ার সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।

আজ শনিবার যশোর সার্কিট হাউস সভাকক্ষে এক মতবিনিময় সভায় উপদেষ্টা এই তথ্য জানান। খুলনা বিভাগের খাদ্যশস্য সংগ্রহ, মজুত ও মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে এই সভার আয়োজন করা হয়।

খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘চালের দাম কিছুটা বেড়েছে, এটা সত্য। চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে নওগাঁ ও কুষ্টিয়ার সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আগামী মাসের শুরু থেকে ওএমএস (খোলা বাজারে বিক্রি) এবং খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি শুরু হবে। এবার ৫৩ লাখ পরিবারকে এই কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে। এটি শুরু হলে সুফল দ্রুতই মিলবে।’

খাদ্য মজুত অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি জানিয়ে খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, চলতি মৌসুমে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে। দেশে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুত রয়েছে। প্রচুর বোরো ধান উৎপাদনের ফলে খুব শিগগির চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে আসবে।

আলী ইমাম জানান, খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় বোরো ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি হয়েছে। ইতিমধ্যে ৭২ শতাংশ ধান ও চাল সংগ্রহ সম্পন্ন হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শতভাগ সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।

উপদেষ্টা বলেন, দক্ষিণাঞ্চলে সরু জাতের ধান চাষের কারণে ধান সংগ্রহে কিছু সমন্বয়হীনতা দেখা দিয়েছে। সরকার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে এবং ভবিষ্যতে এর সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হবে।

বাজারে চালের মূল্য কমছে না কেন—এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, যদি খাদ্য মজুতের বর্তমান স্থিতিশীলতা বজায় থাকে, তবে শিগগির চালের বাজার সহনীয় হয়ে উঠবে। কোনো সিন্ডিকেট থাকলে, তা ভেঙে দিতে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। তবে এমনভাবে দাম কমানো যাবে না, যাতে কৃষক তাঁর উৎপাদিত ধানের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হন।

যশোর জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার। উপস্থিত ছিলেন খাদ্য বিভাগের মহাপরিচালক আবুল হাছানাত হুমায়ুন কবীর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম, যশোর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক আলমগীর বিশ্বাস, যশোর জেলা উপপরিচালক মো. মোশাররফ হোসেন এবং খুলনা বিভাগের ১০ জেলার জেলা প্রশাসকেরা এবং খাদ্য নিয়ন্ত্রকেরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে হার্ডিঞ্জের পাশে রেলসেতু

স্বরূপকাঠিতে বিএনপি সভাপতিকে ‘আ.লীগের দোসর’ বললেন পরাজিত প্রার্থী

বরযাত্রীদের বিলাসবহুল গাড়ি উঠে গেল কলেজের দেয়ালে, বরসহ নিহত ৮

ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচে বাংলাদেশের আম্পায়ারকে নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতির কারণ কী

১৪ হাজার কোটি রুপি কেলেঙ্কারি, ভারতের মোদির ভাই যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত