পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি
খুলনার পাইকগাছায় এক সপ্তাহের ব্যবধানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। কাঁচা বাজারেও নেই নিয়ন্ত্রণ। শুধু কাঁচাবাজারের দাম বাড়েনি, বেড়েছে পেঁয়াজ, ডাল ও তেলের দাম। এ ভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় নিম্নআয়ের মানুষজনের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।
উপজেলার কপিলমুনি, গড়ইখালী, গদাইপুর, নতুন বাজার, মানিকতলা, বাঁকা, চাঁদখলী বাজার ঘুরে দেখা গেছে, যেখানে গত সপ্তাহে খুচরা বাজারে কাঁচামরিচের দাম ছিল প্রতি কেজি ১৬০ টাকা, সেখানে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫০ টাকা। বেগুন ২৫ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫ টাকা, পটল ২০ টাকা থেকে বেড়ে ৩৫ টাকা, ঢ্যাঁড়স ২০ টাকা থেকে বেড়ে ৩৫ টাকা, পেঁয়াজ ৪০ থেকে বেড়ে ৫৫ টাকা, করলা ৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৮০ টাকা, কচুমুখী ৩০ টাকা থেকে বেড়ে ৪০ টাকা, কাঁচকলা ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকা, ওল কচু ৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৬০ টাকা, মসুরির ডাল ৯০ টাকা থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
অনেক ক্রেতা অভিযোগ করে বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধির সুযোগে অনেক ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত মূল্যে মালামাল বিক্রি করছেন। এ কারণে নিম্নআয়ের মানুষজন ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছেন।
পাইকগাছা পৌরসভা বাজারে আসা ক্রেতা মো. রফিকুল ইসলাম (৫৫) বলেন, ‘আমি একজন ভ্যানচালক। প্রতিদিন ভ্যান চালিয়ে যা পাই তাই দিয়ে চলে ৪ সদস্যের সংসার। কয়েক দিন বৃষ্টি হওয়ায় ভ্যানে যাত্রী উঠছেন না। আজ ভ্যান চালিয়ে ৩০০ টাকা পেয়েছি। কিন্তু বাজারে যেভাবে চাল, ডাল, কাঁচা তরকারী দাম বাড়ছে তাতে সংসার চালাতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। বাজার করবার পর কাছে আর কোনো টাকা নেই। বাড়িতে আবার বৃদ্ধ অসুস্থ মা আছে। কি দিয়ে মায়ের ওষুধ কিনব ভেবে পাচ্ছি না।’
চা দোকানদার প্রতিবন্ধী ব্রজেন মণ্ডল বলেন, ‘দীর্ঘ ২০ বছর ধরে আমি চা বিক্রি করে সংসার চালাই। কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে যেভাবে অস্বাভাবিক হারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ছে তাতে সীমিত আয়ের মানুষজন কীভাবে সংসার চালাব ভেবে পারছি না। সকালে ৫০০ টাকা নিয়ে পৌর বাজারে এসেছি চাল, ডাল, কাঁচা তরকারী কিনার পর আর টাকা নেই। আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হচ্ছে। সে কারণে ঋণের মধ্যে পড়ে হাবুডুবু খাচ্ছি।’
উপজেলার গজালিয়া গ্রামের হাফিজুর রহমান জানান, পাইকগাছা বাজারে ৭০০ টাকা নিয়ে বাজার করতে এসেছেন তিনি। কাঁচা তরিতরকারি কেনার পর এখনো ব্যাগ ভরছে না। অন্য সময় ৭০০ টাকার বাজার করলে দুটি ব্যাগ লাগত তাঁর।
চাঁদখালী ইউনিয়নের কাঁচাবাজার ব্যবসায়ী আয়ুব আলী বলেন, ‘গত এক সপ্তাহ ধরে বাজার নিয়ন্ত্রণে নেই। আমরা কাঁচামাল তালা থানার পাইকারি বাজার থেকে কিনে নিয়ে এসেছি। পাইকারি বাজারে দাম বেড়ে গেছে। সে কারণে আমাদের বেশি দামে মালামাল বিক্রি করতে হচ্ছে।’
পাইকগাছা কাঁচাবাজর সমিতির সভাপতি কামরুল ইসলাম জানান, ব্যবসায়ীদের কোনো সিন্ডিকেটের কারণে মালামালের দাম বাড়াচ্ছে না। পাইকারি বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীরাও বেশি মূল্য বিক্রি করছেন। তবে আগে ক্রেতারা যে মাল এক কেজি কিনত, এখন তার অর্ধেক কিনছেন।
সোলআনা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শুকুরুজামান বলেন, পৌর বাজারে ব্যবসায়ীদের তালা, বেতগ্রামসহ বিভিন্ন পাইকারি বাজার থেকে কাঁচামাল কিনে আনতে হয়। এরই মধ্যে জ্বালানি তেলের দাম বেশি হওয়ায় পরিবহন খরচ বেশি পড়ছে। সে কারণে একটু বেশি দামে মালামাল বিক্রি করতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ বেগম বলেন, ‘যদি কেউ বাজার মূল্যের থেকেও অতিরিক্ত দামে মালামাল বিক্রি করে তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খুলনার পাইকগাছায় এক সপ্তাহের ব্যবধানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। কাঁচা বাজারেও নেই নিয়ন্ত্রণ। শুধু কাঁচাবাজারের দাম বাড়েনি, বেড়েছে পেঁয়াজ, ডাল ও তেলের দাম। এ ভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় নিম্নআয়ের মানুষজনের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।
উপজেলার কপিলমুনি, গড়ইখালী, গদাইপুর, নতুন বাজার, মানিকতলা, বাঁকা, চাঁদখলী বাজার ঘুরে দেখা গেছে, যেখানে গত সপ্তাহে খুচরা বাজারে কাঁচামরিচের দাম ছিল প্রতি কেজি ১৬০ টাকা, সেখানে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫০ টাকা। বেগুন ২৫ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫ টাকা, পটল ২০ টাকা থেকে বেড়ে ৩৫ টাকা, ঢ্যাঁড়স ২০ টাকা থেকে বেড়ে ৩৫ টাকা, পেঁয়াজ ৪০ থেকে বেড়ে ৫৫ টাকা, করলা ৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৮০ টাকা, কচুমুখী ৩০ টাকা থেকে বেড়ে ৪০ টাকা, কাঁচকলা ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকা, ওল কচু ৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৬০ টাকা, মসুরির ডাল ৯০ টাকা থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
অনেক ক্রেতা অভিযোগ করে বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধির সুযোগে অনেক ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত মূল্যে মালামাল বিক্রি করছেন। এ কারণে নিম্নআয়ের মানুষজন ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছেন।
পাইকগাছা পৌরসভা বাজারে আসা ক্রেতা মো. রফিকুল ইসলাম (৫৫) বলেন, ‘আমি একজন ভ্যানচালক। প্রতিদিন ভ্যান চালিয়ে যা পাই তাই দিয়ে চলে ৪ সদস্যের সংসার। কয়েক দিন বৃষ্টি হওয়ায় ভ্যানে যাত্রী উঠছেন না। আজ ভ্যান চালিয়ে ৩০০ টাকা পেয়েছি। কিন্তু বাজারে যেভাবে চাল, ডাল, কাঁচা তরকারী দাম বাড়ছে তাতে সংসার চালাতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। বাজার করবার পর কাছে আর কোনো টাকা নেই। বাড়িতে আবার বৃদ্ধ অসুস্থ মা আছে। কি দিয়ে মায়ের ওষুধ কিনব ভেবে পাচ্ছি না।’
চা দোকানদার প্রতিবন্ধী ব্রজেন মণ্ডল বলেন, ‘দীর্ঘ ২০ বছর ধরে আমি চা বিক্রি করে সংসার চালাই। কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে যেভাবে অস্বাভাবিক হারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ছে তাতে সীমিত আয়ের মানুষজন কীভাবে সংসার চালাব ভেবে পারছি না। সকালে ৫০০ টাকা নিয়ে পৌর বাজারে এসেছি চাল, ডাল, কাঁচা তরকারী কিনার পর আর টাকা নেই। আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হচ্ছে। সে কারণে ঋণের মধ্যে পড়ে হাবুডুবু খাচ্ছি।’
উপজেলার গজালিয়া গ্রামের হাফিজুর রহমান জানান, পাইকগাছা বাজারে ৭০০ টাকা নিয়ে বাজার করতে এসেছেন তিনি। কাঁচা তরিতরকারি কেনার পর এখনো ব্যাগ ভরছে না। অন্য সময় ৭০০ টাকার বাজার করলে দুটি ব্যাগ লাগত তাঁর।
চাঁদখালী ইউনিয়নের কাঁচাবাজার ব্যবসায়ী আয়ুব আলী বলেন, ‘গত এক সপ্তাহ ধরে বাজার নিয়ন্ত্রণে নেই। আমরা কাঁচামাল তালা থানার পাইকারি বাজার থেকে কিনে নিয়ে এসেছি। পাইকারি বাজারে দাম বেড়ে গেছে। সে কারণে আমাদের বেশি দামে মালামাল বিক্রি করতে হচ্ছে।’
পাইকগাছা কাঁচাবাজর সমিতির সভাপতি কামরুল ইসলাম জানান, ব্যবসায়ীদের কোনো সিন্ডিকেটের কারণে মালামালের দাম বাড়াচ্ছে না। পাইকারি বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীরাও বেশি মূল্য বিক্রি করছেন। তবে আগে ক্রেতারা যে মাল এক কেজি কিনত, এখন তার অর্ধেক কিনছেন।
সোলআনা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শুকুরুজামান বলেন, পৌর বাজারে ব্যবসায়ীদের তালা, বেতগ্রামসহ বিভিন্ন পাইকারি বাজার থেকে কাঁচামাল কিনে আনতে হয়। এরই মধ্যে জ্বালানি তেলের দাম বেশি হওয়ায় পরিবহন খরচ বেশি পড়ছে। সে কারণে একটু বেশি দামে মালামাল বিক্রি করতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ বেগম বলেন, ‘যদি কেউ বাজার মূল্যের থেকেও অতিরিক্ত দামে মালামাল বিক্রি করে তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঘন কুয়াশার কারণে প্রায় ১১ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। দীর্ঘ সময় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় দুই পথের উভয় প্রান্তে আটকা পড়ে অ্যাম্বুলেন্স, ব্যক্তিগত গাড়ি, যাত্রীবাহী বাসসহ দুই শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক।
২১ মিনিট আগেরংপুরে ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একই স্থানে একে একে ছয়টি পরিবহন দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। এতে প্রাণহানির কোনো ঘটনা না ঘটলেও অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনাকবলিত পরিবহনগুলোর মধ্যে তিনটি যাত্রীবাহী বাসসহ ট্রাক, পিকআপ ও কাভার্ডভ্যান রয়েছে। গাড়িগুলো ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে...
২৩ মিনিট আগেচট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থান থেকে বাসে-ট্রাকে করে মানুষ মাহফিলে আসতে থাকে। বিকেল ৪টা নাগাদ প্যারেড ময়দানের আশপাশের রাস্তাঘাট লোকারণ্য হয়ে যায়, বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। প্যারেড ময়দানসংলগ্ন চকবাজার তেলিপট্টি মোড় থেকে এক্সেস রোড, অলিখাঁ মোড় থেকে গণি বেকারির মোড় পর্যন্ত যানচলাচল সীমিত হয়ে পড়ে।
৩৮ মিনিট আগেমাঝনদীতে আটকা পড়া এসব ফেরিতে ১৫টির মতো যাত্রীবাহী বাস আছে। এসব বাসের যাত্রীরা কনকনে শীতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। এদিকে পাটুরিয়া ঘাটে ৩০টির মতো যাত্রীবাহী বাস এবং শতাধিক পণ্যবাহী যানবাহন আটকা পড়েছে।
১ ঘণ্টা আগে