Ajker Patrika

‘একজন ঋণখেলাপির টাকায় সারা দেশের কৃষকদের বাঁচানো সম্ভব’

বাগেরহাট প্রতিনিধি
আপডেট : ১১ এপ্রিল ২০২৩, ২০: ৩৩
‘একজন ঋণখেলাপির টাকায় সারা দেশের কৃষকদের বাঁচানো সম্ভব’

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেছেন, ‘যাঁরা বড় বড় শিল্প-কলকারখানার মালিক তাঁরা হাজার হাজার কোটি টাকার ঋণ নেন। আবার অনেকে ঋণখেলাপিও হচ্ছেন। একজন ঋণখেলাপির টাকা দিয়ে সারা দেশের কৃষককে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব। কিন্তু আমাদের কৃষক ঋণ পাচ্ছেন কোথায়। কৃষকদের ঋণ পাওয়ার বিষয়টি সহজ করতে প্রধানমন্ত্রী সব ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা ও বরাদ্দ দিয়েছেন। ব্যাংকগুলো এখন কৃষকদের মাত্র চার শতাংশ সুদে ঋণ দিচ্ছে।’ 

আজ বুধবার বাগেরহাট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে দুই দিনব্যাপী কৃষি ঋণ মেলা ও কৃষি ঋণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাগেরহাট অগ্রণী ব্যাংকের উপমহাব্যবস্থাপক মানস কুমার পালের সভাপতিত্বে বিতরণ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. হাফিজ আল আসাদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের উপপরিচালক অমর কুমার দাস, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম, জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. শরিফুল ইসলাম, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এ এস এম রাসেল প্রমুখ।

মেলায় বাগেরহাট সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, অগ্রণী ব্যাংকসহ ২২টি ব্যাংক অংশ নেয়। এ ছাড়া মেলায় কৃষি, মৎস্য, পোল্টি খামার, গবাদিপশু লালন-পালনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ৪ থেকে ৯ শতাংশ পর্যন্ত সহজ শর্তে এক দিনের মধ্যে উদ্যোক্তাদের ঋণ দেওয়া হবে। প্রথম দিনে ১৭১ জন কৃষি উদ্যোক্তাকে ৬ কোটি ৭৭ লাখ ৬৮ হাজার টাকার ঋণ বিতরণ করা হয়।

ভোগান্তি ছাড়া ঋণ পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে আবুল হোসেন নামের এক কৃষি উদ্যোক্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঋণ নিতে গেলে ব্যাংকের নানা প্রকার হয়রানির শিকার হতে হয়। কাগজপত্র জোগাড় করতেই অনেক বেগ পেতে হয়। কিন্তু চার শতাংশ সুদে কৃষি ঋণ নিলাম কোনো হয়রানি ও জামানত ছাড়াই।’ এই ধরনের ঋণসুবিধা চালু থাকলে কৃষকদের আর্থিক উন্নতি হবে বলে দাবি করেন এই কৃষক।

জেলা কৃষি ঋণ বিতরণ কমিটির সদস্যসচিব অগ্রণী ব্যাংকের উপমহাব্যবস্থাপক মানস কুমার পাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কৃষকেরা যাতে ভোগান্তি ছাড়া ঋণ পেতে পারেন এ জন্য আমাদের এই আয়োজন। এই মেলার মাধ্যমে আমরা প্রতিটি কৃষক ও সাধারণ মানুষকে জানাতে চাই, নিয়ম মেনে চললে ঋণ পেতে কোনো ভোগান্তি হবে না। আশা করি এই দুই দিনে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক কৃষি উদ্যোক্তাকে ঋণ বিতরণ করতে পারব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত