প্রতিনিধি, কয়রা (খুলনা)
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস আজ থেকে ৭৯ দিন আগে চলে গেলেও শাকবাড়িয়া নদী ও কপোতাক্ষ নদের দুইটি পয়েন্টে এখনো তৈরি হয়নি বেড়িবাঁধ। বেড়িবাঁধ না হওয়ায় প্রতিদিন দুই বার করে জোয়ারে ডুবছে ও ভাটায় জেগে উঠছে ওই এলাকা। ফলে জোয়ার-ভাটার খেলায় ঘরবাড়ি হারিয়ে অনেকে খোলা আকাশের নিচে খুপরি ঘরে বাস করছেন। কেউবা আবার নোনা পানির ওপর টোঙ বেঁধে থাকছেন। এর মাঝে যোগ হয়েছে বর্ষা মৌসুমের বৃষ্টি। বৃষ্টিতে দুর্ভোগ যেন শতগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এমনি অবস্থা খুলনা জেলার কয়রার গাতিরঘেরী ও মহারাজপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ দশহালিয়া গ্রামের।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ মে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে প্রবল জোয়ারে কপোতাক্ষ ও শাকবাড়িয়া নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে লবণ পানিতে তলিয়ে যায় উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের ৫০টি গ্রাম। ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার সময় অতিমাত্রায় জোয়ারের পানিতে উপজেলার শাকবাড়ীয়া ও কপোতাক্ষ নদীর প্রায় ৫০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ছাপিয়ে লোকালয়ে লবণ পানি প্রবেশ করে। ভেঙে যায় বেড়িবাঁধের ১২টি পয়েন্ট। বিধ্বস্ত হয়েছে ১ হাজার ২৫০টি ঘর। তলিয়ে যায় ২ হাজার ৫০০ চিংড়ির ঘের। এতে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৫ কোটি টাকা। একই সাথে ১৫ হেক্টর জমির কৃষি ফসল নষ্ট গেছে। স্থানীয় মানুষের স্বেচ্ছাশ্রমে ভেঙে যাওয়া ১০টি পয়েন্টে বাঁধ দেওয়া সম্ভব হলেও দুইটি পয়েন্টে তা সম্ভব হয়নি। কিন্তু সেই দুই জায়গায় প্রায় ১৩০টি পরিবার বসবাস করছেন।
বেড়িবাঁধের ওপর বসবাস করেছেন গাতীরঘেরী গ্রামের অলোকা রানী। তিনি বলেন, ইয়াসের দিন সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি এবং সঙ্গে হালকা বাতাস ছিল। দুপুরে রান্না করার জন্য ব্যস্ত ছিলাম। নদীতে তখন জোয়ার লাগা শুরু হয়। রান্না শেষ না হতেই রাস্তা ওপর দিয়ে জল ঢুকতে শুরু হয়। তাড়াতাড়ি আমরা সবাই মিলে রাস্তায় মাটি দেওয়া শুরু করি। রান্না করা ভাত খাওয়ার আগেই দেখি রাস্তা ভেঙে আমাদের ঘর বাড়ি সব ভাসায় নিয়ে গেছে। আর কিছু নেই আমাদের। ঘরবাড়ি হারিয়ে তিন মাস ধরে রাস্তায় বসবাস করছি।
অলোকা রানী কান্নাজড়িত কণ্ঠে আরও বলেন, যেটুকু জায়গা জমি ছিল এর আগের আইলার তাণ্ডবে তা ভেঙে নদীতে চলে গেছে। কয়দিন আগে তিন কাঠা জমি কিনে একটা ঘর বাধা শুরু করছিলাম। সে ঘরে একটি রাতও থাকতে পারিনি। সব ভাসিয়ে নিয়ে গেছে এবারের ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। ৩ দিন না খেয়ে ছিলাম। বাঁধ হলেও ঘরে ফিরতে পারব না। কারণ ঘর বাধার জায়গা নেই। তারপরও বাঁধ হলি আবার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করতাম।
সুব্রত সরকার নামে আরেকজন বলেন, নদী ভেঙে আমরা পানিবন্দী হয়ে পড়েছি প্রায় তিন মাস হলো। এখনো বাঁধ নির্মাণ করা হয়নি। না খেয়ে অনেক কষ্টে খোলা আকাশের নিচে বাস করছি। সুন্দরবনে পাস পারমিট বন্ধ থাকায় দিনমজুরের কাজও হচ্ছে না। সরকারি ও বেসরকারিভাবে যে সহযোগিতা পেয়েছি তাই খেয়ে কোন রকমে দিন পার হচ্ছে। বাঁধ নির্মাণ হলেও ঘর বাধার জায়গা নেই আমার।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়নের (বোর্ড বিভাগ-২) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাশিদুর রহমান বলেন, শাকবাড়িয়া নদী ও কপোতাক্ষ নদের ভেঙে যাওয়া দুইটি পয়েন্টর জন্য ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে। গাতিরঘেরীতে ঠিকাদাররা কাজ শুরু করেছেন। এক মাসের মধ্য বাঁধ দেওয়া সম্ভব হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, উত্তর বেদকাশির গাতিরঘেরী ও মহারাজপুর ইউনিয়নের দশহালিয়া গ্রামে যারা ঘরবাড়ি হারিয়ে উঁচু রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছেন তাঁদের জন্য সরকারি ও বেসরকারিভাবে ত্রাণ সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে। গাতিরঘেরীর শাকবাড়িয়া নদীর ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধের কাজ শুরু হয়েছে। অচিরেই ঘরে ফিরতে পারবে এই এলাকার মানুষজন।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস আজ থেকে ৭৯ দিন আগে চলে গেলেও শাকবাড়িয়া নদী ও কপোতাক্ষ নদের দুইটি পয়েন্টে এখনো তৈরি হয়নি বেড়িবাঁধ। বেড়িবাঁধ না হওয়ায় প্রতিদিন দুই বার করে জোয়ারে ডুবছে ও ভাটায় জেগে উঠছে ওই এলাকা। ফলে জোয়ার-ভাটার খেলায় ঘরবাড়ি হারিয়ে অনেকে খোলা আকাশের নিচে খুপরি ঘরে বাস করছেন। কেউবা আবার নোনা পানির ওপর টোঙ বেঁধে থাকছেন। এর মাঝে যোগ হয়েছে বর্ষা মৌসুমের বৃষ্টি। বৃষ্টিতে দুর্ভোগ যেন শতগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এমনি অবস্থা খুলনা জেলার কয়রার গাতিরঘেরী ও মহারাজপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ দশহালিয়া গ্রামের।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ মে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে প্রবল জোয়ারে কপোতাক্ষ ও শাকবাড়িয়া নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে লবণ পানিতে তলিয়ে যায় উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের ৫০টি গ্রাম। ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার সময় অতিমাত্রায় জোয়ারের পানিতে উপজেলার শাকবাড়ীয়া ও কপোতাক্ষ নদীর প্রায় ৫০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ছাপিয়ে লোকালয়ে লবণ পানি প্রবেশ করে। ভেঙে যায় বেড়িবাঁধের ১২টি পয়েন্ট। বিধ্বস্ত হয়েছে ১ হাজার ২৫০টি ঘর। তলিয়ে যায় ২ হাজার ৫০০ চিংড়ির ঘের। এতে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৫ কোটি টাকা। একই সাথে ১৫ হেক্টর জমির কৃষি ফসল নষ্ট গেছে। স্থানীয় মানুষের স্বেচ্ছাশ্রমে ভেঙে যাওয়া ১০টি পয়েন্টে বাঁধ দেওয়া সম্ভব হলেও দুইটি পয়েন্টে তা সম্ভব হয়নি। কিন্তু সেই দুই জায়গায় প্রায় ১৩০টি পরিবার বসবাস করছেন।
বেড়িবাঁধের ওপর বসবাস করেছেন গাতীরঘেরী গ্রামের অলোকা রানী। তিনি বলেন, ইয়াসের দিন সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি এবং সঙ্গে হালকা বাতাস ছিল। দুপুরে রান্না করার জন্য ব্যস্ত ছিলাম। নদীতে তখন জোয়ার লাগা শুরু হয়। রান্না শেষ না হতেই রাস্তা ওপর দিয়ে জল ঢুকতে শুরু হয়। তাড়াতাড়ি আমরা সবাই মিলে রাস্তায় মাটি দেওয়া শুরু করি। রান্না করা ভাত খাওয়ার আগেই দেখি রাস্তা ভেঙে আমাদের ঘর বাড়ি সব ভাসায় নিয়ে গেছে। আর কিছু নেই আমাদের। ঘরবাড়ি হারিয়ে তিন মাস ধরে রাস্তায় বসবাস করছি।
অলোকা রানী কান্নাজড়িত কণ্ঠে আরও বলেন, যেটুকু জায়গা জমি ছিল এর আগের আইলার তাণ্ডবে তা ভেঙে নদীতে চলে গেছে। কয়দিন আগে তিন কাঠা জমি কিনে একটা ঘর বাধা শুরু করছিলাম। সে ঘরে একটি রাতও থাকতে পারিনি। সব ভাসিয়ে নিয়ে গেছে এবারের ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। ৩ দিন না খেয়ে ছিলাম। বাঁধ হলেও ঘরে ফিরতে পারব না। কারণ ঘর বাধার জায়গা নেই। তারপরও বাঁধ হলি আবার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করতাম।
সুব্রত সরকার নামে আরেকজন বলেন, নদী ভেঙে আমরা পানিবন্দী হয়ে পড়েছি প্রায় তিন মাস হলো। এখনো বাঁধ নির্মাণ করা হয়নি। না খেয়ে অনেক কষ্টে খোলা আকাশের নিচে বাস করছি। সুন্দরবনে পাস পারমিট বন্ধ থাকায় দিনমজুরের কাজও হচ্ছে না। সরকারি ও বেসরকারিভাবে যে সহযোগিতা পেয়েছি তাই খেয়ে কোন রকমে দিন পার হচ্ছে। বাঁধ নির্মাণ হলেও ঘর বাধার জায়গা নেই আমার।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়নের (বোর্ড বিভাগ-২) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাশিদুর রহমান বলেন, শাকবাড়িয়া নদী ও কপোতাক্ষ নদের ভেঙে যাওয়া দুইটি পয়েন্টর জন্য ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে। গাতিরঘেরীতে ঠিকাদাররা কাজ শুরু করেছেন। এক মাসের মধ্য বাঁধ দেওয়া সম্ভব হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, উত্তর বেদকাশির গাতিরঘেরী ও মহারাজপুর ইউনিয়নের দশহালিয়া গ্রামে যারা ঘরবাড়ি হারিয়ে উঁচু রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছেন তাঁদের জন্য সরকারি ও বেসরকারিভাবে ত্রাণ সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে। গাতিরঘেরীর শাকবাড়িয়া নদীর ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধের কাজ শুরু হয়েছে। অচিরেই ঘরে ফিরতে পারবে এই এলাকার মানুষজন।
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় লবণের মাঠ দখল ও পূর্বশত্রুতার জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে গুলিবিদ্ধসহ অন্তত অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার সরল ইউনিয়নের উত্তর সরল নতুন বাজার এলাকায় স্থানীয় জাফর ও কবির গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ
২২ মিনিট আগেখুলনার প্রবীণ রাজনীতিবিদ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এম এম মজিবর রহমানকে (৭০) গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আজ মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর ময়লাপোতা মোড় এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২৫ মিনিট আগেকুড়িগ্রামে আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট আমজাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আজ মঙ্গলবার সকালে শহরের নিজ বাসভবন থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
২৯ মিনিট আগেমুন্সিগঞ্জে অটোরিকশা ছিনতাইকালে যুবদলের এক নেতা পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফিরোজ কবির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান। আটক সম্রাট ওরফে বাবু মিজি (৩৬) সদর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।
১ ঘণ্টা আগে