Ajker Patrika

নিরাপত্তা কর্মকর্তার অপসারণ চেয়ে ইবি শিক্ষকের অভিযোগ

ইবি প্রতিনিধি
আপডেট : ০১ মে ২০২৪, ১৪: ০৩
Thumbnail image

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) নিরাপত্তা কর্মকর্তা আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শিক্ষক হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে। ওই নিরাপত্তা কর্মকর্তার অপসারণ চেয়ে অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষক। 

আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি ড. আবু শিবলী ও মো. ফতেহ্ আলী চৌধুরী এই অভিযোগ দেন। 

অভিযোগে জানা গেছে, গুচ্ছভুক্ত ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার আগের দিন গত শুক্রবার রাতে ইউনিট সমন্বয়কারী ও পরীক্ষার কার্যাদি সংশ্লিষ্ট ভবনে প্রবেশের মৌখিক নিষেধাজ্ঞা দেয় কর্তৃপক্ষ। পরে রাত ১১টায় দুই শিক্ষক সংশ্লিষ্ট ভবনে প্রবেশ করেন বলে অভিযোগ করেন দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা। তবে কর্তৃপক্ষের এমন মৌখিক নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে শিক্ষকদের জানানো হয়নি এবং ভবনে প্রবেশের সময় কোনো আনসার শিক্ষকদের নিষেধ করেননি বলে জানা যায়। 

আনসারদের অভিযোগে বলা হয়, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আইসিটি বিভাগের অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মন ও ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি ড. আবু শিবলী ও মো. ফতেহ্ আলী চৌধুরী জোর করে সংশ্লিষ্ট ভবনে প্রবেশ করেছেন। 

এদিকে ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি ড. আবু শিবলী ও মো. ফতেহ্ আলী চৌধুরী একটি পাল্টা অভিযোগ দিয়েছেন প্রশাসনে। অভিযোগে বলা হয়, ইতিমধ্যে আমার বিরুদ্ধে আনসারের এক পিসি প্রশাসনে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে এখানে আমি আমার অবস্থান পরিষ্কার করছি এবং শিক্ষক সমাজের সম্মান রক্ষার্থে পিসি আলতাফ হোসেন ও নোট প্রদানকারী নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালামকে তাঁদের পদ থেকে অপসারণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করছি। পরীক্ষার আগের দিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনে প্রবেশ করা যাবে না—এই মর্মে বিভাগের সভাপতি হিসেবে আমি কোনো পত্র পাইনি। নিষেধাজ্ঞাই যদি না থাকে, তাহলে আমি তা ভঙ্গ করলাম কী করে? 

অভিযোগের বিষয়ে নিরাপত্তা কর্মকর্তা আব্দুস সালাম সেলিম বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে মনগড়া ও কাল্পনিক অভিযোগ করা হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষার আগের রাতে সংশ্লিষ্ট ভবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ওই শিক্ষক আনসারদের নিষেধ না মেনে ভবনে প্রবেশ করেন। পরে আমি গিয়ে তাঁকে কর্তৃপক্ষের নির্দেশনার ব্যাপারে অবহিত করি এবং ভবন ত্যাগ করতে বলি।’ 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষার আগের দিন সংশ্লিষ্ট ভবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও দুজন শিক্ষক জোর করে প্রবেশের ব্যাপারে আনসার কমান্ড থেকে অভিযোগ পেয়েছি।’ 

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বলেন, ‘এ বিষয়ে আনসার সদস্য ও শিক্ষকের দেওয়া অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আনব। প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত