Ajker Patrika

চট্টগ্রামে নালায় পড়ে শিশুর মৃত্যু: পরিবারের ওপর দায় চাপাল সিটি করপোরেশন

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ১১ জুলাই ২০২৫, ২৩: ১০
চট্টগ্রাম নগরের হালিশহরের আনন্দিপুর এলাকায় নালায় পড়ে মারা যাওয়া শিশু হুমায়রার স্বজনদের আহাজারি। ফাইল ছবি
চট্টগ্রাম নগরের হালিশহরের আনন্দিপুর এলাকায় নালায় পড়ে মারা যাওয়া শিশু হুমায়রার স্বজনদের আহাজারি। ফাইল ছবি

‘তিন বছরের একটি ছোট শিশুর একা একা এ ধরনের প্রবল বর্ষণের সময় বাইরে অবস্থান ও খেলাধুলা করার ক্ষেত্রে পরিবারের উচিত ছিল তার দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখা। নালায় পড়ে শিশুর মৃত্যুর পেছনে এটি একটি অন্যতম কারণ।’ চট্টগ্রাম নগরের হালিশহরের আনন্দিপুর এলাকায় গত বুধবার নালায় পড়ে শিশু হুমায়রার মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে এভাবেই পরিবারের ওপর দায় চাপিয়েছে তদন্ত কমিটি।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় কমিটি।

শিশু হুমায়রার মৃত্যুর পর কারণ অনুসন্ধানে তিন সদস্যের কমিটি করেছিল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। কমিটির প্রধান ছিলেন প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী। অন্য দুই সদস্য হচ্ছেন নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার জাহান (সদস্যসচিব) এবং ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. সরফুল ইসলাম।

তদন্ত প্রতিবেদনে দুর্ঘটনার সম্ভাব্য চার কারণ হিসেবে কর্মস্থলে অপর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা, পরিবারের দায়িত্বহীনতা, ভবনের মূল ফটক উন্মুক্ত থাকা এবং প্রহরী বা দারোয়ান না থাকা, সড়কের অবস্থান ও উচ্চতার তারতম্যকে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, শিশুটির মা কর্মস্থলে থাকাকালে শিশুসন্তান হুমায়রা অরক্ষিতভাবে ভবনের পার্কিং এলাকায় একা খেলাধুলা ও ঘোরাঘুরি করতে থাকে। এটিই হুমায়রার নালায় পড়ে মৃত্যুর অন্যতম কারণ। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, নালাটি সিটি করপোরেশনের নয়, এটি ব্যক্তিগত, যা পরে সিটি করপোরেশনের নালার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। সিটি করপোরেশনের নালায় স্ল্যাব দেওয়া ছিল। আর নালাটির প্রশস্ততা মাত্র ১৫ ইঞ্চি।

এ বিষয়ে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, হুমায়রা যে ড্রেনে পড়ে, সেটি মূল সড়কের সঙ্গে লাগানো ব্যক্তিমালিকানাধীন একটি বাড়ির পাশের ছোট আকারের প্রাইভেট ড্রেন। যার প্রস্থ ১৫ ইঞ্চি, গভীরতা শুরুর দিকে ১ ফুট ৮ ইঞ্চি এবং যেখানে মূল সড়কের ড্রেনের সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছে, সেখানে ২ ফুট ১০ ইঞ্চি। এ সড়ক ও ড্রেন ব্যক্তিপর্যায়ে এলাকার বাসিন্দাদের তৈরি। তবে ১২-১৩ বছর আগে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন জনস্বার্থে উপসড়কটি কিছুটা সংস্কার করে।

পুরো চট্টগ্রাম শহরই তো সিটি করপোরেশনের। তাহলে ওই ছোট ড্রেনটি সিটি করপোরেশনের বাইরে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে কি না—জানতে চাইলে শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ড্রেনের ওপরে স্ল্যাব রয়েছে। খুব ছোট একটি ফাঁক গলে হুমায়রা নালায় পড়ল। এ ক্ষেত্রে এলাকার লোকজন কিংবা সংশ্লিষ্ট পরিবারের সদস্যদের সচেতনতা বেশি জরুরি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সারা দেশে আরও ১০ দিন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা

‘আজ বুঝলাম, সময়ের কাছে মানুষ কত অসহায়’—মৃত্যুর আগে স্ট্যাটাস স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার

পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় চারজন গ্রেপ্তার

রামদা হাতে ভাইরাল সেই সাবেক যুবদল নেতাকে গুলি ও পায়ের রগ কেটে হত্যা

জগন্নাথপুরে এসএসসিতে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া রাইদা হতে চায় চিকিৎসক

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত