Ajker Patrika

ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’: বাগেরহাটে প্রস্তুত ৩৫৯ আশ্রয়কেন্দ্র

বাগেরহাট প্রতিনিধি
Thumbnail image

ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে বাগেরহাটের উপকূলজুড়ে দমকা হাওয়া ও বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আজ বুধবার সকাল থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। বেলা ১১টার দিকে দমকা হাওয়া ও বৃষ্টি শুরু হয়। বিকেল নাগাদ বৃষ্টি কমে এলেও জেলার মোংলা, রামপাল, শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জ উপকূলীয় চার উপজেলায় গুমোট আবহাওয়া বিরাজ করছে।

এ বিষয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ মোকাবিলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করেছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) আহমেদ কামরুল হাসান। তিনি বলেন, নদী তীরবর্তী ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের জন্য ৩৫৯টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ আরও পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও ঘনীভূত হতে পারে। ফলে মোংলাসহ সকল সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে তিন নম্বর সতর্ক সংকেতের মধ্যেও মোংলা সমুদ্র বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন বন্দর কর্তৃপক্ষের বোর্ড ও গণসংযোগ বিভাগের উপ-সচিব মো. মাকরুজ্জামান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় দানার খবর ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। জাহাজগুলোকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। বন্দরে এখন নিজস্ব ১ নম্বর অ্যালার্ট চলছে, তিন পর্যন্ত বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল হাসান বলেন, ‘উপকূলীয় এই জেলার মোংলা, মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা ও রামপাল উপজেলা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। আমরা দানা মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

জেলা প্রশাসক আরও বলেন, জেলায় ৮০০ মেট্রিকটন চাল, ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে। এ ছাড়া শিশুখাদ্যের জন্য ৫ লাখ ও গো-খাদ্যের জন্য ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়ার জন্য ৩ হাজার ৫০৫ জন স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত