Ajker Patrika

৩৬ দিন পর খুলল নড়াইলের সেই কলেজ, যাননি অধ্যক্ষ

নড়াইল প্রতিনিধি
৩৬ দিন পর খুলল নড়াইলের সেই কলেজ, যাননি অধ্যক্ষ

নড়াইলে শিক্ষক হেনস্তার দীর্ঘ ৩৬ দিন পর মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজ খুলেছে। তবে কলেজে যাননি হেনস্তার শিকার হওয়া শিক্ষক। এমনকি কোনো শিক্ষার্থীও কলেজে আসেনি।

রোববার দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ১০-১২ জন শিক্ষক উপস্থিত হন। এদিকে ৩ শিক্ষকের মোটরসাইকেল পোড়ানোর ঘটনায় রিপন নামে আরও এক কলেজছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

কলেজ খোলার প্রথম দিন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জুবায়ের হোসেন চৌধুরী সকাল ১০টায় মির্জাপুর কলেজে পৌঁছান। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) সাজেদুল ইসলাম এবং স্থানীয় মির্জাপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ‘দীর্ঘ বন্ধের পর আজ কলেজ খুলেছে। কলেজ কর্তৃপক্ষকে ছাত্র-ছাত্রীদের ফোনে খবর দিতে বলা হয়েছে। আশা করছি, দু-এক দিনের মধ্যেই শিক্ষার্থীরা কলেজে আসবে।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষক বলেন, ‘রোববার দুপুর ১২টার দিকে আমরা খবর পাই আজ কলেজ খুলছে এবং কলেজে যেতে হবে। তারপর আমরা কলেজে আসি।’

এদিকে এ ঘটনার পর থেকে অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস এখনো বাড়িতে ফেরেননি। নড়াইল শহর অথবা আশপাশে কোনো স্বজনের বাড়িতে তিনি রয়েছেন।

অধ্যক্ষ হেনস্তা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, চলতি দায়িত্ব) মো. মাহামুদুর রহমান জানান, এ ঘটনায় মির্জাপুর গ্রামের আফজাল শেখের ছেলে মির্জাপুর কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র রিপন শেখ রিপুকে শনিবার (২৩ জুলাই) রাতে সিঙ্গাড়ি বাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে শিক্ষকদের মোটরসাইকেল পোড়ানোর সঙ্গে তাঁর সম্পৃক্ততার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তার বয়স সাড়ে ১৬ বছর হওয়ায় রিমান্ড আবেদন করা হয়নি। এ ছাড়া মির্জাপুর কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র রায়হানের বিরুদ্ধে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে।

মাহমুদুর রহমান আরও জানান, সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত এ রিমান্ড কার্যকর হবে। রোববার (২৪ জুলাই) সদর আমলি আদালতে রিমান্ড শুনানি শেষে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমাতুল মোর্শেদা এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ পর্যন্ত ৮ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। আসামিরা সবাই হাজতে। 

মির্জাপুর কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট অচিন চক্রবর্তী বলেন, গত শনিবার রাত ৯টার পরে কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। হঠাৎ করে সিদ্ধান্ত হওয়ায় সবাই হয়তো সময় মতো জানতে পারেননি। অধ্যক্ষ কয়েক দিন ছুটিতে থাকবেন এবং তারপর কলেজে যাবেন। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত