আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, ঝিনাইদহ
ঝিনাইদহে দখলদারদের কবলে চলে গেছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) জিকে সেচ প্রকল্পের খাল। কেউ খালে খনন করে বানিয়েছেন পুকুর, কেউ আবার ভরাট করে করছেন চাষাবাদ। এতে করে খালটির অস্তিত্ব বিলীন হওয়ার পথে।
ফলে চাষের মৌসুমে যেমন সেচের পানি মেলে না, তেমনি বর্ষাকালে অতিরিক্ত পানি সরতে না পেরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। নষ্ট হয় কৃষিজমির ফসল। তবে পাউবোর কর্মকর্তারা বলছেন, খাল দখলের বিষয়টি তাঁরা জানেন না। এটি সত্য হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাউবো সূত্রে জানা গেছে, গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) সেচ প্রকল্পের আওতায় খনন করা খালটি শৈলকুপার শাপখোলা ও সদরের বাকড়ী এলাকার মধ্য দিয়ে গিয়ে নবগঙ্গা নদীতে মিশেছে।
সম্প্রতি শাপখোলা-পোড়া বাকড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় ইলিয়াস মিয়া তাঁর বাড়ির সামনে খালে বাঁধ দিয়ে পুকুর খনন করেছেন। ভেঙে ফেলা হয়েছে কালভার্ট। পুকুরের আগপর্যন্ত খালটি থাকলেও এরপর পুরো বিলীন হয়ে গেছে।
জানতে চাইলে ইলিয়াস বলেন, ‘খালে পানি না আসায় যার যার জমির পাশে তারা খালে ফসল আবাদ করছে। ফলে খাল আস্তে আস্তে ভরাট হয়ে গেছে। সবাই খাল ব্যবহার করছে বলে আমিও কিছুদিন হলো মাছ চাষ করছি। পানি উন্নয়ন বোর্ড খাল খনন করুক। খালে আবার পানি আসুক। আমরা সরে যাব।’
স্থানীয় বাসিন্দা জানান, খালটি একসময় বহমান ছিল। কিন্তু স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী লোক খালে পুকুর খনন ও পাড় ভেঙে জমির সঙ্গে মিশিয়ে নিয়েছেন। খাল দখলের ফলে উজানের এলাকাগুলোয় বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে ব্যাপক ফসলহানি হয়।
ইকবাল মোল্লা নামের এক কৃষক বলেন, ‘৭-৮ বছর ধরে খালে কোনো পানি আসে না। আস্তে আস্তে ভরাট হয়ে গেছে। সে জন্য খালে চাষ দিয়ে ফসল লাগাই। এতে তো দোষের কিছু দেখছি না। খাল খনন করুক, আমরা আর চাষ করব না।’
আক্কেল মোল্লা নামের আরেক কৃষক বলেন, ‘পাড়ে যাদের জমি আছে, সবাই কমবেশি খাল দখল করে চাষাবাদ করছে। তাদের দেখে আমিও ফসল লাগিয়েছি। খালটি পুনরায় খনন হলে পানি এলে আমাদের চাষের জন্যই ভালো। খাল দ্রুত খনন করলে আমরা আর চাষ করব না।’
এ নিয়ে কথা হলে ঝিনাইদহ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী রঞ্জন কুমার দাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা ছিল না। দ্রুত সময়ের মধ্যে খালটি দখলদারদের কবল থেকে উদ্ধারের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
ঝিনাইদহে দখলদারদের কবলে চলে গেছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) জিকে সেচ প্রকল্পের খাল। কেউ খালে খনন করে বানিয়েছেন পুকুর, কেউ আবার ভরাট করে করছেন চাষাবাদ। এতে করে খালটির অস্তিত্ব বিলীন হওয়ার পথে।
ফলে চাষের মৌসুমে যেমন সেচের পানি মেলে না, তেমনি বর্ষাকালে অতিরিক্ত পানি সরতে না পেরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। নষ্ট হয় কৃষিজমির ফসল। তবে পাউবোর কর্মকর্তারা বলছেন, খাল দখলের বিষয়টি তাঁরা জানেন না। এটি সত্য হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাউবো সূত্রে জানা গেছে, গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) সেচ প্রকল্পের আওতায় খনন করা খালটি শৈলকুপার শাপখোলা ও সদরের বাকড়ী এলাকার মধ্য দিয়ে গিয়ে নবগঙ্গা নদীতে মিশেছে।
সম্প্রতি শাপখোলা-পোড়া বাকড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় ইলিয়াস মিয়া তাঁর বাড়ির সামনে খালে বাঁধ দিয়ে পুকুর খনন করেছেন। ভেঙে ফেলা হয়েছে কালভার্ট। পুকুরের আগপর্যন্ত খালটি থাকলেও এরপর পুরো বিলীন হয়ে গেছে।
জানতে চাইলে ইলিয়াস বলেন, ‘খালে পানি না আসায় যার যার জমির পাশে তারা খালে ফসল আবাদ করছে। ফলে খাল আস্তে আস্তে ভরাট হয়ে গেছে। সবাই খাল ব্যবহার করছে বলে আমিও কিছুদিন হলো মাছ চাষ করছি। পানি উন্নয়ন বোর্ড খাল খনন করুক। খালে আবার পানি আসুক। আমরা সরে যাব।’
স্থানীয় বাসিন্দা জানান, খালটি একসময় বহমান ছিল। কিন্তু স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী লোক খালে পুকুর খনন ও পাড় ভেঙে জমির সঙ্গে মিশিয়ে নিয়েছেন। খাল দখলের ফলে উজানের এলাকাগুলোয় বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে ব্যাপক ফসলহানি হয়।
ইকবাল মোল্লা নামের এক কৃষক বলেন, ‘৭-৮ বছর ধরে খালে কোনো পানি আসে না। আস্তে আস্তে ভরাট হয়ে গেছে। সে জন্য খালে চাষ দিয়ে ফসল লাগাই। এতে তো দোষের কিছু দেখছি না। খাল খনন করুক, আমরা আর চাষ করব না।’
আক্কেল মোল্লা নামের আরেক কৃষক বলেন, ‘পাড়ে যাদের জমি আছে, সবাই কমবেশি খাল দখল করে চাষাবাদ করছে। তাদের দেখে আমিও ফসল লাগিয়েছি। খালটি পুনরায় খনন হলে পানি এলে আমাদের চাষের জন্যই ভালো। খাল দ্রুত খনন করলে আমরা আর চাষ করব না।’
এ নিয়ে কথা হলে ঝিনাইদহ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী রঞ্জন কুমার দাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা ছিল না। দ্রুত সময়ের মধ্যে খালটি দখলদারদের কবল থেকে উদ্ধারের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় কৃষি খাতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। টানা কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে ওই এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে উপজেলার গ্রীষ্মকালীন সবজি, আউশ ধানের বীজতলা ও রোপা আউশ ধান চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেউত্তরাঞ্চলের যোগাযোগের প্রধান সড়ক রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়ক। এ মহাসড়কের রংপুরের পাগলাপীর থেকে মেডিকেল মোড় পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার অংশ এখন পথচারী ও যানবাহনের জন্য মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। হাজারো গর্তে ভরা এই মহাসড়কে প্রতিদিন চলাচল করতে হচ্ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে। ভোগান্তির শেষ নেই যাত্রী ও চালকদের।
২ ঘণ্টা আগেরাজধানী ঢাকার কোরবানির অস্থায়ী ও স্থায়ী পশুর হাটগুলোতে ক্রেতার অপেক্ষায় ব্যাপারীরা। গরু-ছাগলে হাটগুলো ভরে উঠলেও ক্রেতা কম। তাঁদের মধ্যেও বেশির ভাগ আসছেন দাম যাচাই করতে। ধারণা করা হচ্ছে, আজ বুধবার অফিস শেষে ঈদের সরকারি ছুটি শুরু হলে হাটে অনেক ক্রেতা আসবেন, মূল বেচাকেনা শুরু হবে।
২ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোর ভয়াবহ বিস্ফোরণের তিন বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ। এই তিন বছরে ডিপো এলাকায় আগের চিত্র ফিরলেও এখন পর্যন্ত থামেনি স্বজন হারানোর কান্না। ভয়াবহ এ বিস্ফোরণে যেনতেন বিচারে যেমন নিহত ব্যক্তিদের স্বজনদের মনে স্বস্তি ফেরেনি, তেমনি উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ না পাওয়ার...
৩ ঘণ্টা আগে