যশোর প্রতিনিধি
অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন ২০১৭ সালের ২০ মে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) উপাচার্য (ভিসি) পদে যোগদান করেন। চাকরির প্রথম মেয়াদেই তাঁর বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। অর্ধশতাধিক অনিয়মের অভিযোগ মাথায় নিয়েই ২০২১ সালের ১৯ মে ভিসি পদের প্রথম মেয়াদ শেষ করেন।
একই বছরের ১ জুন অধ্যাপক আনোয়ার দ্বিতীয় মেয়াদে ভিসির দায়িত্ব পান। দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পাওয়ার পর তিনি আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। কথায় কথায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম ভাঙাতেন তিনি। এটি ছিল মূলত অধীনদের দমিয়ে রাখার কৌশল। এর পরও কেউ ভিসির বিপক্ষে মুখ খুললে শিকার হতে হতো নির্যাতন-হয়রানির। ভুক্তভোগী শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভিসি আনোয়ারের পদত্যাগ চান। কিন্তু স্বপদে বহাল থাকতে মরিয়া ড. আনোয়ার।
এদিকে আলটিমেটাম দেওয়ার পরও পদত্যাগ না করায় যবিপ্রবির প্রশাসনিক ভবন ও উপাচার্যের বাসভবনে তালা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল শনিবার দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় শিক্ষার্থীরা ভিসি আনোয়ারসহ তাঁর অনুসারীদের পদত্যাগ চেয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. কে এম দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘ভিসি আনোয়ার যবিপ্রবিতে যোগদানের পর থেকে সীমাহীন দুর্নীতি করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষক-কর্মচারীকে নিয়ে চক্র গড়ে তুলেছিলেন তিনি। সেই চক্র দিয়েই শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়োগ, কেনাকাটা, পদোন্নতি, তদন্ত কমিটির কাজ করে এসেছেন। তাঁর দুর্নীতির বিচার হওয়া উচিত।’
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে উপাচার্য ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, এই মুহূর্তে তাঁর পদত্যাগের বিষয়ে কোনো পরিকল্পনা নেই। কারণ, তিনি ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার সমন্বয়ক। ভর্তি প্রক্রিয়ার ৯৭ শতাংশ শেষ হয়েছে। বাকি ৩ শতাংশ শেষ করতে পারলে দায়মুক্ত হবেন। এরপর কী করবেন, ভেবে দেখবেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নানা দুর্নীতির মধ্যে যবিপ্রবির ১৪টি লিফট স্থাপন নিয়ে ১০ কোটি টাকার অনিয়ম করে সমালোচিত হন ভিসি আনোয়ার। এ নিয়ে শিক্ষকেরা সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন।
যবিপ্রবির একাধিক শিক্ষক ও কর্মকর্তা বলেন, উপাচার্য ড. আনোয়ার কথায় কথায় শেখ হাসিনার নাম ভাঙাতেন। কোনো নিয়মের তোয়াক্কা করেননি। অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে হাতিয়েছেন কয়েক কোটি টাকা। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিরা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলেও আনোয়ার পদ আঁকড়ে রাখতে টালবাহানা শুরু করেছেন।
ভিসি আনোয়ারের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ
বিভিন্ন দপ্তরে দেওয়া ১০ জন শিক্ষকের স্বাক্ষর করা লিখিত অভিযোগে ৫৫টি অনিয়ম ও দুর্নীতির কথা বলা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—যবিপ্রবির শিক্ষক নিয়োগ ও আপগ্রেডেশন নীতিমালা অমান্য করেন ভিসি আনোয়ার। নিয়মবহির্ভূতভাবে প্রতি মাসে ৩ হাজার টাকা করে গবেষণা ভাতা নেন। উপাচার্যের বাংলো নির্মাণাধীন বলে বাড়িভাড়া ফাঁকি দিয়ে সরকারের আর্থিক ক্ষতি করেন। ঢাকায় উপাচার্যের পরিবারের সদস্যদের বসবাসের জন্য বাড়িভাড়া বাবদ নিয়মবহির্ভূতভাবে প্রতি মাসে ৬০ হাজার টাকা নেন। এ ছাড়া উপাচার্যের দপ্তর থেকে অস্তিত্বহীন কর্মচারীর নামে বেতন উত্তোলন করে আত্মসাৎ করতেন।
বিনা টেন্ডারে প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে নিজের অফিস ডেকোরেশন করেন। নিয়োগ নীতিমালা অমান্য করে বিধিবহির্ভূতভাবে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ, পদোন্নতি এবং এক বিভাগ থেকে আরেক বিভাগে স্থানান্তর করেন। রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা বিশেষজ্ঞ সদস্যকে বাদ দিয়ে নিজের পছন্দের সদস্যদের দিয়ে বিভিন্ন নিয়োগ বোর্ড গঠন করে নিয়োগ সম্পন্ন করেন। বিধিবহির্ভূতভাবে বিভাগীয় চেয়ারম্যান নিয়োগ দেন। এ ছাড়া অনিয়মের মাধ্যমে আরও বেশ কিছু নিয়োগ দেন তিনি।
যবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. আমজাদ হোসেন অভিযোগ করেন, যবিপ্রবির ক্যাম্পাস সম্প্রসারণে নতুন ভূমি অধিগ্রহণ প্রকল্প আনতে প্রশাসনিক অদক্ষতার পরিচয় দেন ভিসি আনোয়ার। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হল সম্প্রসারণ ও উন্নয়নে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) ভবন নির্মাণের কাজ সম্পন্ন ও ব্যবহারের উপযোগী করতে ব্যর্থ হয়েছেন উপাচার্য।
অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন ২০১৭ সালের ২০ মে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) উপাচার্য (ভিসি) পদে যোগদান করেন। চাকরির প্রথম মেয়াদেই তাঁর বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। অর্ধশতাধিক অনিয়মের অভিযোগ মাথায় নিয়েই ২০২১ সালের ১৯ মে ভিসি পদের প্রথম মেয়াদ শেষ করেন।
একই বছরের ১ জুন অধ্যাপক আনোয়ার দ্বিতীয় মেয়াদে ভিসির দায়িত্ব পান। দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পাওয়ার পর তিনি আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। কথায় কথায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম ভাঙাতেন তিনি। এটি ছিল মূলত অধীনদের দমিয়ে রাখার কৌশল। এর পরও কেউ ভিসির বিপক্ষে মুখ খুললে শিকার হতে হতো নির্যাতন-হয়রানির। ভুক্তভোগী শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভিসি আনোয়ারের পদত্যাগ চান। কিন্তু স্বপদে বহাল থাকতে মরিয়া ড. আনোয়ার।
এদিকে আলটিমেটাম দেওয়ার পরও পদত্যাগ না করায় যবিপ্রবির প্রশাসনিক ভবন ও উপাচার্যের বাসভবনে তালা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল শনিবার দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় শিক্ষার্থীরা ভিসি আনোয়ারসহ তাঁর অনুসারীদের পদত্যাগ চেয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. কে এম দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘ভিসি আনোয়ার যবিপ্রবিতে যোগদানের পর থেকে সীমাহীন দুর্নীতি করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষক-কর্মচারীকে নিয়ে চক্র গড়ে তুলেছিলেন তিনি। সেই চক্র দিয়েই শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়োগ, কেনাকাটা, পদোন্নতি, তদন্ত কমিটির কাজ করে এসেছেন। তাঁর দুর্নীতির বিচার হওয়া উচিত।’
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে উপাচার্য ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, এই মুহূর্তে তাঁর পদত্যাগের বিষয়ে কোনো পরিকল্পনা নেই। কারণ, তিনি ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার সমন্বয়ক। ভর্তি প্রক্রিয়ার ৯৭ শতাংশ শেষ হয়েছে। বাকি ৩ শতাংশ শেষ করতে পারলে দায়মুক্ত হবেন। এরপর কী করবেন, ভেবে দেখবেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নানা দুর্নীতির মধ্যে যবিপ্রবির ১৪টি লিফট স্থাপন নিয়ে ১০ কোটি টাকার অনিয়ম করে সমালোচিত হন ভিসি আনোয়ার। এ নিয়ে শিক্ষকেরা সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন।
যবিপ্রবির একাধিক শিক্ষক ও কর্মকর্তা বলেন, উপাচার্য ড. আনোয়ার কথায় কথায় শেখ হাসিনার নাম ভাঙাতেন। কোনো নিয়মের তোয়াক্কা করেননি। অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে হাতিয়েছেন কয়েক কোটি টাকা। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিরা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলেও আনোয়ার পদ আঁকড়ে রাখতে টালবাহানা শুরু করেছেন।
ভিসি আনোয়ারের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ
বিভিন্ন দপ্তরে দেওয়া ১০ জন শিক্ষকের স্বাক্ষর করা লিখিত অভিযোগে ৫৫টি অনিয়ম ও দুর্নীতির কথা বলা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—যবিপ্রবির শিক্ষক নিয়োগ ও আপগ্রেডেশন নীতিমালা অমান্য করেন ভিসি আনোয়ার। নিয়মবহির্ভূতভাবে প্রতি মাসে ৩ হাজার টাকা করে গবেষণা ভাতা নেন। উপাচার্যের বাংলো নির্মাণাধীন বলে বাড়িভাড়া ফাঁকি দিয়ে সরকারের আর্থিক ক্ষতি করেন। ঢাকায় উপাচার্যের পরিবারের সদস্যদের বসবাসের জন্য বাড়িভাড়া বাবদ নিয়মবহির্ভূতভাবে প্রতি মাসে ৬০ হাজার টাকা নেন। এ ছাড়া উপাচার্যের দপ্তর থেকে অস্তিত্বহীন কর্মচারীর নামে বেতন উত্তোলন করে আত্মসাৎ করতেন।
বিনা টেন্ডারে প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে নিজের অফিস ডেকোরেশন করেন। নিয়োগ নীতিমালা অমান্য করে বিধিবহির্ভূতভাবে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ, পদোন্নতি এবং এক বিভাগ থেকে আরেক বিভাগে স্থানান্তর করেন। রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা বিশেষজ্ঞ সদস্যকে বাদ দিয়ে নিজের পছন্দের সদস্যদের দিয়ে বিভিন্ন নিয়োগ বোর্ড গঠন করে নিয়োগ সম্পন্ন করেন। বিধিবহির্ভূতভাবে বিভাগীয় চেয়ারম্যান নিয়োগ দেন। এ ছাড়া অনিয়মের মাধ্যমে আরও বেশ কিছু নিয়োগ দেন তিনি।
যবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. আমজাদ হোসেন অভিযোগ করেন, যবিপ্রবির ক্যাম্পাস সম্প্রসারণে নতুন ভূমি অধিগ্রহণ প্রকল্প আনতে প্রশাসনিক অদক্ষতার পরিচয় দেন ভিসি আনোয়ার। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হল সম্প্রসারণ ও উন্নয়নে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) ভবন নির্মাণের কাজ সম্পন্ন ও ব্যবহারের উপযোগী করতে ব্যর্থ হয়েছেন উপাচার্য।
প্রতিষ্ঠার পরের বছর থেকে (২০২২ সাল) একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করে কিশোরগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়। তবে তা নিজস্ব ক্যাম্পাসে নয়, কিশোরগঞ্জ গুরুদয়াল সরকারি কলেজের ১০ তলা ভবনের তৃতীয় ও চতুর্থ তলায়। কথা ছিল নির্দিষ্ট সময় পর নিজস্ব ক্যাম্পাসে চলে যাবে, কিন্তু তা হয়নি।
৫ ঘণ্টা আগেসিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার চরাঞ্চল তেকানীতে সাড়ে তিন কিলোমিটার মাটির বাঁধ নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০২৪ সালের মার্চে। স্থানীয়দের দাবির পর আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয়ের মৌখিক নির্দেশে এ কাজ শুরু হয়।
৫ ঘণ্টা আগেগ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করতে প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও পরামর্শ দিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে জামালপুর পল্লী উন্নয়ন একাডেমি। কিন্তু গত দুই বছরেও সেখানে কোনো কার্যক্রম শুরু হয়নি। প্রতিষ্ঠানটিতে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর মহাপরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়।
৭ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের সাবেক ও বর্তমান দুই ইউপি সদস্যের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (২ আগস্ট) সকালে ইউনিয়নের ইজারকান্দি গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন এবং হক মিয়ার বাড়িতে এ হামলা হয়।
৯ ঘণ্টা আগে